ধর্ষিতা ও অ্যাসিড আক্রান্তদের ক্ষতিপূরণের মাত্রা নির্ধারিত


ধর্ষিতা ও অ্যাসিড আক্রান্তদের ক্ষতিপূরণের পরিমাণ এ বার নির্ধারিত হল। কেন্দ্রীয় সরকারের পরামর্শ নিয়ে একটি ক্ষতিপূরণ নীতি ঠিক করেছে জাতীয় আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষ বা ন্যাশনাল লিগাল সার্ভিসেস অথরিটি (NALSA)। ঠিক হয়েছে, ধর্ষিতাদের কমপক্ষে ৫ লাখ ও অ্যাসিড আক্রান্তদের কমপক্ষে ৭ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। 

যৌন নিগৃহীতাদের ক্ষতিপূরণ দিতে একটি মডেল নিয়ম তৈরির কথা বলেছিল সুপ্রিম কোর্ট। বিশেষত দুস্থ ধর্ষিতা ও তাঁর পরিবার আর্থিক অভাবের কারণে আইনি লড়াই লড়তে ব্যর্থ হয়। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ মেনেই ধর্ষিতাদের জন্য ন্যূনতম একটা ক্ষতিপূরণ ধার্য করা হয়েছে বলে জানিয়েছে NALSA। নয়া ক্ষতিপূরণ নীতিতে বলা হয়েছে, গণধর্ষিতা হলে বা ধর্ষণের কারণে প্রাণহানি হলে কমপক্ষে ৫ লাখ ও সর্বাধিক ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। ধর্ষণ অথবা অপ্রাকৃতিক যৌন হেনস্থার ঘটনায় দেওয়া হবে ন্যূনতম ৪ লাখ টাকা। ধর্ষণের কারণে ধর্ষিতা গর্ভবতী হয়ে গেলে তাঁকে দেওয়া হবে ন্যূনতম ৩ লাখ ও সর্বাধিক ৪ লাখ টাকা। হামলায় শরীরের কোনও অঙ্গ খোয়া গেলে বা তার ৮০%-ই অকেজো হয়ে গেলে দেওয়া হবে ২ লাখ টাকা।

এছাড়া অ্যাসিড হামলায় সম্পূর্ণ শরীর পুড়ে গেলে আক্রান্তদের ন্যূনতম ৭ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। আর শরীরের ৫০% পুড়ে গেলে মিলবে ৫ লাখ টাকা। 

এই প্রকল্পে বলা হয়েছে, কোনও দুর্গত যদি একাধিক ধারার আওতায় পড়েন, তাহলে তিনি প্রতিটি আলাদা আলাদা ক্ষেত্রের ক্ষতিপূরণের মোট পরিমাণ পাবেন। যেমন কোনও গণধর্ষিতার মৃত্যু হলে তাঁর পরিবার দুটি ক্যাটিগরির ক্ষতিপূরণ মিলিয়ে ১০ লাখ টাকা পাবেন - ৫ লাখ গণধর্ষণের জন্য আর ৫ লাখ ধর্ষণের কারণে মৃত্যুর জন্য। 

এই নীতিতে সম্মতি দিয়েছে বিচারপতি মদল বি লোকুর ও বিচারপতি দীপক গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চ। এটি প্রযোজ্য হবে সব রাজ্যের জন্য। বর্তমানে বিভিন্ন রাজ্যের ক্ষতিপূরণের পরিমাণ বিভিন্ন। সর্বনিম্ন ১০,০০০ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয় ওডিশায়। সর্বাধিক ১০ লাখ দেওয়া হয় গোয়ায়। একমাত্র মহারাষ্ট্রে এই নিয়ে কোনও নীতি নির্ধারিত হয়নি।