Posts

Showing posts from August 9, 2018

স্বামী মুসলিম, কলকাতার মহিলার শ্রাদ্ধই করল না দিল্লির মন্দির

Image
ভালবেসেই বিয়ে করেছিলেন এক ইসলাম ধর্মাবলম্বী যুবককে। কিন্তু, ধর্ম কখনই প্রাধান্য পায়নি দীর্ঘ কুড়ি বছরের দাম্পত্য জীবনে। ধর্ম বিশ্বাসে তিনি সবসময়েই ছিলেন একজন হিন্দু। তাই শেষ ইচ্ছেও ছিল, অন্তেষ্ট্যি এবং শেষকৃত্য যেন হিন্দু রীতি মেনেই হয়। স্ত্রী-র এই বিশ্বাসকে সবসময়ে সম্মান দিয়ে এসেছেন তাঁর স্বামী। শেষ ইচ্ছে পূরণ করতে গিয়েই রাজধানীর বুকে এক অপ্রত্যাশিত বাধার মুখে পড়েছেন কলকাতার ইমতিয়াজুর রহমান। শেষ পর্যন্ত দিল্লির অন্য একটি সংস্থা তাঁদের সাহায্যের আশ্বাস দিলেও, ঘটনার আকস্মিকতার ঘোর কাটেনি ওই পরিবারের। রাজ্য সরকারের বাণিজ্যিক কর দফতরের সহকারি কমিশনার ইমতিয়াজু্র। দীর্ঘ অসুস্থতার পর দিল্লির একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর স্ত্রী নিবেদিতা ঘটক রহমানের সম্প্রতি মৃত্যু হয়। স্ত্রীর ইচ্ছেকে সম্মান জানিয়েই হিন্দু মতে দিল্লির নিগম বোধ ঘাটে দাহ করা হয় নিবাদিতার দেহ। রীতি মেনে ঠিক ১১ দিনের মাথায় শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের জন্য ইমতিয়াজুর বেছে নেন দক্ষিণ দিল্লির চিত্তরঞ্জন পার্ক কালী মন্দিরকে। আর সেখান থেকেই অপ্রত্যাশিতভাবে বাধাটা আসে।নিবেদিতা অসুস্থ থাকাকালীন তাঁর লিভার প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন পড়ে। সেই সময় নিবেদি

১৫ কোটির ব্যাঙ্ক প্রতারণার অভিযোগ, অভিজাত আবাসনে হানা CBI-র

Image
কলকাতা : ফের শহরে ব্যাঙ্ক প্রতারণার অভিযোগ। স্টেট ব‍্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার দায়ের করা FIR-র ভিত্তিতে সাতসকালে শহরের একটি অভিজাত আবাসনে হানা দিল CBI। SBI-র অভিযোগ, এক দম্পতি ১৫ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে প্রতারণা করেছে তাদের। তাঁরা পোশাক তৈরি সংস্থার মালিক। আজ সকাল ৭টা নাগাদ CBI-র দিল্লি ও কলকাতার আধিকারিকদের একটি দল প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডের মার্লিন নামে একটি আবাসনে হানা দেয়। ওই আবাসনেই থাকেন HAP গারমেন্টস এবং KP গারমেন্টসের কর্ণধার হীরেন পাঞ্চাল এবং তাঁর স্ত্রী অঞ্জু পাঞ্চাল। CBI সূত্রে খবর, ৩০ জুলাই স্টেট ব‍্যাঙ্কের সমৃদ্ধি ভবন ব্রাঞ্চের জেনেরাল ম‍্যানেজার চন্দ্রেশ জুলকা এই দম্পতির নামে CGO কমপ্লেক্সে CBI-র দপ্তরে FIR দায়ের করেন। অভিযোগে তিনি জানান, জাল কাগজপত্র জমা দিয়ে ১৫ কোটি টাকা ঋণ নেয় ওই দম্পতি। তারপর সেই ঋণ শোধ করেনি। অভিযোগ পাওয়ার পর আজ মার্লিন কমপ্লেক্সের ৬বি নম্বর ফ্ল‍্যাটে তল্লাশি চালায় CBI-র দল। সূত্রের খবর, তল্লাশিতে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি ইতিমধ‍্যেই হাতে এসেছে তদন্তকারীদের।

১২ হাজার কোটির বিনিয়োগে নিয়ে মমতার বাংলায় আইওসি! কর্মসংস্থানের আশ্বাস

Image
পশ্চিমবঙ্গে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে চলেছে মহারত্ন হিসেবে পরিচিত ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন। রাজ্যের শিল্প দফতর সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। রাজ্যে মূলত আইওসির পরিকাঠামোগুলোর আপগ্রেডেশনের জন্য এই টাকা বিনিয়োগ করা হবে। এর ফলে রাজ্যে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে বলে শিল্প দফতর সূত্রে খবর। পারাদ্বীপ রিফাইনারি থেকে কল্যাণী এবং দুর্গাপুরের মধ্যে গ্যাস পাইপলাইন বসানো হবে। তা ছাড়াও রাজ্যে থাকা বটলিং প্ল্যান্টের ক্ষমতা বাড়ানো, খড়গপুরে নতুন বটলিং প্ল্যান্ট তৈরির জন্য প্রায় চার হাজার কোটি টাকা খরচ করা হবে। এছাড়াও হলদিয়া রিফাইনারির ক্ষমতা বাড়াতে প্রায় সাড়ে সাতহাজার কোটি টাকা খরচ করা হবে। পশ্চিমবঙ্গ কিংবা পূর্বের রাজ্যগুলিতে কোনও প্রাকৃতিক গ্যাস গ্রিড নেই। ফল স্বরূপ পরিবহণ, শিল্প কিংবা গৃহস্থলি, কেউই পর্যাপ্ত গ্রিন ফুয়েল পাচ্ছেন না। ওপরের বিনিয়োগে পরিস্থিতির বদল হবে বলে অনুমান আইওসির। কল্যাণী ও দুর্গাপুরের বটলিং প্ল্যান্টের সংযোগ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে সেপ্টেম্বরে। পরবর্তী পর্যায়ে বজবজের বটলিং প্ল্যান্টকেও এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত করা হবে। খড়গপুরে নতুন বটলিং প্ল্যান্ট তৈরি করতে

দ্বিতীয়বারও মেয়ে ! ২৮ দিনের সদ্যজাতকে আছড়ে মারল বাবা

Image
ফিরোজাবাদ:  দ্বিতীয়বারও মেয়েও হয়েছে ? রাগে ২৮ দিনের মেয়েকে আছাড় মেরে মারল বাবা ৷ মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে ফিরোজাবাদের গান্ধি নগরে ৷ সদ্যজাতকে স্ত্রীর চোখের সামনেই নির্মম ভাবে হত্যা করে স্বামী ৷ বান্টি নামে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ৩০২ ধারায় গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ পুলিশ জানিয়েছে, মৃত কন্যা সন্তান ওই দম্পতির দ্বিতীয় কন্যাসন্তান ৷ বান্টি প্রথম থেকেই পুত্র সন্তান চেয়ে এসেছিলেন ৷ কিন্তু এবারও তার স্বপ্নপূরণ হয়নি ৷ এই নিয়ে তার স্ত্রীর সঙ্গে বচসাও হয় ৷ এরপর রাগের মাথায় ২৮ দিনের শিশুকে মায়েক কোল থেকে ছিনিয়ে আচাড় মেরে ফেলে দেয় ৷ সঙ্গে সঙ্গেই মৃত্যু হয় শিশুটির ৷ বান্টির শ্বশুরের অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ বান্টি পেশায় দিনমজুর ৷ দু'বছর আগে তার বিয়ে হয় ৷ তাদের দেড় বছরের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে ৷

পেট্রোল পাম্পেও ভেজাল জ্বালানি? জল মেশানো পেট্রোল ভরায় নষ্ট হয়ে গেল নতুন গাড়ি ৷

Image
কলকাতা: ভেজাল-কাণ্ডে নয়া সংযোজন ৷ এবার শহরে মিলল ভেজাল জ্বালানি ৷ পেট্রোলে জল মিশিয়ে বিক্রির অভিযোগ উঠল ঢাকুরিয়ার এক পেট্রোল পাম্পের বিরুদ্ধে ৷ আর সেই জল মেশানো পেট্রোল ভরায় নষ্ট হয়ে গেল নতুন গাড়ি ৷ বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে ঢাকুরিয়ার একটি পেট্রোল পাম্পে ৷ এই পাম্প থেকে নতুন গাড়ির জন্য পেট্রোল কিনেছিলেন সুমন্তিকা চৌধুরি নামের এক মহিলা ৷ সেখান থেকে ফেরার সময় মাঝপথেই খারাপ হয়ে যায় গাড়িটি ৷ সার্ভিস সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হলে রিপোর্টে দেখা যায় জ্বালানি থেকে সমস্যার সূত্রপাত ৷ প্রমাণ হয় জল মেশানো পেট্রোলের কারণেই এই বিপত্তি ৷ এই ঘটনার পরেই লেক থানায় অভিযোগ দায়ের করেন সুমন্তিকা ৷ অভিযোগ জানান, পেট্রোল পাম্পের কর্তৃপক্ষকেও ৷ এরপরেই অবশ্য নড়েচড়ে বসে কর্তৃপক্ষ ৷ ক্ষতিপূরণ দিয়ে ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা করেন তাঁরা ৷ ফেরত দেওয়া হয় পেট্রোলের দাম ৷ গাড়ি মেরামতের টাকাও দেওয়া হয় ৷ বলা হয়, নতুন ইউনিটের কাজ চলছে ৷ সেই সময়ই হয়তো পাইপ লিক করে কোনওভাবে পেট্রোলে জল মিশেছে ৷ অভিযোগ পাওয়ার পর পেট্রল বিক্রি বন্ধ করে দেয় ওই পাম্প কর্তৃপক্ষ ৷

দুই নাবালিকাকে ২ বছর ধরে লাগাতার ধর্ষণ

Image
বনগাঁ: খাবারের লোভ দেখিয়ে প্রায় দু'বছর ধরে দুই নাবালিকাকে লাগাতার ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল এক লরি চালকের বিরুদ্ধে। এমনকি এই বিষয়ে কাউকে জানালে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয় নাবালিকাদের ৷ বুধবার রাত ১০টা নাগাদ ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই এলাকার লোকেরা অভিযুক্তকে আটকে রেখে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে ৷ ঘটনাটি বনগাঁ থানার দেবগড় মাঠ পাড়া এলাকার। জানা গিয়েছে, নির্যাতিতাদের মধ্যে একজনের বয়স ৯ ও অন্য জনের ১২ ৷ নাবালিকাদের খাবারের লোভ দেখিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ। অভিযুক্ত সুব্রত মন্ডল (৪৫) পেশায় লরি চালক। নির্যাতিতাদের পাড়াতেই তিনি থাকতেন ৷ বুধবার সন্ধ্যায় হঠাৎ মেয়েদের দেখতে না পেয়ে খোঁঝ শুরু হয় ৷ এরপর পাড়ার একটি বাড়ির বাড়ির ছাদ থেকে বিবস্ত্র অবস্থায় তাদের উদ্ধার করা হয় । ঘটনা জানাজানি হতেই অভিযুক্ত সন্টু মন্ডল পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে প্রতিবেশীরা ধরে ফেলে তাকে বনগাঁ থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয়। ১২ বছরের নাবালিকার মা নেই,মাঠপাড়ায় তার মামাবাড়ি থাকত ৷

বিপুল অঙ্কে নির্বাচকদের বেতন বাড়াল বিসিসিআই

Image
মুম্বই: এক দশক আগে নির্বাচকদের পেশাদারিত্বের হয়ে সওয়াল করে ভারতীয় ক্রিকেটমহলের বিরাগভাজন হয়েছিলেন দিলীপ বেঙ্গসরকার৷ বছর দশক পরে জাতীয় নির্বাচকদের বার্ষিক বেতন কোটি টাকা ছুঁয়ে ফেলল৷ ২০০৭ সালে নির্বাচকদের পারশ্রমিকের দাবি জানিয়েছিলেন বেঙ্গসরকার৷ ততদিন নির্বাচকের ভূমিকা ছিল সাম্মানিক৷ পরে পেশাদারিত্ব আমদানি করতে গিয়ে নির্বাচক কমিটিকে পূর্ণসময়ের বেতনভূক পদে পরিণত করে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড৷ দশক ঘুরতে না ঘুরতে সেই নির্বাচকরা কোটি টাকার কাছে বেতন পেতে চলেছেন৷ নির্বাচক প্রধানের পারিশ্রমিক ছুঁয়ে ফেলল আট অঙ্ক৷ এতদিন জাতীয় নির্বাচকদের বার্ষিক পারিশ্রমিক ছিল ৬০ লক্ষ টাকা৷ নির্বাচক কমিটির চেয়ারম্যান পেতেন বছরে ৮০ লক্ষ টাকা৷ সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত কমিটি অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্সের প্রধান বিনোদ রাইয়ের সম্মতিক্রমে সিনিয়র নির্বাচকদের বেতন একলাফে পঞ্চাশ শতাংশ বেড়ে গেল৷ অর্থাৎ ৩০ লক্ষ টাকা বেড়ে জাতীয় নির্বাচকদের বর্তমান পারিশ্রমিক দাঁড়াল বছরে ৯০ লক্ষ টাকা৷ নির্বাচক প্রধানের বেতন সেদিক থেকে বেড়েছে অনেক কম৷ ২৫ শতাংশ, অর্থাৎ ২০ লক্ষ টাকা বর্ধিত হয়ে চেয়ারম্যানের পারিশ্রমিক দাঁড়িয়ে

নারীদের কথা ভেবেই এবার এক অভিনব উদ্যোগ নিল রেলের শিয়ালদহ ডিভিশন৷

Image
অর্ধেক আকাশ জুড়ে তুমি৷ শরীর ও মনে তোমারই অবস্থান৷ নারী ব্যতীত সমাজের অবস্থান অস্তিত্বহীন৷ তাই মেয়েদের সম্ভ্রম রক্ষা থেকে নিরাপত্তা সবদিকেই কড়া নজরদারি ভারতীয় রেলের৷ নারীদের কথা ভেবেই এবার এক অভিনব উদ্যোগ নিল রেলের শিয়ালদহ ডিভিশন৷ লেডিজ স্পেশ্যাল ট্রেনের কামরাগুলিতে শিল্পীর তুলিতে ফুটিয়ে তোলা হল প্রকৃতির সৌরভ৷ কামরার ভিতরে গাছপালা, নদীনালা ও ফুলের ছবিতে ভরিয়ে দেওয়া হচ্ছে৷ রেলের ডিভিশনাল এক কর্তার কথায়, কামরার ভিতর বিসদৃশ্য পোস্টার লাগানো হয়৷ যা অত্যন্ত কদর্য ও বিপথগামী করে তোলে মহিলাদের৷ নিঃসঙ্গ মহিলারা বিপথগামী হতে পারেন এই সব বিভ্রান্তিকর পোস্টারে৷ এই ধরনের পোস্টার যাতে মহিলা কামরায় লাগানো না যায় সে কারণেই মহিলাদের কামরাগুলিকে সুন্দর ছবিতে ভরিয়ে তোলা হচ্ছে৷ ফলে ছবির উপর পোস্টার লাগাতে ভয় পাবেন সকলেই৷ শিয়ালদহের সিনিয়র ডিসিএম চিত্তরঞ্জন ঝা বলেন, প্রাথমিকভাবে দুটি মহিলা কোচে এই সৌন্দর্যায়ন করা হয়েছে৷ হালকা রং এবং প্রাকৃতিক শোভা ভাল লাগবে মহিলাদের৷ এছাড়া কিছু অপ্রয়োজনীয় পোস্টার কামরায় লাগানোর প্রবণতাও এভাবে আটকানো সম্ভব বলেই আশা রেল কর্তৃপক্ষের৷ বারাসত ইয়ার্ডে এই সৌ

বাবার নির্দেশে আদালত চত্বরে খুন তরুণী।

Image
বাড়ির অমতে দলিত যুবককে বিয়ে করেছিলেন। এই অপরাধে ফের সম্মান রক্ষার বলি রোহতকের তরুণী। ভরা আদালত চত্বরে তাঁকে গুলি করে খুন করল দুষ্কৃতীরা। একই সঙ্গে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হলেন মৃতের সঙ্গে থাকা সাব-ইন্সপেক্টর। মৃতের নাম মমতা কুমারী। অভিযোগ, এই খুনের পিছনে রয়েছে মমতার বাবা রমেশ। ভিন জাতে মেয়ের বিয়ে মেনে নিতে পারেনি রমেশ, তাই সুপারি কিলার দিয়ে মেয়েকে খুনের সিদ্ধান্ত নেয়। গুলি চলার সময় আদালত চত্বরেই ছিল মমতা কুমারীর বাবা। তবে পুলিশ তাকে খুঁজছে জানতে পেরেই পালিয়ে যায়। অভিযুক্ত রমেশের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করেছে পুলিশ। শুরু হয়েছে তল্লাশি। অন্যদিকে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হওয়া সাব ইন্সপেক্টরের নাম নরেন্দ্র কুমার। তিনি কারনাল এলাকার বাসিন্দা। এদিন কার্নালের নারী নিকেতন নামের সরকারি হোম থেকে মমতা কুমারী ও আরও এক মহিলাকে রোহতক আদালতে নিয়ে এসেছিলেন। মমতার বাবা রমেশ দলিত যুবকের বিরুদ্ধে মেয়েকে অপহরণের অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের করেছিল। সেই মামলারই শুনানি ছিল এদিন। রমেশের অভিযোগ ছিল, ভুলিয়ে ভালিয়ে তার নাবালিকা মেয়েকে বিয়ে করেছে ওই দলিত যুবক। তবে তার অভিযোগ ধোপে টেকেনি। পুলিশ ওই যুগলকে আটক করে যুবকক

৪ ঘণ্টা প্লাটফর্মই পড়ে রক্তাক্ত দেহ, দেরিতে ঘুম ভাঙলো পুলিশের।

Image
কৃষ্ণনগর: এক নম্বর প্ল্যাটফর্মে একপ্রান্তে জমে জমাট রক্ত৷ পাশে পড়ে কাঠের টুকরো, রক্তাক্ত পাথর৷ একটু দুরেই দু'নম্বর প্ল্যাটফর্মে কালী মন্দিরের সামনে পড়ে এক ব্যক্তির রক্তাক্ত মৃতদেহ৷ স্থানীয়দের অভিযোগ, ভোর থেকে চার ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে পড়ে ছিল মৃতদেহটি৷ নদিয়ার শিমুরালি রেল স্টেশনের উপর দেহ পড়ে থাকতে দেখেও যাত্রী ও প্রশাসনের তরফে কোনও ব্যবস্থা না চূড়ান্ত গাফিলতির অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে৷ স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এদিন মৃতদেহটির পরনে ছিল ফুল প্যান্ট৷ মৃতের পিঠে ছিল অসংখ্য কালশিটে দাগ৷ পরে মৃতদেহ উদ্ধার খবর পেয়ে দীর্ঘক্ষণ পর ঘটনাস্থলে যায় রেল পুলিশ৷ দেহ দেখে রেল পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, পিটিয়ে খুন করা হয়েছে ওই ব্যক্তিকে৷  বৃহস্পতিবার বেলা অবধি ওই যুবকের কোনও পরিচয় জানা যায়নি৷ মৃত ওই ব্যক্তির বয়স আনুমানিক ৪০ বছর৷ এদিন ভোর প্রায় চারটে নাগাদ ওই স্টেশনের দু'নম্বর প্ল্যাটফর্মের কালী মন্দিরের সামনে পড়েছিল অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধারের খবর ছড়িয়ে পড়ে৷ স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, প্রায় চার ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে পড়েছিল ওই মৃতদেহ৷ স্টেশনে আসা লোকজন যা দেখে কার্যত শিউরে উঠেছে

পরপুরুষের সঙ্গে প্রেম! বোনের ভালোবাসা মানতে না পেরে গুলি দাদার

Image
হাওড়ায় অনার কিলিং! পরিবারের সম্মানরক্ষায় বোনকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল দাদার বিরুদ্ধে। অভিযোগ, বোনের উপর গুলি চালান অভিযুক্ত দাদা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় বর্তমানে হাসপাতালে চিকিত্সাধীন বোন। অভিযুক্ত দাদাকে আটক করেছে পুলিস। বিয়ের পর পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েছিল বোন। বিবাহিত বোনের পরপুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক মেনে নিতে পারেনি দাদা। বার বার বোনকে সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার জন্য জোরাজুরি করতে থাকে সে। কিন্তু দাদার কোনও কথাই কানে তোলেনি বোন। এরপরই রাগে বোনকে খুনের চেষ্টা করে দাদা। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হাওড়ার গোলাবাড়িতে। গোলাবাড়ির মাদারিতলা লেন এলাকায় বাড়ি নূরজাহানের। কয়েক বছর আগেই বিয়ে হয় তাঁর। এক সন্তানও রয়েছে। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই শ্বশুরবাড়ির লোকের অভিযোগ ছিল, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে নূরজাহানের। নূরজাহানের বাপের বাড়িতেও এঘটনার কথা জানায় তাঁরা। বাড়ির মেয়ের পরকীয়ার কথা মানতে পারেনি নূরজাহানের পরিবার। নূরজাহানকে সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে বলে বাড়ির লোক। কিন্তু পরিবারের জোরাজুরি, আপত্তি কানেই তোলেনি নূরজাহান। পরিবারের আপত্তি অগ্রাহ্য করেই সম্পর্ক চালিয়ে যায় নূরজাহান। স্থানীয়রা জানিয়েছেন

ঢাকায় এই প্রাসাদটি বিক্রি হল ৩৩২ কোটি টাকায়!

Image
ইতিহাসের 'রোজ় গার্ডেন' প্রাসাদ। বাইশ বিঘা জমির ওপর ১৯৩১ সালে বাড়িটি তৈরি করেছিলেন ঢাকার ধনী ব্যবসায়ী হৃষিকেশ দাস। করিন্থীয়-গ্রিক শৈলী অনুকরণে সাত হাজার বর্গফুটের মূল বাড়িটির দোতলায় রয়েছে একটি বিরাট জলসাঘর, যার মেঝে দামী শ্বেত পাথরের, সিলিংয়ে সবুজ কাচ দিয়ে তৈরি ফুলের নকশা। সামনে শান বাঁধানো পুকুরে শ্বেত পাথরের ঘাট। বিদেশ থেকে আনা পাথরের ভাস্কর্য ও ফোয়ারা দিয়ে সাজানো বাগান। তবে ফোয়ারা নয়, সে বাগানের আসল আকর্ষণ তার কয়েক হাজার গোলাপ গাছ— ইরাকের বসরা ছাড়া হল্যান্ড, বেলজিয়ামের নানা শহর থেকে বাছাই করে এনে বসানো হয়েছিল সেগুলো। শীত পড়লে আজও রংয়ের উৎসব। আর সেই কারণেই এই বাড়ির নাম 'রোজ় গার্ডেন'। এই বাড়ি-ই কিনে নিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। বর্তমান মালিককে এ জন্য ৩৩১ কোটি ৭০ লক্ষ ২ বাজার ৯০০ টাকা দিতে হবে বলে বুধবার জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। তবে স্থাপত্য ও গোলাপ বাগান ছাড়াও স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে 'রোজ় গার্ডেন'-এর, আর সে জন্যই সরকারের এই সিদ্ধান্ত। ১৯৪৯-এর ২৩ জুন এই বাড়িতেই শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মুসলিম লিগ ভেঙে

শ্মশান ঘাটের আধপোড়া দেহ তুলে আনলেই মেলে ৫০০ টাকা!

Image
সম্প্রতি পূর্বস্থলী থেকে উদ্ধার হওয়া হাড়গোড়। দু'এক বছর নয়, চার দশক ধরে চলছে ব্যবসা। আগে ভাগীরথীর পাড় বরাবর ঝুপড়ি ঘর করে মৃতদের এনে লুকিয়ে রেখে কঙ্কাল তৈরি হত। পুলিশের নজর পড়লেই ডেরা সরে যেত নদী বরাবর। এখন অবশ্য কারবার ছড়িয়েছে পূর্বস্থলী শহর, নদী পেরিয়ে অন্য জেলাতেও। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পূর্বস্থলীর বাসিন্দা দুই ভাই তাপস পাল ওরফে তপসা এবং মনোজ পাল ওরফে গপসা এই কারবারের বড় মাথা। তাঁদের নামে একাধিক অভিযোগও রয়েছে। কিন্তু সঙ্গীরা ধরা পড়লেও তাঁদের ধরা যায়নি। সম্প্রতি নবদ্বীপ থানা এলাকার চর থেকে উদ্ধার হয় বেশ কিছু কঙ্কাল। জানা যায়, তপসা ব্যবসা বিছিয়েছে সেখানেও। দিন দশেক আগে তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে পূর্বস্থলী থানার পুলিশ জেরা শুরু করে। পুলিশ জানিয়েছে, মোটা মুনাফার লোভেই জায়গা বদলে ব্যবসা চালায় তপসা। তবে তপসার জুটি গপসার খোঁজ পায়নি পুলিশ। ২০১৪ সালেও পূর্বস্থলীর দেবনগর এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ কঙ্কাল তৈরির কারখানা নষ্ট করে দেয়। সে বারেও উদ্ধার হয় প্রচুর নরকঙ্কাল। জানা যায়, প্রায় চল্লিশ বছর আগে এই ব্যবসা শুরু করেন পূর্বস্থলী বাসিন্দা মুক্তি বিশ্বাস। প্রথমে নবদ্বীপ, পরে পূর্বস্থ

ছাত্রীরা ক্লাসরুমে ইউনিফর্ম পরার সময় উঁকি শিক্ষকের, বেধড়ক পেটালেন অভিভাবকরা

Image
উত্তরপ্রদেশের হাথরসে সরকারি একটি স্কুলে ক্লাসরুমের ভিতরে নতুন ইউনিফর্ম পরে দেখছিল ছাত্রীরা। সেই দৃশ্য জানলা দিয়ে উঁকি মেরে দেখছিলেন স্কুলের এক শিক্ষক। হাতেনাতে ধরা পড়ে যাওয়ায় তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মামলা দায়ের করা হয়েছে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধেও।  প্রাথমিক শিক্ষা আধিকারিকের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত শিক্ষক ওমেন্দ্র সিং ও প্রধান শিক্ষক যশবীর সিং চৌহানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। হাসায়ান পুলিশ স্টেশনের হাউস অফিসার অবদেশ কুমার জানিয়েছেন, 'মঙ্গলবার হাসায়ান এলাকার একটি গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। স্কুলের ক্লাস সিক্স থেকে এইটের ছাত্রীরা স্কুল থেকে দেওয়া নতুন ইউনিফর্ম ট্রাই করছিল। তখনই এই ঘটনা ঘটে।' অভিযোগ, প্রথমে জানলা দিয়ে উঁকি মেরে দেখছিলেন ওই শিক্ষক। পরে তিনি আচমকাই ওই ক্লাসরুমেও ঢুকে পড়েন। সন্তানদের থেকে এই ঘটনা শুনে স্কুলে গিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে চটি-জুতো দিয়ে মারধর করেন ক্ষিপ্ত অভিভাবকরা। সেই দৃশ্যের একটি ভিডিয়োও বুধবার অনলাইনে আপলোড করা হয়েছে। এই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেন প্রাথমিক শিক্ষা আধিকারিক। তদন্তে দেখা যা

ফের উত্তাল মুম্বই, বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা।

Image
সংরক্ষণের দাবিতে ফের উত্তাল মুম্বই৷ প্রশাসনের উপর চাপ বাড়াতে আজ সকাল ৮ থেকে বিকাল ৬টা পর্যন্ত বনধ বিক্ষোভ কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ডাক দিয়েছেন আন্দোলকারীরা৷ নতুন করে অশান্তির আশঙ্কায় গোটা মুম্বইজুড়ে কড়া নিরাপত্তা বন্দোবস্ত করা হয়েছে৷ পুনের ৭টি জায়গায় আপাতত বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা৷ রাজ্যজুড়ে বিশৃঙ্খলা এড়াতে যাত্রীদের সতর্কও করেছে ইন্ডিগো বিমান সংস্থা৷ টুইট করে জানানো হয়েছে, বিক্ষোভের জেরে সাধারণ পরিবহণ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত রয়েছে৷ ফলে, যাত্রী বিমান ধরার জন্য হাতে অতিরিক্ত সময় দিয়ে বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন৷ আন্দোলনকারীদের ডাকা বনধের জেরে যেতে জনজীবন স্বাভাবিক থাকে তার সমস্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে মুম্বইবাসীকে আশ্বস্ত করেন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবিসের৷ বনধ প্রতিহত করে সরকারি কর্মীদের দপ্তরে হাজিরা দেওয়ার আর্জিও জানানো হয়েছে৷ রাজ্যে অবাঞ্ছিত ঘটনা এড়াতে প্রশাসনকে কড়া হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন৷ একই সঙ্গে আন্দোলনকারীদের শান্ত থাকাও আরজি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ সমস্যা সমাধানের জন্য আন্দোলনকারীদের কাছ থেকে তিন মাস সময়ও চেয়েছেন তিনি৷ মুখ্যমন্ত্রীর তরফে নভেম্বর পর্যন্ত

পশ্চিমবঙ্গে ৪৩৭টি গ্রাম এখনও টেলি যোগাযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন।

Image
শুনশান ঘন জঙ্গল। শুঁড়ি পথ ধরে এগিয়ে চলেছে একদল ভোটকর্মী। বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরে সামনেই প্রিসাইডিং অফিসার। কালাশনিকভ হাতে তাদের আড়াল করে নিরাপত্তা রক্ষীর দল। গন্তব্য, মাও অধ্যুষিত একটি ভোটকেন্দ্র। যেখানে না আছে ভোটদাতা। না আছে ভোটকেন্দ্র তৈরির নূন্যতম রসদ। যোগাযোগের একমাত্র ভরসা স্যাটেলাইট ফোন। টেলি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন দণ্ডকারণ্যের এমনই এক ভোটকেন্দ্রে ভোট করার ছবি ধরা পড়েছিল রাজকুমার রাও অভিনীত 'নিউটন' সিনেমায়। সিনেমায় অবশ্য সব সম্ভব! কিন্তু বাস্তবের ডিজিটাল ইন্ডিয়ায় এখনও কি আছে এমন গ্রাম যেখানে এখনও পৌঁছয়নি টেলিফোন? আছে। এরাজ্যেই রয়েছে এমন বহু গ্রাম, যেগুলি পুরোপুরি টেলি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। কেন্দ্রীয় যোগাযোগ মন্ত্রকের পেশ করা তথ্য অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে ৪৩৭টি গ্রাম এখনও টেলি যোগাযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন। মূলত বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার জঙ্গলমহলের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে থাকা প্রত্যন্ত এই গ্রামগুলিতে না আছে ল্যান্ডলাইন ফোন, মোবাইলের তো কোনও প্রশ্নই নেই। টেলি পরিভাষায় এলাকাগুলি এখনও 'শ্যাডো জোন' হিসাবে চিহ্নিত। অর্থাৎ, যেখানে টেলি যোগাযোগ

ভারতীয়দের কুকুরের সঙ্গে তুলনা, ইংরেজদের ক্লাব জ্বালিয়ে দিয়েছিলেন প্রীতিলতা, জানুন এই কাহিনি

Image
ইচ্ছে করলে জীবনটাকে অন্যভাবে সাজাতে পারতেন। কিন্তু প্রীতিলতার বিশ্বাস ছিল শিক্ষা আনে আলো, শিক্ষা আনে চরিত্রের দৃঢ়তা। তাই ইংরেজদের প্রবর্তন করা শিক্ষায় শিক্ষিত হলেও কখনও তাদের প্রতি অনুরক্ত হননি। বেথুন কলেজ থেকে দর্শনে স্নাতক প্রীতিলতার এক ও একমাত্র লক্ষ ছিল পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে দেশ থেকে উদ্ধার করা। সালটা ১৯৩২। মাস্টারদা সূর্যসেন চট্টগ্রামে পাহারটালি ইউরোপিয়ান ক্লাব-এ হামলার ছক কষলেন। কারণ, ইংরেজদের এই ক্লাবের ভারতীয়দের প্রবেশ শুধু নিষেধই ছিল না, সেইসঙ্গে এমন একটি বোর্ড ক্লাবের বাইরে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল যা ভারতীয়দের পক্ষে অপমানকর ছিল। এই বোর্ডে লেখা ছিল 'শুধুমাত্র কুকুর ও ভারতীয়দের প্রবেশ নিষিদ্ধ এখানে'। পাহারিটালা ইউরোপিয়ান ক্লাবে হামলার জন্য প্রথমে কল্পনা দত্তকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু হামলার একদিন আগে পুলিশ কল্পনাকে গ্রেফতার করে। এরপর মাস্টারদা সূর্যসেন এই হামলার জন্য প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারকে নেত্রী হিসাবে নির্বাচিত করেন। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের সশস্ত্র বিপ্লবে এটাই ছিল প্রথম মহিলা বিপ্লবীর নেতৃত্বে আত্মঘাতি অভিযানের ঘটনা। প্রীতিলতার নেতৃত্বে থাকা দলের সদস্যদের হাতে প

মায়ের গর্ভ প্রতিস্থাপন করে সন্তানসম্ভবা মহিলা, চিকিৎসা বিজ্ঞানে ভারতের নজির

Image
জরায়ুর সমস্যা ছিল । আর তার জেরে শরীর থেকে বাদ পড়েছিল জরায়ু। তবুও গুজরাতের এই মহিলা হার মানেননি। মা হওয়ার অদম্য স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে গিয়েছেন তিনি। তাঁর জরায়ু শরীর থেকে বাদ দিয়ে তাঁর মায়ের জরায়ু মহিলার শরীরে স্থাপন করা হয়। আর তারপরই আসে সুখবর! পুনের গ্যালাক্সি কেয়ার হাসপাতালে আপাতত চিকিৎসাধীন এই ২৭ বছরের মহিলা। ২০ সপ্তাহের গর্ভবতী তিনি। জরায়ু প্রতিস্থাপনের পর , তিনি গর্ভবতী হয়েছেন। আর তা সঙ্গে সঙ্গে দেশের মধ্যে গড়ে ফেলেছেন এক অনন্য নজির। তিনিই দেশের প্রথম মহিলা যিনি প্রতিস্থাপিত জরায়ু নিয়ে গর্ভবতী হয়েছেন। শুধু দেশে নয়, এশিয়ার মধ্যেও গর্ভ প্রতিস্থাপনের প্রথম নজির তিনিই। বিশ্বের নিরিখে এই ঘটনা নবমতম। এবার অপেক্ষা একটি সুস্থ্য , সুন্দর , ফুটফুটে সন্তানের! এমন ইচ্ছা নিয়েই দু'চোখ ভরে স্বপ্ন দেখছেন গুজরাতের ওই সন্তান সম্ভবা মহিলা। পুনের গ্যালাক্সি হাসপাতালের ডক্টর শৈলেশ পুন্তাম্বেকরের নেতৃত্বে চলছে মহিলার চিকিৎসা। ডঃ শৈলেশ জানিয়েছেন , জরায়প প্রতিস্থাপনের বিষয়টি সহজ ছিল না মোটেও। কারণ মহিলার মায়ের জরায়ুটি ২০ বছর ধরে শারীরিক নির্দিষ্ট নিয়মের বাইরে ছিল। সেই জরায়ু প্রতিস্থাপিত করে , তাতে গর্ভধা

নাতনির সামনেই দিনের পর দিন বউমাকে 'ধর্ষণ'-এর চেষ্টা শ্বশুরের, পরিণতি মর্মান্তিক

Image
বছর চারেক প্রেমপর্বের পর বাড়ির অমতেই সুজনকে বিয়ে করে সুপ্রিয়া। ফাঁকা বাড়িতে সুযোগ পেলেই কুপ্রস্তাব দিত শ্বশুর। এমনকি আড়াই বছরের নাতনির সামনেই জোর করে বউমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করত শ্বশুর। সেই ঘটনার কথা বাড়িতে জানালে, স্ত্রীকে রক্ষা করা তো দূরের কথা, উল্টে স্বামী-শাশুড়ি মিলেও গৃহবধূর উপর শুরু করে অত্যাচার। শ্বশুরবাড়ির অত্যাচারে শেষপর্যন্ত মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ল সুপ্রিয়া ঘরামি নামে ওই গৃহবধূ। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী ও শ্বশুরকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। সোনারপুরের গঙ্গাজোয়ারা এলাকার বাসিন্দা ছিল সুপ্রিয়া। স্কুলে পড়াকালীনই গোবিন্দপুরের লাঙলবেড়িয়ার বাসিন্দা সুজন মণ্ডলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে সুপ্রিয়ার। পেশায় রাজমিস্ত্রি সুজনের সঙ্গে বছর চারেক ধরে প্রেমপর্ব চলে সুপ্রিয়ার। বাড়ির মত ছিল না। কিন্তু তারপরেও বাড়ির অমতে একপ্রকার জোর করেই সুজনকে বিয়ে করে সুপ্রিয়া। বিয়ের পরে তাঁদের একটি মেয়েও হয়। কিন্তু অভিযোগ বিয়ের পরই সুজনের সঙ্গে সুখের ঘর বাঁধার যে স্বপ্নটা সুপ্রিয়া দেখেছিল, সেই ছবিটা বদলে যেতে থাকে। পণের দাবি

ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে পুলিশ হতে চাওয়া মেধাবী খুরশিদ সন্ত্রাসবাদী এবং নিহত!

Image
ইঞ্জিনিয়ারিং করেছেন। গ্র্যাজুয়েট হয়েছেন। দেশের সেবা করবেন বলে পুলিশের ট্রেনিং নিতেও শুরু করেছিলেন। কিন্তু মাঝপথে হল ছন্দপতন!  জম্মু-কাশ্মীরের সাব-ইন্সপেক্টর পদের পরীক্ষায় নামও উঠেছিল খুরশিদ আহমেদ মালিকের। তার চারদিন আগেই অবশ্য বারামুলায় সীমান্তরক্ষীদের গুলিতে প্রাণ গিয়েছে তার। ঘটনাটা আসলে কী?  বুধবার জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ ২ হাজার ৬০ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করেছে। পুলিশের চাকরির পরীক্ষার্থীদের এই তালিকায় ১৯১৩ নম্বর প্রার্থীর নাম খুরশিদ আহমেদ মালিক। দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামার আরাবাল গ্রামের বাসিন্দা খুরশিদ।  চলতি বছর জুনেই পুলিশ হওয়ার জন্য লিখিত পরীক্ষায় বসেছিলেন বি.টেক পাশ খুরশিদ। সেই পরীক্ষায় পাশ করায় পরের ধাপের পরীক্ষার জন্য ডাক পেয়েছিলেন তিনি। তবে তার ৪৮ ঘণ্টা আগেই প্রাণ গিয়েছে খুরশিদের। কিন্তু কেন মরতে হল খুরশিদকে?  গত ৩ অগাস্ট বারামুলার দ্রুসুতে বিএসএফ জওয়ানদের এনকাউন্টারের সময় বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসবাদীর মৃত্যু হয়। নিহতদের তালিকায় মেলে খুরশিদের নাম।  পরিবার সূত্রে খবর, কাতরার শ্রী মাতা বৈষ্ণো দেবী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.টেক পাশ করেছেন খুরশিদ। GATE পরীক্ষাতেও সফল হয়েছে সে। KAS (কাশ্মীর

শিক্ষক নিয়োগ: সরকারি চাকরি পেয়েও নিলেন না ২০০ জন !

Image
একের পর এক পরীক্ষার গন্ডী পেরিয়ে চাকরি হাতে পেয়েও নিলেন না চাকরিপ্রার্থীরা কলকাতা: রাজ্যে শিক্ষকতার চাকরি নিয়ে মাতামাতির সম্পূর্ণ বিপরীত চিত্র ধরা পড়ল একাদশ-দ্বাদশের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার কাউন্সেলিংয়ে ৷ একের পর এক পরীক্ষার গন্ডী পেরিয়ে চাকরি হাতে পেয়েও নিলেন না চাকরিপ্রার্থীরা ৷ স্কুল সার্ভিস কমিশন সূত্রে খবর, পোস্টিং পছন্দ না হওয়ার অজুহাতে চাকরি নিলেন না ৩০% কর্মরত শিক্ষকরা ৷ উপরন্তু অনুপস্থিত ছিলেন লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ও কাউন্সেলিংয়ে ডাক পাওয়া প্রায় ২০০ জন প্রার্থী ৷ কমিশন জানিয়েছে, উচ্চমাধ্যমিক স্তরে শিক্ষক নিয়োগে কাউন্সেলিং প্রক্রিয়ার পর এই সব কারণে এখনও শূন্য প্রায় ৩৫০টি পদ ৷ এবার ফাঁকা রয়ে যাওয়া পদগুলির জন্য ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রার্থীদের মধ্যে থেকে কিছু প্রার্থীকে ডাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন ৷ সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে ফের  কাউন্সেলিংয়ের প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে ৷ উচ্চপ্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক তিন স্তরেরই শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা সম্পূর্ণ করার দায়িত্ব এই মুহূর্তে স্কুল সার্ভিস কমিশনের ঘাড়ে ৷ তিন স্তর মিলিয়ে শূন্যপদ প্রায় ৩২ হাজারেরও

কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় খুন যুবতি, গ্রেপ্তার শ্বশুর ও স্বামী

Image
সোনারপুর : কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় যুবতিকে খুনের অভিযোগ উঠল তাঁর স্বামী ও শ্বশুরের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি সোনারপুর থানা এলাকার গোবিন্দপুরের। মৃতার বাবা সোনারপুর থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয় মৃতার স্বামী ও শ্বশুরকে। তাদের বিরুদ্ধে বধূহত্যার মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। সোনারপুর থানা এলাকার গঙ্গাজোয়ারা এলাকার বাসিন্দা ওই যুবতি। বছর চারেক আগে স্কুলে পড়ার সময়েই তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয় লাঙলবেড়িয়ার বাসিন্দা সুজন মণ্ডলের। সুজন রাজমিস্ত্রির কাজ করে। এরপর বাড়ির অমতে তাঁরা বিয়ে করে। তাঁদের এক সন্তানও রয়েছে। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই তাঁর উপর শুরু হয় অত্যাচার। পণের দাবিতে অত্যাচার করা হত বলে অভিযোগ। বাড়িতে কেউ না থাকলেই যুবতির শ্বশুর তপন মণ্ডল তাঁকে কুপ্রস্তাব দিত বলে অভিযোগ। শিশুকন্যার সামনেই জোর করে শারীরিক সম্পর্ক তৈরির চেষ্টাও করা হত। স্বামীকে একথা বারবার জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। তাই, বিষয়টি মা ও মাসিকে জানিয়েছিল ওই যুবতি। আলোচনার মাধ্যমে সাময়িক সুরাহা হলেও কোনও স্থায়ী সমাধান হয়নি। উলটে ফাঁকা বাড়িতে বউমাকে একা পেলেই তাঁর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করত শ্বশুর

নিকাহ বর্হিভূত সম্পর্ক জানায় যুবককে খুন, বিবি ও প্রেমিক পলাতক

Image
কুশমণ্ডি : নিকাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কথা জেনে গেছিল শওহর। তাই তাকে খুন করার অভিযোগ উঠল বিবির প্রেমিকের বিরুদ্ধে। মৃতের নাম সাদেকুল ইসলাম(২৮)। ঘটনাটি কুশমণ্ডি থানার আকচা গ্রাম পঞ্চায়েতের অনন্তপুর এলাকার। গতকাল বিকেলে ছুরিবিদ্ধ অবস্থায় তার মৃতদেহ স্থানীয় খাঁড়ি থেকে উদ্ধার হয়। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। এদিকে এই ঘটনার পর থেকেই পলাতক মৃতের বিবি ও তার প্রেমিক। বছর কয়েক আগে পেশায় ব্যবসায়ী সাদেকুল ইসলামের সঙ্গে নিকাহ হয়েছিল রুমানা বেগমের। বর্তমানে পাঁচ বছরের একটি মেয়েও রয়েছে। সে মামার বাড়ি থেকেই পড়াশোনা করে। ওই গ্রামেরই বাসিন্দা রুবেল আলির সঙ্গে তিন বছর আগে নিকাহ বর্হিভূত সম্পর্ক তৈরি হয় রুমানার। সাদেকুলের অবর্তমানে তাদের মধ্যে বেশ কয়েকবার শারীরিক সম্পর্কও হয়েছে বলে জানা গেছে। কিছুদিন আগে এই সম্পর্কের কথা জেনে ফেলে সাদেকুল। তারপর থেকে সংসারে অশান্তি লেগেই থাকত। মঙ্গলবার রাত থেকে হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যায় সাদেকুল। খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না তার বিবি রুমানা ও তার প্রেমিক রুবেল আলিরও। অবশেষে গতকাল বিকেলে অনন্তপুর খাঁড়িতে সাদেকুলের মৃতদেহটি ভাসতে দেখেন স্থানীয়রা। খবর দেওয়া হয় কুশমণ্ডি থানার পুলিশকে।

ATM জালিয়াতিতে অর্গানাইজ়ড ক্রাইম, কীভাবে কাজ করত চক্র?

Image
কলকাতা : পুলিশের ভাষায় অর্গানাইজ়ড ক্রাইম। রীতিমতো ছক কষা চক্রান্ত। নিপুণ ম্যানেজমেন্টে তৈরি করা চক্র। এখনও পর্যন্ত যেটুকু সামনে এসেছে তা হিমশৈলের কণামাত্র। চক্রের মাথা গভীর জলের মাছ ! তবে কলকাতা পুলিশও নাছোড়বান্দা। আসলে এই মামলার সমাধান করে লালবাজার দেখিয়ে দিতে চাইছে, কেন তাদের তুলনা টানা হয় স্কটল‍্যান্ড ইয়ার্ডের সঙ্গে। প্রত্যেকের জন্য ছকে বাঁধা কাজ। একদল আসে প্রকাশ্যে। ATM-এ লাগায় স্কিমার ও ক‍্যামেরা। কলকাতা, জয়পুর, আগ্রা, দিল্লি, পটনা, ভোপাল, হায়দরাবাদ, বেঙ্গালুরু থেকে কোহিমা। সর্বত্র তাদের গতিবিধি। প্রমাণ পেয়েছে SIT। এই দলে থাকে ইলেক্ট্রিশিয়ান ও ইলেকট্রনিক্স এক্সপার্টরাও। রেইকি করে পাওয়া তথ‍্যের ভিত্তিতে মানানসইভাবে তারা বানিয়ে দেয় ক‍্যামেরা লাগানোর বোর্ড। এই যেমন গতরাতে কলকাতায় গ্রেপ্তার হয় রোহিত নায়ার। মুম্বইয়ে এই যুবক ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে B.TECH কোর্সে দু'বছর পড়েছে। তার সঙ্গী সুধীর রাজন আদতে উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। এখন থাকে মুম্বইয়ের মিয়া রোডে। পেশায় সে-ও ইলেকট্রিক্যাল টেকনিশিয়ান। এই দু'জন ডিভাইসগুলিকে সঠিকভাবে সেট করত। চক্রের মাস্টারমাইন্ডরা খুঁজে বেড়ায় উচ্

পাকিস্তানে অভিনেত্রীকে গুলি করে খুন

Image
পাকিস্তানের বিখ্যাত অভিনেত্রী ও গায়িকা রেশমাকে গুলি করে খুন করল তাঁর স্বামী৷ খাইবার পাখতুনখাওয়ায় নৌসেরা কালান এলাকায় রেশমাকে গুলি করা হয়৷ রেশমার ঘরে ঢুকে তাঁকে গুলি করে পালিয়ে যায় তাঁর স্বামী বলে অভিযোগ৷ জিও টিভির খবর অনুসারে, রেশমা অভিযুক্তের চতুর্থ স্ত্রী৷ স্বামীর সঙ্গে মনোমালিন্য হওয়ার পর হাকিমাবাদে নিজের ভাইয়ের সঙ্গে ছিলেন রেশমা৷ বাড়ির দরজা খুলতেই রেশমার ঘরের দিকে চলে যায় অভিযুক্ত৷ ঘুমন্ত রেশমার উপর পর পর গুলি চালাযনোর পর জানালা দিয়ে চম্পট দেয় বলে জানাচ্ছেন রেশমার ভাই৷ গোটা ঘটনার তদন্তে পুলিশ৷ এখনও অভিযুক্তের নাম জানতে পারা যায়নি৷ খাইবার পাখতুনখাওয়ায় এই নিয়ে ১৫ বার মহিলা শিল্পীকে খুন করা হল৷ ফেব্রুয়ারি মাসে ৩ তারিখ একই ভাবে স্টেজ আর্টিস্ট সুনবুলকে খুন করা হয়৷ বন্ধুদের সঙ্গে রাত পর্যন্ত পার্টি করা ছিল অপরাধ৷ মানা করা সত্ত্বেও নাকি সুনবুল পার্টিতে যান৷ আর সেই কারণেই তাঁকে গুলি করে খুন করে স্বামী৷ পাস্তু গান গেয়ে বিখ্যাত হন রেশমাও৷ পাশাপাশি সিনেমাতেও অভিনয় করতেন৷ পাকিস্তানি ছবি 'জোবালা গলুনা' অভিনয় করে কয়েকদিন আগেও প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন রেশমা৷ বার বার মহ

সাবধান! মারণ রোগের মতো ছড়িয়ে পড়ছে স্ক্রাব টাইফাস

Image
তমলুক:  ফের স্ক্রাব টাইফাসের আতঙ্ক৷ পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ায় স্ক্রাব টাইফাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতাসে চিকিৎসাধীন দুই শিশু৷ তবে সঠিক সময়ে চিকিৎসা শুরু হলে স্ক্রাব টাইফাস ভাইরাস থেকে আতঙ্কের কিছ নেই বলে মত চিকিৎসকদের৷ চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ধুম জ্বর, গায়ে র‍্যাস নিয়ে ওই দুই শিশু ভরতি হয় হাসপাতালে৷ মূলত শিশুরাই এই ভাইরাসে বেশি আক্রান্ত হয়৷ অনেকদিন ধরে জ্বরে আক্রান্ত কারোর রক্ত পরীক্ষায় যদি ম্যালেরিয়া, টাইফয়েড, ডেঙ্গুর জীবাণু ধরা না পড়ে তবে উচিত স্ক্রাব টাইফাস অ্যান্টিবডি টেস্ট করিয়ে নেওয়া৷ সাধারণত এই ভাইরাস শরীরে থাকলে গা, হাতে, পায়ে ব্যাথা হয়৷ গায়ে র‍্যাস বের হয়, গ্ল্যান্ড ফুলে যায়৷ জানা গিয়েছে, সম্প্রতি দুই মেদিনীপুর, হাওড়ার ১৫ জন শিশুর শরীরে স্ক্রাব টাইফাসের জীবাণু মিলেছে । তবে চিকিৎসার পর তারা সবাই সুস্থ্য আছে৷ সাধারনত এই স্ক্রাব টাইফাস ভাইরাস বহন করে ছারপোকার মতো দেখতে একধরনের একটি ছোট পোকা। পোকা গুলি সাধারনত গেছো ইঁদুর বা বন্য বেড়ালের গায়ে থাকে। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ, স্ক্রাব টাইফাসের থাবা থেকে বাঁচতে বাড়ির চারপাশ জঞ্জলমুক্ত রাখতে হবে৷ বাচ্চাদের পরিষ্কার রাখতে হবে৷ সচেত

তিনদিনের মাথায় বিচার পেল ধর্ষিতা শিশু

Image
ভোপাল: একজন সিনিয়র ডাক্তার সহ ১৭ জন সাক্ষী৷ তাতেই মাত্র তিনদিনের মাথায় সুবিচার পেল ছ'বছরের ধর্ষিতা শিশু৷ ধর্ষণে অভিযুক্ত ২৪ বছর বয়সী যুবকের আমৃত্যু কারাবাসের নির্দেশ দিল মধ্যপ্রদেশের এক আদালত৷ এই ঘটনা শিশু ধর্ষণ রোধে এক অনন্য নজির স্থাপন করল বলে মনে করছে আইনজীবী মহল৷ মধ্যপ্রদেশের দাঁতিয়া আদালত সম্প্রতি এই রায় শুনিয়েছে৷ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬(এবি), ৩৬৬ এবং পকসো অ্যাক্টের ৩,৪ এবং ৫ ধারায় মামলা রুজু করা হয়৷ দাঁতিয়া জেলার পুলিশ সুপার ময়ঙ্ক আবাস্থি জানিয়েছেন, গত ২৯ মে ছ'বছর বয়সী ওই শিশু ধর্ষণ করা হয়৷ ওই শিশুটি তার পরিবারের সঙ্গে একটি বিয়ে বাড়িতে গিয়েছিল৷ সেই সময় ফুলের প্রলোভন দেখিয়ে মেয়েটিকে একটি সরকারি স্কুলে নিয়ে যায় এবং তাকে ধর্ষণ করে৷ পরে তার বাবা মা খুঁজতে খুজতে মেয়েকে স্কুলের ভিতর অর্ধঅচেতন অবস্থায় দেখতে পায়৷ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর ধর্ষণের কথা জানা যায়৷ পরে ওই শিশুটির বাড়ি থেকে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো হয়৷ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ৷ জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এটি মধ্যপ্রদেশের দ্রুততম বিচারের ঘট

দৃষ্টিহীন ভিক্ষুক বাবা-মা, সেই সুযোগে বার বার ধর্ষণ নাবালিকাকে

Image
এই ঘটনায় অভিযুক্ত দুলাল বিশ্বাসের সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর অশান্তি বাধলে বিষয়টি জানাজানি হয়। ব্যাপারটি জানতে পারেন মেয়েটির দৃষ্টিহীন ভিক্ষুক বাবা-মা। এর পরই শান্তিপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই অন্ধ দম্পতি। নাবালিকা ও তার বাবা-মা। নিজস্ব চিত্র বাবা-মা দৃষ্টিশক্তিহীন ভিক্ষুক। আর সেই দৃষ্টিহীনতার সুযোগ কাজে লাগিয়ে নাবালিকা কন্যাকে একাধিক বার ধর্ষণ করা হয়েছে। এমনই অভিযোগ উঠল তাঁদের প্রতিবেশী এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। নদিয়ার শান্তিপুরের বাইগাছি সেন পাড়ার ঘটনা। অভিযোগ, দুলাল বিশ্বাস নামের এক ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন লোভ দেখিয়ে তার প্রতিবেশী ১৪ বছরের ওই মেয়েটিকে বার বার ধর্ষণ করেছে। বাড়িতে জানালে সবাইকে মেরে ফেলার হুমকিও দিয়েছে। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার এই ঘটনায় অভিযুক্ত দুলাল বিশ্বাসের সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর অশান্তি বাধলে বিষয়টি জানাজানি হয়। ব্যাপারটি জানতে পারেন মেয়েটির দৃষ্টিহীন ভিক্ষুক বাবা-মা। এর পরই শান্তিপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই অন্ধ দম্পতি। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে শান্তিপুর থানার পুলিশ। নাবালিকার স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থাও করা হয়েছে।

আড়াই বছরের সন্তান রেখে চলে গেলেন শহিদ মেজর রানে

Image
শ্রীনগর: মহারাষ্ট্রের থানের রানে পরিবারের অনেকদিনের ইচ্ছা ছিল কোঙ্কনে চলে যাওয়ার৷ সেই ইচ্ছা অপূর্ণ রেখেই মাত্র ২৯ বছর বয়েসে চলে গেলেন মেজর কৌস্তুভ রানে৷ বুধবার রাতে গুরেজ সেক্টরে ভারতের পন্থ, গোবিন্দ, লোসার ১ ও বাখতোর পোস্ট লক্ষ্য করে হামলা শুরু করে পাক সেনা। জবাব দেয় ভারতীয় সেনাও। জঙ্গি অনুপ্রবেশ আটকাতে গুলি চালায় সেনার রাষ্ট্রীয় রাইফেলস। সংঘর্ষে মেজর কৌস্তুভ রানে, বিক্রমজিৎ সিং, হামির সিং ও মনদীপ সিং নামে চার জওয়ান শহিদ হন৷ আড়াই বছরের একটা ছোট্ট সন্তান ছিল মেজর রানের৷ বাড়িতে ছিলেন বাবা, মা, স্ত্রী কণিকা৷ মেজর রানে ছিলেন থানের মীরা রোডের বাসিন্দা। ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন ছিল ভারতীয় সেনায় যোগ দেবেন৷ সেই স্বপ্ন পূর্ণ করে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন তিনি৷ বর্তমানে জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৬ নম্বর রাষ্ট্রীয় রাইফেলসে ছিলেন তিনি। এবছরই ৬ বছর পূর্ণ করেছিলেন তিনি সেনাকর্মী হিসেবে৷ জানুয়ারিতে মেলে পদোন্নতিও৷ মেজর পদ পান তিনি৷ স্থানীয় হোলিক্রশ স্কুলে পড়াশুনা মেজর রানের৷ এলাকায় হাসিখুশি, মিশুকে হিসেবেই পরিচিত ছিলেন তিনি৷ তাঁর পরিবারের প্রত্যেকেই এলাকায় জনপ্রিয়৷ সেই মেজর রানের চলে যাওয়া মেনে নি

৬ বছরের শিশুর আয় ৭৫ কোটি টাকা !

Image
কলকাতা: কখনও ভাবতে পেরেছেন মাত্র ৬ বছরের একটি বাচ্চা কোটিতে টাকা উপার্জন করতে পারে ৷ অবিশ্বাস্য লাগলেও এটাই সত্যি করে দেখিয়েছে ৬ বছরের এই শিশু ৷ খেলনা নিয়ে খেলার অভ্যেস থেকেই আজ কোটিপতি সে ৷ সম্প্রতি ইউটিউবে তার জনপ্রিয়তা দেখে বিশ্বের অন্যতম বড় রিটেল কম্পানি ওয়ালমার্ট তার সঙ্গে একটি ডিল সই করেছে ৷ ছ'বছরের শিশুটি অত্যন্ত জনপ্রিয় ইউটিউবে ৷ তার প্রায় ১.৫ সাবস্ক্রাইবার রয়েছে ৷ রায়ান নামে এই শিশুটি গত বছর ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করে ১১ মিলিয়ন ডলার অথার্ৎ ৭৫ হাজার কোটি টাকা আয় করেছে ৷ ইউটিবে তার ৬টি চ্যানেল রয়েছে ৷ যাতে আপলোড করা ভিডিও প্রায় ১.৫ কোটি মানুষ দেখেছে ৷ গত বছর রায়ান অষ্টম জন যারা ইউটিউবের মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি আয় কেছে ৷ ভিডিও চ্যানেলের নাম রায়ান টয়েজ রিভিউ। এই চ্যানেলে ১০ মিনিটের এক একটি ভিডিও আপলোড করা হয়, যে ভিডিওগুলির মুখ্য আকর্ষণ হচ্ছে খুদে রায়ান। রায়ান টয়েজ রিভিউ বর্তমানে ইউটিউবে আমেরিকার সবচেয়ে জনপ্রিয় চ্যানেল। এই চ্যানেলের বিপুল সংখ্যাক দর্শক রয়েছে ৷ এই চ্যানেলে বিজ্ঞাপন-মূল্য ১ মিলিয়ন ডলারের বেশি ৷ আপলোড করা ভিডিওতে দেখা যায়, ছোট্ট রায়ান একটা নতুন খেলনার বা

প্রকাশ্যে কচিকাঁচাদের সামনে মাঠেই সঙ্গমে লিপ্ত যুগল, তারপর…

Image
ক্রিকেটের মাঠে বা শিশু উদ্যানে গিয়ে সাধারণত কী ধরনের দৃশ্য দেখতে পান? শিশুরা খেলা করছে কিংবা ব্যাট-প্যাড পরে মাঠে ছোটাছুটি করছে খেলোয়াড়রা। তাই তো? কিন্তু যদি দেখেন সেই মাঠেই প্রকাশ্যে যৌন মিলনে লিপ্ত যুগল, তাহলে? হকচকিয়ে যাওয়ার মতোই ঘটনা। কিন্তু তেমনটাই হয়েছে। না, সিনেমার চিত্রনাট্যে নয়, খোদ বাস্তবে। ইংল্যান্ডের লিডসের রাউন্ডহে পার্কের ঘটনা। যেখানে ক্রিকেট খেলতেই ভিড় জমায় খুদেরা। রবিবার ভিড় ছিল আরও বেশি। সেখানেই পিচের উপর দিনের আলোয় সঙ্গমে লিপ্ত যুগল। আম আদমি যা সাধারণত ভাবতেও পারে না, সেই কাজই করে দেখাল মদ্যপ যুগল। দাঁড়ান, দাঁড়ান। কাহিনিতে আরও চমক বাকি। ওই যুবকের অভিভাবকও উপস্থিত ছিলেন মাঠেই। ছেলের কাণ্ড দেখে হতবাক তাঁরা। তাঁদের কীর্তি রুখতে এগিয়ে যান যুবকের বাবা। ছেলেকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন। হুঁশ ফেরাতে সপাটে চড়ও কষান। কিন্তু কোথায় কী! জ্ঞান-বুদ্ধি তখন সবই হারিয়েছে ছেলে। অন্তরঙ্গ মুহূর্ত যে প্রকাশ্যে এসে পড়েছে, তা তখন তার মাথাতেই নেই। এদিকে এমন কাণ্ডে রাগে ও লজ্জায় পুলিশকেই ফোন করে বসেন যুবকের বাবা। আর এসব ঘটনাই ক্যামেরাবন্দি করেন যুবকের মা। পরে পুলিশকে তিনি জানান, কচিকাঁচাদ

এটিএম জালিয়াতির মূল পান্ডা গ্রেফতার

Image
এটিএম জালিয়াতির রোমানীয় দলের মূল পান্ডা নানাকে আটক করা হল ভারত-নেপাল সীমান্ত থেকে। বুধবার কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান প্রবীণ ত্রিপাঠী জানান, ভারত-নেপাল সীমান্তের সোনালি এলাকা থেকে শুল্ক অফিসারেরা তাকে আটক করে কলকাতা পুলিশকে খবর দেন। তিনি বলেন, ''কলকাতা পুলিশের একটি দল সোনালি রওনা দিয়েছে। আগামিকাল নানাকে কলকাতায় নিয়ে আসা হবে।'' আগেই ওভিডিউ সিমন ও দিমিত্রু ক্যালিন নামে দু'জন রোমানীয়কে গ্রেফতার করা হয়েছিল দিল্লি থেকে। তাদেরই এক সঙ্গী, নানা পালিয়ে গিয়েছিল। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, সে-ই ছিল মূল পান্ডা। নানার পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করে লুক-আউট নোটিস জারি করেছিল পুলিশ। এই দলে শুধু রোমানীয় বা ভারতীয় এটিএম জালিয়াতই নয়, নাইজিরীয় জালিয়াতেরাও ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ দিকে রোমানীয় জালিয়াতেরা ধরা পড়লেও শহরের এটিএম যে এখনও নিরাপদ নয়, তার প্রমাণ মিলেছে মঙ্গলবার। পুলিশ জানিয়েছে, ভবানীপুরের এক বেসরকারি ব্যাঙ্কের এটিএমে কারসাজি করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা প়়ড়েছে এক জালিয়াত। তাকে জেরা করে আরও দু'জনকে পাক়ড়াও করা হয়েছে। ধৃতেরা মুম্বইয়ের বাসিন্দা। এ দিকে, মঙ্গলবারই অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা

সওয়া তিন কোটির সোনা উদ্ধার

Image
গত রবিবার ধর্মতলার বাসস্ট্যান্ড থেকে পাওয়া গিয়েছিল সাত কোটি টাকার চোরাই সোনা। শিলিগুড়ি থেকে কলকাতায় এসে গ্রেফতার হয়েছিলেন চার জন। তাঁদেরই জেরা করে চোরাই সোনার এক কারবারিকে কলকাতা থেকে গ্রেফতার করল ডিরেক্টরেট অব রেভেনিউ ইন্টেলিজেন্স (ডিআরআই)। বড়বাজারে চোরাই সোনার ব্যবসা ফেঁদে বসা এই রাজেন্দ্র দামানি ওরফে রাজুর কাছ থেকে মঙ্গলবার সওয়া তিন কোটি টাকার চোরাই সোনা এবং চোরাই সোনা বিক্রির প্রায় পৌনে দু'কোটি টাকাও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। রাজু ছাড়াও গ্রেফতার হয়েছেন আরও তিন জন। ডিআরআই সূত্রের খবর, পুলিশ ও তাদের চোখে ধুলো দিতে এক নাবালককে সামনে রেখে সোনা পাচার করতে গিয়ে রবিবার ধর্মতলার বাসস্ট্যান্ড থেকে মিজোরামের চার যুবক-যুবতীকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁরা সকলেই রবিবার বাসে করে শিলিগুড়ি থেকে কলকাতায় সোনা নিয়ে এসেছিলেন। কারও ট্রলি ব্যাগের ভিতরে, কারও ল্যাপটপের ভিতরে লুকনো ছিল সোনা। সব মিলিয়ে সাত কোটি টাকার ২৩ কিলোগ্রাম সোনা পাওয়া যায় তাঁদের কাছে। সোনার বিস্কুটের সঙ্গে পাতও ছিল সেখানে। ডিআরআই জানিয়েছে, তাঁদের জেরা করেই জানা গিয়েছে রাজুর কথা। বড়বাজারে রাজুর গুদাম ও অফিস রয়েছে। বাড়ি লর্ড সিনহা রোডে।

গুরুতর জখম শ্রমিকের পেট থেকে বার হল তিনটি রড

Image
হাসপাতালে উদয় সর্দার। নির্মীয়মাণ বাড়ির দোতলা থেকে পড়েগিয়েছিলেন। পেটে তিনটি লোহার রড ঢুকে গুরুতর জখম হয়েছিলেন এক শ্রমিক। বুধবার রাতেই হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করে তাঁর পেট থেকে বার করা হল ওই তিনটি র়ড।  হাসপাতাল সূত্রে খবর, আপাতত স্থিতিশীল রয়েছেন তিনি। বুধবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে বারুইপুর থানার চম্পাহাটির চিনের মোড় এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, দুপুর দুটো নাগাদ একটি বাড়ির দোতলার ছাদে কাজ করছিলেন উদয় সর্দার নামে ওই ব্যক্তি। বাড়িটির ছাদের পাশ দিয়ে বিদ্যুতের তার গিয়েছে। কোনও ভাবে তাতে হাত লেগে যায় উদয়ের। এর পরেই বেসামাল হয়ে ছাদ থেকে নীচে পড়ে যান তিনি। নীচে লোহার রডের উপরে সিমেন্টের ঢালাই করে স্তম্ভ তৈরি হচ্ছিল। কাজ সমাপ্ত না হওয়ায় তখনও রড বেরিয়েছিল। সোজা সেই রডের উপরেই গিয়ে পড়েন উদয়। তিনটি রড উদয়ের পেটের বাঁ দিকে ঢুকে যায়। এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, উদয়ের কয়েক জন সহযোগী তাঁকে ওই স্তম্ভ থেকে না তুলে লোহার রডগুলি করাত দিয়ে কেটে ফেলেন। তার পরে অটোয় করে উদয়কে বারুইপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। গোটা সময়ে তিনটি রড উদয়ের পেটেই গেঁথে থাকে। বারুইপুর হাসপাতালের চিকিৎসকেরা উদয়ের প্রাথমিক চিকিৎসা কর

মাধ্যমিকের প্রশ্ন ফাঁসে চার্জশিট

Image
ময়নাগুড়ি সুভাষনগর হাইস্কুলের ইংরেজির শিক্ষক বিশ্বজিৎ রায়। মাধ্যমিকের প্রশ্ন ফাঁস কাণ্ডে দফায় দফায় বয়ন বদল এবং পরীক্ষা চলাকালীন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নির্দেশ লঙ্ঘন করায় ময়নাগুড়ি সুভাষনগর হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষক বিশ্বজিৎ রায়কে চার্জশিট দিল পর্ষদ। ৩ অগস্ট চার্জশিটটি বিশ্বজিৎবাবুকে পাঠানো হয়। পনেরো দিনের মধ্যে তাঁকে লিখিত জবাব পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বুধবার বিশ্বজিৎবাবু বলেন, ''উকিলের সঙ্গে পরামর্শ করে চার্জশিটের উত্তর দেব।'' নির্ধারিত সময়ের আগে মাধ্যমিকের অঙ্কের প্রশ্নপত্রের প্যাকেট খোলার দায়ে এ বছর জুনে সুভাষনগর হাইস্কুলের প্রধানশিক্ষক হরিদয়াল রায়কে তিন মাসের জন্য সাসপেন্ড করে পর্ষদ। বিশ্বজিৎবাবুকে চার্জশিট দেওয়ার খবর পেয়ে হরিদয়ালবাবু বলেন, ''আমি তো প্রথম থেকেই বলে এসেছি বিশ্বজিৎ একজন মিথ্যেবাদী।'' বিশ্বজিৎবাবুর বিরুদ্ধে তিনটি সুষ্পষ্ট অভিযোগ আনা হয়েছে।

ন্যায্য বেতন পাচ্ছেন না, ক্ষোভ প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকাদের

Image
নির্ধারিত যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকারা ন্যায্য বেতন পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ তুলল উস্তি ইউনাইটেড প্রাইমারি টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন। শুধু অভিযোগ নয়, ইতিমধ্যে রাস্তায় নেমে আন্দোলনও করেছে তারা। সংগঠনের রাজ্য সম্পাদিকা পৃথা বিশ্বাস জানান, নিয়ম অনুযায়ী প্রাথমিকের প্রত্যেক শিক্ষক-শিক্ষিকাকেই উচ্চ মাধ্যমিকে ন্যূনতম ৫০ শতাংশ নম্বর পেতে হবে। সেই সঙ্গে থাকতে হবে প্রশিক্ষণও। যে-সব শিক্ষক বা শিক্ষিকার ওই যোগ্যতা ছিল না, তাঁরা ইতিমধ্যে সেটা অর্জন করে নিয়েছেন। অথচ তাঁদের বেতন দেওয়া হচ্ছে মাধ্যমিক যোগ্যতার কাঠামো অনুযায়ী। পৃথাদেবী জানান, নিয়ম অনুযায়ী যোগ্যতা (উচ্চ মাধ্যমিকে ৫০ শতাংশ এবং প্রশিক্ষণ) থাকলে পে ব্যান্ড ৯৩০০ থেকে ৩৫,৮০০ টাকা। গ্রেড পে ৪২০০ টাকা। কিন্তু তাঁরা পাচ্ছেন মাধ্যমিক যোগ্যতার বেতন-কাঠামো। সেখানে পে ব্যান্ড ৫৪০০ থেকে ২৫,৮০০ টাকা। গ্রেড পে ২৬০০ টাকা। অন্যান্য রাজ্যে সপ্তম বেতন কমিশনের সুপারিশ কার্যকর হওয়ার আগে যে-সব নতুন শিক্ষক কাজে যোগ দিয়েছেন, তাঁরা পাচ্ছেন ২৯ হাজার টাকা। অথচ এ রাজ্যে প্রাথমিক স্তরে কাজে যোগ দিলে শিক্ষকেরা পাচ্ছেন মোটে ১৮ হাজার! শিক্ষকদের পা

প্রসেনজিৎ খুনে গ্রেফতার বৌদি

Image
রাতভর টানা জেরার পরে নিহত প্রসেনজিৎ রায়ের বৌদি শম্পা রায়কে গ্রেফতার করল পুলিশ। তিনি যে নিজে খুন করেননি, সে ব্যাপারে পুলিশ কার্যত নিশ্চিত। তবে সন্দেহভাজন যুবকের সঙ্গে তাঁর বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল এবং সে কারণে তিনি বিষয়টি জানতেন বলে প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের ধারণা। বুধবার উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট আদালতে তোলা হলে তাঁকে ছ'দিন পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবারই নদিয়ার ধানতলায় থানায় নিয়ে আসা হয়েছিল শম্পাকে। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জেরায় নানা রকম কথা বলেছেন তিনি। তাঁর বক্তব্যের মধ্যে বেশ কিছু অসঙ্গতি পাওয়া গিয়েছে। তাতেই পুলিশের সন্দেহ আরও জোরালো হয়। তাঁর কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যেতে পারে বুঝেই নদিয়ার ধানতলা থানা থেকে উত্তর ২৪ পরগনার বাদুড়িয়া থানায় নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। বাদুড়িয়া থানার পুলিশই তাঁকে গ্রেফতার করে। গত ২৯ জুলাই ধানতলা থেকে হাওড়ার উলুবেড়িয়ায় দিদির বাড়ি গিয়েছিলেন প্রসেনজিৎ। দু'দিন পর বারাসত যাবেন বলে বেরোন। ২ অগস্টের পরে আর তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ হয়নি বাড়ির লোকের। পরের দিন বাদুড়িয়ায় পাটখেতে তাঁর দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। সোমবার তাঁর দাদা গিয়ে দেহ শনাক্ত

আর্সেনিকে ছারখার পরিবার, নিঃসঙ্গ বৃদ্ধ দম্পতি

Image
চিন্তামণি পাল এবং নিতাইচন্দ্র পাল। বারো ঘর, এক উঠোনের কৃষক পরিবারে আগে এক হাঁড়িতেই চড়ত ৩২ জনের রান্না! সেই পরিবার এখন ছারখার। ১০ বছর আগে শেষের শুরু। বাড়ির জলেই যে বিষ, টের পাননি কেউ। পরপর মৃত্যু হয় পাঁচ জনের। মাসতিনেক আগে মারা যান পরিবারের ছোট ছেলে নন্দ পাল। গায়ে আর্সেনিক-দূষণের চিহ্ন নিয়ে প্রাণভয়ে ভিটে ছাড়েন বাকিরা। দেগঙ্গার চণ্ডালআটির ওই বাড়ি আগলে এখন শুধু পড়ে বৃদ্ধ নিতাইচন্দ্র পাল এবং তাঁর স্ত্রী চিন্তামণিদেবী। আর্সেনিকের জেরে দু'জনের শরীরেই তেমন সাড় নেই। তবু ভিটের 'মারণ জল'ই খাচ্ছেন। বৃদ্ধার খেদ, ''একসময় ভিটে গমগম করত। এক রোগ সব ছারখার করে দিল।'' ওখান থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে বাসা বেঁধেছেন পরিবারের অদ্বৈত পাল। এখানে 'টাইম কল'-এর জল মেলে। আর্সেনিক থেকে ক্যান্সার হওয়ায় তাঁর বাঁ পা কেটে বাদ দিতে হয়েছে। ছেলে মধুসূদন বলেন, ''কোনও সাহায্য পাননি বাবা। ভিটে-মাটি ছেড়ে কষ্টে দিন কাটছে।'' আর্সেনিকের বিষে এমন মৃত্যু আর সংসার ভাঙার ছবি উত্তর ২৪ পরগনার অনেক পরিবারেই। দেগঙ্গা ছাড়াও গাইঘাটা, হাবড়া, অশোকনগর, বসিরহাটের বিভিন্ন এলাকার জলে