Posts

Showing posts from June 9, 2018

অ্যামাজন ডেলিভারি বয়-এর এখন মাসিক আয় ₹১ লাখ। একেই বলে স্টার্ট-আপ!

Image
পুরোটাই ইচ্ছেশক্তি ও কঠোর পরিশ্রম। নইলে অ্যামাজনের ডেলিভারি বয় থেকে মাসে ১ লক্ষ টাকা আয়ের সফল ব্যবসায়ী হওয়া চাট্টিখানি কথা নয়! সেরকমই এক সফল স্টার্ট-আপের খবর জেনে নেওয়া যাক।  অ্যামাজনে ডেলিভারি বয়-এর চাকরি করতেন জয়পুরের যুবক রঘুবীর সিং চৌধুরি। খুবই গরিব ঘরের ছেলে। আর্থিক অনটনের জেরে উচ্চশিক্ষা ছেড়ে রোজগারের রাস্তায় নেমে পড়েন কম বয়সেই। ডেলিভারি বয় হিসেবে যোগ দেন অ্যামাজনে। মাসে ৯ হাজার টাকা বেতন। মোটরবাইক না থাকায় সাইকেলেই ডেলিভারি দিতেন রঘুবীর। পণ্য নিয়ে পৌঁছে যেতেন ক্রেতার দরজার গোড়ায়। খিদে পেলেও পয়সা না থাকায় চা খেয়েই চাঙ্গা হতেন। সাইকেলে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে রঘুবীর দেখেন, ভালো চায়ের দোকানও অনেক জায়গায় নেই। সারাদিন কাজের পর ভালো চা না পেটে পড়লে বড় ক্লান্ত লাগে। তখনই স্টার্ট-আপের ভাবনা আসে রঘুবীরের মাথায়। বন্ধুদের বলেন আইডিয়ার কথা। চা ভেন্ডরদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন। শীঘ্রই ১০০ চা ভেন্ডরের সঙ্গে আলাপ জমিয়ে ফেলেন। রঘুবীর চা ডেলিভারি শুরু করেন। কঠোর পরিশ্রমের ফসল হিসেবে মাস চারেক পরেই কিনে ফেলেন একটি মোটরবাইক।  বর্তমানে জয়পুরে রঘুবীরের ৪টি চা ডেলিভারি সেন্টার রয়েছে। দিনে গড়ে ৫০০

যৌন নিগ্রহের অভিযোগ করার ৪ দিনের মাথায় গুলিতে খুন তরুণী!

Image
যৌন নিগ্রহের অভিযোগ জানিয়েছিল মেয়েটি। প্রাণ দিয়ে মূল্য চোকাতে হল। ৪ ব্যক্তির বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ পুলিশের কাছে দায়ের করার পরের দিনই গুলি করে খুন করা হল ১৭ বছরের এক কিশোরীকে। ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের বান্দার।  নার্সিংয়ের ওই ছাত্রীকে শুক্রবার রাতে গুলি করা হয়। পরের দিন সকালে তার দেহ পাওয়া যায় ওই ছাত্রীর ভাড়াবাড়ির সামনে। বুকের বাঁ দিকে চাপ রক্ত জমাট। পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে অনুমান করছে, দরজা খোলার পরই ওই ছাত্রীকে গুলি করা হয়।  বান্দার পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, অভিযুক্তকে চিহ্নিত করা গিয়েছে। তদন্ত চলছে। জানা গিয়েছে, গত মঙ্গলবার থানায় ওই ছাত্রী অভিযোগ করে, ৪ ব্যক্তি তাকে যৌন হেনস্থা করেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে তিন জনকে আটক করে পুলিশ। কিন্তু চতুর্থ জন এখনও অধরা।

দেওরের সঙ্গে বৌদির পরকীয়া, তারপর...

Image
ত্রিকোণ প্রেমের জেরে বৌদিকে খুন করে খাদানে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল দেওরের বিরুদ্ধে। পশ্চিম বর্ধমানের জামুড়িয়ার এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। অভিযুক্ত দেওরকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। জামুড়িয়ার নিউ সাতগ্রামের বাসিন্দা সরিতা দেবী। গত ২৫ মে থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। মেয়ের নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার পিছনে, তাঁর দেওর ছোটু যাদবের হাত থাকতে পারে বলে সন্দেহ করেন সরিতার বাবা। এরপরই সরিতার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় ছোটু যাদবকে। পুলিসি জেরার মুখে ভেঙে পড়ে ছোটু। জেরায় বৌদিকে খুনের কথা কবুল করে নেয় সে। শুধু তাই নয়, জেরায় ছোটু আরও জানায় খুনের পর সরিতার দেহ সে একটি পরিত্যক্ত খাদানে ফেলে দিয়েছিল। এদিন সকালে পুলিসকে নিয়ে গিয়ে সেই খাদান চিনিয়ে দেয় ছোটু। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিসের অনুমান, ত্রিকোণ প্রেমের জেরেই এই খুন। সম্ভবত, দেওরের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন সরিতা দেবী। কিন্তু কোনও কারণে মনোমালিন্য হওয়ায় তাঁকে খুন করে ছোটু। যদিও এখনও দেহটি উদ্ধার হয়নি। পুলিস মাটি খুঁড়ে দেহ উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে।

তিন বছরের লড়াইয়ে সাফল্য, দেওচা পাঁচামি কয়লাখনি পেল রাজ্য

Image
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম কয়লাখনির দায়িত্ব পেল রাজ্য সরকার৷ দীর্ঘ তিন বছরের লড়াইয়ের পর বীরভূমের দেওচা-পাঁচামি কয়লাখনি রাজ্যের হাতে দিল কেন্দ্রীয় সরকার। ফলে কোনও সন্দেহের অবকাশ নেই যে, বিদ্যুৎ ও খনিক্ষেত্রে বড় সাফল্য পেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় কয়লা মন্ত্রক ছাড়পত্র দেওয়ার পর নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সন্তোষপ্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, "তিন বছরের দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর বীরভূম জেলার দেওচা পাঁচামি হরিণসিংহ দেওয়ানগঞ্জ কয়লাখনির নির্দিষ্ট স্বত্ব পেল রাজ্য। এর ফলে সবমিলিয়ে বীরভূম ও লাগোয়া জেলা-সহ গোটা রাজ্যেই ব্যাপকভাবে আর্থ সামাজিক উন্নয়ন ঘটবে। প্রকল্পের কাজ দ্রুত শুরু করতে প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক পদক্ষেপ করা হয়েছে এর মধ্যেই।" মুখ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেছেন, বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই কয়লাখনিতে আনুমানিক ২১০ কোটি ২ লক্ষ টন কয়লা মজুত রয়েছে। খনি প্রকল্প কার্যকর হলে বীরভূম ও আশপাশের জেলা থেকে লক্ষাধিক প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর্মসংস্থানের বিপুল সম্ভাবনাও রয়েছে। বীরভূমের মহম্মদবাজারে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা লগ্নি হবে বলে আশা করছে নবান্ন। পাশাপাশি রাজ্য বিদ্যুতের ক্ষ

বাবার দোকান চালিয়ে রাজ্যে নবম সুরজিৎ

Image
দরমার বেড়া আর টালির চালের ছোট্ট একটি ঘর। সাইনবোর্ড লিখে কোনও রকমে সংসার চালাতেন বাবা। ডিজিটাল যুগে হাতে লেখা সাইনবোর্ডের কদর কমেছে। তাই পেশা বদলে বাড়ি লাগোয়া একটি গুমটিতে মুদি দোকান চালান। সামান্য আয়ে ছেলের পড়াশোনায় সে ভাবে নজর দিতে পারেননি। উল্টে পড়াশোনার ফাঁকে বাবার সঙ্গে দোকান চালিয়েছে ছেলে। এত প্রতিকূলতার মধ্যেও এ বার উচ্চ মাধ্যমিকে রাজ্যের মেধা তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে কালনার উত্তর গোয়াড়ার সুরজিৎ মাতব্বর৷ ৪৮২ নম্বর পেয়ে রাজ্যে নবম হয়েছে সে। আর্থিক প্রতিকূলতার মধ্যেও সাফল্যের চূড়ায় যে পৌঁছনো সম্ভব তা প্রমাণ করল কালনা অম্বিকা মহিষমর্দিনী উচ্চ বিদ্যালয়ের এই ছাত্র। আপাতত ইংরেজি অনার্সে ভর্তি হয়ে ভবিষ্যতে ডব্লিউবিসিএস অফিসার হতে চায় সুরজিৎ। শুক্রবার ফল ঘোষণার পরই সুরজিতকে শুভেচ্ছা জানাতে বাড়িতে ভিড় করেন প্রতিবেশীরা। সুরজিতরা দুই ভাই। দাদা বিক্রম কালনা কলেজে বিএ অনার্সের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র৷ পড়াশোনায় বরাবরই ভালো সুরজিৎ। মাধ্যমিকে ৬৪৯ পেয়েছিল সে। ছেলেকে পড়ানোর ইচ্ছে থাকলেও সামান্য আয়ে সংসার চালিয়ে বিষয় ভিত্তিক প্রাইভেট টিউশন দিতে পারেননি বাবা ঝন্টু মাতব্বর। এক জন প্রাইভেট শিক্ষক ছিলেন। ত

মদ, গাঁজা পাচার করতে গিয়ে ধরা পড়লেন আলিপুর জেলের ডাক্তার!

Image
জেলে মদ-মাদক পাচার করতে গিয়ে গ্রেফতার পেশায় চিকিত্সক অমিতাভ চৌধুরী। জেলবন্দিদের কাছ থেকে মাঝে মাঝেই পাওয়া যাচ্ছিল মাদক, মোবাইল ফোন। তা নিয়ে চিন্তার শেষ ছিল না জেল কর্তৃপক্ষের। এ বার সেই ঘটনায় গ্রেফতার করা হল জেলেরই এক চিকিৎসককে। ধৃতের নাম অমিতাভ চৌধুরী। তিনি আলিপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে পূর্ণ সময়ের চুক্তিভিত্তিক চিকিৎসক হিসাবে কাজ করতেন। সংশোধনাগারে ঢোকার সময় তাঁকে দু'কেজি গাঁজা, চার লিটার মদ, ৩৫টি মোবাইল ফোন এবং প্রায় দেড় লক্ষ টাকা-সহ পাকড়াও করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ওই চিকিত্‌সকের বাড়ি নাকতলায়। তিনি সেনাবাহিনীর প্রাক্তন কর্মী। জেলের অনিয়মের ঘটনায় আগেই নাম জড়িয়েছিল বেশ কয়েকজন নিচু তলার কর্মীর। অভিযোগ, তাঁরা নাকি টাকার বিনিময়ে বন্দিদের হাতে তুলে দিচ্ছিলেন মাদক, মোবাইলের মতো সামগ্রী। মাস কয়েক আগে আলিপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের  অভ্যন্তরীণ তদন্তে জানা যায়, জেলের উচ্চ পদমর্যাদার একদল কর্মীও এই ঘটনায় যুক্ত। তদন্তে উঠে আসে অমিতাভ চৌধুরীর নাম। আরও পড়ুন: লালবাজারের কাছেই গুন্ডা দিয়ে মার পুলিশকর্মীকে, অভিযুক্ত স্ত্রী এর পরেই নড়েচড়ে বসেন জেল কর্তৃপক্ষ। হঠাত্‌ই যে তল্লাশি চালানোর সিদ্ধান

মাধ্যমিক দেওয়ার বয়সেই এই মেয়ে ইঞ্জিনিয়ার!

Image
কাশীভট্ট সংহিতা। তিন বছর বয়সেই গড় গড় করে বলে ফেলতেন বিশ্বের সব দেশের নাম ও তাদের রাজধানী। বাবা-মা দেখে বুঝেছিলেন এ মেয়ের মধ্যে একটা বিস্ময় প্রতিভা রয়েছে। সফর শুরু সেখান থেকেই। ওই বয়সেই প্রাথমিক স্কুলের গণ্ডি টপকে ঢুকে পড়েছিলেন হাই স্কুলে। একের পর এক সাফল্য ছুঁয়েছে তাঁর পা।তাঁর যখন দশ বছর বয়স, সে সময়েই মাধ্যমিকপাশ করেন। সেই মেয়েই এখন তেলঙ্গানার কনিষ্ঠতম ইঞ্জিনিয়ার। তিনি কাশীভট্ট সংহিতা। বয়স ১৬। তেলঙ্গানার চৈতন্য ভারতী ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি থেকে এ বার ইলেকট্রিক্যাল এবং ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে নিয়ে পাশ করেছেন। বি টেক ডিগ্রি তো পেয়ে গেলেন, এ বার? সংহিতার স্পষ্ট জবাব, এ বার এম টেক-এর ডিগ্রি অর্জন করার পালা। পড়ার মধ্যেই শুধু মুখ গুঁজে বসে থাকতে ভাল লাগে না তাঁর। সংহিতা বলেন, "পড়াশোনার পাশাপাশি আঁকা, গান নিয়েও ব্যস্ত থাকেন। তবে এ সব কিছুর মধ্যে যেন সামঞ্জস্য থাকে সেটাও খেয়াল রাখেন।" পাশাপাশি তিনি আরও জানান, একঘেয়ে পড়াশোনা তাঁর মোটেই ভাল লাগে না। রসবোধ এবং কনসেপচুয়াল পড়াশোনাই পছন্দ বেশি তাঁর।  ২০১৪ থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেন সংহিতা। এই বয়সে মেয়ে

লালবাজারের কাছেই গুন্ডা দিয়ে মার পুলিশকর্মীকে, অভিযুক্ত স্ত্রী

Image
সৌরাঙ্কি সরকার ও সৌম্যজিত্ সরকার। সৌম্যজিতকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে সৌরাঙ্কির বিরুদ্ধে। নিজস্ব চিত্র। ভাড়াটে গুন্ডা নিয়ে এসে পুলিশ স্বামীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল তাঁরই স্ত্রীর বিরুদ্ধে। শনিবার রাতে লালবাজার থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে বউবাজারের কাছে ঘটনাটি ঘটে। রাত তখন প্রায় ৮টা। কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিলেন চিত্পুরের বাসিন্দা সৌম্যজিত্ সরকার। লালবাজারে হোমগার্ডের কাজ করেন তিনি। তাঁর দাবি, বউবাজারের কাছাকাছি আসতেই আচমকা বেশ কয়েক জন লোক তাঁকে ঘিরে ধরেন। প্রথমে বিষয়টা ঠাওর করতে পারেননি তিনি। কেন তাঁকে এ ভাবে ঘিরে ধরা হয়েছে বিষয়টা বুঝতে অবশ্য বেশি সময় লাগেনি তাঁর। তত ক্ষণে তাঁকে ধাক্কাধাক্কি শুরু করে দিয়েছেন ওই লোকগুলো। কিছু বলতে যাবেন, এমন সময়ই শুরু হয় এলোপাথারি মারধর। সেই অবস্থাতেই তিনি দেখতে পান ওই লোকগুলোর কাছাকাছি দাঁড়িয়ে রয়েছেন তাঁর স্ত্রী সৌরাঙ্কি। বিষয়টা তখন জলের মতো স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল সৌম্যজিতের কাছে। ভাড়াটে গুন্ডা নিয়ে এসে স্ত্রী-ই তাঁকে মারধর করাচ্ছেন! কোনও রকমে সেখান থেকে পালিয়ে তিনি চলে আসেন লালবাজারে। জামাকাপড় ছেঁড়া, বিধ্বস্ত অবস্থায় তাঁকে দেখে সহকর্মীরা চমকে যান। সৌম্যজিত্ তা

ফেসবুকের ‘বান্ধবী’র ফাঁদে পড়ে ১৯ লক্ষ টাকা উধাও!

Image
বিধাননগর পুলিশের হাতে গ্রেফতার সঞ্চিতা। রফেসবুকে পরিচয়। তার পর খাস মার্কিন মুলুক থেকে ব্যবসার প্রস্তাব। যিনি প্রস্তাব দিলেন তিনি বেশ কেউকেটা, মার্কিন সেনাবাহিনীর মহিলা অফিসার। আর সেই লোভনীয় ব্যবসার টোপ গিলেই প্রায় ১৯ লাখ টাকা খোয়ালেন বাগুইআটির ভাস্কর ঘোষ, হিন্দুস্তান কেবলের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী। শুরুটা এপ্রিলের গোড়ার দিকে। সদ্য ফেসবুক ব্যবহার করা শুরু করেছেন ভাস্করবাবু। হঠাৎ অ্যানে এলিজাবেথ নামে এক শ্বেতাঙ্গ সুন্দরীর ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট। 'বন্ধুত্ব'-এর এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করতে পারেননি ভাস্কর। তার পর থেকেই শুরু হয় চ্যাট। আর সেখান থেকেই জানতে পারেন, অ্যানে মার্কিন সেনা অফিসার। কিন্তু বেশিদিন আর চাকরি করতে চাননা। আর সেখান থেকেই ব্যবসার প্রসঙ্গ ওঠে। ভারতের ভেষজের নাকি মার্কিন মুলুকে ব্যাপক কদর। আর সেই সূ্ত্রেই সেই ভেষজের বীজের ব্যবসার প্রস্তাব ভাস্করকে দেয় অ্যানে। এই মহিলাই ভাস্করকে বিনিতা শর্মা নামে এক জনের খোঁজ দেন। বিনিতাই নাকি ভারতে ওই বিশেষ ভেষজ বীজের সরবরাহকারী। এপ্রিলেই বিনিতার অ্যাকাউন্টে ১৯হাজার টাকা পাঠান ভাস্কর। তার পরিবর্তে ক্যুরিয়ারে আসে কয়েকটি বীজ। এরপর অ্যানের পাঠানো

উৎসব ভাতা বাড়াল রাজ্য সরকার

Image
কলকাতা: উৎসবের মরশুমে রাজ্যের বাসিন্দাদের জন্য ফের সুখবর নিয়ে এল রাজ্য সরকার৷ ফের উৎসব ভাতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হল রাজ্য সরকারের তরফে৷ নবান্ন সূত্রের খবর, এর আগে রাজ্য সরকারি কর্মীদের উৎসব ভাতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার৷ এবার উৎসব ভাতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হল পেনশনভোগীদের জন্য৷ এ নিয়ে অর্থ দফতর বিজ্ঞপ্তিও জারি করেছে বলে ওই সূত্র থেকে জানা গিয়েছে৷ নবান্ন সূত্রে খবর, গত বছর ১৯০০ টাকা উৎসব ভাতা পেয়েছিলেন রাজ্য সরকারের অবসরপ্রাপ্ত পেনশনভোগীরা৷ এবার তাঁদের সেই ভাতা বেড়ে যাচ্ছে আরও একশো টাকা৷ এবার তাঁরা উৎসব ভাতা হিসেবে এককালীন ২০০০ টাকা পাবেন৷ প্রশাসনের ওই সূত্রের দাবি, মুসলিমরা ঈদের আগেই এই উৎসব ভাতা পেয়ে যাবেন৷ বাকিদের চলতি বছর ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে ৫ অক্টোবরের মধ্যে দেওয়া হবে৷ প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের উৎসব ভাতা বাড়িয়েছিল সরকার৷ সরকারি কর্মীদের উৎসব ভাতা ২০০ টাকা করে বাড়ানো হয়েছিল৷ গতবার তাঁরা এককালীন পেয়েছিলেন ৩৮০০ টাকা৷ এবার পাবেন ৪ হাজার টাকা৷ ওই ক্ষেত্রেও মুসলিম সরকারি কর্মীরা ঈদের আগেই উৎসব ভাতা প

প্রধানমন্ত্রীকে আকস্মিক রোড শো না করার পরামর্শ এসপিজির

Image
রাজীব গান্ধীর ধাঁচে প্রধানমন্ত্রীকে খুনের ছক কষছে মাওবাদীরা। পুণে পুলিশের এই দাবির পর রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা দেশে। একযোগে গোটা ঘটনার এনআইএ তদন্ত দাবি করছে শাসক থেকে বিরোধী সব শিবিরই। স্বাভাবিকভাবেই প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা ফের খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীকে রোড শো না করার পরামর্শ দিয়েছে নিরাপত্তার দায়িত্ব থাকা স্পেশ্যাল প্রোটেকশন গার্ড অর্থাৎ এসপিজি। পুণে পুলিশের দাবি অনুযায়ী, রাজীব গান্ধীকে যেভাবে খুন করা হয়েছিল সেভাবেই নরেন্দ্র মোদিকেও সরানোর পরিকল্পনা করছে মাওবাদীরা। আর সেক্ষেত্রে তাদের সহজ টার্গেট মোদির রোড শো গুলি। তাই প্রধানমন্ত্রীর রোড শোগুলিতে আরও বাড়ানো হচ্ছে নিরাপত্তা। ইতিমধ্যেই মোদির নিরাপত্তার দায়িত্ব থাকা এসপিজি জওয়ানদের সতর্ক করা হয়েছে। নজরদারিতে জোর দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সঙ্গে থাকা  ক্লোজ প্রোটেকশন গ্রুপ অর্থাৎ এসপিজি জওয়ানদেরও। কাউন্টার অ্যাসল্ট ফোর্সের জওয়ানদেরও বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিকে, প্রধানমন্ত্রীকেও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে হুটহাট রোড শো না করার। নিরাপত্তারক্ষীদের বেষ্টনী থেকে বেরিয়ে বারবারই

সলমানের খানের সঙ্গে দেখা করলেন ডান্সিং আঙ্কেল।

Image
তাঁর নাচ ঝড় তুলেছে ইন্টারনেটে। কেউ তাঁকে ডাকছেন ডান্সিং আঙ্কেল বলে। কেউ বা বলছেন ডান্সিং জিজাজি। যে নামেই তাঁকে ডাকুক না নেটিজেনরা, ইতিমধ্যে বিখ্যাত হয়ে উঠেছেন সঞ্জীব শ্রীবাস্তব। এবার তিনি বলিউড়ের "ভাইজান" সলমান খানের সঙ্গে সপরিবারে দেখা করলেন। সোশাল মিডিয়ায় তাঁর নাচের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর থেকে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন মধ্যপ্রদেশের বিদিশার বাসিন্দা সঞ্জীব শ্রীবাস্তব। কয়েকদিন ধরে ফোন ধরতে আর বলিউড অভিনেতাদের সঙ্গে দেখা করতে ব্যস্ত। এবার একটি টেলিভিশন শোয়ের সেটে সলমান খানের সঙ্গে সপরিবারে দেখা করলেন। সঞ্জীবের সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্ত্রী অঞ্জলি এবং দুই পুত্র। সলমান খানের সঙ্গে সাক্ষাতের ছবি সোশাল মিডিয়ায় শেয়ারও করেছেন ডান্সিং আঙ্কেল।  আর সেই ছবি সোশাল মিডিয়ায় পোস্টের পরই একের পর এক কমেন্ট আসতে থাকে। মণীশ আগরওয়াল নামে একজন লিখেছেন, আপনি ইতিহাস তৈরি করেছেন ডাব্বু ভাইয়া... ধন্যবাদ এবং ভবিষ্যতের জন্য শুভ কামনা। কেউ লেখেন, ডাব্বু স্যার, আপনার নাচের ফ্যান হয়ে গেছি আমি। এর আগে ৩ জুন অভিনেতা সুনীল শেট্টির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন সঞ্জীব। নীলমের সঙ্গেও তাঁর দেখা হয়েছে। বিয়েবাড়িতে গোবিন্দা ও নীলমের

ধর্ষণ করতে না পেরে খুন ৩ বছরের শিশুকে, অভিযুক্ত নাবালক

Image
বছর তেরোর এক কিশোরকে খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। তিন বছরের একটি মেয়েকে খুনের অভিযোগ উঠেছে তার নামে। গ্রেটার নয়ডার বিসরাখ এলাকায় দিন দুই আগে ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ছেলেটি মেয়েটির প্রতিবেশী। মেয়েটিকে বেশ কিছুদিন ধরেই ধর্ষণ করার চেষ্টা ছিল সে। অভিযোগ, কাজে সফল না হওয়ায় মেয়েটিকে খুন করে সে। তারপর ওই মেয়েটির দেহ সে গ্রেটার নয়ডার বিসরাখ এলাকার একটি মন্দিরের সামনে ফেলে দেয়। বিসরাখ থানার স্টেশন হাউজ অফিসার অখিলেশ ত্রিপাঠী জানান, সিসিটিভি ফুটেজ থেকে তারা গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ পেয়েছেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে মেয়েটিকে গ্রামের বাইরে নিয়ে যাচ্ছে ওই ছেলেটি। এরপর শুক্রবার সকালে ছেলেটিকে পাকড়াও করে পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তখনই সে ঘটনার কথা স্বীকার করে। বলে, কাকার ফোনে পর্নোগ্রাফি দেখে উত্তেজিত হয়ে পড়েছিল সে। সেটি কারওর উপর প্রয়োগ করার কথা ভাবে। পার্টনার হিসেবে প্রতিবেশী মেয়েটিকে বেছে নেয়। তাকে ধর্ষণ করতে চেষ্টা করে। ত্রিপাঠী আরও জানিয়েছেন, গ্রামের বাইরে একটি পাওয়ার আউটএজ রয়েছে। সেখানে মেয়েটিকে নিয়ে যায় ছেলেটি। অভিযোগ, মেয়েটিকে একটি নিরিবিলি জায়গায় নিয়ে গিয়ে তাকে ধর্ষণের চে

ধর্ষিত রোহিঙ্গা নারীরা সন্তান জন্ম দিতে শুরু করেছেন

Image
এ বছর বাংলাদেশে অবস্থিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে প্রায় ৪৮ হাজার নারী সন্তান জন্ম দিতে পারেন। যাঁদের অধিকাংশই বিষয়টি গোপন রাখার চেষ্টা করছেন। গত ন'মাসে বাংলাদেশে জন্ম নিয়েছে অন্তত ১৬ হাজার রোহিঙ্গা শিশু।সেনা নির্যাতনের মুখে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের অস্থায়ী ক্যাম্পে প্রতিদিন ৬০টি করে শিশু জন্ম নিচ্ছে বলে জাতিসংঘের নারী ও শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ জানিয়েছে। ইউনিসেফ বলছে, গত আগস্টে মিয়ানমারে নির্যাতন শুরু হওয়ার পর বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত প্রায় ৭ লাখ রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছেন। এ সময়ে বাংলাদেশের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে মোট ১৬ হাজার শিশু জন্ম নিয়েছে, যাদের মধ্যে মাত্র ৩ হাজার চিকিত্‍সা সেবার আওতায় এসেছে, জানাচ্ছে ইউনিসেফ। বাংলাদেশে ইউনিসেফ-এর প্রতিনিধি এডওয়ার্ড বেইগবেদার বলেন, ''প্রতিদিন প্রায় ৬০টি শিশু তাদের বাড়ি থেকে দূরে আতঙ্কজনক এক পরিস্থিতিতে প্রথমবারে মতো শ্বাস নিচ্ছে। আর তাদের বাস্তুচ্যুত মায়েরা সহিংসতার ভীতি ও ধর্ষণের স্মৃতি নিয়ে আছেন।'' তবে তিনি বলেন, ''যৌন নিপীড়ণ বা ধর্ষণের কারণে ঠিক কী পরিমাণ শিশু জন্ম নিচ্ছে তা বলা কঠিন।'' এদিকে রোহিঙ্গা ক

কেমন হয় দেহব্যবসায়ীদের জীবন? আজব কিছু অভিজ্ঞতার কথা জানালেন পতিতা

Image
প্রত্যেক পেশার নিজস্ব গুণাগুণ রয়েছে। তবে বিশ্বের এমন কিছু পেশাও রয়েছে, যা নিয়ে মানুষের কৌতূহলের অন্ত নেই। এমনই এক পেশা দেহের ব্যবসা। এ পেশা নিয়ে প্রকাশ্যে হয়তো অনেকেই বিরক্তি প্রকাশ করে থাকেন, কিন্তু অনেকেই আবার এ সম্পর্কে জানতে ভীষণই আগ্রহী। কেমন হয় দেহব্যবসায়ীদের জীবন? কোন কোন অভিজ্ঞতার সাক্ষী হতে হয় তাঁদের? এ প্রশ্নই করা হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার এক দেহব্যবসায়ীকে। কারণ নিজের পেশাগত জীবনে ১২০০-রও বেশি পুরুষের সঙ্গে সঙ্গমে লিপ্ত হয়েছেন তিনি। প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর থেকেই এই কাজ করছেন মহিলা। নিজের জীবনে বহু অদ্ভুত অভিজ্ঞতার সাক্ষী হয়েছেন তিনি। এর মধ্যে থেকেই কিছু এমন অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন, যা আজও তাঁর মনে রয়ে গিয়েছে। তিনি জানান, এক ব্যক্তি তাঁকে নিয়মিত টাকা দিতেন কেবল সঙ্গে হাঁটার জন্য ও একটি ঘোরানো সিঁড়ি বেয়ে নামার জন্য। এমন এক খদ্দের ছিলেন যিনি তাঁকে কেবল নগ্ন হয়ে বসে থাকার জন্য পারিশ্রমিক দিতেন। তারপর নিজেই হস্তমৈথুন করতেন। মহিলা জানান, অনেকেই নিজের বিবাহিত জীবনে সুখ না পেয়ে তাঁর কাছে আসতেন। কিন্তু এক ব্যক্তি এমন ছিলেন যিনি স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে বলতে সঙ্গমে লিপ্ত হতেন। আর ভাবতেন স্ত্রী কি

চার বছরে দেশের আর্থিক অবনতি হয়েছ!

Image
খাতায়-কলমে মূল্যবৃদ্ধি তেমন মাথাচাড়া দেয়নি এখনও। অথচ বাজারে নিমেষে খরচ হয়ে যাচ্ছে পাঁচশোর নোট। কেন্দ্রের দাবি, কাজের সুযোগ তৈরি হচ্ছে যথেষ্ট। অথচ একটি পদের জন্য আবেদন জমা পড়ছে লাখখানেক। মোদী সরকার ক্রমাগত বলছে, তাদের জমানায় গত চার বছরে হাল ফিরেছে অর্থনীতির। কিন্তু লগ্নি থেকে শুরু করে চাকরি— সেই হিসেব মিলছে না কোথাও। আর এই সমস্ত কারণে দেশের অর্থনীতি সম্পর্কে সাধারণ মানুষের আস্থা যে টোল খেয়েছে, তা স্পষ্ট রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সমীক্ষায়। দেশের ছ'টি প্রধান শহরে চালানো ওই সমীক্ষা অনুযায়ী, ৪৮% মানুষই মনে করছেন, গত চার বছরে আর্থিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। সেখানে উন্নতি হয়েছে বলে মনে করেন মোটে ৩১.৯%। কাজের সুযোগ কমেছে বলে মনে করছেন ৪৪.১%। আগামী দিনে রোজগার বাড়ার বিষয়ে কিছুটা আশাবাদী হলেও, সেই বিশ্বাস তেমন জোরালো নয়। তুলনায় সামান্য স্বস্তির মূল্যবৃদ্ধির হার। কিন্তু সেখানেও আগামী দিনে তা মাথাচাড়া দেওয়ার আশঙ্কা করছেন তাঁরা। অনেকে বলছেন, শিয়রে লোকসভা ভোট। তাই অর্থনীতি নিয়ে আমজনতার আস্থায় এমন টোল কেন্দ্রের পক্ষে সুখকর নয়। আগামী দিনে চাকা ঘোরে কি না, প্রশ্ন সেটাই।

কৃতীদের নেতাজি ইন্ডোরে সংবর্ধনা দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

Image
কলকাতা: রাজ্যের কৃতী পড়ুয়াদের সংবর্ধনা দেওয়া হবে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে৷ রাজ্য সরকারের তরফে এই সংবর্ধনার আয়োজন করা হচ্ছে৷ সোমবার হবে এই অনুষ্ঠান৷ মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে প্রতি বছরই কৃতীদের সংবর্ধনা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ মেধাতালিকায় স্থান পাওয়া সমস্ত পড়ুয়ার সঙ্গে দেখা করেন তিনি৷ সাধারণত নবান্নে ওই অনুষ্ঠান হয়৷ কিন্তু এবার হবে নেতাজি ইন্ডোরে৷ প্রশাসেনর একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, ওই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবে মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক, ICSE, ISC, CBSE-র দশম ও দ্বাদশ শ্রেণিতে উত্তীর্ণ কৃতী ছাত্রছাত্রীরা৷ সব মিলিয়ে সংখ্যটা প্রায় আড়াইশো হবে৷ তাঁদের সঙ্গে অভিভাবক ও পরিবারের সদস্যরা থাকবেন৷ তাই বড় জায়গার প্রয়োজন ছিল৷ সেই কারণেই অনুষ্ঠান নবান্ন থেকে সরিয়ে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে আনা হয়েছে৷ প্রশাসনের ওই সূত্রের খবর, পড়ুয়াদের বিশেষ উপহারও দেওয়া হবে৷ উপহারে থাকবে দামি ঘড়ি ল্যাপটপ৷ এছাড়াও উপহারের মধ্যে আরও অনেক কিছু থাকবে বলে জানা গিয়েছে৷ সোমবারের পর মঙ্গলবারও একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে৷ ওই অনুষ্ঠান হবে মাদ্রাসার কৃতী পড়ু

খৈনি বন্ধ করার কথা ভাবছে বিহার সরকার

Image
পটনা: মদ ও গুটখা বন্ধ হয়েছে আগেই। এবার খৈনি বন্ধের পথে হাঁটতে চলেছে বিহার সরকার। রাজ্য ঠিক করেছে, কেন্দ্রীয় সরকারকে তারা চিঠি লিখে খৈনিকে ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অ্যাক্টের আওতায় খাবারের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য অনুরোধ করবে। বিহারের স্বাস্থ্য দফতরের মুখ্য সচিব সঞ্জয় কুমার বলেছেন, ওই আইন অনুযায়ী যদি কোনও খাবারে তামাক ও নিকোটিনের অস্তিত্ব থাকে, তবে তা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হবে। কিন্তু ওই আইনের তালিকা অনুযায়ী খৈনি খাদ্য হিসেবে গণ্য নয়। যতক্ষণ না হচ্ছে, ততক্ষণ তা নিষিদ্ধ করা যাবে না। তাই এবার তাঁরা কেন্দ্রকে চিঠি লিখবেন, যাতে খৈনিকে খাদ্যতালিকায় ঢোকানো যায়, তাহলে তা নিষিদ্ধ করা সম্ভব হবে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বারবার খৈনি নিষিদ্ধ করার দাবি করেছেন, তাঁদের বক্তব্য, শুধু গ্রহীতার স্বাস্থ্য নয়, সমাজের ওপরেও এর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। রাজ্য সরকার মদ নিষিদ্ধ করায় আরও জোরালো হয় তাঁদের দাবি।

আলিপুর জেলে মাদক পাচার করতে গিয়ে ধৃত চিকিৎসক

Image
আলিপুর জেলের মধ্যে মদ ও মোবাইল ফোন পাচার করায় এক চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। অমিতাভ চৌধুরি নামে জেলের ওই চিকিৎসকের কাছ থেকে মদ, গাঁজা ও মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়েছে। চোরাপথে মাদক, মোবাইল ফোন সহ অনেক কিছুই জেলে ঢুকছে রক্ষীদের নজর এড়িয়ে। এ খবর নতুন কিছু নয়। ধর্মগ্রন্থের ভিতরের পাতা কেটে তার মধ্যে মোবাইল ফোন পাচারের ঘটনা ঘটেছে বর্ধমানে। হুগলির গুড়াপে বন্দীদের মধ্যে মারামারি ঘটনার পর জানা যায় জেলে বসেই এলাকা শাসন করছে দুষ্কৃতীরা। পাওয়া যায় মোবাইল। অতীতে আলিপুরে বন্দী পালানোর ঘটনার পর সেলে তল্লাশি চালিয়ে পাওয়া যায় মোবাইল, হিটার সহ আরও অনেক কিছু। কিন্তু জেলে সেগুলো কীভাবে ঢুকছে তা বুঝতে পারছিল না কারা কর্তৃপক্ষ। যাবতীয় সন্দেহ গিয়ে পড়ে কারা কর্মীদের উপর। কিন্তু, এবার মাদক পাচারের সময় হাতেনাতে ধরা পড়ল আলিপুর জেলের এক চিকিৎসক। কারা কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর, ওই চিকিৎসকের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ৪-৫ লিটার মদ, ৪ কেজি গাঁজা, ৩০টিরও বেশি মোবাইল ফোন।  আলিপুর জেলের মধ্যে রয়েছে জেল হাসপাতাল। সেই সূত্রেই চিকিৎসক এবং চিকিৎসা কর্মীদের আনাগোনা রয়েছে জেলে। কাল রাতে তল্লাশির সময় ওই চিকিৎসকের কাছ থেকে নিষিদ্ধ বস্

জানেন হোয়াটসঅ্যাপের সব তথ্য ডাউনলোড করে রাখতে পারবেন আপনি?

Image
হোয়াটস অ্যাপে গ্রাহকদের তথ্য নাকি নিরাপদ নয়৷ সম্প্রতি, এমনই একটি বির্তকের সন্মুখীন হতে হয়েছিল জনপ্রিয় এই ম্যাসেজিং অ্যাপটিকে৷ ৮০ মিলিয়ন ইউজারের ব্যাক্তগত তথ্য প্রকাশিত হয়ে পড়েছিল এমনই অভিযোগ আনা হয় সংস্থাটির বিরুদ্ধে৷ এই বিতর্কে নাম জড়িয়ে যায় কেমব্রিজ অ্যানালেটিকার৷ পুরো ঘটনাটি নিয়ে আলোচনা শুরু হয় দেশ জুড়ে৷ সোশ্যাল মিডিয়াতে ইউজারদের তথ্য কতখানি সুরক্ষিত? এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে রীতিমত নাজেহাল হতে হয় কর্তৃপক্ষকে৷ প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে হোয়াটস অ্যাপের তথ্যকে ডাউনলোড করতে পারবেন ব্যবহারকারীরা৷ সুযোগটি করে দিয়েছে অবশ্য ইওরোপীয়ন ইউনিয়নের (EU) নিউ ডেটা প্রিভেসি রুলস৷ EU র নতুন প্রিভেসি ল, যেটি ইওরোপিয়ন জেনেরাল ডেটা প্রটেকশান রেগুলেশন (GDPR) নামে পরিচিত৷ সংস্থাটি ইউজারদের তথ্য ডাউনলোড এবং স্থানান্তরিত করার সুযোগ দিচ্ছে৷ হোয়াটস অ্যাপের যাবতীয় তথ্য ডাউনলোড করার পদ্ধতিটি হল :হোয়াটস অ্যাপ-সেটিংস-অ্যাকাউন্ট-রিকোয়েস্ট অ্যাকাউন্ট ইনফো-রিকোয়েস্ট রিপোর্ট৷ রিকোয়েস্ট পাঠানোর বিষয়টি মোবাইলের স্ক্রিনে দেখা যাবে৷ ৩ দিন অপেক্ষা করার কথা স্ক্রিনে দেখানে

একাধিক অবৈধ সম্পর্ক, খুন ১ প্রেমিক, গ্রেফতার গৃহবধূ

Image
অশোকনগর: বিবাহ বহির্ভূত একাধিক সম্পর্ক রক্ষা করতে গিয়ে এক প্রেমিকের সঙ্গে হাত মিলিয়ে আর এক প্রেমিককে খুনের অভিযোগ উঠল অশোকনগরের এক গৃহবধূর বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত গৃহবধূ ও তাঁর প্রেমিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। মৃত যুবকের নাম অজয় কর। তাঁর পরিবার জানিয়েছে, বুধবার নিখোঁজ হয়ে যান অজয়। ওই দিনই গভীর রাতে রেললাইনের ধার থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। অজয়ের পরিবারের দাবি, সম্প্রতি এক গৃহবধূর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক তৈরি হয়। তিনি ছাড়াও ওই গৃহবধূর সঙ্গে বিশ্বজিৎ নামে আরেক যুবকের সম্পর্ক ছিল। এ নিয়ে তাঁর সঙ্গে অশান্তি হওয়ায়  ওই গৃহবধূ ও বিশ্বজিৎ মিলে অজয়কে খুন করেন বলে অভিযোগ। ২ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনার তদন্ত হচ্ছে।

যৌন মিলনের সময়ও ফোন ঘাঁটেন প্রতি ১০ জনের মধ্যে ১ জন!

Image
খাওয়ার সময়ে হাতে স্মার্টফোন ৷ খুটখাট চলতেই থাকে ৷ রেহাই নেই ওয়াশরুমেও ৷ কমোডে বসে দিব্য হাতে ফোন নিয়ে নাড়াচাড়া করাটাও তো এখন জলভাত ৷ এটাই তো এখন স্বাভাবিক ৷ তা বলে বিছানায়? হ্যাঁ বেশ কিছু দম্পতি অন্তরঙ্গ মুহূর্তের মাজেই নাকি স্মার্টফোন ব্যবহার করে ৷ এমনকী মিলনের সময়ও ফোন ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকেন না অনেকেই ৷ ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, সঙ্গীর সঙ্গে অন্তরঙ্গ সময় কাটানোর মাঝপথে ফোন ঘাঁটেন প্রতি ১০ জনের মধ্যে একজন। এ বিষয়ে সমীক্ষা চালানোর সময় এক হাজার ব্যক্তির থেকে তথ্য নেওয়া হয় ৷ আর সমীক্ষার শেষে উঠে এসেছে এমন চমকপ্রদ ফলাফল । এর মধ্যে আবার ৪৩ শতাংশ মানুষ এই কাজটি একবার বা দু'বার নয়, অহরহই করে থাকেন। বয়সের হিসেবে দেখা যায়, ১৮-৩৪ বছর বয়সীরা, (যাদেরকে বর্তমানে মিলেনিয়াল প্রজন্ম বলা হয়) ৩৫-৫১ বছর বয়সীদের তুলনায় এই কাজটি করেন প্রায় দ্বিগুণ। এই ঘটনাটিতে অবশ্য অবাক হওয়ার কিছু নেই। তরুণদের মাঝে শয্যাসঙ্গীর বদলে ফোনের দিকে মনোযোগ দেওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। ২০১৫ সালে টেক্সাসের বেইলর ইউনিভার্সিটির এক গবেষণায় দেখা যায়, প্রেমের সম্পর্কে থাকা ৪৬ শতাংশ মানুষের

একমাসে ৪২ কোটি জরিমানা রেলে

Image
রেকর্ড সংখ্যক জরিমানায় ভরল রেলের ভাঁড়ার। আর্থিক সমস্যায় ধুঁকতে থাকা ভারতীয় রেলের নয়া নজির। চলতি বছরের এপ্রিল থেকে মে মাসের মধ্যে যাত্রীদের থেকে জরিমানা বাবদ বিপুল অর্থ আয় করেছে রেল। শুধু জরিমানার খাতে জমা পড়া এই টাকার অঙ্ক রেলের ইতিহাসে রেকর্ড। রেল সূত্রে খবর, গত এক মাসে যাত্রীদের জরিমানা বাবদ রেলের মোট আয় ৪২ কোটি ১৫ লক্ষ টাকা। সাম্প্রতিক সময়ে রেলে ৭ লক্ষ ৫৯ হাজার কেস ফাইল হয়েছে। অভিযুক্ত যাত্রীদের থেকে জরিমানা বাবদ আয় হয়েছে প্রায় সাড়ে ৪২ কোটি টাকা। জরিমানা খাতে এই এক মাসে রেলের আয় বৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ৪.৭০ শতাংশ। মূলত বিনা টিকিটের যাত্রী ও ট্রেনে ভ্রমণের সময় মাত্রাতিরিক্ত লাগেজ বহনের অভিযোগের খাতেই এই জরিমানার সিংহভাগ অর্থ আয় করেছে রেল। এছাড়া রিজার্ভেশন বাতিলের চার্জ বা টিকিট বদল থেকেও এই উল্লেখ্য সময় লাভ করেছে রেল। প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী এই খাতে মধ্য রেলের আয়ের অঙ্ক ১২ লক্ষ ৭৭ হাজার টাকা। গত বছরে এইসময়ে জরিমানা থেকে রেলের আয়ের পরিমাণ ছিল ৪১ কোটি ২২ লক্ষ।

রেলের টিকিট বুকিংয়ে ডেবিট কার্ডে ছাড়

Image
ট্রানজ্যাকশন চার্জ ছাড়াই এবার বুক করুন রেলের টিকিট৷ সুবিধাটি দিতে চলেছেন রেল মন্ত্রক (IRCTC)৷ তবে, তার জন্য টিকিট বুকিংয়ে ব্যবহার করতে হবে ডেবিট কার্ড৷ ট্যুইটারের মাধ্যমে কর্তৃপক্ষ জানান পুরো বিষয়টি৷ যাত্রীরা নেট-ব্যাংকিং, ই-ওয়ালেট এবং কার্ড ব্যবহার করে পেমেন্ট করলে রেলকে দিতে হত একটি চার্জ৷ কিন্তু, এটি ছিল পুরনো নিয়ম৷ যাত্রীদের সুবিধার কথা ভেবেই রেল নিয়ে এসেছে নতুন পদ্ধতিটি৷ বিশদ জানতে চোখ রাখুন সংস্থার ওয়েবসাইটে৷ IRCTC র ট্রেন টিকিট বুক করার বিষয়ে জেনে নিন কয়েকটি বিষয়- ১) একটি ইউজার আইডি ব্যবহার করে মাসে সর্বোচ্চ ছয়টি টিকিট বুক করা যাবে৷ রেল মন্ত্রক বিষয়টি নিয়ে বলেন, মাসে বারোটি টিকিটও বুক করতে পারেন যাত্রীরা৷ তবে, তার জন্য আধার ভেরিফিকেশনের প্রয়োজন পড়বে৷ ২) ওপেনিং অ্যাডভান্স রির্সাভেশন পিরিয়ডে ইউজার দুটি টিকিট বুক করতে পারবেন৷ সময়কাল থাকছে সকাল আটটা থেকে দশটা পর্যন্ত৷ ৩) টিকিট বাতিল করার জন্য রেল যাত্রীদের দিয়ে থাকে একটি অনলাইন কান্সেলেশন সিস্টেম৷ তবে, চূড়ান্ত পর্যায়ের চার্ট তৈরি হওয়ার আগে আবেদন করলেই টিকিট বাতিল সম্ভব হবে৷ রেলের এই চার্ট তৈরির কাজ আগের রা

অভাবের পাহাড় ডিঙিয়ে মেধার জয়জয়কার

Image
(বাঁ-দিকে থেকে উপরে) কুন্তল বীট, কৃষ্ণেন্দু কুণ্ডু, রাজশেখর চট্টোপাধ্যায়, (বাঁ-দিকে থেকে নীচে) সর্বাণী দত্ত ও অনুকূল বর্মণ।  কেউ পড়ার ফাঁকে ধান কেটেছেন। কেউ বাবার সঙ্গে তাঁতের কাজে হাত লাগিয়েছেন। অভাবের সঙ্গে লড়াই ওঁদের প্রতিদিনের। তার মধ্যেও উচ্চ মাধ্যমিকের মেধা-তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন রাজ্যের কয়েকজন ছাত্রছাত্রী। এখন তাঁদের উচ্চশিক্ষার খরচ নিয়ে চিন্তায় পড়েছে পরিবার। কুন্তল বীটের কথাই ধরা যাক। আরামবাগ বয়েজ হাইস্কুলের ছাত্রটি ষষ্ঠ হয়েছে। বাঁকুড়ার কোতলপুরের ডিঙ্গল গ্রামের বাসিন্দা কুন্তল। এতদিন বিঘাতিনেক জমি চাষ করে তাঁর বাবা কার্তিকবাবু ছেলের পড়াশোনার খরচ চালিয়েছেন। মাধ্যমিকে এক নম্বরের জন্য প্রথম দশে ঠাঁই পায়নি কুন্তল। এ বার সেই আক্ষেপ গিয়েছে। কিন্তু এখন কুন্তলের উচ্চশিক্ষা নিয়ে চিন্তায় পরিবার। কুন্তল চিকিৎসক হতে চান। কার্তিকবাবু বলেন, ''ওকে পড়াতে আরও বেশি খাটব। দরকার হলে এক বিঘে জমি বেঁচে দেব।'' বাঁকুড়ার ওন্দা রামসাগর উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র কৃষ্ণেন্দু কুণ্ডু অষ্টম হয়েছেন। পড়ার ফাঁকে গরুর গাড়ি চালিয়ে ফসল তুলে এনেছেন ঘরে। পরিবারের সম্বল দেড় বিঘা জমি। ওন্দার রানি

১৭ বছর জমে থাকা খুলি-হাড়ের ঠাঁই হল হাসপাতালে

Image
মানুষের মাথার খুলি। হাত-পায়ের হাড়। শিরদাঁড়া। ১৭ বছর ধরে পড়েছিল কলকাতার স্ট্র্যান্ড রোডে, শুল্ক দফতরের হেফাজতে। শুক্রবার শহরের তিন সরকারি হাসপাতালের অ্যানাটমি বিভাগের প্রধানদের ডেকে সেই খুলি-হাড়গোড় তুলে দেওয়া হল। ২০০১ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত সব মিলিয়ে ২৩টি মামলার ৩০টি মানবদেহের খুলি ও হাড়গোড় জমে ছিল শুল্ক দফতরে। সবগুলিই বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল মুর্শিদাবাদ ও বাংলাদেশের রাজশাহী সীমান্ত থেকে। শুল্ক কমিশনার পার্থ রায়চৌধুরী জানিয়েছেন, পাচারকারীরা বস্তায় ভরে খুলি ও মাথায় চাপিয়ে হাড় নিয়ে যাচ্ছিল। সে সময়ে তাদের তাড়া করে ধরা হয়। প্রতিটি ঘটনাতেই পাচারকারীরা বস্তা ভর্তি হাড়গোড় ফেলে পালিয়ে যায়। সেগুলি জমা পড়ে শুল্ক দফতরেই। পার্থবাবু জানিয়েছেন, এ দেশে পূর্ণবয়স্ক মানুষের কঙ্কালের দাম ২০ হাজার টাকা। কিন্তু, বাংলাদেশে তা ৫০ হাজারে বিক্রি হয়। তাঁর সন্দেহ, কবর থেকে তুলে বা শ্মশান থেকে জোগাড় করে ওই কঙ্কাল পাচার করা হচ্ছিল। তবে, এ দিন ওই হাড়গোড় নিতে আসা কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, নীলরতন সরকার এবং এসএসকেএমের তিন চিকিৎসক শর্মিলা পাল, করবী বড়াল এবং আশিস ঘোষাল জানিয়েছেন, বাজেয়াপ্ত হওয়া ওই হাড়গোড় রাসায়নিক

আদালত চত্বরে প্রহৃত তরুণী, মার শাশুড়িকে

Image
বিচারপ্রার্থী ও আইনজীবীদের ভিড়ে তখন ভর্তি আদালত চত্বর। হঠাৎই ১০-১৫ জন এসে বছর আঠেরোর এক তরুণীকে মারধর করতে শুরু করলেন। তরুণীকে বাঁচাতে গিয়ে মার খেলেন তাঁর শাশুড়ি ও ননদ। এরই মধ্যে মেয়েটির শাশুড়ির গলায় ব্লেড জাতীয় কিছু দিয়ে আঘাত করার অভিযোগ উঠল। কোনও সিনেমার দৃশ্য নয়। শুক্রবার দুপুরে এই ঘটনার সাক্ষী রইল আলিপুর জাজেস কোর্ট চত্বর। পুলিশ সূত্রের খবর, বিষ্ণুপুরের দৌলতাবাদের বাসিন্দা দীপিকা সর্দার এ দিন বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ ওই আদালতের এক আইনজীবী গোপাল হালদারের সেরেস্তায় অপেক্ষা করছিলেন। সঙ্গে ছিলেন তাঁর মেয়ে ও পুত্রবধূ জেসমিনা। দীপিকার অভিযোগ, আচমকাই জনা পনেরো যুবককে নিয়ে সেখানে হাজির হন জেসমিনার বাবা। তাঁরা এসেই মেয়েকে সকলের সামনে মারধর করতে শুরু করেন। দীপিকা আরও অভিযোগ করেছেন, জেসমিনাকে বাঁচাতে গেলে তাঁকে ও তাঁর মেয়েকেও মারধর-শ্লীলতাহানি করা হয়। এরই মধ্যে কেউ তাঁর গলায় ধারালো কিছু দিয়ে আঘাত করে। ভরা আদালত চত্বরে এই দৃশ্য দেখে ছুটে আসেন সেরেস্তায় থাকা আইনজীবী ও আশপাশের সেরেস্তার আইনজীবীরা। তখনই হামলাকারীরা পালাতে চেষ্টা করে। সে সময়েই মেহবুব শেখ এবং শামিম নামে দু'জনকে হাতেনাতে

ঘুষ-কাণ্ডে জড়ালেন যোগীর মুখ্যসচিব

Image
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের মুখ্যসচিব এস পি গয়াল এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ২৫ লক্ষ টাকা ঘুষ চেয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে লখনউয়ের সচিবালয়ে। ঘুষ নেওয়ার অভিযোগটি পৌঁছেছে প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ে। কেন্দ্রের চাপে পড়ে যোগী সরকারকে তদন্তের নির্দেশ দিতে হয়েছে এ নিয়ে। অভিযোগকারীকেও আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। কারণ, রাজ্য বিজেপির অভিযোগ, দলের বিভিন্ন নেতার 'লেটারহেড' জাল করে আমলাদের ভয় দেখাচ্ছিলেন ওই ব্যবসায়ী। উত্তরপ্রদেশের হরদোই এলাকার বাসিন্দা অভিষেক গুপ্ত গত ২৮ এপ্রিল রাজ্যপাল রাম নায়েককে ইমেল করে জানান, তিনি সান্দিলা ব্লকে একটি পেট্রোল পাম্প গড়ছেন। কিন্তু জমি কম পড়ে যাওয়ায় বাড়তি জমির জন্য তিনি মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্যসচিব এস পি গয়ালের কাছে আবেদন করেন। অভিষেকের অভিযোগ, এর জন্য ২৫ লক্ষ টাকা ঘুষ চান গয়াল। অভিষেক দিতে রাজি না হওয়ায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে পাম্প তৈরির কাজ। অভিযোগ পাওয়ামাত্র রাজ্যপাল তা তদন্ত করে দেখার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয়ে পাঠিয়ে দেন। বিষয়টি মাসখানেকরে উপরে বিষয়টি চাপা থাকলেও, দিন দু'য়েক আগে তা সংবাদমাধ্যমে ফাঁস হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত প্র

কঠিন অসুখ আর চরম দারিদ্রকে হারিয়ে ৭০% বাঁকুড়ার আশিসের

Image
সকাল সকাল দুটো হরলিক্স বিস্কুট খেয়ে বাড়ির দাওয়ায় বসে রয়েছে ছেলেটা। একটু চিন্তাও হচ্ছে। বন্ধুরা হাঁক দিয়ে গিয়েছে, 'ইশকুলপানে চল, রেজাল্ট আছে বটে' বলে। ঘুম থেকে উঠেই ওর মা পাশের বাড়িতে চলে গিয়েছে। কাকুদের গোয়ালটা একটু পরিষ্কার করে দিলে ওরা কিছু টাকা দেবে আশিসের মাকে। তবে আগে স্কুলে গিয়ে রেজাল্ট জানতে হবে। মা ফিরলে বাবা-মা আর ও একসঙ্গে খেতে বসবে। পান্তাভাত আর পোস্তবাটা। রোজ দু'বেলা খাবার জোটে এমনটা তো নয়। তবে আজকের ইঞ্জেকশনটা নিজে নিয়ে নিয়েছে। গায়ে একটু জোর পেলেই স্কুলে যাবে ও। বুধবার আবার কলকাতা যাওয়া। কলেজের খোঁজে? না, ঠিক তা নয়। গত দশ বছর ধরে নিয়মিত প্রায় ১৮ হাজার টাকার ইঞ্জেকশন নিতে হয় আশিস কারককে। দিনে দুটো 'ফ্যাক্টর ৮' ইঞ্জেকশন। এক একটার দাম ৯ হাজার টাকা। কারণ, ডাক্তারি পরিভাষায় 'সিভিয়ার হিমোফিলিয়া'-তে আক্রান্ত আশিস। বয়স ১৮। বাঁকুড়ার ইন্দাসের প্রত্যন্ত গ্রামের বাসিন্দা আশিস এ বার উচ্চমাধ্যমিকে ৭০.৬ শতাংশ নম্বর পেয়েছে। লেটার পেয়েছে দর্শন ও সংস্কৃতে। রাজখামার হাইস্কুলের এই ছাত্রের জন্য গর্বিত শিক্ষকরাও। এক দিকে চরম দারিদ্র্য, অন্য দিকে মারণ অসু

৪২২ কোটির বদলে ১ কোটি!

Image
পুরসভার পাওনা ৪২২ কোটি টাকা সম্পত্তি কর এক কোটি টাকায় রফা করে নেওয়ার উদ্যোগ আটকে গেল। অভিযোগ, কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে ওই বিপুল পরিমাণ টাকা প্রাপ্য থাকা সত্ত্বেও পুরবোর্ডের এক শীর্ষকর্তা এই ভাবে রফার সূত্র দিয়েছেন। তবে সবটাই হয়েছে মৌখিক আলোচনার ভিত্তিতে। বন্দর কর্তৃপক্ষ সেই মতো এক কোটি টাকার চেক পাঠিয়েও দিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত পুর অফিসারদের একাংশের তৎপরতায় বিষয়টি সামনে আসে এবং শোরগোল পড়ে। বন্দরের কাছে বকেয়া পাওনা নিয়ে কেন এমন হল, সে প্রশ্নে মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় নিরুত্তর। এই ধরনের 'রফা' যে গ্রহণযোগ্য হবে না, তার ইঙ্গিত দিয়ে পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, বন্দরের কাছে পুরসভার বকেয়া পাওনার বিষয়টি রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে তোলা হবে। আর বন্দরের ডেপুটি চেয়ারম্যান এস বালাজি অরুণকুমারের বক্তব্য, ''বন্দর ও পুর প্রশাসনের বৈঠকের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতেই এক কোটি টাকা পাঠানো হয়।'' পুরসভা সূত্রের খবর, কলকাতায় বন্দর কর্তৃপক্ষের অনেক জমি রয়েছে। যা অন্যদের লিজ দিয়ে কর্তৃপক্ষ প্রচুর টাকা আয় করেন। জমির লিজ ভাড়ার সঙ্গে পুরসভার প্রাপ্য সম্পত্তি করও