Posts

Showing posts from September 27, 2018

একই সঙ্গে বিয়ে আর যৌন স্বাধীনতা, এই দুয়ের প্র্যাকটিস কি সম্ভব?

Image
সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ একটা যুগান্তকারী রায় দিয়েছে। পরকীয়া অপরাধ নয়। পরকীয়া করার জন্য কারও জেল হতে পারে না। কিন্তু পরকীয়া ডিভোর্সের গ্রাউন্ড হতে পারে। অর্থাৎ, পরকীয়ার অভিযোগ এনে স্বামী বা স্ত্রী ডিভোর্স চেয়ে দেওয়ানি বিধিতে আইনত মামলা করতে পারেন। এই অবধি রায়টা চমৎকার ছিল। তারপরই কেমন একটা দিকভ্রান্ত হয়ে গেল রায়ের বয়ান। বিচারপতিরা বললেন, বিয়েতে স্ত্রী স্বামীর সম্পত্তি নয়। স্বামীও স্ত্রীর সম্পত্তি নয়। চাইলে বিয়ের বাইরে নারী, পুরুষ অন্য কারও সঙ্গে প্রেম ও যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতে পারে। কোর্ট আরও বললেন যে, স্ত্রীর সতীত্বের বিষয়টা নাকি এদেশের ব্রিটিশ মূল্যবোধ, ভিক্টোরিয়ান নীতিবাগিশতা। অর্থাৎ বাইরের আমদানি। ভারতীয় মূল্যবোধ এর থেকে আলাদা? রায়ের এই জায়গাটা একটা বোম ফাটার মতো মনে হয়েছে। ভারতীয় মূল্যবোধ পরকীয়াকে অনৈতিক মনে করেনি প্রি-কলোনিয়াল পিরিয়ডে? ব্যভিচার মনে করেনি? ইতিহাস তো তাই বলে না। সাহিত্য তাই বলে না। ভারতীয় জীবনের ডকুমেন্টশন তো তাই বলে না? বিয়ে একটা ইনস্টিটিউশন। এবং পৃথিবীর সমস্ত সভ্যতায় বিয়ের একটা অলিখিত, কিন্তু মূল শর্ত হল স্বামী বা স্ত্রীর একে অন্যের প্রতি যৌ

বিশ্বজয়ীর খেতাবে ভূষিত হলেন নরেন্দ্র মোদী

Image
বিশ্বজয়ীর খেতাবে ভূষিত হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। চলতি বছরের জন্য এই খেতাব দিচ্ছে রাষ্ট্রসঙ্ঘ। মোদীর সঙ্গেই এই পুরস্কার পাচ্ছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোন। 'চ্যাম্পিয়ন্স অফ দি আর্থ'— সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী এটি রাষ্ট্রসঙ্ঘের পরিবেশ বিষয়ক সর্বোচ্চ পুরস্কার। মোদী এবং ম্যাক্রোন— দু'জনেই 'ইন্টারন্যাশনাল সোলার অ্যালায়েন্স' বা আন্তর্জাতিক সৌর জোটের বিষয়টি ছড়িয়ে দিতে পথপ্রদর্শকের ভূমিকা নিয়েছেন, এমনটাই জানানো হয়েছে রাষ্ট্রসঙ্ঘের এই পরিবেশ বিষয়ক প্রোগ্রাম বা ইউএনইপি-র তরফ থেকে। ফরাসি প্রেসিডেন্টের ক্ষেত্রে পরিবেশের জন্য বিশ্বজনীন চুক্তি এবং নরেন্দ্র মোদীর ক্ষেত্রে ২০২২-এর মধ্যে এককালীন ব্যবহারের প্লাস্টিক দূর করার অঙ্গীকার এই স্বীকৃতিতে বিশেষ ভূমিকা নিয়েছে। নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রসঙ্ঘের ৭৩তম সাধারণ সভার সঙ্গেই 'চ্যাম্পিয়ন্স অফ দি আর্থ গালা' অনুষ্ঠানে এই খেতাব প্রদান করা হবে বলে জানা গিয়েছে।

স্বামী কখনই স্ত্রীর প্রভু নয়, রায় সুপ্রিম কোর্টের

Image
নয়াদিল্লি: সুপ্রিম কোর্টের যুগান্তকারী এক রায়ে একটি ক্ষেত্রে পরিষ্কার হয়েছে প্রতিটি মানুষের বাঁচার অধিকার আছে সমান সমান ৷ প্রচলিত একটি কথা আছে প্রেমহীন সংসার যত সুখেরই হোক না কেন তা সত্যিকারের ঘর সংসার হতে পারেনা ৷ সেই রায়কেই কার্যত মান্যতা দিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত ৷ আজ শীর্ষ বিচারপতি দীপক মিশ্রর নেতৃত্বে ডিভিশন্যাল বেঞ্চ এই রায় দান করেছে ৷ এর আগে পরকীয়ার সর্বোচ্চ শাস্তি ছিল পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড অথবা জরিমানা বা দুইই হতে পারে ৷ সংবিধানের ৪৯৭ ধারা মহিলার মান সম্মান ক্ষুণ্ন নিয়ে মাথা উঁচু করে বাঁচার অধিকার আছে ৷ গৃহপালিত পশুর মত নয়, মানুষের মত ব্যবহার করা হোক তাঁদের সঙ্গে ৷ ৪৯৭ প্রতিটি মহিলাকে তাঁদের স্বামীর কাছে উপভোগ্য পণ্যে পরিণত করেছে ৷ আজ থেকে আর মহিলারা উপভোগ্য পণ্য নয় বা স্বামীরাও তাঁদের প্রভু নয় ৷ তাঁরা মাথা উঁচু করে বাঁচবেন ৷ নারীর খর্ব করা মৌলিক অধিকার ফিরে পাবে বলেই মনে করা হচ্ছে ৷ কোনও মানুষের বাঁচার বা মৌলিক অধিকার খর্ব করার অধিকার কারোর নেই ৷ আজকের এই যুগান্তকারী রায়ের মাধ্যমে নারীরা নিজের পছন্দের কথা স্বগর্বে বলতে পারবে ৷ তাঁদের কণ্ঠরোধ করার আর কেউ থাকবে

নমাজের জন্য মসজিদ অত্যাবশ্যক নয়, রায় সর্বোচ্চ আদালতের

Image
নমাজ নিয়ে ১৯৯৪ সালের রায়কে বৃহত্তর বেঞ্চে পাঠানোর আর্জি খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। জানিয়ে দিল, নমাজ পড়ার জন্য মসজিদ অত্যাবশ্যক নয়। যে কোনও জায়গাতেই নমাজ পাঠ করা যেতে পারে। অর্থাৎ ২৪ বছর আগের রায়কেই বহাল রাখল শীর্ষ আদালত। এই রায়ের প্রভাব মূল অযোধ্যা মামলায় পড়বে না বলেও জানিয়ে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ। এ দিন রায়ে শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, ভারতের সংস্কৃতি মহান। দেশে সব ধর্মই সমান। কোনও ধর্মকেই আলাদা গুরুত্ব দেওয়া যায় না। প্রতিটি ধর্মেই উপাসনাস্থল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সরকারি কাজে যদি কোনও উপাসনাস্থলের জমি অধিগ্রহণ করতে হয়, তা কখনও বাধা হতে পারে না। ১৯৯৪ সালের রায়েও এ কথা বলা হয়েছিল। সেই সময় পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ যে রায় দিয়েছিল, তাকে চ্যালেঞ্জ করে বৃহত্তর বেঞ্চে পাঠনোর আর্জি জানিয়েছিল  মুসলিমদের কয়েকটি সংগঠন। কিন্তু বৃহস্পতিবারের রায়ে সেই আর্জি খারিজ করে শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, রায় পুনর্বিবেচনার জন্য বৃহত্তর বেঞ্চে পাঠালে অযোধ্যার মূল মামলার শুনানি ও রায়দান আরও পিছিয়ে যেতে পারে। ওই মামলার শুনানি শুরু হচ্ছে আগামী ২৯ অক্টোবর থেকে।

খাস কলকাতায় কল সেন্টার খুলে রমরমিয়ে চলছিল মাদক কারবার

Image
কলকাতা:  কলকাতায় অভিনব কায়দায় মাদক পাচার। নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর জালে ৩। প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডের কাছে কারবার।কল সেন্টার খুলে মাদক কারবার।ইন্টারনেট ফার্মেসির মাধ্যমে মাদক পাচার।আমেরিকা-সহ নানা দেশে মাদক পাচার।ক্যুরিয়রের মাধ্যমে মাদক পাচারের অভিযোগ।কল সেন্টারটি সিল করা হয়েছে। এর আগে মুর্শিদাবাদের নওদায় চিনা মাদক কারবারিদের ডেরায় অভিযান চালায় সিআইডি । নামেই চারকোল তৈরির কারখানা। নওদার মধুপুরে পাঁচিল দিয়ে ঘেরা জমি। গেটের বাইরে লেখা বিচারক। তা দেখেই কেউ আর ভিতরে ঢোকার সাহস পেত না। ভিতরে ঝাঁ-চকচকে ঘর। তিনটি ঘরের দুপাশে দুটো রান্নাঘর। মুর্শিদাবাদের এই প্রত্যন্ত অঞ্চলেও তিন ঘরেই এসি ও এক্সজস্ট বসানো। কোনও জানলা নেই। অর্থাৎ ঘরে কী হচ্ছে, তা বাইরে থেকে ধরা পড়ার কোনও সম্ভাবনাই নেই। এই ঘরেই বেশ কিছুদিন ধরে থাকছিল চিনা মাদক কারবারিরা।

কয়েক কোটি মানুষের দারিদ্র দূর করেছে ভারত, প্রশংসায় পঞ্চমুখ ট্রাম্প

Image
রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় বক্তৃতা দিতে গিয়ে ভারতের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার ৭৩তম অধিবেশনে ট্রাম্প বলেন, ভারতের শত কোটির বেশি মানুষ বাস করেন একটি 'মুক্ত' সমাজ ব্যবস্থায়। কিন্তু ভারতের সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব যে কোটি কোটি নাগরিককে দারিদ্রসীমার উপরে নিয়ে যেতে পেরেছে। তাদের ভারতীয় আর্থিক মাপকাঠিতে মধ্যবিত্ত শ্রেণিতে তুলে আনতে পেরেছে। কোটি কোটি মানুষের দারিদ্র দূর করতে পেরেছে। এটা বিরাট কৃতিত্বের বইকি।   ট্রাম্পের এই প্রশংসার পিছনে রয়েছে রাষ্ট্রসংঘের একটি রিপোর্ট। সেখানে বলা হয়েছে, গত দশ বছরে ভারতে কোটি কোটি মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন হয়েছে। নানা সরকারি প্রকল্পের সুবিধে পেয়ে ২৭ কোটি ১০ লক্ষ ভারতীয় নাগরিক দারিদ্রসীমার উপরে নিম্নমধ্যবিত্ত বা মধ্যবিত্ত শ্রেণিতে উন্নীত হয়েছেন। গত পাঁচ বছরে এই চোখে পড়ার মতো উন্নতি ঘটেছে। এর ফলে ভারতে দারিদ্রসীমার নিচে বাস করা মানুষের শতকরা হার ৫৫ শতাংশ থেকে এক ধাক্কায় ২৮ শতাংশে নেমে গিয়েছে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এভাবেই রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্টকে হাতিয়ার করে ঘুরিয়ে মোদি সরকারের প্রশংসায় সরব হয়েছেন ট্রাম্

শহরে ইন্টারনেট মাদক পাচার চক্রের হদিশ

Image
কলকাতা: মাদক পাচারের এক অভিনব চক্রের হদিশ মিলল৷ হদিশ পেল নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো৷ কলকাতার গরফা থানা এলাকা থেকে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷ এনসিবির সূত্রে জানা গিয়েছে, এরা ইন্টারনেট ফার্মেসি চক্রের সঙ্গে জড়িত ছিল৷ মাদক পাচারের এটা একটা অভিনব চক্র৷ ফলে ধৃতদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যতে কার্যত হতবাক তদন্তকারীরা৷ তদন্তকারীদের সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, এই চক্রটি মূলত কল সেন্টার, ক্যুরিয়র ও অ্যাপের মাধ্যমে চালানো হত৷ এভাবেই যোগাযোগ করা হত বিদেশি গ্রাহকদের কাছে৷ এর পর নিষিদ্ধ ওষুধ অনলাইনে বিক্রি করা হত তাদের কাছে৷ তার পর তা ক্যুরিয়র মারফত পৌঁছে দেওয়া হত গ্রাহকের কাছে৷ তদন্তকারীদের অনুমান, যে ক্যুরিয়র সংস্থার মাধ্যমে ওষুধ পাঠানো হত, তাদেরও কয়েকজন এই পাচার চক্রে জড়িত৷ ওই কর্মীদের চিহ্নিত করার কাজ চলছে বলে জানা গিয়েছে এনসিবির সূত্রে৷ পাশাপাশি ধৃত তিনজনকে জেরা করে এই পাচারচক্র সম্বন্ধে আরও তথ্য পেতে চাইছে পুলিশ ও এনসিবি৷ কারণ, তাদের ধারণা এই চক্রের পিছনে আরও বড় কোনও মাথা রয়েছে৷ এর আগে মাদক পাচারের বহু ঘটনা সামনে এসেছে৷ বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মাদক পাচার চক্রে জড়িত সন্দেহে অনেককে গ

পরকীয়া অপরাধ নয়, ৪৯৭ ধারা অসাংবিধানিক, রায় সুপ্রিম কোর্টের

Image
পরকীয়া ফৌজদারি অপরাধ নয়, রায় সুপ্রিম কোর্টের। পরকীয়া ফৌজদারি অপরাধ নয়। ইংরেজ শাসনকালে তৈরি এই আইনের ৪৯৭ ধারা অসাংবিধানিক। রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রর নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, এই আইন স্বেচ্ছাচারিতার নামান্তর। মহিলাদের স্বাতন্ত্র্য খর্ব করে। স্বামী কখনই স্ত্রীর প্রভূ বা মালিক হতে পারেন না। ব্রিটিশদের তৈরি করা ১৮৬০ সালের আইনকে চ্যালেঞ্জ করে একটি মামলার প্রেক্ষিতেই বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালতের এই রায়। রায়ের পর আবেদনকারীর আইনজীবী রাজ কালিশ্বরম বলেন, ''এই রায় ঐতিহাসিক। আমি খুশি।'' ১৮৬০ সালে তৈরি ওই আইনের ৪৯৭ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, কোনও ব্যক্তি কোনও মহিলার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক করলে এবং ওই মহিলার স্বামীর অনুমতি না থাকলে পাঁচ বছর পর্যন্ত জেল এবং জরিমানা বা উভয়ই হতে পারে। এই আইনের সাংবিধানিক বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০১৭ সালে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেন জনৈক যোশেফ শাইন। ৪৯৭ ধারাকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করে রায়দানের সময় প্রধান বিচারপতি মন্তব্য করেন, ''এই আইন জোর করে চাপিয়ে দেওয়া এবং স্বেচ্ছাচারিতার সমান। এখন এটা বলার সময় হয়

মমতার নির্দেশ মেনেছিল মাওবাদীরা! বিস্ফোরক মুকুল রায়

Image
সিপিএমকে ক্ষমতা থেকে হঠাতে শুধু মাওবাদীদের সাহায্য নেওয়াই নয়, তাদের পরামর্শও দিতেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনটাই অভিযোগ করলেন একসময়ের তৃণমূলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তথা বর্তমানে বিজেপি নেতা মুকুল রায়। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এপ্রসঙ্গে নন্দীগ্রামে রাস্তা কাটার প্রসঙ্গ উল্লেখ করেছেন মুকুল রায়। একদিকে যখন, তৃণমূল নেতা শুভেন্দু অধিকারী ইসলামপুরের সভা থেকে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সিপিএমকে নন্দীগ্রাম, জঙ্গলমহল থেকে সাফাই করার দাবি করছেন, ঠিক তখনই মুকুল রায়ের বক্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। মুকুল রায় বলেছেন, নন্দীগ্রাম, জঙ্গলমহলে সিপিএম-এর সঙ্গে এঁটে উঠতে না পেরে মাওবাদীদের সাহায্য নিয়েছিল তৃণমূল। পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশও তারা কার্যকর করেছিল বলে দাবি। রাজ্যে ক্ষমতায় আসার আগে মাওবাদীদের সাহায্য নিয়েছে তৃণমূল, এ অভিযোগ বারবার করেছে সিপিএম। মাওবাদী নেতা কিষেণজি নিজে জানিয়েছিলেন, তারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর আসনে দেখতে চান। যদিও, ক্ষমতায় আসার কিছু দিনের মধ্যে সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশের গুলিতেই মৃত্যু হয়েছিল কিষেণজির। তৃণমূল মাও

বিশ্বের বৃহত্তম পাখির শিরোপা পেল ‘টাইটান’

Image
এক শতকের দীর্ঘ ফরাসি-ব্রিটিশ 'পাখির লড়াই' থামল অবশেষে। হাজার বছর আগের কথা। সাভানা ও মাদাগাস্কারের বৃষ্টিঅরণ্যে তখনও দেখা মিলত বিশালাকার পাখি 'এলিফ্যান্ট বার্ড' বা 'অ্যাপিওরনিস ম্যাক্সিমাস'-এর। ছ'কোটি বছরের বাস ছিল তাদের। কিন্তু মানুষের শিকার হতে হতে এক সময় নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় নিরীহ পাখিটি। এরা আকারেই বড় ছিল, কিন্তু লড়তে জানতে না। ফরাসি বিজ্ঞানীদের দাবি ছিল, এটিই প়ৃথিবীর সব চেয়ে বড় পাখি। যদিও ১৮৯৪ সালেই ব্রিটিশ বিজ্ঞানীরা দাবি করেছিলেন 'অ্যাপিওরনিস ম্যাক্সিমাস'-এর থেকে বড় ছিল 'অ্যাপিওরনিস টাইটান'। বিজ্ঞানী সি ডব্লিউ অ্যান্ড্রুর দাবি ছিল, সেটিই সব চেয়ে বড় পাখি। কিন্তু ফরাসি প্রতিপক্ষরা বলতে থাকেন, একটু বড়সড় চেহারার 'ম্যাক্সিমাস'কেই নতুন নাম দিয়ে 'টাইটান' বলা হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে এই নিয়ে বিতর্ক চলতে থাকে। সেই সঙ্গে পাখিটির কঙ্কাল, ডিমের জীবাশ্ম সংগ্রহ করে চলতে থাকে গবেষণাও। বুধবার ব্রিটিশ বিজ্ঞানীরা দাবি করলেন, এলিফ্যান্ট বার্ড-এর অন্য একটি প্রজাতি আকারে আরও বড় ছিল। সেটির ওজন ছিল প্রায় ৮৬০ কিলোগ্রাম, প্রায় একটা জিরাফের সমা

বনধে দোকান খোলার ‘অপরাধ’-এ খুন তৃণমূল কর্মী, কাঠগড়ায় বিজেপি

Image
খড়গপুর: বিজেপির ডাকা ১২ ঘণ্টার বাংলা বনধে অশান্তির মধ্যে খুন তৃণমূল কর্মী। বুধবার বনধ উপেক্ষা করে দোকান খোলা রাখায় পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়িতে ওই ব্যবসায়ীকে গুলি করে খুন করা হয়। তিনি আবার এলাকায় সক্রিয় তৃণমূল কর্মী হিসাবে পরিচিত। এই খুনের ঘটনায় জেলায় বিজেপি-তৃণমূল চাপানউতোর শুরু। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বুধবার বনধ উপেক্ষা করে দোকান খুলেছিলেন বিভুরঞ্জন দাস। স্থানীয় খাজরা বাজারে বিভুরঞ্জনের পানের দোকান ছিল। দোকান খোলায় বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা তাঁকে চোটপাট করে বলে অভিযোগ। তাদের মধ্যেই কেউ তাঁকে গুলি করে বলে অভিযোগ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ডাক্তাররা। ঘটনার তীব্র নিন্দা করা হয়েছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে। ঘটনার কথা জানতে পেরে মিলান থেকে প্রতিক্রিয়া দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মৃতের পরিবারকে আর্থিক সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। তিনি বলেন, দল পরিবারের পাশা রয়েছে। খুনের প্রতিবাদে আজ, বৃহস্পতিবার জেলার প্রতিটি ব্লকে বিক্ষোভ কর্মসূচি রয়েছে তৃণমূলের। ওই বাজারের অন্য ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, দুটি গাড়িতে করে বিজেপির লোকজন এসেছিল। দোক

পুজোয় আর্থিক সমস্যা, স্ত্রী-কন্যার গলা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা গৃহকর্তার

Image
ঘরের দরজা খোলার পর আঁতকে উঠেছিলেন পুলিশ আধিকারিকরাই। ঘরের মধ্যে থাকা দম্পতির গলার অংশ কাটা। দু'জনের গলা থেকেই বেরিয়ে আসছে ফোঁটা ফোঁটা রক্ত। ঘরের মেঝে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রক্তের দাগ। এমনকী, বারান্দায়ও রয়েছে রক্তের ছাপ। বিছানায় প্রায় অচেতন অবস্থায় শুয়ে রয়েছে দম্পতির সাত বছরের মেয়ে। তার গলাও কাটা। রক্তে ভেসে যাচ্ছে বিছানা। পুজোর আগেই আর্থিক সমস্যা। আর তা থেকেই হতাশা। তারই জেরে স্ত্রী ও নিজের শিশুকন্যার গলা কেটে খুনের চেষ্টার পর নিজের হাতের শিরা ও গলা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন বাড়ির কর্তা। এমনই অভিযোগ পুলিশের। বুধবার সকালে দক্ষিণ কলকাতার রিজেন্ট পার্ক এলাকার মুর অ্যাভিনিউয়ে ঘটল এই ঘটনা। পুলিশের সূত্র জানিয়েছে, এই ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে পুলিশ বাড়ির কর্তার বিরুদ্ধে স্ত্রী ও মেয়েকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করছে। যদিও স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রী কোনও অভিযোগের আঙুল তোলেননি। পুলিশের কাছে কোনও অভিযোগও করেননি। বরং জানা গিয়েছে, ওই গৃহবধূ পুলিশকে প্রথমে জানান, তিনি নিজেই তাঁর গলা কাটেন। তাঁরা দু'জনেই জানতেন, তাঁরা কী করতে চলেছেন। তাঁদের যদি মৃত্যু হয়, শিশুটিকে দেখার কেউ থাকবে না। স

‌সরকারের আয় বাড়াতে ফের ১৯ দ্রব্যের দাম বাড়াচ্ছে মোদি সরকার

Image
ফের মধ্যবিত্তের মাথায় হাত। আমদানি শুল্ক বাড়ানোর কথা ঘোষণা করল মোদি সরকার। যার জেরে বুধবার মধ্যরাত থেকে ১৯টি পণ্যের দাম বাড়ছে। যার জেরে টিভি, ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিন, স্পিকারের দাম দ্বিগুণ হতে চলেছে। কারণ এই সব সামগ্রির আমদানি শুল্ক প্রায় ২০ শতাংশ বাড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ১০ কেজির কম ওজনের ওয়াশিং মেশিনের আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ রাখা হচ্ছে।  ২০১৭–১৮ আর্থিক বর্ষে এইসব সামগ্রির আমদানি শুল্ক থেকে মোট ৮৬,০০০ কোটি টাকা আয় হয়েছে সরকারে। তা নাকি প্রয়োজনের তুলনায় অনেকটাই কম। অর্থাৎ সরকারি কোষাগারের ঘাটতি পূরণেই এই সব সামগ্রিতে আমদানি শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জেট এয়ারওয়েসের জ্বিলানির আমদানি শুল্ক পাঁচ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে।  শুধু টিভি, ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিন নয়। আমদানি শুল্ক বাড়ানো হয়েছে বিমানের জ্বালানিরও। যার জেরে দামি হতে চলেছে বিমান সফরও। ৫০ শতাংশ আমদানি শুল্ক বাড়ানো হয়েছে স্পিকার, রেডিয়াল কার টায়ার, ট্রাঙ্ক অথবা সুটকেস, ট্রাভেল ব্যাগের। এমনকী শাওয়ার, হাত ধোয়ার বেসিন, রান্নাঘরের সিঙ্ক, কাপ–প্লেট–চামচ সহ রান্নাঘরের একাধিক প্রয়োজনীয় সামগ্রির আমদানি শুল্কও দ্বিগুণ করা হয়েছে। উৎসবের ম

অটোমেটিক স্নাইপার রাইফেল তৈরি করল ইছাপুর রাইফেল ফ্যাক্টারি

Image
বারাকপুর: দেশের নিরপত্তার স্বার্থে কারখানার আধুনিকীকরণের উদ্দেশ্যে অত্যাধুনিক ৭.৬২ এমএম অটোমেটিক স্নাইপার রাইফেল তৈরি করল ইছাপুর রাইফেল ফ্যাক্টারি৷ অস্ত্র পাচার কাণ্ডের পর এই কারখানায় তৈরি করা হয়েছে অতিরিক্ত নিরাপত্তাবলয়৷ বুধবার বনধের দিন ইছাপুর রাইফেল ফ্যাক্টরি কর্তৃপক্ষের ১১৫ তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে একটি সাংবাদিক বৈঠকের আয়োজন করা হয়৷ সেখানেই এই কথা জানালেন ইছাপুর রাইফেল ফ্যাক্টরির নতুন জেনারেল ম্যানেজার ডি মহাপাত্র। যদিও রাইফেল ফ্যাক্টরিতে নির্মিত নতুন এই অত্যাধুনিক বড় কার্তুজের স্নাইপার রাইফেল এখনও বাজারে আসেনি। অত্যাধুনিক এই অটোমেটিক স্নাইপার রাইফেল ভারতীয় সেনা বাহিনীর জওয়ানরা ব্যবহার করবে৷ বর্তমানে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ভারতীয় সেনা জওয়ানরা বা বিএসএফ জওয়ানরা এখন ৫.৫৬ বোরের অটোমেটিক ইনসাস রাইফেল ব্যবহার করেন৷ কিন্তু ৭.৬২ বোরের নতুন অটোমেটিক স্নাইপার রাইফেল তৈরি করে ইছাপুর রাইফেল ফ্যাক্টরি কর্তৃপক্ষ নিজেদের কর্মদক্ষতার আত্মপ্রকাশ ঘটলো। বর্তমানে ইছাপুর রাইফেল ফ্যাক্টরি কর্তৃপক্ষ চলতি বছরে ১০০ টি অত্যাধুনিক ৭.৬২ এমএম x ৫১ এমএম বোরের নতুন স্নাইপার রাইফেল তৈরি করেছে। সেই স্নাইপার রাইফেলে

জলপাইগুড়িতে গণধর্ষণের শিকার তরুণী, গ্রেফতার দুই

Image
জলপাইগুড়ি: দিদির বাড়ি যাওয়ার পথে গণধর্ষণের শিকার হয় এক তরুণী৷ ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে দুই যুবককে৷ ধৃতদের নাম মদন দাস ও বিশ্বজিৎ রায়৷ তবে পলাতক এই কাণ্ডের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা আরও তিন যুবক৷ তাদের নাম বিশু দাস, হীরা রায় ও সুব্রত রায়৷ এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির কোতোয়ালি থানা এলাকার সন্ন্যাসী হাট এলাকায়৷ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের কুকুরজান এলাকার এক তরুণী (১৯) বাড়ি থেকে দিদির বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে বেরোয়৷ দিদির বাড়ি জহুরি এলাকায় হওয়াতে সাইকেলে নিয়ে একাই রওনা দেয় সে৷ তবে প্রায় দিনই ওই পথেই দিদির বাড়ি গিয়ে থাকে ওই তরুণী৷ এদিন গভীর রাত না হলেও সন্ধ্যের পর ওই তরুণী বাড়ি থেকে রওনা দেয়৷ অভিযোগ, সেই সময় নির্জন জায়গায় ওই তরুণীকে নিয়ে যায় বেশ কয়েকজন যুবক৷ এরপর সকলে মিলে তাকে গণধর্ষণ করে৷ ওই তরুণীর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়৷ অভিযোগ পত্রে জানানো হয়, ওই তরুণী নির্জন পথে সাইকেল চালিয়ে যাওয়ার সময় কোতোয়ালি থানায় অধীনে সন্ন্যাসী হাট এলাকায় তাঁর পথ আটকে দাঁড়ায় দুই যুবক৷ তারা গ্রেফতার হওয়া মদন দাস ও বিশ্বজিৎ রায়৷ তা

রাতারাতি ১৯টি পণ্যের শুল্ক বাড়াল কেন্দ্র, মধ্যরাত থেকে কোন জিনিসের দাম বাড়ল জানুন একনজরে

Image
আমদানি নির্ভরতা কমাতে ও ঘাটতি ঢাকতে বিভিন্ন পণ্যের উপরে শুল্ক বাড়াল কেন্দ্র সরকার। সবমিলিয়ে মোট ১৯টি পণ্যের উপরে অতিরিক্ত শুল্ক চাপানো হয়েছে। বেশিরভাগ পণ্যেই ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে তা ২০ শতাংশ করা হয়েছে। এর ফলে আমদানিতে যেমন কিছুটা রাশা টানা যাবে, তেমনই কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ডেফিসিট বা আর্থিক ঘাটতিও কিছুটা দূর হবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। ২৬ সেপ্টেম্বর মধ্যরাত অর্থাৎ ২৭ সেপ্টেম্বর থেকেই এই দাম কার্যকর হবে। যে পণ্যগুলির দাম বাড়ানো হয়েছে তার আমদানিকৃত মূল্য ৮৬ হাজার কোটি টাকা বলে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে। দেখে নেওয়া যাক কোন কোন জিনিসের শুল্ক বেড়েছে। এসি, ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিন (১০ কেজির নিচে) এসি-ফ্রিজের কমপ্রেসর, স্পিকার, জুতো, রেডিয়াল কার টায়ার নন ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডায়মন্ড, ডায়মন্ড (সেমি প্রসেসড), ল্যাবে তৈরি ডায়মন্ড কাটা ও পালিশ করা রত্ন গয়নার সামগ্রী, দামী ধাতু সোনা ও রুপোর জল করা জিনিস শাওয়ার বাথ, সিঙ্ক, ওয়াশ বেসিন প্লাস্টিকের বক্স, কেস, কন্টেনার, বোতল, ইনসুলেটেড ওয়্যার টেবলওয়্যার, কিচেনওয়্যার, প্লাস্টিকের অন্যান্য ঘরোয়া সামগ্রী অফিসে ব্যবহার করা প্লাস্টিকের সামগ্রী, ফার্নিচার

মৃত্যু হল অ্যাসিড ‘খাওয়া’ বধূর

Image
চার দিনের লড়াই শেষে বুধবার মৃত্যু হল সিঁথির 'নির্যাতিতা' বধূ তানিয়া সামন্তের (৩০)।  অ্যাসিড 'খাওয়া'র পরে রবিবার গভীর রাতে মুকুন্দপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তানিয়াকে ভর্তি করা হয়। সেখানেই এ দিন বিকেলে মৃত্যু হয় তাঁর। মেয়ের এই পরিণতির জন্য তাঁর শ্বশুর, শাশুড়ি, স্বামী এবং ননদকে দায়ী করে ইতিমধ্যে সিঁথি থানায় অভিযোগ করেছেন মৃতার বাবা ইন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। এ দিন ইন্দ্রনাথ বলেন, ''ওরা পরিকল্পনা করে আমার মেয়েকে জোর করে অ্যাসিড খাইয়েছে।'' মৃতার স্বামী পৃথ্বীজিতের জেঠিমা চিত্রা সামন্ত এবং বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক যা জানিয়েছেন, তার ভিত্তিতেই এই অভিযোগ দায়ের করেছেন ইন্দ্রনাথ। এখনও কেন অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না, প্রশ্ন তুলেছেন মৃতার পরিজনেরা। পুলিশ জানিয়েছে, তাঁদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। এ দিন মৃতার জেঠিমা জানান, রবিবার সন্ধ্যা সাতটার কিছু পরে তানিয়ার শাশুড়ি শ্যামলী সামন্ত তাঁকে ফোন করে ৮সি, দমদম রোডের ফ্ল্যাটে আসতে বলেন। দশ মিনিটের মাথায় আবার তানিয়ার ননদ রঞ্জিতা ফোন করে চিত্রাদেবীকে তাঁদের বাড়ি আসার জন্য তাড়া দেন। চিত্রার দাবি, তিনি যখন সিঁড়

পদোন্নতিতে জারি সংরক্ষণ: সুপ্রিম কোর্ট

Image
সরকারি চাকরির পদোন্নতিতে তফসিলি জাতি-জনজাতির সংরক্ষণের জন্য কোনও শর্ত রাখল না সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত আজ জানিয়ে দিয়েছে, পদোন্নতির প্রয়োজনীয়তাকে তুলে ধরার জন্য সরকারকে কোনও তথ্যও হাজির করতে হবে না। সরকারি চাকরির পদোন্নতিতে তফসিলি জাতি-জনজাতির জন্য সংরক্ষণ আদৌ প্রয়োজন কি না, তা নিয়েই মামলা ছিল শীর্ষ আদালতে। ২০০৬ সালে, এম নাগরাজ মামলায় সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, পদোন্নতির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সরকারকে কয়েকটি শর্ত পালন করতে হবে। প্রার্থীটি আদৌ কতটা পিছিয়ে পড়া, চাকরিতে সংরক্ষিত পদের অভাব রয়েছে কি না কিংবা সামগ্রিক প্রশাসনিক দক্ষতার প্রশ্নকে নিয়ে তথ্য দিতে হবে। তার পরেই পদোন্নতির প্রশ্নে তফসিলি জাতি-জনজাতির প্রার্থীরা সংরক্ষণের সুযোগ পেতে পারবেন। কিন্তু এ দিন প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ যে রায় দিয়েছে, তাতে এখন থেকে সরকারকে আর ওই ধরনের তথ্য হাজির করাতে হবে না। শীর্ষ আদালত বলেছে, নাগরাজ মামলার রায়টি ১৯৯২ সালের ইন্দ্র সাহনি মামলায় সুপ্রিম কোর্টের ৯ সদস্যের বেঞ্চের রায়ের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। মামলাটি মণ্ডল কমিশন মামলা হিসেবে পরিচিত। ২০০৬ সালের

বাধ সাধল বন্‌ধ, স্ত্রীর দেহ পেলেন না স্বামী

Image
বন্‌ধ, ভাঙচুরের জেরে ঠিক সময়ে পৌঁছতে পারা গেল না হাসপাতালে। ফলে হাসপাতালে গিয়েও মৃত স্ত্রীর দেহ পেলেন না স্বামী। বুধবার জয়নগরের চালতাবেড়িয়ার ঘটনা। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেল, চালতাবেড়িয়ার বাসিন্দা স্বপন সর্দারের স্ত্রী এবং তিন সন্তান নিয়ে সংসার। সোমবার সকালে উনুন ধরাতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হন স্বপনের স্ত্রী প্রতিমা (৩৫)। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে হাত পুড়ে যায় স্বপনেরও। অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় প্রতিমাকে প্রথমে স্থানীয় পদ্মেরহাট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতাল এবং পরে বাঙ্গুর হাসপাতালে। বাঙ্গুরে সোমবারই মৃত্যু হয় প্রতিমার। মঙ্গলবার স্বপনের সারা দিন কেটে যায় হাসপাতাল এবং থানায় ছোটাছুটি করতে। বুধবার স্ত্রীর দেহ পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বাধ সাধল বন্‌ধ। স্বপনের এক আত্মীয় জানান, এ দিন সকালে জয়নগর থানা থেকে সমস্ত কাগজপত্র নিয়ে একটি ম্যাটাডরে করে বাঙ্গুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন স্বপন ও তাঁর কয়েকজন আত্মীয়। গোচরণের কাছে রাধাবল্লভতলায় তাঁদের পথ আটকান একদল বন্‌ধ সমর্থক। বেশ কিছুক্ষণ আটকে থাকতে হয়। তারপর একাধিক গাড়ির সঙ্গে ভাঙচুর চলে তাঁদের গাড়িতেও। অভিযোগ, স্বপনবাবুরা পরিস্থিতি জানিয়

আধার-তথ্য কতটা সুরক্ষিত, সংশয় থাকছেই

Image
আধার বাধ্যতামূলক কিনা তা নিয়ে জটিলতা কাটলেও, তথ্য সুরক্ষা নিয়ে সংশয় থেকেই গেল। কেন্দ্র আজও শীর্ষ আদালতকে আশ্বস্ত করেছে, আধারের তথ্যভাণ্ডার সুরক্ষিত। এতে সিঁদ কাটার কোনও উপায় নেই। অ্যার্টনি জেনারেল কে কে বেণুগোপালের দাবি, আধারের তথ্য ১৩ ফুট উঁচু ও পাঁচ ফুট মোটা দেওয়ালের চৌহদ্দিতে সুরক্ষিত। সরকারের সেই দাবি তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা আংশিক ভাবে মেনে নিয়ে বলছেন, মূল তথ্যভাণ্ডারের সুরক্ষা নিয়ে সমস্যা নেই। কিন্তু আধার সংক্রান্ত সার্বিক নেটওয়ার্কে কোনও ফাঁক থাকলে তথ্য ফাঁসের সম্ভবনা থেকে যায়। সে কারণেই ট্রাইয়ের চেয়ারম্যান আর এস শর্মার আধার নম্বর সর্বসমক্ষে আসে, কিংবা ঝাড়খণ্ডে আধারের ভিত্তিতে পেনশনপ্রাপকদের তালিকা হাতে হাতে ঘুরতে থাকে। জাতীয় তথ্য সুরক্ষা কাউন্সিলের অধিকর্তা বিনায়ক গডসের মতে, প্রায় প্রতিটি ব্যবস্থার কেন্দ্রস্থল সর্বদাই সুরক্ষিত থাকে। কিন্তু সেই ব্যবস্থা যখন বৃহত্তর নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত হয়, তখনই সমস্যা দেখা যায়। তাই সামগ্রিক নেটওয়ার্কটি সুরক্ষিত করা জরুরি। প্রশ্ন উঠেছে, টেলিকম ও ব্যাঙ্কের কাছে গ্রাহকদের আধার নম্বর রয়ে গেল— সেই তথ্যের ভবিষ্যত কী? এ নিয়ে আজ কোনও দিশা দেখায়নি আদ

পুরো ব্যর্থ বন্‌ধ, দাবি মমতার, তৃণমূলই সফল করে দিয়েছে, কটাক্ষ দিলীপের

Image
সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে বিজেপির ডাকা বাংলা বন্‌ধ। ইতালির মিলান থেকে এমনই দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ''বিজেপির দিন শেষ'' বলেও মন্তব্য করলেন তিনি। আর বুধবার বিকেলে কলকাতায় সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ বললেন, ''পুলিশ-তৃণমূল এক হয়ে বন্‌ধ ব্যর্থ করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু রাজ্যের সাধারণ মানুষই বন্‌ধ সফল করে দিয়েছেন।'' বিজেপির ডাকা বন্‌ধে যাতে সাড়া না পড়ে, তা যে কোনও মূল্যে সুনিশ্চিত করার নির্দেশ যে ইতালি থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই দিয়েছিলেন এবং তিনি যে প্রতি মুহূর্তে পরিস্থিতির খবর রাখছিলেন তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে তৃণমূল নেতা মদন মিত্রের কথায়। বুধবার তিনি বলেন, ''বন্‌ধের প্রভাব দেখিনি। তবে সুশাসন কাকে বলে, ইতালির মিলানে বসে যে পশ্চিমবঙ্গ চালানো যায়, সেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেখিয়ে দিলেন।'' বুধবার কলকাতা-সহ গোটা রাজ্যকে সচল রাখতে পুলিশ-প্রশাসনের প্রস্তুতি ছিল দেখার মতো। কলকাতার প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে পুলিশ-র‌্যাফ-কমব্যাট ফোর্সের উপস্থিতির বহরটা এ দিন যে রকম ছিল, তেমনটা গত বেশ কয়েকটা বন্‌ধে দেখা যায়নি। শুধ

‘নতুনদের ফাঁকা মাঠ দিয়ে রেখেছি’

Image
মাঝের ছ'বছর সিগারেট একদম ছেড়েছিলেন।  তার পর চরিত্রের প্রয়োজনে হাতে ফের সিগারেট। হেসে বললেন, ''পুরো গ্রাস করে ফেলল। এমন সব চরিত্র পাচ্ছি যে সিগারেট খেতেই হচ্ছে।'' দেড় ঘণ্টার সাক্ষাৎকারে চারটি সিগারেটকে ধোঁয়া হতে দেখা গেল... সঙ্গে প্রত্যয়ী আশ্বাস, ''ঠিক ছেড়ে দেব।'' প্র: পুজো মানেই আপনি আর সৃজিত মুখোপাধ্যায় প্যাকেজে। এ বার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আসতে কেমন লাগছে? উ: এটা ইন্টারেস্টিং ব্যাপার হয়েছে।  দুটো ছবিই বড়, দুটো নিয়েই দর্শকের আগ্রহ রয়েছে। 'জ্যেষ্ঠপুত্র' দিয়ে কৌশিকের সঙ্গে আমার হ্যাটট্রিক হতে চলেছে। ওর অভিযোগ ছিল, আমি খালি সৃজিতের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি। এখন বলছে, কাজ করার পরে বুঝতে পেরেছে কেন সৃজিত আমার সঙ্গেই খালি ছবি করে যাচ্ছিল। আমার সঙ্গে কাজের কমফর্ট জ়োনটা কৌশিকও এখন উপভোগ করছে। আমিও ওর চ্যালেঞ্জগুলো উপভোগ করছি।  প্র: এখনও পরিচালকদের ফোন করে বলেন, আপনাকে নিয়ে গল্প ভাবতে। আবার চিত্রনাট্য পছন্দ না হলে ফের লিখতেও বলেন... উ: 'জুলফিকার'-এর ট্রেলারটা অমিতাভ বচ্চনকে দেখাতে গিয়েছিলাম। সৃজিতও সঙ্গে ছিল। উনি ট্রেলার দেখার পরে সৃজিতের দি

মোবাইল-ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে আধার বাধ্যতামূলক নয়, জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট

Image
আধার ব্যবস্থা চালু রাখার পক্ষেই রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু যেখানে যেখানে আধারকে কাজে লাগিয়ে ব্যক্তিগত জীবনে নাক গলানো বা নজরদারি করা যেতে পারে, সেই রাস্তাগুলি বন্ধের চেষ্টা করল সর্বোচ্চ আদালত। আধার-এর বিরুদ্ধে সব থেকে বড় অভিযোগ ছিল, এর সাহায্যে আম নাগরিকের উপরে নজরদারি চালাতে পারে সরকার। কারণ, স্কুল-কলেজ-অফিস, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, মোবাইল— সব কিছুর সঙ্গেই আধার জুড়তে বলা হচ্ছে। কেউ কী করছেন, কোথায় যাচ্ছেন, সে সবের তথ্যভাণ্ডার তৈরি হয়ে যাচ্ছে অজান্তেই। নরেন্দ্র মোদী সরকারের আধার আইনে বলা ছিল, জাতীয় নিরাপত্তার যুক্তি দেখিয়ে তদন্তকারী সংস্থা আধার তথ্য চাইতে পারে। আজ ওই ধারাটি খারিজ করে বিচারপতিরা বলেছেন, এ ক্ষেত্রে আদালতের অনুমতি চাইতে হবে। সেখানেও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বক্তব্য শুনতে হবে। কোনও বেসরকারি সংস্থাও আধার নম্বর চাইতে পারবে না। তা সে বেসরকারি ব্যাঙ্কই হোক বা মোবাইল পরিষেবা সংস্থা। আর্থিক নয়ছয় আইন সংশোধন করে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য আধার বাধ্যতামূলক করেছিল কেন্দ্র। এটিও 'অসাংবিধানিক' বলে খারিজ করেছে কোর্ট। তবে প্যান ও আয়কর রিটার্ন ফাইলে আধার দরকার হবে। কেন্দ্রকে বলা হয়

অবরোধ-অশান্তি-আগুন, বন্‌ধে ঈষৎ থমকাল বাংলা

Image
ডালখোলায় জাতীয় সড়কে আগুন। গত কয়েক বছরের আর পাঁচটা বন্‌ধের চেয়ে বুধবারের বন্‌ধটা ধারণাতেই আলাদা ছিল। বন্‌ধ ঘিরে যে আতঙ্ক-উদ্বেগের আবহ আগের জমানায় দেখা যেত এ রাজ্যে, বেশ কয়েক বছর পরে কোনও বন্‌ধকে ঘিরে তেমন ধারণা তৈরি হয়েছিল। সকাল থেকে কোথাও রেল অবরোধ, কোথাও রাস্তা রোকোর খবর সে আবহে ইন্ধন জোগাল। ফলে সরকারি অফিস-কাছারিতে হাজিরা স্বাভাবিক থাকলেও, লোকজন রাস্তাঘাটে কিছুটা কম বেরোলেন। মোটের উপরে নির্বিঘ্নেই কাটল দিন, তবে ঈষৎ থমকেও গেল জনজীবন। বিজেপির লক্ষ্যও সম্ভবত ছিল স্বাভাবিক জনজীবনে প্রভাব ফেলা। কিন্তু কলকাতায় যে পরিমাণ পুলিশি বন্দোবস্তের নির্দেশ জারি হয়েছিল এবং তৃণমূল দল যে ভাবে পথে নামার প্রস্তুতি নিয়েছিল, তাতে রাজ্যের রাজধানীকে অচল করে দেওয়া যে সহজ হবে না, তা বিজেপি নেতৃত্ব সম্ভবত আগেই বুঝে যান। তাই সকাল থেকেই বিকল্প কৌশল নেন বিজেপি কর্মীরা। শহরতলি এবং হাওড়া, হুগলি ও দুই ২৪ পরগনার যে সব এলাকা থেকে রোজ কর্মসূত্রে হাজার হাজার লোক কলকাতায় ঢোকেন, সেই সব এলাকার ট্রেন পরিষেবা রুখে দেওয়ার পরিকল্পনা করে বিজেপি। শিয়ালদহ মেইন শাখা, বনগাঁ শাখা এবং শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার বিভিন্ন স্টেশনে দফায় দফায় র