ছ’মাস পরিচারিকা সেজে খুনের কিনারা! ‘দেশি শার্লক’ রজনীর ঝুলিতে ৮০ হাজার সমাধান
'দেশি শার্লক' রজনী পণ্ডিত। খুন হয়েছেন বাবা-ছেলে। বেঁচে আছেন একমাত্র গৃহকর্ত্রী। খুনের কোনও সূত্রই পেল না পুলিশ। কিছুদিন পর কাজে যোগ দিলেন এক সর্বক্ষণের পরিচারিকা। দুই মহিলা মিলে ভালই চলছিল। আচমকাই একদিন নিঃশব্দ ঘরে পরিচারিকার শরীরে লুকনো ক্যাসেট রেকর্ডারের শব্দ। তারপর... পুলিশ-গোয়েন্দা যা পারেননি, রোমহর্ষক সেই খুনের ঘটনার কিনারা করেন ওই পরিচারিকা। পরিচারিকার ছদ্মবেশ ধরে ছ'মাস কাজ করেছিলেন ওই বাড়িতে। তিনি আসলে দেশের প্রথম মহিলা প্রাইভেট গোয়েন্দা। মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা বছর পঞ্চাশের রজনী পণ্ডিত। যিনি নিজেকে 'দেশি শার্লক'বলতেই বেশি পছন্দ করেন। সম্প্রতি ফেসবুকের একটি পেজ-এ নিজের জীবন কাহিনী শেয়ার করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় যা ঝড় তুলেছে। ছোট-বড় মিলিয়ে সমাধান করেছেন প্রায় ৮০ হাজার কেস। ২২ বছর বয়সেই কলেজ পড়ুয়া রজনী সমাধান করেছিলেন এক চুরির রহস্যের। তিনি লিখেছেন, স্নাতকস্তরে পড়ার সময় একটি সংস্থায় পার্ট টাইম করণিকের কাজ করতেন। সেখানে তাঁর এক সহকর্মীর বাড়িতে হামেশাই চুরি হত। তাঁর সন্দেহ ছিল নতুন পুত্রবধূর উপর। কিন্তু প্রমাণ পাচ্ছিলেন না। রজনীর বাবা ছিলেন সিআইডি অফিস