মাদকরানির কাছ থেকে শহরে কারা কিনত মাদক, তদন্তে লালবাজার


কলকাতা: শহরে মাদক পাচারের অভিযোগে এক নাইজেরিয়ান মহিলাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷ ধৃত মহিলাকে জেরা করে শহরের সব থেকে বড় ক্রেতাদের মধ্যে কয়েকজনের নাম উঠে এল কলকাতা পুলিশের হাতে৷ ধৃত নাইজেরিয় মাদক পাচারকারী ওকোসান ক্রিস্টেনিয়ার এই শহরে প্রায় যাতায়াত ছিল বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা৷ শুধু তাই নয় এই শহরে এই চক্রের সবথেকে বেশি ক্রেতাও রয়েছে বলে সূত্রের খবর৷ কয়েকটি নাইট ক্লাব ও ,সেখানকার ডিজেরা এই চক্রের সঙ্গে জড়িত বলে জানতে পেরেছেন লালবাজার কর্তারা৷

শুধু নাইট ক্লাব নয় ব্যক্তিগত পার্টির জন্য এই মাদক পাচারকারীদের কাছ থেকে মাদক কিনেছেন শহরের একাধিক বাসিন্দা৷ এই তালিকায় অনেক ক্ষমতাবান ব্যক্তিরও নাম রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে৷ মাদকরানিকে গ্রেফতার করে বড়সড় সাফল্য পেলেও এখন ক্রেতাদের হদিশ পেতে ব্যস্ত পুলিশ কর্তারা৷ ইতিমধ্যে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছে এই চক্র কলকাতা, মুম্বই,দিল্লি সহ দেশের বিভিন্ন মেট্রো শহরে মাদক পাচারের কাজ করত৷ এই পাচারকারীদের কাছ থেকে শহরের নামী কয়েকটি হোটেলেও মাদক ঢুকত বলে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা৷

শহরে একাধিকবার এই নাইজেরিয়ান মাদকরানি মাদক বিক্রির ডিল ফাইনাল করে গিয়েছে৷ এবারও সে এরকমেরই একটি ডিল ফাইনাল করতে শহরে এসেছিল৷ এর আগে কয়েকবার পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়েছিল ক্রিস্টেনিয়ার৷ তবে এবার অনেক চেষ্টা করেও শেষ রক্ষা হয়নি৷ শেষমেষ পুলিশের জালে ধরা পড়েছে৷ জানা যাচ্ছে, দিল্লি থেকে রাঁচি হয়ে এই মহিলা কলকাতায় আসে৷ এই শহরে কারা এবং কোথায় এই মহিলাকে থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়া হচ্ছিল তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ৷

এই তদন্তে কলকাতা পুলিশ ভিন্ন রাজ্যের পুলিশের সঙ্গে যৌথ অভিযানও চালানোর পরিকল্পনা করছে বলে সূত্রের খবর৷ ধৃত এই মহিলার কাছ থেকে প্রায় এক কোটি টাকার কোকেন উদ্ধার করে পুলিশ৷ তবে এই মহিলা কে গ্রেফতার করে তার কাছ থেরে এক কোটি টাকা মুল্যের মাদক উদ্ধার হওয়ার পর দেশের বিমানবন্দরগুলির নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন ওঠছে৷ কি ভাবে এই কোকেন নিয়ে মাদকরানি বিমানবন্দর থেকে যাতায়াত করছিল সেই প্রশ্ন ওঠছে তদন্তকারিদের মনে৷ ফলে বিমানবন্দরের সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে৷ বিমানবন্দরের স্টাফ এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ৷