Posts

Showing posts from January 25, 2019

কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অবসরের বয়স বাড়াল রাজ্য

Image
রাজ্যের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অবসর গ্রহণের বয়সসীমা বাড়ল। ৬২ বছর থেকে বাড়িয়ে অবসর গ্রহণের বয়স ৬৫ করল রাজ্য প্রশাসন। শুক্রবার রাজ্য সরকারের তরফে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, রাজ্য সরকারের সাহায্যপ্রাপ্ত সমস্ত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত স্থায়ী শিক্ষক, অধ্যক্ষ, গ্রন্থাগারিক এবং স্নাতক শ্রেণির গবেষণাগারেরর নির্দেশকদের অবসর গ্রহণের বয়সসীমা ৬৫ বছর পর্যন্ত নির্ধারিত করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বিশদে জানানো হয়েছে যে, পশ্চিমবঙ্গ কর্মসংস্থান আইনের (প্রথম অধ্যায়) ৭৫ নম্বর ধারা এবং ১৯৭১ সালের পশ্চিমবঙ্গ কর্মসংস্থান (মৃত্যু তথা অবসরগ্রহণ বাবদ প্রাপ্ত সুবিধা) আইনে উল্লিখিত শর্তাবলী বলবৎ রেখেই রাজ্য সরকারের অনুদানপুষ্ট সমস্ত কলেজ, শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজ, শরীরচর্চা প্রশিক্ষণ কলেজ, কলকাতার আর্ট অ্যান্ড ক্র্যাফ্ট কলেজ এবং সরকারি ডিগ্রি স্তরের ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলিতে স্থায়ী পদে কর্মরত সমস্ত শিক্ষক এবং সমপদে কর্মরত কর্মীদের অবসর গ্রহণের বয়সসীমা ৬২ বছর থেকে বাড়িয়ে ৬৫ বছর পর্যন্ত করা হল। রাজ্যপালের তরফে জানানো হয়েছে, অবসর গ্রহণের বয়সসীমায় বৃদ্ধি ঘটলেও স্থায়ীপদে থাকা সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং সমপদে

শ্রমিক মহল্লায় বেপরোয়া ট্রাক, ঘুমের মধ্যে প্রাণ গেল ১৩ জনের

Image
ঢাকা: ঘুমন্ত অবস্থায় ট্রাক চাপা পড়ে প্রাণহানি ১৩ জন শ্রমিকের। বাংলাদেশের কুমিল্লার চৌড্ডাগ্রামের দুর্ঘটনায় শ্রমিক পল্লিতে হাহাকার। নিহতদের মধ্যে ৭ জন একই পরিবারের সদস্য। শুক্রবার ভোরে দুর্ঘটনার সময় ট্রাকটি কয়লাবোঝাই ছিল বলে পুলিশ সূত্রে খবর। কুমিল্লা জেলার চৌড্ডাগ্রামের নারায়ণপুর। শুক্রবার ভোরে সেখানকার এক ইটভাঁটা সংলগ্ন শ্রমিক পল্লিতে নিশ্চিন্তে ঘুমোচ্ছিলেন দিনমজুররা। কাছেই দাঁড়িয়েছিল একটি ট্রাক। ইটভাঁটায় ট্রাকটি গিয়েছিল কয়লা খালাস করতে। সকাল হলেই তা করার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই ঘটে গেল ভয়ঙ্কর বিপত্তি। সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ ট্রাকটি চালু করে নির্দিষ্ট জায়গায় কয়লা জমা করতে চেয়েছিলেন চালক। সেইমতো ট্রাক পিছিয়ে নিচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু খেয়াল করেননি, যে পথে ট্রাক পিছোচ্ছিল, সেই পথেই ছিল শ্রমিক বসতি। ফলে বেখেয়ালেই ঘুমন্ত শ্রমিকদের ওপর দিয়ে চলে যায় ট্রাকের চাকা। ঘটনাস্থলে ঘুমের মধ্যেই মৃত্যু হয় ১৩ জন শ্রমিকের। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় চৌড্ডাগ্রাম থানার পুলিশ। পৌঁছান দমকল এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দলের কর্মীরাও। উদ্ধারকাজ শুরু হয়। ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে প্রাণের খোঁজ শুরু করেন সকলে। ওসি আবদুল্লা আল মেহ

প্রয়াত হোমিওপ্যাথির ‘জাদুকর’ রামকৃষ্ণ ঘোষ মণ্ডল

Image
হাওড়া: নির্মেদ শরীরে সাদা ঝুলশার্ট পাঞ্জাবি পরনে নিখাদ বাঙালি তিনি। তবে তাঁর সম্পর্কে বলতে গেলে আরও বড় সত্য হল, তাঁর প্রতিটি শিরায় হোমিওপ্যাথি। সবাই বলতেন হ্যানিম্যান রক্ত। বাঙালির গর্বের চিকিৎসক রামকৃষ্ণ ঘোষ মণ্ডল প্রয়াত হলেন শতক ছোঁয়ার দশ বছর আগেই। শুক্রবার সকাল সাতটা পাঁচ মিনিটে হাওড়ায় নিজের বাসভবনে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন বর্ষীয়ান এই চিকিৎসক। পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, নব্বই বছর বয়সেও তেমন কোনও রোগ ছিল না। সকালে উঠে চা খেতে চেয়েছিলেন রামকৃষ্ণবাবু। তারপর বুকে ব্যথা অনুভব করেন। চিকিৎসার কোনও সুযোগই পাওয়া যায়নি। বুকে ব্যথা অনুভব করার কিছুক্ষণ পরেই মারা যান চিকিৎসক রামকৃষ্ণ ঘোষ মণ্ডল। নিজের সম্পর্কে প্রায়ই বলতেন, 'ব্রিটিশরা গুলি করবে বললেও মাথা নোয়াইনি। তোমরা কে বাবা?'  শেষ দিনে, শেষ সময়েও হয়তো সেই মানসিক প্রত্যয়ের সাক্ষী রেখে গেলেন তিনি। সবক্ষেত্রে পিছু হঠছে বলে যখন বঙ্গসমাজে গেল গেল রব উঠেছে, তখন রামকৃষ্ণবাবু ছিলেন অন্য ঘরানার প্রতিনিধি। তাঁর মৃত্যু শুধু হোমিপ্যাথি চিকিৎসায় নয়, বৃহত্তর সমাজে একটি অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটল বলে মনে করছেন অনেকেই। গতির যুগের এখন অ্যালোপ্যাথিক

গোবর ছুড়ে মারা হল জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত পরিচালকের মুখ! অভিযোগের তির গেরুয়া শিবিরের দিকে

Image
জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত পরিচালক তথা মালায়লম চলচ্চিত্রের নামী সেলিব্রিটি প্রিয়নন্দনের মুখে। কেরলে ত্রিশূর এদিন সকালের এই ঘৃণ্য ঘটনার সাক্ষী ছিল। ঘটনায় প্রাথমিকভাবে অভিযোগ উঠে আসছে আরএসএস-এর বিরুদ্ধে। ৫৩ বছর বয়সী এই পরিচালকের ওপর আক্রমণের ঘটনার পরই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিকে, বাম শাসিত কেরলে পরিচালকের বিরুদ্ধে এমমন হেনস্থার ঘটনায় রীতিমত চাঞ্চল্য পড়ে গিয়েছে। ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। তিনি জানিয়েছেন, এই ধরনের হামলা গ্রাহ্য করা হবে না। এর আগে সাইবার অ্য়াটাক হয়েছে সংঘ পরিবারের তরফে। এই ঘটনাকে বাক স্বাধীনতার বিরুদ্ধে মুখ খোলার সামিল বলে দাবি করা হয়েছে। এর আগে ,সবরিমালায় মহিলাদের প্রবেশ নিয়ে একটি বিতর্কিত পোস্ট করেন প্রিয়নন্দন। আর তারপর থেকেই গেরুয়া শিবির রীতিমত ক্ষোভে ফেটে পড়ে। মুখ খোলেন একাধিক বিজেপি নেতা। তারপরই আজকেই এই আক্রমণ।

ভোটের আগে অস্ত্রের বরাত! হলদিয়ার অস্ত্র কারখানার পর্দাফাঁস করল এসটিএফ

Image
আংশিক তৈরি আগ্লেয়াস্ত্রের এই রকম অংশই উদ্ধার করেছে পুলিশ। পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়ার দুর্গাচক এলাকায় বড়সড় বেআইনি অস্ত্র তৈরি কারখানার হদিশ পেলেন কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স(এসটিএফ)-এর গোয়েন্দারা। দুর্গাচকের খঞ্জনচক এলাকার ভাগ্যবন্তপুর গ্রামের একটি নির্মীয়মান বাড়িতেই কারখানা তৈরি করেছিল মুঙ্গেরের অস্ত্র কারবারীরা এমনটাই দাবি এসটিএফের কর্তাদের। গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, ওই কারখানা থেকে ১০০টিরও বেশি অসম্পূর্ণ সেভেন মিলিমিটারের পিস্তল পাওয়া গিয়েছে। সঙ্গে পাওয়া গিয়েছে অস্ত্র তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় লেদ মেশিন-সহ বিভিন্ন সরঞ্জাম। এসটিএফ সূত্রে খবর, এ মাসের ১৩ তারিখ নারকেলডাঙা এলাকা থেকে জাল নোটের বিনিময়ে অস্ত্র কেনাবেচার সময় ছ'জনকে পাকড়াও করেন গোয়েন্দারা। তাদের মধ্যে ছিল  মুঙ্গেরের মহম্মদ নিজাম, মহম্মদ নৌশাদ, রোহিত সাহিল নামে তিনঅস্ত্র কারবারি। তাদের জেরা করেই জানা যায়, এবার আর কলকাতার আশপাশে নয়, পূর্ব মেদিনীপুরের দুর্গাচকে অস্ত্র তৈরির কারখানা বানিয়েছে তারা। শুক্রবার সকালে সেখানে হানা দেন গোয়েন্দারা। উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণে অসম্পূর্ণ অস্ত্র। ওই ঘাঁটিতে বসেই মালদহের জালনোটের কারবারিদ

অনাথ শিশুদের ডার্বি দেখার সুযোগ করে দিল মোহনবাগান

Image
কলকাতা: মহৎ উদ্যোগ৷ এবার ডার্বি ম্যাচের উত্তাপ অনুভব করতে পারবে অনাথ কচিকাঁচারা৷ তিন সংস্থার ১০০ জন অনাথ শিশুদের ডার্বি দেখার সুযোগ করে দিল মোহনবাগান৷ রবিবার বাগানের হোম ম্যাচে ভিআইপি বক্সে বসে খেলা দেখবে এই একশো কচিকাঁচা৷ যুবভারতীতে ওদের ম্যাচ দেখতে যাতাযাতের জন্য মোহনবাগান ক্লাবের পক্ষ থেকে এসি বাসের বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে৷ ডার্বির 'বিশেষ' এই অতিথিদের জন্য ক্লাবের পক্ষ থেকে থাকছে ফুড প্যাকেটও৷ ময়দান ডার্বিতে এমন নজিরবিহীন উদ্যোগ এই প্রথম৷ বাগানের মহৎ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছে ফুটবল সমর্থকরা৷

বাড়ি থেকে উদ্ধার শিক্ষকের ঝুলন্ত দেহ, স্ত্রীর চাপে আত্মহত্যা দাবি পরিবারের

Image
তেহট্ট: বিয়ের বছরখানেকের মধ্যেই দাম্পত্য সম্পর্কের অবনতি৷ স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ার জেরে অশান্তি লেগেই ছিল দু'জনের৷ সেই অশান্তির মাঝেই বাড়ি থেকে উদ্ধার শিক্ষকের ঝুলন্ত দেহ৷ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়াল নদিয়ার গমাখালিতে৷ অতনু ঘোষ নামে ওই শিক্ষক মানসিক চাপে আত্মহত্যা করেছেন নাকি তাঁর মৃত্যুর নেপথ্যে রয়েছে অন্য কোনও কারণ, তা খতিয়ে দেখছেন পুলিশ আধিকারিকরা৷ নিহতের স্ত্রীকে জেরা করছে পুলিশ৷ কৃষ্ণনগরের ঘূর্ণিতেই ছোট থেকে বড় হয়েছেন অতনু ঘোষ৷ বছরদুয়েক আগে শিক্ষকতা শুরু করেন তিনি৷ প্রথমে সাহেবপাড়া স্কুলে পড়াতেন অতনু৷ বছরখানেক আগে বিয়ে করেন তিনি৷ বিয়ের পরই সাহেবপাড়া স্কুল থেকে বদলি হয়ে বাজখাপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতে শুরু করেন অতনু৷ ওই স্কুলটি কৃষ্ণনগর থেকে প্রায় ৭৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত৷ পরিবার সূত্রে খবর, অতনুর স্ত্রী কৃষ্ণনগরের বাড়ি থেকে স্কুলে না যাওয়ার জন্য চাপ দিত তাঁকে। বাধ্য হয়ে অতনু গমাখালিতে স্ত্রীকে নিয়ে চলে আসেন। ভাড়া বাড়িতে থাকতে শুরু করেন দু'জনে। তাতেও দাম্পত্য অশান্তি লেগেই থাকত তাঁদের৷ বেশ কয়েকদিন মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন অতনু৷ তবে ছোট থে

ডিইএলইডি পরীক্ষায় স্থগিতাদেশ নয়, জানাল হাইকোর্ট , ক্ষুব্ধ শিক্ষকমহল

Image
ডিইএলইডি-র পরীক্ষায় স্থগিতাদেশ দিল না কলকাতা হাইকোর্ট। ৩ ফেব্রুয়ারি দুই বাতিল পেপারের পরীক্ষা দিতে হবে ১ লক্ষ, ৬৯ হাজার শিক্ষককে। এদিন কলকাতা হাইকোর্টের ৩ ফেব্রুয়ারির পরীক্ষা নিয়ে শুনানি ছিল। সরকার পক্ষের আইনজীবী এই পরীক্ষায় স্থগিতাদেশের বিরোধিতা করেন। বিইএলইডি-র পরীক্ষা যাতে ৩ ফেব্রুয়ারি না নেওয়া হয় তার জন্য, হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চ। ২০ ও ২১ শে ডিসেম্বর ডিইএলঅডির ৫০৬ ও ৫০৭ নম্বরের পেপারে পরীক্ষা হয়। প্রশ্ন ফাঁসের জন্য পরে এনআইওএস শুধু পশ্চিমবঙ্গে সেই পরীক্ষা বাতিল করে। ১ লক্ষ ৬৯ হাজার শিক্ষকের পক্ষ নিয়ে হাইকোর্টে মামলা করেছিল শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চ। প্রশ্ন ফাঁস কাণ্ডে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে পরীক্ষা বাতিলের বিরোধিতা করে তাঁরা। গোটা ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চাওয়া হয়। এনআইওএস জানিয়ে দেয় ৩ ফেব্রুয়ারি টানা ছয় ঘণ্টা ৫০৬ ও ৫০৭ নম্বর পেপারের পরীক্ষা নেওয়া হবে। ডিইএলইডি-র শিক্ষক প্রশিক্ষণ নেওয়া শিক্ষকরা, টানা ৬ ঘণ্টা পরীক্ষা দিতে অস্বীকার করেন। ইতিমধ্যেই এই পরীক্ষার চিন্তায় এক শিক্ষকরে মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ। শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চ এনআইওএস-এর দফতরে বিক্ষোভও দেখায়। ২১ জানুয়া

ভোটের আগে ঘরে ঘরে আসছে মোদীর ‘চিঠি’! নির্বাচনী ‘গিমিক’, তোপ বিরোধীদের

Image
২০১৪ সালের লোকসভা ভোটের আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, আম জনতার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা পড়বে ১৫ লাখ টাকা। আরও ছিল নানা প্রতিশ্রুতির সম্ভার। কিন্তু তার কোনওটাই প্রায় পূরণ হয়নি। পাঁচ বছর পর ফের ভোটের মুখে দেশ। ফের নয়া চমক নিয়ে হাজির নরেন্দ্র মোদী। এবার ঘরে ঘরে চিঠি পাঠিয়ে প্রধানমন্ত্রী জানান দিচ্ছেন, তাঁর সময়কালে কী কী করেছে এনডিএ সরকার। সাড়ে সাত কোটি চিঠি ছাপিয়ে বাড়ি বাড়ি পৌঁছনোর কাজও শুরু হয়েছে। কিন্তু তা নিয়ে শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক। আরও একটা নির্বাচনী 'গিমিক' বলে সরব বিরোধীরা। তাঁদের অভিযোগ, এই চিঠি ছাপতে খরচ হয়ে গিয়েছে ১৫ কোটিরও বেশি। জনগণের টাকা খরচ করে নিজের ঢাক পেটাচ্ছেন মোদী। যদিও সরকারি তরফে সাফাই দেওয়ার বিরাম নেই। ভোটের মুখে সরকারের 'গুণকীর্তন'-এ মোদীর নয়া 'অস্ত্র' চিঠি। পত্রবার্তার আপাত উদ্দেশ্য, 'আয়ুষ্মান ভারত' প্রকল্প বা প্রধানমন্ত্রী 'জন আরোগ্য যোজনা'র (পিএমজেএওয়াই) সুফল সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে ওয়াকিবহাল করানো। তার জন্য ইতিমধ্যেই সাড়ে সাত কোটি চিঠি ছাপিয়ে নাম ঠিকানা লিখে প্রস্তুত। বড় একটা অংশ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং নাগরিকদের অনেকে

দেহব্যবসা চক্রের পর্দাফাঁস, হাতেনাতে ধরা পড়ল ৪

Image
চন্ডীগড়: জমিয়ে চলছিল দেহব্যবসার কাজ৷ সেই চাক-ই এবার ভাঙল পুলিশ৷ শুক্রবার হরিয়াার বারওয়ালা এলাকার কাছে একটি ভাড়া বাড়িতে হানা দিয়ে চার জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ৷ জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ ওই ভাড়া বাড়িতে গ্রাহক সেজে উপস্থিত হয়৷ আর তারপরই হাতেনাতে ধরা পড়ে এর মাথা সহ অন্যান্যরাও৷ তিন মহিলাসহ মোট চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ৷   এদিকে, কিছুদিন আগেই, পুণেতে বড়সড় সেক্স-র‍্যাকেটের পর্দাফাঁস করে পুলিশ। মাসাজ পার্লারের আড়ালে রমরমিয়ে দেহ-ব্যবসা। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পার্লার থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে তিন ব্যাক্তিকে। একই সঙ্গে চার মহিলাকেও সেখান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পুণেতে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। কীভাবে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে এই ব্যবসা চলছিল তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। এমনকি পুলিশের ভূমিকা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। ইতিমধ্যে ধৃত ব্যক্তিদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুণে পুলিশ। জানা গিয়েছে, উদ্ধার হওয়া তিন মহিলাকে দিয়ে জোর করে দেহ ব্যবসার কাজে নামানো হয়েছিল। চার মহিলা উত্তর-পূর্ব ভারতের বাসিন্দা। উদ্ধার করা ওই মহিলা

কৃষকবন্ধু চাষিদের স্মার্ট কার্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের

Image
বর্ধমান: মুখ্যমন্ত্রীর প্রকল্পগুলির মধ্যে অন্যতম এক প্রকল্প কৃষকবন্ধু৷ এই প্রকল্পের আওতায় চাষিদের স্মার্ট কার্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল মুখ্যমন্ত্রীর কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার৷ তিনি পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান ও হুগলি এই তিন জেলার কৃষি দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে বৃহস্পতিবার একটি বৈঠক করেন৷ বৈঠক শেষ তিনি এই সিদ্ধান্ত জানান৷ মুখ্যমন্ত্রীর কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার জানিয়েছেন, সাধারণ রবি ও বোরো মরশুমের আগে এই কৃষি সহায়ক অর্থ দেওয়ার কথা। কিন্তু যেহেতু মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন ৩১ ডিসেম্বর, তাই নভেম্বর মাসে যে অর্থ দেওয়ার কথা তা দেওয়া শুরু হচ্ছে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে। দ্বিতীয় দফার টাকা দেওয়া হবে ১ জুন থেকে। কোথাও যাতে ভুয়ো চাষির নাম নথিভুক্ত না হয়৷ পাশাপাশি প্রকৃত কৃষকরাই যাতে এই সুযোগ পান ও কিভাবে চাষিদের নাম নথিভুক্ত করতে হবে এদিন সেই বিষয়ে তিনি পরামর্শ দেন৷ তিনি আরও জানান, চাষিদের নাম নথিভুক্ত হওয়ার পর সংশ্লিষ্ট চাষিকে একটি স্মার্ট কার্ড দেওয়া হবে। ওই কার্ডেই চাষিদের সমস্ত বিবরণ নথিভুক্ত থাকবে। ফলে প্রত্যেকবার তাঁদের কাগজপত্র আনার প্রয়োজন হবে না। পরবর্তীকালে এই স্মার্ট কার্ড দেখ

মাথায় গেঁথে জঙ্গিদের ছোঁড়া বুলেট, লড়াই ছাড়েনি সৌম্যদীপ, এক বীরের কাহিনি

Image
ছোট্ট একটা প্রাণ। ছোট্ট একটা শিশু। বয়সই-ই বা কত? মেরেকেটে ১৩ অথবা ১৪। কিন্তু, জঙ্গিদের সামনে রুখে দাঁড়াতে ভয় পায়নি সৌম্যদীপ। পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুরের সৌম্যদীপের মাথায় গেঁথে যায় জঙ্গিদের এক ৫৬-র রাইফেল থেকে ছোঁড়া গুলি। আপাতত হুইল চেয়ারই তার আশ্রয়। তবু লড়াই ছাড়েনি সৌম্যদীপ। সে ফের ছুটে বেড়াতে চায় ফুটবল পায়ে। ফিরে আসতে চায় ব্যাডমিন্টনের কোর্টে।  সৌম্যদীপের সাহসিকতাকে কুর্ণিশ জানিয়েছে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। তার শৌর্যের জন্য সম্মানিত করেছে এই সংস্থা। আপাতত দিল্লিতে সেনাবাহিনীর 'রিসার্চ অ্যান্ড রেফারেল' হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে। ২০১৮ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি জম্মুর সঞ্জুওয়ান আর্মি ক্যাম্পে হামলা চালায় জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি গোষ্ঠীর 'আফজল গুরু স্কোয়াড'। ভোর রাতে হওয়া এই হামলায় আতঙ্ক ছড়ায় সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে। কারণ এখানে পরিবার নিয়ে বহু সেনাকর্মী বাস করেন। সৌম্যদীপের বাবা হাবিলদার হরিপদ জানা-কেও জঙ্গি প্রতিরোধে কোয়ার্টার ছেড়ে বেরিয়ে পড়তে হয়েছিল। কোয়ার্টারে মা মধুমিতা ও নয় বছরের বোন স্নেহার সঙ্গে ছিল সৌম্যদীপ। কিন্তু জঙ্গিরা সেনাকর্মীদের ফ্য়ামিলি কোয়ার্টারগুলোতেও ঢুকে পড

নির্বাসন উঠতেই দলে ফিরলেন হার্দিক, রাহুলকে সুযোগ ‘ভারতীয় এ’ দলে

Image
সুখবর। ভারতীয় দলে ফিরছেন তারকা অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া। নির্বাসন উঠতেই অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়াকে দলে ফেরাল বিসিসিআই। বোর্ডের তরফে মেল করে জানিয়ে দেওয়া হল, নিউ জিল্যান্ড সিরিজেই দলে ফেরানো হচ্ছে তাঁকে। একদিনের স্কোয়াডে রাখা হবে হার্দিককে। এমনকি টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডেও তিনি থাকবেন বলে জানা যাচ্ছে। শুধু হার্দিক পান্ডিয়াই নন, লোকেশ রাহুলকেও  সুযোগ দেওয়া হল 'ভারতীয় এ' দলে। তিরুবন্তপুরমে ইংল্যান্ড লায়ন্সের বিরুদ্ধে ৫টি একদিনের ম্যাচে খেলবেন এই ওপেনার। বৃহস্পতিবারই বিসিসিআইয়ের তরফে মেল করে জানানো হয়েছিল, হার্দিক পান্ডিয়া ও লোকেশ রাহুলের উপর থেকে সমস্ত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হচ্ছে। কমিটি অব অ্যাডমিনিসট্রেটরস দুই ভারতীয় ক্রিকেটারের উপর থেকেই নির্বাসন তুলে নিয়েছে বলে জানানো হয় ওই মেলে। এরপরই নিউ জিল্যান্ড সফরে হার্দিকের খেলার সম্ভাবনা তৈরি হয়। এবং সেই মতো নির্বাসন উঠে যাওয়ার ১২ ঘণ্টার মধ্যেই হার্দিককে ভারতীয় দলে ফেরানোর সিদ্ধান্ত নেয় বোর্ড। গতকাল রাতেই আরও একটি মেল করে বিসিসিআই জানিয়ে দেয়, হার্দিক পান্ডিয়াকে নিউ জিল্যান্ড পাঠানো হচ্ছে। সেখানে ভারতীয় স্কোয়াডে সামিল করা হবে তাঁকে। আর

বন্ধুর সঙ্গে 'পরকীয়া' স্ত্রীর? সন্দেহেই বেহালায় মদের আসরে খুন যুবক

Image
স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক, সেই সন্দেহেই মদের আসরে খুন বন্ধুকে। বেহালায় মদের আসরে যুবক খুনের ঘটনায় উঠে আসছে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য। বেহালা খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত রাকেশ সর্দারকে আগেই গ্রেফতার করেছে পুলিস। এবার ওই সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা আরও ৩ জনকে আটক করল বেহালা থানা। ধৃতদের জেরা করে জানা গিয়েছে, চণ্ডীতলায় যেখানে খুন হয় ট্রাকচালক শুভ দাস, সেখানে মাঝে মধ্যেই মদের আসর বসত। জুয়ো খেলা হত।  পরশু রাতে সেই জুয়ো খেলায় প্রচুর টাকা জিতেছিল শুভ দাস। বাকিরা খেলায় হেরে যায়। এই নিয়েই মূলত গন্ডগোল বাধে। এর মধ্যেই আচমকা শুভ নেশার ঘরে অভিযুক্ত রাকেশের স্ত্রীর সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ। জেরায় রাকেশ দাবি করেছে, শুভ মাঝে মধ্যেই ফোন করত তাঁর স্ত্রীকে। তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে শুভ দাসের সম্পর্ক রয়েছে বলে সন্দেহ ছিল তাঁর। এরপর  ওই রাতে জুয়োতে হেরে যাওয়া ও  তারপর কুরুচিকর মন্তব্য শুনেই রাগের মাথায় সে খুন করে শুভ দাসকে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, শুভ দাসকে যেখানে খুন  করা হয়, প্রত্যেকদিন সেখানে মদ, গাঁজা আর জুয়ার আসর বসত। বাইরে থেকেও প্রচুর গাড়ি আসত আসরে। বহিরাগত এসে ভিড় জমাত। মদের ফোয়ারা ছুটত। ঘটনার

উচ্চবর্ণের সংরক্ষণের বৈধতা নিয়ে মোদী সরকারের জবাব চাইল সুপ্রিম কোর্ট

Image
আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া উচ্চবর্ণের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণে স্থগিতাদেশের আবেদন খারিজ করে দিলেও বৈধতার বিষয়ে কেন্দ্রের কাছ থেকে জবাব চাইল সুপ্রিম কোর্ট। ওই বিলটির বৈধতার বিষয়ে খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেয় প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের বেঞ্চ। উল্লেখ্য, কেন্দ্রের সংরক্ষণ বিলের বিরোধিতা করে শীর্ষ কোর্টে মামলা করে এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। তাদের আবেদনে জানানো হয়েছে, সংরক্ষণ বিলটি সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরিপন্থী। ১৯৯২ সালে মণ্ডল কমিশনের একটি রায়ে সুপ্রিম কোর্ট জানায়, সংবিধানে আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া সংরক্ষণ একমাত্র ভিত্তি হতে পারে না। পাশাপাশি, ২০০৬ সালে সুপ্রিম কোর্টের আরও একটি রায়ে জানানো হয়েছিল, ৫০ শতাংশের বেশি সংরক্ষণ করা যাবে না। এই দুই রায়ের পরিপন্থী বলে দাবি মামলাকারীদের। উচ্চবর্ণের জন্য আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া সংরক্ষণ বিলটি গত ৯ জানুয়ারি লোকসভায় পাস করাতে সক্ষম হয় কেন্দ্র। পরের দিন রাজ্যসভাতেও পাস হয়। বিলটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেও শেষমেশ বিরোধীরা সমর্থন জানায়। ওই বিলটি রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরে ইতিমধ্যে কার্যকর হয়ে গিয়েছে। জানা গিয়েছে, বিলটির কার্যকারিতায় আপাতত বাধা দিচ্ছে না সুপ্রিম কোর্ট।

জামায় রক্তের দাগ, দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে স্কুলে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার প্রধান শিক্ষক

Image
স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আট বছরের পড়ুয়াকে ধর্ষণের অভিযোগ। স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে অঝোরে কাঁদছিল আট বছরের শিশুটি। জামায় রক্তের দাগ। চোখে-মুখে আতঙ্ক। যন্ত্রণায় কুঁকড়ে রয়েছে সে। কী হয়েছে জানতে চাওয়ায় মায়ের কাছে সব কথা খুলে বলে শিশুটি। ঘটনার কথা শুনে স্তম্ভিত হয়ে যান তার মা। কলকাতার জিডি বিড়লা স্কুলকাণ্ডের ছায়া যেন দেখা দিল অন্ধ্রপ্রদেশের এক সরকারি স্কুলে। স্কুল চত্বরেই আট বছরের ওই নাবালিকাকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠল। অভিযুক্ত ওই স্কুলেরই প্রধান শিক্ষক। নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করছে পুলিশ। ঘটনা হায়দরাবাদের অদূরে কৃষ্ণ জেলার এক উচ্চ প্রাথমিক সরকারি স্কুলের। পুলিশের কাছে ওই স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ, ২২ জানুয়ারি, মঙ্গলবার তাদের মেয়েকে ধর্ষণ করেছে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক। স্কুলের ভিতরেই তাকে যৌন নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ পরিবারের। ওই দিন স্কুলের একটি ফাঁকা ঘরে শিশুটিকে নিয়ে যায় প্রধান শিক্ষক। এর পর সেখানেই তাকে ধর্ষণ করে। এর পর বাড়ি ফিরে কাঁদতে থাকে ওই শিশুটি। তার জামায় রক্তের দাগ লেগে থাকতে দেখেন তার মা। যন্ত্রণায় কুঁক

জমি কেলেঙ্কারিতে বিপাকে হুডা! হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি

Image
ভুপিন্দর সিংহ হুড়ার বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি। হরিয়ানায় অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালকে (এজেএল) জমি বণ্টন কেলেঙ্কারিতে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভুপেন্দ্র সিংহ হুডার বাড়িতে তল্লাশি চালাল সিবিআই। শুধু তাঁর বাড়িতেই নয়, দিল্লি এবং সংলগ্ন অন্তত ৩০টি জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ন্যাশনাল হেরাল্ডের অধীন অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালের পরিচালন বোর্ডের সদস্যদের মধ্যে অন্যতম কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী এবং সনিয়া গাঁধী। সিবিআই সূত্রে খবর, শুক্রবার সাত সকালেই তদন্তকারী অফিসাররা পৌঁছে যান হুডার রোহতকের বাসভভনে। সেই সময় হুডাও বাড়িতেই ছিলেন। তাঁর উপস্থিতিতেই দীর্ঘক্ষণ ধরে তল্লাশি চালান গোয়েন্দারা। বেশ কিছু নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয় বলে সিবিআই সূত্রে দাবি। এক যোগে অভিযান চলে দিল্লি এবং জাতীয় রাজধানী অঞ্চলের অফিস ও বাড়ি মিলিয়ে অন্তত ৩০টি জায়গায়। এই সব জায়গা থেকেও প্রচুর নথিপত্র নিয়ে যান সিবিআই আধিকারিকরা। হুডার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০০৫ সালে মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালকে কয়েক কোটি টাকার একটি জমি মাত্র ৫৯ লাখ টাকায় বেআইনি ভাবে পুনর্বণ্টন করেন তিনি। সেই সময় হরিয়ানা নগর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়

প্রজাতন্ত্র দিবসে নাশকতার ছক ভেস্তে দিল পুলিশ, দিল্লিতে গ্রেফতার ২ জইশ নেতা

Image
প্রজাতন্ত্র দিবসে নাশকতার ছক ভেস্তে দিল গোয়েন্দারা। জইশ-ই-মহম্মদ কমান্ডার ও তার সহকারীকে গ্রেফতার করল দিল্লি পুলিশের স্পেশ্যাল সেল ও মিলিটারি ইনটেলিজেন্স। ২৬ জানুয়ারি তারা দিল্লি ও শ্রীনগরে ধারাবাহিক বিস্ফোরণের ষড়যন্ত্র করেছিল বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে হামলার ছক কষে দিল্লিতে পৌঁছয় গান্ডেরবালের JeM কমান্ডার ২৯ বছরের আবদুল লতিফ গানালে ও তার সহযোগী ২৬ বছরের হিলাল আহমেদ ভাট। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন IED। উদ্ধার হয়েছে দুটি IED, ২৬ কার্টিজ ও একটি পিস্তল। সূত্রের খবর, দিল্লির সেক্রেটারিয়েট-সহ পাঁচটি টার্গেটে হামলার ছক কষেছিল জইশ। IED রাখবে বলে তারা দক্ষিণ দিল্লির IGL গ্যাস পাইপলাইন, তুর্কমান গেটের হজ মঞ্জিল বিল্ডিং, ইন্ডিয়া গেট ও লাজপত নগর মার্কেটের ছবি তুলে রেখেছিল। গানালে সম্প্রতি শ্রীনগর, বান্দিপোরা-সহ কাশ্মীরের বিভিন্ন জায়গায় গ্রেনেড হামলার অন্যতম কারিগর বলে দাবি পুলিশের। অভিযানে আরও কয়েকজন গ্রেফতার হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

কর্মহীন ভারত

Image
কথা ছিল চাকরি হইবে এক কোটি লোকের, হইয়াছে দশ লক্ষ। এই একটি তথ্যই নূতন কাজ সৃষ্টিতে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সাফল্যের বহর দেখাইয়া দেয়। এই পরিসংখ্যান তাঁহারই ঘোষিত প্রকল্পের পরিণাম। গত সাধারণ নির্বাচনের পূর্বে তরুণ-তরুণীদের দক্ষতা বাড়াইয়া কাজে নিয়োগ করিবার আশ্বাস দিয়াছিলেন নরেন্দ্র মোদী। সেই উদ্দেশ্যে শুরু হয় 'প্রধানমন্ত্রী কৌশল বিকাশ যোজনা', যাহা 'স্কিল ইন্ডিয়া' নামে অধিক পরিচিত। তরুণ-তরুণীদের প্রশিক্ষিত করিয়া তাহাদের কাজে নিয়োগের প্রয়োজন লইয়া কোনও সংশয় নাই। প্রশিক্ষিত কর্মীর অনুপাত ভারতে লজ্জাজনক। উন্নত দেশগুলিতে শ্রমিকশক্তির প্রায় অর্ধেকই প্রশিক্ষিত, দক্ষ। প্রতিবেশী চিনেও চব্বিশ শতাংশ কর্মী দক্ষ। ভারতে দক্ষ কর্মী দশ শতাংশও নহে। অতএব ২০১৫ সালে মোদী সরকার পাঁচ বৎসরে চার কোটি কর্মীকে প্রশিক্ষিত করিবার যে প্রকল্প গ্রহণ করিয়াছিল, তাহার যথেষ্ট যুক্তি ছিল। দুই বৎসর পার না হইতে সরকার লক্ষ্য কমাইয়া এক কোটি ধার্য করে। বাজারে নাকি তাহার অধিক চাহিদা নাই। কিন্তু তিন বৎসরে সেই লক্ষ্যের মাত্র দশ শতাংশ পূরণ করিয়াছে ওই প্রকল্প। বাকি নব্বই শতাংশ কি দুই বৎসরে পূরণ হইবে? তাহার সম্ভাবনা কম, কার

মানবিকতার নজির, অনাথ পাত্রীর সঙ্গেই দত্তক নেওয়া ছেলের বিয়ে দিলেন অধ্যাপিকা

Image
হুগলি:  মানুষের প্রতি মানুষের ভালবাসাই আর একটা মানুষকে কাছে এনে দেয়, একে অপরকে আপন করে নেয়। এটাই মানব ধর্ম। সেই মানব ধর্মই আজ দু'টো মানুষের চার হাত এক করে দিল। উত্তরপাড়ার ডেস্টিচিউট হোম ফর উইমেনের ২২ বছরের গোলাপ তাঁর জীবনসঙ্গী হিসেবে খুঁজে পেল রঞ্জিত মুখোপাধ্যায়কে। সঙ্গীর হাত ধরেই গোলাপ বৃহস্পতিবার নতুন জীবনের পথে এগিয়ে গেল। অগ্নিকে সাক্ষী রেখে রীতিমতো একে অপরের সুখ দুঃখের সাথী হওয়ার অঙ্গীকারে আবদ্ধ হল দুটি সরল হৃদয়।উত্তরপাড়া হোমে যেন খুশির জোয়ার। খুশি হোমের সুপার শীলা কুন্ডু-সহ অন্যান্য আবাসিকরাও। স্থানীয় পুরসভার চেয়ারম্যান দিলীপ যাদব সমস্ত কাজ ফেলে রেখে হোমে এসে নবদম্পতিকে আশীর্বাদ করেন৷  ছোটবেলায় মা-বাবা ফেলে চলে যায় গোলাপকে৷ তারপর থেকে হোমেই বড় হয় গোলাপ সাহা৷ লিলুয়া হোমে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশুনো করার পর মেদিনীপুরে থেকে মাধ্যমিক পাশ করে। তারপর দু'বছর আগে উত্তরপাড়া হোমে গোলাপ আসে সেলাইয়ের কাজ শিখতে।  গোলাপের স্বামী রঞ্জিতের জীবনও প্রায় একইরকম৷ ছোটবেলাতেই রঞ্জিত দুর্ঘটনায় তাঁর বাবা-মা দুজনকেই হারায়। তারপর থেকে একা হয়ে যায় রঞ্জিত। কিন্তু, মনের অদম্য ই

কমবয়সি পাত্রীকে বিয়ে নিয়ে খোঁচা, বন্ধুর দেহ কুচিকুচি করে কেটে কমোডে ফ্লাশ

Image
বেশি বয়সে কমবয়সি পাত্রীকে বিয়ে করার সিদ্ধান্তের জন্য বন্ধুর খোঁটা সহ্য হয়নি। তাই বন্ধুর মাথা দেওয়ালে সজোরে ঠুকে দিয়েছিল ৫৮ বছরের গণেশ। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বন্ধু পিন্টু শর্মার (৪০)। কিন্তু এতেও রাগ কমেনি। চারদিন ধরে চপার দিয়ে পিন্টুর দেহ কুচি কুচি করে ২০০ টুকরো করে গণেশ। তারপর প্রমাণ লোপাট করতে দেহের ছোট টুকরোগুলি বাথরুমের কমোডের জলে ফেলে চালু করে দেয় ফ্লাশ। আর শরীরের হাড় আলাদা করে ছুঁড়ে ফেলে ট্রেন থেকে। এতকিছু করেও শেষরক্ষা হয়নি। পাইপে দেহাংশ আটকে ধরা পড়ল বন্ধু। ঘটনাটি মুম্বইয়ের ভিরারের। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিয়ের জন্য ওই বন্ধুর থেকেই এক লাখ টাকা ধার নিয়েছিল গণেশ। ৪০ হাজার টাকা শোধও করে সে। এরপরই একদিন বাড়িতে আসে পিন্টু। তার বাড়ি এসে বিদ্রুপ করে গণেশকে বলে, পাত্রী তরুণী হওয়ায় বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়তে পারে। তারপরই দেওয়ালে বন্ধুর মাথা সজোরে ঠুকে দেয়। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় পিন্টুর। খবর জানাজানির ভয়ে চারদিন ধরে বন্ধুর মৃতদেহ চপার দিয়ে টুকরো টুকরো করে। গণেশ ভেবেছিল, কমোডে ফ্লাশ টেনে পুরো দেহ ভাসিয়ে দেবে। কিন্তু ফ্লাশের জলের তোড়ে পাইপ দিয়ে নামতে পারেনি দেহাংশ। বহু

১৯’র লড়াইয়ের আগে লক্ষ্য সেই মতুয়া ভোট, ২ ফেব্রুয়ারি বড় মা-র সঙ্গে সাক্ষাত্ মোদীর?

Image
লক্ষ্য সেই মতুয়া ভোট। লোকসভা নির্বাচনের দোড়গড়ায়, উঠে এসেছে প্রধানমন্ত্রীর ঠাকুরনগর সফরের কথা। ২ ফেব্রুয়ারি ঠাকুরনগর যাওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রীর । আর তার আগে উত্তর চব্বিশ পরগনা তৃণমূলের অন্দরে শুরু হয়েছে জোরদার রাজনৈতিক তত্‍পরতা। প্রধামন্ত্রীর সম্ভাব্য সফরের আগের দিনই পয়লা ফেব্রুয়ারি এলাকায় বড় মিছিল করবে তৃণমূল। উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের দাবি প্রধানমন্ত্রী ঠাকুরনগর এলে কালো পতাকা দেখাবে মতুয়া সংঘের সদস্য। প্রধানমন্ত্রী কী ঠাকুরনগরে সভা করবেন? তা এখনও স্পষ্ট নয়। কিন্তু আগে থেকেই পাল্টা সভা করার জন্য প্রস্তুত তৃণমূল। তৃণমূলের দাবি,  বিজেপির সভায় লোক  হয় না। তারওপর এনআরসি নিয়ে মতুয়া সম্প্রদায় বিরক্ত বিজেপির ওপর। এই অবস্থাতেও যদিও ঠাকুরনগরে সভা করে বিজেপি,তৃণমূল পাঁচই ফেব্রুয়ারি পাল্টা সভা করবে। এবং সেই সভা হবে স্থানীয়দেরই। ভোট রাজনীতিতে রাজ্যের প্রায় সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রে প্রত্যক্ষ প্রভাব রয়েছে মতুয়া সম্প্রদায়ের। আর তৃণমূলের দাবি খোদ বড় মা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অত্যন্ত স্নেহ করেন। তৃণমূলের বিশ্বাস অসুস্থ বড় মা হয়তো নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাত্‍ নাও করতে পারে

বিশ্বের সবথেকে হালকা উপগ্রহ PSLV-C44 উত্ক্ষেপণ করল ISRO

Image
বিশ্বের সবথেকে হালকা উপগ্রহ  পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেইক্যাল (পিএসএলভি সি ৪৪)   উত্ক্ষেপণ করল ইসরো। বৃহস্পতিবার রাতে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্র থেকে ওই উপগ্রহটি নিয়ে রওনা দেয়।   ভারতীয় সময় ১১.৩৭ মিনিটে উপগ্রহটি রওনা   দেয়। এর ওজন কাঠের চেয়ারের থেকেও কম বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ১.২৬ কেজির এই উপগ্রহটি তৈরি করেছে চেন্নাইয়ের স্পেশ কিডজ ইন্ডিয়া নামে একটি বেসরকারি সংস্থার ছাত্ররা। এটি নির্মাণে খরচ হয়েছে ১২ লক্ষ টাকা। উপগ্রহটি নির্মাণ করতে সময় লেগেছে ৬ দিন।  তবে এই উপগ্রহ নির্মাণের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করার পিছনে রয়েছে দীর্ঘ ৬ বছরের পরিশ্রম। প্রসঙ্গত, "গুলাব জামুন" নামে  ৬২ গ্রাম ওজনের একটি উপগ্রহ তৈরি করা হয়েছিল । ২০১৭ সালে উত্ক্ষেপণ করেছিল নাসা। কিন্তু, উপগ্রহটি কক্ষপথে পৌঁছায়নি। এই উপগ্রহের সফল উত্ক্ষেপণের পর ইসরো-র প্রধান কে সিভান বলেন, "ভারতের প্রত্যেক ছাত্রের জন্য ইসরোর দরজা খোলা। আপনাদের উপগ্রহ আমাদের কাছে নিয়ে আসুন। আমরা উত্ক্ষেপণ করব। আসুন, আমরা একসঙ্গে অঙ্গীকারবদ্ধ হই, সুন্দর বিশ্ব গড়ে তুলি।"

প্রাথমিকে প্রশিক্ষিত শিক্ষক নিয়োগের নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের, জোর ধাক্কা রাজ্য সরকারের

Image
প্রাথমিকে প্রশিক্ষিত শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে জোর ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। এ রাজ্যের এক বছরের পিটিটিআই (প্রাইমারি টিচার ট্রেনিং) প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কয়েকশো প্রার্থীকে তিন মাসের মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষকপদে নিয়োগ করার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। বিচারপতি সঞ্জয় কল ও বিচারপতি দীপক গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এই নির্দেশ দিয়ে বলেছে, যে-সব প্রার্থী ২০১০ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন, শুধু তাঁরাই চাকরি পাবেন। প্রার্থীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য, জয়দীপ মজুমদার, সুদীপ্ত দাশগুপ্তেরা জানান, ২০০৬ সালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়। পরীক্ষা নেওয়া হয় ২০০৯ সালে। তাঁদের মক্কেলরা সেই পরীক্ষায় বসেন। পরীক্ষার সময় প্রার্থীদের এক বছরের পিটিটিআই প্রশিক্ষণ ছিল। কিন্তু প্রশিক্ষণের জন্য ধার্য ২২ নম্বর তাঁদের দেওয়া হয়নি। তাই তাঁদের নাম ছিল না মেধা-তালিকায়। রাজ্য সরকার সেই সময় জানিয়েছিল, এক বছরের প্রশিক্ষণের যে-শংসাপত্র ওই প্রার্থীদের রয়েছে, তার বৈধতা নেই। ওই প্রার্থীরা ২০১০ সালে হাইকোর্টে মামলা করেন। বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দারও জানিয়ে দেন, শংসাপত্র বৈধ নয়। প্