Posts

Showing posts from May 11, 2018

কীর্তনের আসরে ৮ বছরের নাবালিকাকে যৌন নির্যাতন

Image
কীর্তনের আসরে ৮ বছরের নাবালিকাকে যৌন নির্যাতন করার অভিযোগ উঠল এক প্রৌঢ়ের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের মেমারির সাতগেছিয়াতে। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। কীর্তনের আসরে ৮ বছরের নাবালিকাকে যৌন নির্যাতন করার অভিযোগ উঠল এক প্রৌঢ়ের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের মেমারির সাতগেছিয়াতে। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতগেছিয়ার একটি লজে বসেছিল হরিবাসরের আসর। বাবা, মায়ের সঙ্গে ওই আসরে যোগ দিতে গিয়েছিল ওই নাবালিকা। অভিযোগ, কীর্তন আসর থেকেই তাকে ভুলিয়েভালিয়ে তুলে নিয়ে যায় লজ মালিক পিন্টু শীল। তারপর ওই লজেরই উপরের একটি ঘরে নিয়ে গিয়ে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী ওই নাবালিকার উপর যৌন নির্যাতন চালায় সে। ঘটনার কথা চেপে যাওয়ার জন্য প্রাণনাশের হুমকিও দেয় পিন্টু শীল। ভয়ে প্রথমে ঘটনার কথা চেপে গেলেও, পরে বাড়ির লোককে সবকথা খুলে বলে সে। অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত পিন্টু শীলকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।

সহকর্মীদের এটিএম কার্ড 'হাতিয়ে' অভিনব উপায়ে টাকা চুরি যুবকের, পুলিসও অবাক!

Image
কেউ প্রথমে ঘুণাক্ষরেও বুঝতে পারত না যে তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা খরচ হয়েছে। এমনই সুকৌশলে পুরো কাজটি সারা হত। সহকর্মীদের এটিএম কার্ড 'চুরি' করে দিনের পর দিন জালিয়াতি। বুদ্ধি খাটিয়ে তত্পরতার সঙ্গে বেশ অভিনব উপায়ে হাতসাফাই। অবশেষে পুলিস জালে ধরা পড়ল অভিযুক্ত। ধৃতের নাম বিশ্বজিত জানা। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার রামনগর এলাকার বাসিন্দা বিশ্বজিত পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসার একটি বেসরকারী হাসপাতালে কর্মরত ছিল বিশ্বজিত। অভিযোগ, দিনের পর দিন সহকর্মীদের অসাবধনাতার সুযোগ নিয়ে চলছিল সে। যখনই কোনও সহকর্মী তাঁর মোবাইল ও মানিব্যাগ অফিসের টেবিলে বা ড্রয়ারে রেখে কোনও জরুরি কাজে উঠে যেতেন, সেই সুযোগটাই কাজে লাগিয়ে হাতসাফাই করত বিশ্বজিত। অভিযোগ, বিশ্বজিত প্রথমে সহকর্মীর মোবাইল ও মানিব্যাগ থেকে তাঁর এটিএম কার্ডটি 'চুরি' করত। তারপর সেই এটিএম কার্ড দিয়েই চলত কেনাকাটা। যাতে কেউ কিছু বুঝতে না পারে, এটিএম কার্ড দিয়ে দাম মেটানোর পর, সহকর্মীর মোবাইলে আসা ওটিপি নম্বরটি মুছে দিত বিশ্বজিত। একইসঙ্গে মুছে দিত টাকা খরচের এসএমএসও। এই পুরো পর্বটিই অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে সারত বিশ্বজিত। কাজ হয়ে গেলে আবার জায়গার জিন

শুধু ভ্যাম্পায়ার নয়, মানুষের রক্ত পান করে মানুষ নিজেও!

Image
একজন সুস্থ-সতেজ যুবক বা যুবতীর তাজা রক্তের খোঁজে, রাতের অন্ধকারে তারা বের হয়। এবং যার রক্ত পান করে, সেও ওই একই পথের পথিক হয়ে যায়। সত্যিকারের এমন ভ্যাম্পায়ার রয়েছে কি না, তা এখনও জানা যায়নি। ভ্যাম্পায়ার, ড্রাকুলা— এদের নাম শুনলেই ভয়ে কেমন আত্মারাম খাঁচাছাড়া হয়ে যায়। কারণ, এরা মানুষের রক্ত পান করে।  একজন সুস্থ-সতেজ যুবক বা যুবতীর তাজা রক্তের খোঁজে, রাতের অন্ধকারে তারা বের হয়। এবং যার রক্ত পান করে, সেও ওই একই পথের পথিক হয়ে যায়। সত্যিকারের এমন ভ্যাম্পায়ার রয়েছে কি না, তা এখনও জানা যায়নি। তবে ভ্যাম্পায়ার নিয়ে হলিউডে বেশ কিছু ভয়ের ছবি তৈরি হয়েছে এ যাবৎ।  কিন্তু, চিকিৎসাবিজ্ঞান এক তথ্য উল্লেখ করেছে, যাতে প্রমাণিত হয়েছে যে অনেক মানুষই রয়েছে যারা রক্ত পান করতে ভালবাসে। এবং সেই রক্ত মানুষের না হলেও চলে। কোনও পশুর রক্ত পান করতেও তাদের অসুবিধা হয় না। কাহিনির ড্রাকুলা রক্ত পান করে বেঁচে থাকার তাগিদে। কিন্তু, এই সব রক্তপায়ী মানুষের এমন ইচ্ছে একেবারেই শারীরিক বা মানসিক অসুস্থতার লক্ষণ। 'হেল্‌থলাইন.কম' নামে এক ওয়েবসাইটের নিউজলেটারে বলা হয়েছে যে, বেঁচে থাকার জন্য যারা রক্ত খায়, তাদের 'স্যা

চালু হচ্ছে ভারত–নেপাল রামায়ণ বাস, উদ্বোধনে প্রধানমন্ত্রী

Image
কর্নাটক বিধানসভা নির্বাচনের প্রচার শেষ হয়েছে বৃহস্পতিবার। সেই প্রচারপর্ব সেরে এবার নেপালের মাটিতে পা রাখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুক্রবার সকালে দু'‌দিনের সফরে এসেছেন তিনি। এটা তাঁর তৃতীয়বার নেপাল সফর। জনকপুর শহরে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী। এখানে পৌঁছে এই সফরকে তিনি হিমালয়ের জাতি বলে বর্ণনা করেছেন। কারণ প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্থাপনই তাঁর সরকারের প্রথম ও প্রধান নীতি। এদিন জনকপুর থেকে অযোধ্যা পর্যন্ত পর্যটকদের জন্য বাস চালু করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সঙ্গে থাকছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। বাসটির নাম দেওয়া হয়েছে রামায়ণ। কারণ জনকপুর সীতার জন্মস্থান আর অযোধ্যা রামের জন্মস্থান। '‌তাই অযোধ্যা ও জনকপুরের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি হবে অত্যন্ত দৃঢ়'‌ বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যদিও রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের ব্যাখ্যা প্রতিবেশী রাষ্ট্রে গিয়েও ধর্মীয় বিভাজন করছেন প্রধানমন্ত্রী। তবে প্রধানমন্ত্রীর দাবি সবকা সাথ সবকা বিকাশ। নেপালের জনকপুর, কাঠমান্ডু এবং মুক্তিনাথ এলাকা জুড়ে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে। ১১ হাজার নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হ

₹৮.৬ লাখের ইলেকট্রিক বিল পেয়ে আত্মঘাতী সবজি-বিক্রেতা

Image
বিশাল অঙ্কের ইলেকট্রিক বিল পেয়ে আত্মহত্যা করলেন এক সবজি বিক্রেতা। এপ্রিল মাসের ইলেকট্রিক বিল হাতে পেতেই চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায় ঔরঙ্গাবাদের ৪০ বছরের সবজি বিক্রেতার। বিলের অঙ্কটা ছিল ৮.৬৪ লাখ। এরপর বৃহস্পতিবার সকালে উদ্ধার হয় তাঁর ঝুলন্ত দেহ। বিলের বোঝার আতঙ্কেই তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।  পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদেহের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি সুইসাইড নোট। তাতে লেখা রয়েছে, বিশাল অঙ্কের বিল পাওয়ায় তিনি জীবন শেষ করে দিচ্ছেন। এই ত্রুটির জন্য এক কর্মীকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মহারাষ্ট্র রাজ্য ইলেকট্রিসিটি বোর্ড। গত ২০ বছর ধরে পরিবারকে নিয়ে ভরতনগরে থাকতেন সবজি বিক্রেতা জগন্নাথ শেলকে। টিনের চালে ঢাকা ২টি ঘর। বিল অনুযায়ী, সেখানেই নাকি খরচ করা হয়েছে ৫৫,৫১৯ ইউনিট বিদ্যুত্‍‌। বিলের অঙ্ক ৮,৬৪,৭৮১ টাকা। বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছে, সেকশন ইঞ্জিনিয়ার মিটার রিডিং ৬১,১৭৮ KWH-এর জায়গায় ৬,১১৭.৮ KWH পাঞ্চ করে ফেলছিলেন। সে জন্যই বিল ৮.৬ লাখ চলে গিয়েছে। জগন্নাথের মিটারে কিছু সমস্যা থাকায়, গত ১০ জানুয়ারিই তা বদলানো হয়েছিল। 

৪০০ বছরে কোনও সন্তানের জন্ম দেয়নি এই 'অভিশপ্ত গ্রাম'!

Image
মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ভোপাল থেকে ১৩০ কিলোমিটার দূরে শাঁকা শ্যামজি গ্রাম। গত ৪০০ বছরে এই গ্রামে কোনও সন্তানের জন্ম হয়নি। কোনও মা এই গ্রামে সন্তানের জন্ম দেওয়ার সাহস জোটাতে পারেননি। কারণ এই গ্রামের ওপর দেবীর অভিশাপ রয়েছে বলে বিশ্বাস স্থানীয়দের। এখানে সন্তানের জন্ম দিলেই হয় সেই সদ্যোজাত, নয়তো প্রসূতির মৃত্যু হয়।  আজ নয়, এই ঘটনার সূত্রপাত ১৬'শ শতকে। শোনা যায়, গ্রামের মধ্যে মন্দির তৈরির সময় এক মহিলা জাঁতায় গম পিষছিলেন। সেই শব্দে মন্দিরের কাজে বিঘ্ন ঘটে। গ্রামের প্রচলিত লোককথা অনুযায়ী, দেবী কুপিত হয়ে গ্রামবাসীদের অভিশাপ দেন। তারপর থেকেই এই গ্রামে সন্তানের জন্ম নিষিদ্ধ। কোনও লিখিত আইন না থাকলেও নিতান্ত অসুবিধেয় না পড়লে এখানে কোনও মা সন্তানের জন্ম দেন না। গ্রামের সরপঞ্চ নরেন্দ্র গুর্জর জানালেন, '৯০% ডেলিভারি গ্রামের বাইরে হাসপাতালে হয়। যেগুলি হাসপাতালে হয় না, তার জন্য গ্রামের সীমানার বাইরে একটা ছোট ঘরে করে রাখা আছে। সন্তানের জন্মের সময় হলে সেখানেই চলে যান প্রসূতিরা।'  এমনকি প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টিতেই এই নিয়মের অন্যথা হয় না। তবে এর সঙ্গে কুসংস্কারের কোনও যোগ নেই বলে দাবি গ্রামবাসীদের। এই

অন্তর্বাস খুলে পরীক্ষা, তাকিয়ে ছিলেন পর্যবেক্ষক

Image
পালাক্কাড় (কেরল): গত ৬ মে নিট পরীক্ষায় বসতে পরীক্ষা হলে অন্তর্বাস খুলতে হয়েছিল যে মহিলা পরীক্ষার্থীকে, তিনি আজ পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করলেন, পরীক্ষা কেন্দ্রে তাঁর দিকে বাইরের এক পর্যবেক্ষক এমন ভাবে তাকিয়েছিলেন যার মধ্যে শালীনতা ছিল না। অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০৯ (শব্দ, অঙ্গভঙ্গি বা একজন মহিলার সম্ভ্রমহানির উদ্দেশ্যে খারাপ আচরণ) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এখানকার কোপ্পা এলাকায় লায়্ন্স স্কুলে লেখা পরীক্ষায় বসার আগে ওই পরীক্ষার্থী ও আরও কয়েকজনকে ব্রেসিয়ার খুলতে হয় তাতে ধাতব হুক থাকায়। অভিযোগ, বাইরের এক পুরুষ পর্যবেক্ষক তাঁর দিকে খারাপ ভাবে তাকিয়ে থাকেন, ফলে তাঁর অস্বস্তি হচ্ছিল। ওই পরীক্ষার্থীর বোন সংবাদ চ্যানেলকে বলেছেন, ওই পর্যবেক্ষক ওর সামনে বারবার এসে দাঁড়ান। মুখের দিকে নয়, নজর ছিল শরীরের বিশেষ একটি জায়গার ওপর। অস্বস্তি ঢাকতে ও প্রশ্নপত্রকে ঢাল করে। আমার বোন তীব্র মানসিক উত্তেজনায় ভোগে। ঠিকমতো পরীক্ষা দিতে পারেনি। পুলিশ জানিয়েছে, ওই স্কুলে পরীক্ষায় বসা অন্য পড়ুয়াদের সঙ্গে তারা কথা বলবে। ঘটনার আরও সাক্ষীদের কথা শুনবে। চেষ

ধর্ষিতা ও অ্যাসিড আক্রান্তদের ক্ষতিপূরণের মাত্রা নির্ধারিত

Image
ধর্ষিতা ও অ্যাসিড আক্রান্তদের ক্ষতিপূরণের পরিমাণ এ বার নির্ধারিত হল। কেন্দ্রীয় সরকারের পরামর্শ নিয়ে একটি ক্ষতিপূরণ নীতি ঠিক করেছে জাতীয় আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষ বা ন্যাশনাল লিগাল সার্ভিসেস অথরিটি (NALSA)। ঠিক হয়েছে, ধর্ষিতাদের কমপক্ষে ৫ লাখ ও অ্যাসিড আক্রান্তদের কমপক্ষে ৭ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।  যৌন নিগৃহীতাদের ক্ষতিপূরণ দিতে একটি মডেল নিয়ম তৈরির কথা বলেছিল সুপ্রিম কোর্ট। বিশেষত দুস্থ ধর্ষিতা ও তাঁর পরিবার আর্থিক অভাবের কারণে আইনি লড়াই লড়তে ব্যর্থ হয়। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ মেনেই ধর্ষিতাদের জন্য ন্যূনতম একটা ক্ষতিপূরণ ধার্য করা হয়েছে বলে জানিয়েছে NALSA। নয়া ক্ষতিপূরণ নীতিতে বলা হয়েছে, গণধর্ষিতা হলে বা ধর্ষণের কারণে প্রাণহানি হলে কমপক্ষে ৫ লাখ ও সর্বাধিক ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। ধর্ষণ অথবা অপ্রাকৃতিক যৌন হেনস্থার ঘটনায় দেওয়া হবে ন্যূনতম ৪ লাখ টাকা। ধর্ষণের কারণে ধর্ষিতা গর্ভবতী হয়ে গেলে তাঁকে দেওয়া হবে ন্যূনতম ৩ লাখ ও সর্বাধিক ৪ লাখ টাকা। হামলায় শরীরের কোনও অঙ্গ খোয়া গেলে বা তার ৮০%-ই অকেজো হয়ে গেলে দেওয়া হবে ২ লাখ টাকা। এছাড়া অ্যাসিড হামলায় সম্পূর্ণ শরীর পুড়ে গেলে আক্রা

সাপের জিভ কেন চেরা, সেই আশ্চর্য গল্প রয়েছে মহাভারতে।

Image
সাপকে দেখলেই গা শিরশির। অথচ পৃথিবীতে যত প্রজাতির সাপের দেখা মেলে তার একটা বিরাট অংশই বিষহীন। আসলে সাপের প্রতি ভয়ের কারণ কেবল তার প্রাণঘাতী বিষ নয়, তার চিত্রবিচিত্র নকশা আঁকা শরীর, চেরা জিভ— সব মিলে এক রহস্যময় ভয়াল ছবি ফুটে ওঠা। সাপকে ঘিরে কিংবদন্তির শেষ নেই। কোনও কোনও কিংবদন্তি লুকিয়ে রয়েছে মহাভারতের পাতাতেও। যেমন, সাপের জিভ কেন চেরা, সেই আশ্চর্য গল্পই রয়েছে মহাভারতে।  আসুন জেনে নেওয়া যাক সেই কাহিনি— মহর্ষি কাশ্যপের তেরো পত্নীর অন্যতম কদ্রু। তিনি কাশ্যপের কাছে ১ হাজার নাগ-সন্তান প্রার্থনা করলেন। কাশ্যপের অন্য পত্নী বিনতাও বর চাইলেন, তবে মাত্র দু'টি সন্তানের। কিন্তু শর্ত দিলেন, সেই সন্তানেরা যেন কদ্রুর সন্তানদের থেকে ঢের বেশি বলশালী হয়। কদ্রু জন্ম দেন ১ হাজার সাপের। কাশ্যপ-বিনতার দুই সন্তানের একজন গরুড়। অমৃত মন্থনের সময়ে যখন উচ্চৈশ্রবা নামের ঘোড়া উঠে আসছিল তখন কদ্রু ও বিনতার মধ্যে বাজি হয় ঘোড়ার লেজের রং নিয়ে। কদ্রু বলেন, সাপটির লেজ কালো। বিনতা বলেন, সাদা। ঠিক হয় যে বাজিতে হারবে, সে অন্যের দাসী হয়ে থাকবে। কদ্রু তাঁর সন্তানদের বলেন, উচ্চৈশ্রবার লেজকে ঢেকে রাখতে, যাতে তা কালোই দেখায়

অগ্নিদগ্ধ বৃদ্ধা, না বাঁচিয়ে ছবি তুললেন পড়শিরা

Image
উলুবেড়িয়া : ভোর ৫টা নাগাদ ধোঁয়া দেখা গিয়েছিল ছাদে। প্রতিবেশীদের চিৎকারে পরিবারের লোকজন ছাদে উঠে দেখেন পুড়ে কালো হয়ে গিয়েছেন মিনা পাঁজা (৬৫)। বৃহস্পতিবার সকালে উলুবেড়িয়ার খলিশানি রামনগরের ঘটনা। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, অবসাদে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই বৃদ্ধা। এরই মধ্যে বিতর্ক শুরু হয়েছে প্রতিবেশীদের ভূমিকা নিয়ে। তাঁদের চিৎকারে পরিবারের লোকজনের ঘুম ভাঙলেও অভিযোগ, পাড়ার কয়েকজন যুবক মোবাইলে মিনাদেবীর পুড়ে যাওয়ার ছবি তুলে রেখেছিলেন। পরিবারের অভিযোগ, ছবি না তুলে তাঁরা তো গিয়ে বাঁচানোর চেষ্টা করতে পারতেন! তবে এ বিষয়ে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মাস ছয়েক আগে মৃত্যু হয়েছে মিনাদেবীর স্বামী কাশীনাথ পাঁজার। তারপর থেকেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন মিনাদেবী। শারীরিক অসুস্থতাও ছিল। সে কারণে এর আগে দু'বার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন তিনি, দাবি পরিবারের। দুই মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। বড় ছেলে বেঙ্গালুরুতে কর্মরত। মিনাদেবী থাকতেন ছোটছেলের পরিবারের সঙ্গে। ওই একই বাড়িতে থাকেন বড় বৌমা ও তাঁর ছেলেমেয়েরা। বড় বৌমা পাপড়ি পাঁজা বলেন, ''হাঁড়ি আলাদা হলেও আমরা এ

দুধেও মিশছে বিষাক্ত রাসায়নিক! চিকিৎসার পরও ফের অসুস্থ হয়ে পড়ছেন রোগীরা

Image
পেটে ব্যথা নিয়ে এসএসকেএমে গিয়েছিলেন হুগলির পুরশুড়ার বাসিন্দা রাঘব পাল। ডাক্তারবাবুরা দেখে জানান, গ্যাস্ট্রাইটিস। কিছু ওষুধ আর খাবারের নিয়ম-কানুন লিখে দিয়েই ছেড়ে দেন। দিনকয়েক সুস্থই ছিলেন। কিন্তু আবার পেটে ব্যথা। আবার এসএসকেএম। এবার একেবারে ভর্তিই হতে হল। বেশ কয়েকদিনের ভোগান্তি। নিজের তো বটেই, পরিবারেরও। চিকিৎসায় সাময়িকভাবে সুস্থ হয়ে উঠলেও, ফের মাথাছাড়া দিচ্ছে অসুখ। বিপাকে রাজ্যের বহু মানুষ। উদ্বিগ্ন চিকিৎসকরাও। কিন্তু, কেন এমনটা হচ্ছে? চিকিৎসকদের বক্তব্য, প্রধান কারণ খাবারে ভেজাল। খাবারে ফরমালিনের মতো রাসায়নিক উপস্থিতি ক্ষতি করছে কিডনি ও লিভারের। সেরে ওঠার পর রোগী যখন সেই ভেজাল খাবার খাচ্ছেন, তখন ফের অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। কারণ ফরমালিনের মেশানো খাবারের মাধ্যমে মানবশরীরে ঢুকছে বিষ। সেই বিষের কোনও প্রতিষেধক নেই। তাই অসুখও পুরোপুরি সারছে না। ভাগাড় কাণ্ডে তোলপাড় গোটা রাজ্য। আতঙ্কে মাংস খাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন অনেকে। মাছকে সতেজ রাখতে আবার ফরমালিন দেওয়া হয়, সেকথা জানতেও আর কারও বাকি নেই। তাহলে মানুষ খাবে কি? প্রোটিন জাতীয় থাবারে বলতে তো রইল গরুর দুধ। কিন্তু দুধেও যে মিশছে বিষাক্ত রাসায়নিক! জা

মোদীকে গুপ্তহত্যার ছক কষেছিল ISIS

Image
গান্ধীনগর: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে হত্যার ছক কষে ইসালামিক স্টেট৷ বিস্ফোরক তথ্যটি দিচ্ছে গুজরাতের সন্ত্রাস দমন শাখা৷ গত বছরের অক্টোবর মাসে গুজরাতের আঙ্কেলেশ্বর থেকে আইএস জঙ্গি সন্দেহে ২ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ৷ সেই মামলার পেশ করা চার্জশিটে মোদীকে হত্যার ছক কষা হয় বলে উল্লেখ আছে৷ ধৃত মীরজা ও মহম্মদ কাশিম স্টিম্বারওয়ালার বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করে সন্ত্রাস দমন শাখা৷ চার্জশিটে মীরজার হোয়াটস অ্যাপ চ্যাটের কথা উল্লেখ রয়েছে৷ হোয়াটস অ্যাপে 'ফেরারি' নামে একজনের সঙ্গে কথা হচ্ছিল৷ মোদীর নাম নিয়েই তাঁকে স্নাইপার রাইফেল দিয়ে গুলি করার কথা বলা হয়৷ এই কথোপকথনটি ২০১৬-র ১০ সেপ্টেম্বরের৷ আরও একটি হোয়াটস অ্যাপ চ্যাটেও বিস্ফোররক তথ্য মেলে৷ ২০১৬-র ২৬ জুলাই পাওয়া তথ্যে, রাশিয়ান পিস্তলের কথা উল্লেখ করে ফেরারি, মীরজা উত্তর দেয়-'পিস্তলটি আমার চাই'৷ এছাড়া দেশে আসা বিদেশি পর্যটকদের উপর হামলার ছকও করা হয়৷ ধৃত মহম্মদ কাশিম ও মীরাজার সরাসরি ইসলামি স্টেটের সদস্য না হোলেও, জঙ্গি ভাবনায় প্রভাবিত বলে দাবি এটিএসের৷ আঙ্কেলেশ্বরের একটি গবেষণাগারে প্রযুক্তি কর্মী হিসেবে কাজ করত মহম্মদ কা

ঠান্ডা পানীয়ের লোভ দেখিয়ে বালিতে শিশুকন্যাকে যৌন নির্যাতন

Image
হাওড়া: ঠান্ডা পানীয়ের লোভ দেখিয়ে এক শিশুকন্যাকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ। হাওড়ার বালির ঘটনায় গ্রেফতার প্রশান্ত মণ্ডল নামে এক ব্যক্তি। অভিযোগ, ওই শিশুটিকে একা পেয়ে লোভ দেখিয়ে বাড়ির পিছনে নিয়ে যায় ওই ব্যক্তি। সেখানেই যৌন নির্যাতন করা হয়। বাড়ি ফিরে শিশুটি অভিভাবকদের বিষয়টি জানালে, অভিযুক্তকে ধরে পাড়ার লোকজন গণপিটুনি দেয়। এরপর তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। আজ তাকে হাওড়া আদালতে তোলা হবে। বৃহস্পতিবার  রাত ৯টা নাগাদ বালি থানার অক্ষয় দত্ত লেনের বাসিন্দা ওই শিশুকে ঠান্ডা পানীয় দেবে বলে বাড়ির পিছনে নিয়ে যায় । সেখানে তাকে যৌন নিগ্রহ করা হয় বলে অভিযোগ। বাড়ি এসে শিশুটি মাকে সব জানিয়ে দেয় ৷ এরপর এলাকাবাসীরা তাকে ধরে বেধড়ক মারধর করে ৷

পরপর কন্যা সন্তান হওয়ায় বীরভূমে মহিলাকে পুড়িয়ে খুন

Image
বীরভূম: পরপর কন্যা সন্তান হওয়ার জের। বীরভূমের সিউড়িতে মহিলাকে পুড়িয়ে খুন। মেয়ে জন্ম দেওয়ার অভিযোগ গৃহবধূকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে । মৃতের স্বামীর বিরুদ্ধে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগও তুলেছে মহিলার পরিবার । মৃত মহিলার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে দেওরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকিরা পলাতক। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ৷ মহিলার মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে ৷ জানা গিয়েছে, এর আগেও কন্যা সন্তানের জন্ম দেওয়ার জন্য দিনের পর দিন মহিলার উপর অত্যাচার চালাত শ্বশুরবাড়ির লোকজন  ৷ মহিলার শ্বশুরবাড়ির প্রতিবেশীর কাছ থেকে খবরটি পেয়েছিলেন তাঁর মা ও আত্মীয়রা। বাড়িতেই পড়ে রয়েছিল মেয়ের দগ্ধ দেহ ৷  কন্যা সন্তামের জন্ম দেওয়ার অভিযোগে প্রায়ই মারধর করা হত গৃহবধূকে। সেই অভিযোগেই পুড়িয়ে মারার ঘটনা বলে দাবি মহিলার আত্মীয়দের।

১২৫টির বদলে এবার থেকে মাত্র ৩৭ জায়গায় খোলায় নমাজ পড়া যাবে

Image
গুরুগ্রাম: আগের মত ১২৫টি জায়গায় নয়, আজ থেকে গুরুগ্রামে মাত্র ৩৭টি জায়গায় খোলায় নমাজ পড়া যাবে। পুলিশের সঙ্গে বসে এই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে স্থানীয় মুসলিম সংগঠনগুলি। যে ৩৭টি জায়গায় নমাজ পড়া যাবে, সেগুলির মধ্যে ১৩টি সরকারি এলাকা। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, কোনও বিতর্কিত এলাকায় নমাজ পাঠ চলবে না। যে ৩৭টি জায়গায় প্রার্থনা হবে, সেখানে পুলিশি নিরাপত্তা থাকবে। মুসলমানরা চেয়েছিলেন ১০০-র কাছাকাছি খোলা জায়গায় নমাজ পাঠের অধিকার। কিন্তু তা মানেনি পুলিশ। গত এক মাস ধরে গুরুগ্রামে শুক্রবারের নমাজ পাঠ নিয়ে বিতর্ক চলছে। সেক্টর ৫৩-র বজিরাবাদ গ্রামে সরকারি জমিতে নমাজ পড়া নিয়ে ঝামেলা শুরু হয়। স্থানীয় জনাছয়েক যুবক বাধা দেন নমাজীদের, সেখান থেকে তাঁদের সরে যেতে বাধ্য করেন তাঁরা। ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যাওয়ার পর অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে পুলিশ। কিন্তু হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খাট্টারও বলে দেন, খোলায় নমাজ পড়া চলবে না। উল্টোদিকে মুসলিমদের বক্তব্য, শহরে জনসংখ্যা বেশি হওয়ায় মসজিদে জায়গা সংকুলান হচ্ছে না। ফলে শুক্রবারের নমাজ খোলা জায়গায় পড়তে বাধ্য হচ্ছেন তাঁরা। এই পরিস্থিতিতে পরিস্থিতি নিয়

শিশু ধর্ষণের বিচারেও চাই বিশেষ কোর্ট

Image
নারী-নির্যাতনের মতো মামলার বিচার দ্রুত শেষ করার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার বেশ কয়েকটি ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট তৈরি করেছে। এ বার শিশু ও নাবালিকা ধর্ষণের মামলার বিচারে বিশেষ আদালত গড়ার জন্য প্রতিটি রাজ্যকে পরামর্শ দিল কেন্দ্রীয় সরকার। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নাবালিকা বা শিশুকন্যা ধর্ষণের একের পর এক ঘটনায় উদ্বিগ্ন কেন্দ্র। কঠোর আইন প্রয়োগের পাশাপাশি এই ধরনের ঘটনায় যুক্ত অপরাধীর দ্রুত সাজা নিশ্চিত করতে প্রতিটি রাজ্যকে নির্দিষ্ট কিছু পদক্ষেপের পরামর্শ দিয়েছে তারা। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল সরকারের কাছে চিঠি পাঠিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। কেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট অর্ডিন্যান্স হাতে পেয়ে পদক্ষেপের ভাবনাচিন্তা শুরু করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। দিল্লি প্রশাসন সূত্রের খবর, নির্দিষ্ট ব্যবস্থার অঙ্গ হিসেবেই রাজ্যকে কয়েকটি বিশেষ আদালত তৈরির সুপারিশ করেছে কেন্দ্র। তাদের পরামর্শপত্রে বলা হয়েছে, ওই সব আদালতে শুধু শিশু বা নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তদের বিচার প্রক্রিয়া চালানো হবে। সেখানে বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি (স্পেশ্যাল পাবলিক প্রসিকিউটর) নিয়োগেরও পর

‘যৌন নিগ্রহ’ বাড়িতে, মামলা এক যুগ পরে

Image
বারো বছর আগে নিজের দাদা তাকে যৌন নিগ্রহ করেছিল বলে অভিযোগ জানিয়েছে দক্ষিণ কলকাতার বাসিন্দা ষোলো বছরের এক কিশোরী। ঘটনার সময় তার বয়স ছিল চার, আর তার দাদার নয়। তার দাবি, অভিভাবকদের সেই সময় সব জানালেও তাঁরা বিষয়টি চেপে যান।  সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ গত ২৫ এপ্রিল পকসো (প্রোটেকশন অব চিলড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেন্সেস) আইনে এফআইআর-ও করেছে। কিন্তু প্রায় এক যুগ আগের ঘটনার তদন্তে কী ভাবে এগোনো হবে তা ঠিক করতে বেশ হোঁচট খেতে হচ্ছে তাদের। আইনজীবীদের পরামর্শও নিতে হচ্ছে। ওই কিশোরী বর্তমানে দক্ষিণ কলকাতার এক ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। গত ২৩ এপ্রিল 'চাইল্ড লাইন'-এর ওয়েবসাইটে সে লিখিত অভিযোগ জানায়, তার পর ফোন করে ওই সংস্থার কর্মীদের মৌখিক ভাবে ঘটনার বিবরণও দেয়।  কলকাতা চাইল্ড লাইনের কর্মী দিলীপ বসুর কথায়, ''২৩ এপ্রিল ওই কিশোরী লিখিত ভাবে জানায়, বারো বছর আগে তার দাদা তাকে যৌন নিগ্রহ করেছিল। ওই ঘটনার ধাক্কা এখনও সে মানসিক ভাবে এতটাই বয়ে বেড়াচ্ছে যে, বেশ কয়েক বার সে আত্মহত্যারও চেষ্টা করেছে। অভিযোগ পেয়ে আমরা সংশ্লিষ্ট থানায় জানাই। থানা যথেষ্ট সহযোগিতা করে। ২৫ এপ্রিল পকস

‘সংসার চালাতে পারছি না, পুলিশের উর্দি পরেই ভিক্ষা করতে চাই’

Image
গত দু'মাস বেতন পাননি। সংসার চালাতে পারছেন না। তাই ভিক্ষা করতে চান। তবে একটা শর্ত রয়েছে। পুলিশের উর্দি পরেই ভিক্ষা করতে চান। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীসের কাছে এমনই আর্জি জানিয়েছেন মুম্বই পুলিশের এক কনস্টেবল। উদ্ধব ঠাকরের বাসভবন 'মাতোশ্রী'-তে নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন কনস্টেবল ধ্যানেশ্বর আহিররাও। গত ২০-২২ মার্চ ছুটি নিয়েছিলেন। তবে দু'দিনের ছুটি কাটিয়ে আর কাজে যোগ দেননি তিনি। সে সময় তাঁর স্ত্রীর পা ভেঙে যায়। স্ত্রীর চিকিৎসার জন্যই আরও পাঁচ দিনের ছুটি নেন তিনি। ধ্যানেশ্বরের দাবি, বাহিনীর শীর্ষ আধিকারিককে ফোন করে ওই পাঁচ দিনের জন্য ছুটির আর্জি জানিয়েছিলেন। এর পর গত ২৮ মার্চে কাজে যোগ দেন। তবে তার পর থেকেই আর বেতন পাচ্ছেন না। এ ভাবে মাস দু'য়েক কাটানোর পর অবশেষে চিঠি লিখেছেন মুম্বইয়ের পুলিশ কমিশনার দত্তা পডসলগিকর-সহ মুখ্যমন্ত্রীকে। তাতেই এমন কাতর আর্জি ধ্যানেশ্বরের। এমন আর্জি কেন জানালেন ধ্যানেশ্বর? চিঠিতে তিনি লিখেছেন, "অসুস্থ স্ত্রী, মেয়ে আর বয়স্ক মা-বাবার দেখাশোনা করতে হয়। তা ছাড়া, প্রতি মাসে কিস্তিতে লোনের টাকা মেটাতে হয়। কিন্তু, মাইনে না মেলায় ক

নোবেল বর্জন করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ! ফের বেলাগাম বিপ্লব

Image
কাজে না হোক, নিজের কথায় অন্তত 'বিপ্লব' ঘটিয়ে চলেছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। কখনও তাঁর মন্তব্যে হাসির রোল উঠেছে। কখনও বা চোখ কপালে ঠেকেছে। তবুও দমেননি তিনি। ফের এক বার অবাক করলেন বিপ্লব। এ বার তাঁর মন্তব্য: "ইংরেজদের বিরোধিতায় নোবেল বর্জন করেছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।" বুধবার রবীন্দ্রজয়ন্তীতে এক অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর ওই মন্তব্যে ব্যঙ্গের পাশাপাশি সমালোচনার ঝড় উঠেছে। উদয়পুরের পুরনো রাজবাড়িতে ভুবনেশ্বরী মন্দিরের চত্বরে শুরু হয়েছে রাজর্ষি উৎসব। গত কাল তারই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিপ্লব। সেখানে ভাষণ দিতে গিয়ে তাঁর মন্তব্য, "ইংরেজ সরকারের বিরোধিতা করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নোবেল পুরস্কার বর্জন করেছেন|" তবে এই প্রথম নয়। এর আগেও একাধিক বার এমন বাক্য-বিভ্রাট ঘটিয়েছেন বিপ্লব। কখনও বলেছেন, ''মহাভারতের যুগেও ইন্টারনেট ছিল। তা না হলে সঞ্জয় কী ভাবে ধৃতরাষ্ট্রকে কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের ধারাবিবরণী দেবেন?'' আবার কখনও বা তাঁর পরামর্শ, "সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদেরই সিভিল সার্ভিসে যাওয়া উচিত। মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের নয়।" নতুন প্রজন্মের কাছে নি

প্রেমের শাস্তি, প্রেমিককে পিটিয়ে খুন

Image
বাড়ির মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল ২০ বছরের তরুণের। তা আটকাতে প্রেমিককে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠল প্রেমিকার পরিবারের বিরুদ্ধে।  উত্তরপ্রদেশের সমভাইপুর গ্রামের ঘটনা। প্রেমিকার বাবা এবং ভাইকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নিহত তরুণ মোহিত কুমার কোরাউটা গ্রামর বাসিন্দা। পুলিশ জানিয়েছে, দেখা করার জন্য তাঁকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন মেয়েটির বাড়ির লোকজন। মোহিত পৌঁছলে তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। অজ্ঞান অবস্থায় তাঁকে রাস্তার ধারে ফেলে পালিয়ে যান অভিযুক্তেরা। স্থানীয় মানুষের কাছ থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন মোহিতের বাবা-মা। তাঁরা মোহিতকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই মৃত্যু হয় মোহিতের। এই ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে উঠেছে গাফিলতির অভিযোগ। মোহিতের মৃত্যুর পরে তাঁর বাবা-মা লোহটা থানায় এফআইআর করতে গেলে পুলিশ প্রথমে তা নিতে রাজি হয়নি বলে অভিযোগ। এর পরেই ধর্নায় বসেন বহু মানুষ। পুলিশ তিন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করলে ধর্না ওঠে। এর পরেই প্রেমিকার বাবা এবং ভাইকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

শরবতে কি মিশছে সংরক্ষণের বরফ? চিনে নিন রং দেখেই

Image
বাণিজ্যিক বরফের রং হবে নীল। আগামী ২০ জুন থেকে। এমনই নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় খাদ্য নিরাপত্তা কমিশন।  দেশ জুড়ে বাণিজ্যিক বরফ শরবতে মিশিয়ে বিক্রির প্রবণতা বাড়ছিল। কলকাতা শহরেও এ নিয়ে প্রায়শই নানা অভিযোগ জমা পড়েছে। চিকিৎসকদের মতে, বাণিজ্যিক বরফ পেটে গেলে তা শরীরে ক্ষতি করতে পারে। তা কেবল মাছ, মাংস, আনাজ সংরক্ষণের কাজে লাগানো যায়। শব সংরক্ষণের কাজেও প্রয়োজন হয়। কিন্তু সেই বরফ রাস্তাঘাটে শরবত, আখের রসে প্রকাশ্যেই মেশানোর রেওয়াজ চলছিল। ফলে সংরক্ষণের বরফ এবং খাওয়ার বরফের রং এক হওয়ায় অনেক সময়ে মেশানোর কারবার ধরাও মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছিল। গত জুলাইয়ে কলকাতা পুরসভা ওই দুই বরফের রং আলাদা করার বিষয়ে উদ্যোগীও হয়। তবে বাণিজ্যিক বরফ প্রস্তুত কর্তা এবং একাধিক বিশেষজ্ঞের মতকে গুরুত্ব দিতে গিয়ে সেই কাজে আর এগোতে পারেনি পুর প্রশাসন। এ বার কেন্দ্রীয় ফুড সেফটি কমিশনের নির্দেশ পেয়ে অনেকটা আশ্বস্ত পুর কর্তারা। বৃহস্পতিবার সেই নির্দেশের কথা বলে মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) অতীন ঘোষ জানালেন, এ বার খাবারে বাণিজ্যিক বরফ মেশানো নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হবে। শহরের পথঘাটে বিক্রি হওয়া শরবত, আখের রসে বাণিজ্যিক বরফ মেশানোর

নেশা ছাড়ানোর অজুহাতে কিশোরীকে ধর্ষণ নেশা মুক্তি কেন্দ্রের মালিকের

Image
দিন তিনেক আগে সোনারপুরের এক নেশা মুক্তি কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন ব্যক্তিকে মারধর করে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছিল। এ বার বেহালায় একটি নেশা মুক্তি কেন্দ্রের মালিকের বিরুদ্ধে এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল। বুধবার রাতে অভিযুক্তকে প্রোটেকশন অব চিল্ড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেন্স (পকসো) আইনে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, ধৃতের নাম সঞ্জয় পাল। বেহালার মুচিপাড়া এলাকায় 'সুরক্ষা' নামে একটি নেশা মুক্তি কেন্দ্র চালান তিনি। অসংলগ্ন জীবনযাপনে অভ্যস্ত বজবজের বছর পনেরোর এক কিশোরীকে স্বাভাবিকতায় ফিরিয়ে আনতে মাস তিনেক আগে তাকে ওই কেন্দ্রে ভর্তি করিয়ে দিয়েছিলেন তার মা। বুধবার বিকেলে তিনি মেয়েকে দেখতে এসেছিলেন। কিশোরীটি তখনই তাঁকে ধর্ষণের কথা জানায়। মা কাঁদতে কাঁদতে বেরিয়ে এসে আশপাশের লোকজনকে সব জানান। বাসিন্দারাই তাঁকে থানায় পাঠান। তদন্তে পুলিশ জেনেছে, নেশামুক্তি কেন্দ্র গড়বেন বলে সঞ্জয় বছর দুয়েক আগে মুচিপাড়ার ওই দোতলা বাড়িটি ভাড়া নেন। সেখানে মদ, মাদক-সহ সব ধরনের নেশা থেকে মুক্ত করার চিকিৎসা হয় বলে তিনি বিভিন্ন জায়গায় বিজ্ঞাপনও দিতেন। ওই কেন্দ্রের দোতলায় মহিলা এবং একতলায় পুরুষ রোগীদের থাকার ব্যবস্থ

সোমবারই হচ্ছে পঞ্চায়েত ভোট, তবে ঝুলে রইলেন ‘বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী’রা

Image
রাজ্য নির্বাচন কমিশন নির্ধারিত ১৪ মে পঞ্চায়েত নির্বাচন হলে হস্তক্ষেপ করবে না আদালত। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের এই রায়ের সঙ্গে সঙ্গে, এক মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা আইনি লড়াইয়ের জেরে, নির্বাচন নিয়ে যে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল, তা কার্যত দূর হল। অন্য দিকে শীর্ষ আদালতও ই-মনোনয়ন নিয়ে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়ের উপর স্থগিতাদেশ জারি করায়, ১৪ তারিখ ভোট করাতে কোনও বাধা আর রইল না। আইনি বাধা কাটার পরপরই, সোমবারই নির্বাচন- এই মর্মে জেলা প্রশাসনগুলিকে বার্তা পাঠিয়ে দিয়েছে কমিশন। তবে, রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে ৩৪ শতাংশ আসন বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় জয়, দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে শীর্ষ আদালতেরও। তাই শীর্ষ আদালত ওই বিজয়ীদের জয়ের শংসাপত্র দেবার উপরও স্থগিতাদেশ দিয়েছে। এটাই এই মুহুর্তে বিরোধীদের এক মাত্র পাওনা। এ দিন, প্রধান বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্য এবং অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ পঞ্চায়েত নির্বাচনের নিরাপত্তা সংক্রান্ত মামলার রায় ঘোষণা করতে গিয়ে জানান, রাজ্য সরকারের প্রস্তাবিত নিরাপত্তা ব্যবস্থার উপর আদালতের আস্থা আছে। বিচারপতি ভট্টাচার্য বলেন, "আদালত আশা রাখে যে নির্বাচন