অগ্নিদগ্ধ বৃদ্ধা, না বাঁচিয়ে ছবি তুললেন পড়শিরা


উলুবেড়িয়া : ভোর ৫টা নাগাদ ধোঁয়া দেখা গিয়েছিল ছাদে। প্রতিবেশীদের চিৎকারে পরিবারের লোকজন ছাদে উঠে দেখেন পুড়ে কালো হয়ে গিয়েছেন মিনা পাঁজা (৬৫)। বৃহস্পতিবার সকালে উলুবেড়িয়ার খলিশানি রামনগরের ঘটনা। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, অবসাদে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই বৃদ্ধা।
এরই মধ্যে বিতর্ক শুরু হয়েছে প্রতিবেশীদের ভূমিকা নিয়ে। তাঁদের চিৎকারে পরিবারের লোকজনের ঘুম ভাঙলেও অভিযোগ, পাড়ার কয়েকজন যুবক মোবাইলে মিনাদেবীর পুড়ে যাওয়ার ছবি তুলে রেখেছিলেন। পরিবারের অভিযোগ, ছবি না তুলে তাঁরা তো গিয়ে বাঁচানোর চেষ্টা করতে পারতেন! তবে এ বিষয়ে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মাস ছয়েক আগে মৃত্যু হয়েছে মিনাদেবীর স্বামী কাশীনাথ পাঁজার। তারপর থেকেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন মিনাদেবী। শারীরিক অসুস্থতাও ছিল। সে কারণে এর আগে দু'বার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন তিনি, দাবি পরিবারের। দুই মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। বড় ছেলে বেঙ্গালুরুতে কর্মরত। মিনাদেবী থাকতেন ছোটছেলের পরিবারের সঙ্গে। ওই একই বাড়িতে থাকেন বড় বৌমা ও তাঁর ছেলেমেয়েরা।

বড় বৌমা পাপড়ি পাঁজা বলেন, ''হাঁড়ি আলাদা হলেও আমরা এক বাড়িতে থাকি। বুধবার রাতেও মা আমাদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন ভাল ভাবে। এ দিন সকালে প্রতিবেশীদের চিৎকারে ঘুম ভাঙে।'' এ দিন ভোরে প্রথম ছাদে উঠেছিলেন মিনাদেবীর ছোট বৌমা দেবশ্রী। তিনি বলেন, ''আমি ছাদে গিয়ে দেখি সব শেষ। কালো হয়ে গিয়েছে দেহ। অথচ, পরে দেখেছি অনেকে ছবি তুলেছেন। তাঁরা তো এগিয়ে আসতে পারতেন!''

পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।