Posts

Showing posts from January 10, 2019

এটিএম-এ প্রতারণা, সেখানেই ১৭ দিন ‘গোয়েন্দাগিরি’ করে জালিয়াতকে ধরলেন মহিলা!

Image
ধৃত ভূপেন্দ্র। এটিএম-এ টাকা তুলতে গিয়েছিলেন মহিলা। সমস্যা হওয়ায় সাহায্য করেছিলেন বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা এক ব্যক্তি। মহিলা অফিসে ফিরে যাওয়ার পরই মোবাইলে এসএমএস আসে, ১০ হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে। প্রথমেই সন্দেহ হয় সাহায্যকারী ওই ব্যক্তিকে। আর শেষ পর্যন্ত ওই দুষ্কতীকে পাকড়াও করেই ছাড়লেন মহিলা। পুলিশের সাহায্য ছাড়াই। নিজেই গোয়েন্দাগিরি করলেন। বান্দ্রা এলাকার এই ঘটনা এবং মহিলার বুদ্ধিমত্তা চমকে দিয়েছে মুম্বই  পুলিশের দুঁদে গোয়েন্দাদেরও। কীভাবে জালে পড়ল দুষ্কৃতী? টাকা খোয়া যাওয়ার পরই অভিনব পরিকল্পনা করেন ওয়াডলা এলাকার বাসিন্দা বছর পঁয়ত্রিশের রেহানা শেখ নামে ওই মহিলা। প্রতি দিন দীর্ঘক্ষণ ওই এটিএম-এর কাছাকাছি আড়াল থেকে নজরদারি চালাতেন। কিন্তু প্রতি দিনই হতাশ হয়ে ফিরতেন। তবে হাল না ছেড়ে 'গোয়েন্দাগিরি' চালিয়ে যেতে থাকেন। শেষমেষ ১৭ দিনের মাথায় 'পাখি ফাঁদে পড়ে'। এটিএম-এ সাহায্য করা সেই ব্যক্তিকে ওই এলাকায় ঘোরাফেরা করতে দেখেই সতর্ক হয়ে যান। শেষ পর্যন্ত ওই দুষ্কৃতীকে ধরে ফেলেন। স্থানীয়দের সাহায্য নিয়ে তাঁকে আটকে রেখে পুলিশে খবর পাঠান রেহানা। পুলিশ এ

১০ শতাংশ সংরক্ষণ বিলে চ্যালেঞ্জ, সুপ্রিম কোর্টে রুজু জনস্বার্থ মামলা

Image
সংরক্ষণ বিলের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা রুজু সুপ্রিম কোর্টে রাষ্ট্রপতির সইয়ের আগেই সংসদে পাশ হওয়া উচ্চবর্ণের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণের বিলকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা রুজু হল সুপ্রিম কোর্টে। বৃহস্পতিবার ওই জনস্বার্থ মামলাটি করেছে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।ওই বিলটি শীর্ষ আদালতের একটি রায়ের পরিপন্থী বলেও দাবি জানিয়েছে তারা। মঙ্গলবার লোকসভা এবং পরে বুধবার রাজ্যসভাতে সংরক্ষণ সংক্রান্তওই বিল পাশ হয়েছে। আর পরের দিনই তাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করল 'ইয়ুথ ফর কোয়ালিটি' নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। ওই সংগঠনের আইনজীবীদের যুক্তি, সুপ্রিম কোর্টই একটি মামলায় রায় দিয়েছিল, সংরক্ষণের জন্য শুধুমাত্র আর্থিক অবস্থা একমাত্র মাপকাঠি হতে পারে না। ভারতীয় সংবিধানেও সে কথা উল্লেখ করা হয়েছে। আবার শীর্ষ আদালত অন্য একটি মামলায় রায় দেয়, সব শ্রেণি মিলিয়ে মোট সংরক্ষণ ৫০ শতাংশের বেশি হবে না। নয়া সংরক্ষণ বিল এই দুই রায়েরই বিরোধী। এই রায়ের ফলে সংরক্ষণ সংক্রান্ত সাংবিধানিক কাঠামোই ভেঙে পড়বে বলেও দাবি করেছেন মামলাকারীরা। সাধারণ শ্রেণির আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া অংশের জন্য চাকরি ও শিক্ষা ক্ষেত্রে ১

ভোটের আগে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য জিএসটিতে ছাড়ের সীমা দ্বিগুণ করল কেন্দ্র

Image
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি।  ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের উৎসাহ দিতে পণ্য ও পরিষেবা কর (জিএসটি)-এ ছাড়ের সীমা দ্বিগুণ করা হল। বছরে তার পরিমাণ ২০ লক্ষ টাকা থেকে বেড়ে হল ৪০ লক্ষ টাকা। আর উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির ক্ষেত্রে তা দ্বিগুণ হয়ে দাঁড়াল ২০ লক্ষ টাকায়। আগামী ১ এপ্রিল থেকেই তা কার্যকর হবে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির এই ঘোষণাকে অবশ্য লোকসভা ভোটের আগে একটি 'মোক্ষম চাল' বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। বৃহস্পতিবার দিল্লিতে জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকের পর কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, ''ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা ত্রৈমাসিক পর্যায়ে কর মেটানোর পাশাপাশি এ বার বছরের শেষে, এক বারই আয়কর রিটার্ন জমা দিতে পারবেন।'' যে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা এত দিন বছরে এক কোটি টাকার টার্ন ওভার থাকলেই জিএসটির অধীনে থাকা 'কম্পোজিশন প্রকল্পে'র ছাড়ের সুবিধা পেতেন, এ বার বছরে দেড় কোটি টাকা টার্ন ওভার থাকলেও তাঁরা সেই সুবিধা পাবেন। যাঁরা পরিষেবা ও সরবরাহের সঙ্গে জড়িত, সেই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের বছরে ৫০ লক্ষ টাকার টার্ন ওভার থাকলেও তাঁরা কম্পোজিশন প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। জেটলি অবশ্য এও জানিয়ে

‌কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিনামূল্যে পড়ানো হবে, কৃষ্ণনগরের সভা থেকে ঘোষণা মমতার

Image
কৃষ্ণনগরের সভা থেকে মোদি সরকারকে তুলোধনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। রাজ্য সরকারের প্রকল্পের কেন্দ্রের হস্তক্ষেপে তীব্র প্রতিবাদ করে মমতা বলেছেন, রাজ্যের টাকা নিয়ে দালালি করছেন মোদি। একাধিক সরকারি প্রকল্পে টাকা দিচ্ছে রাজ্য সরকার, আর কৃতিত্ব নিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্র। প্রচার করা হচ্ছে কেন্দ্র সরকার টাকা দিচ্ছে। প্রতিবাদে তাই আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পে রাজ্য সরকার টাকা দেবে না বলে ঘোষণা করেছেন তিনি। মমতা অভিযোগ করেছেন চাষিদের বিমা দিচ্ছে রাজ্য সরকার। আর কেন্দ্র তার কৃতিত্ব দাবি করছে।  এমনকী রাজ্যের আইনশৃঙ্খলাচতেও হস্তক্ষেপ করছে কেন্দ্র সরকার। যা কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সংরক্ষণ নিয়েও মোদি সরকার রাজনীতি করছে বলে অভিযোগ করেছেন। ৫০ শতাংশ সংরক্ষণকে ৬০ শতাংশে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এতে ক্ষতি হয়েছে উচ্চবর্ণের মানুষেরই। এতদিন ৫০ শতাংশ জায়গা সাধারণদের জন্য বরাদ্দ ছিল। তাতে ১০ শতাংশ কমে যাওযায় আরও বেশি চাকরির সংকট তৈরি হবে। যাঁদের সত্যি চাকরির প্রয়োজন তাঁরা চাকরি পাবেন না। এমনই অভিযোগ করেছেন তিন। ভোটের আগে ভাঁওতা, প্রহসন আর লুঠের রাজনীতি চালাচ্ছে মোদি সরকার। অভি

সেনাবাহিনীতে সমকাম বেআইনি, জানিয়ে দিলেন সেনাপ্রধান

Image
শীর্ষ আদালত স্বীকৃতি দিলেও সেনাবাহিনী সমকাম মেনে নিতে রাজি নয়। বৃহস্পতিবার দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠকে সেনা প্রধান বিপিন রাওয়ত জানিয়েছেন, ভারতীয় সেনায় সমকামের কোনও জায়গা নেই। এক্ষেত্রে ভীষণভাবে রক্ষণশীল তাঁরা। শীর্ষ আদালত যতই মান্যতা দিক সেনাবাহিনীতে তা অপরাধ বলেই গন্য হবে। যেভাবে সেনাবাহিনীতে ব্যাভিচারের কোনও জায়গা নেই। এবং সেনা আইন অনুযায়ী সেটা অপরাধ বলেই বিবেচিত হয়। সমকামের ক্ষেত্রেও একই আইন কার্যকর হবে। সেনা প্রধান বিপিন রাওয়ত জানিয়েছেন, যে জওয়ানরা সীমান্তে রয়েছেন তাঁরা কোনওভাবেই যাতে পরিবারকে নিয়ে চিন্তিত না থাকেন সেটা সবার আগে নজরে রাখতে হয়। সেকারণেই কোনও রকম ব্যভিচার এখানে বরদাস্ত করা হয়না। সমকামী অথবা রূপান্তকামীদের জন্য এই নিয়ম কার্যকর করা হবে। একই সঙ্গে জওয়ানদের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের ক্ষেত্রে রক্ষণশীল হতে হবে বলে এদিন জানিয়েছেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়তো করা হবে না, তবে জওয়ানরা যাতে সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহারে সতর্ক হন সেদিকে নজর রাখা হবে। গঠনমূলক কাজে ব্যবহার করতে হবে সোশ্যাল মিডিয়া। সেজন্য জওয়ানদের সচেতনও করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। কারণ গত কয়েক ব

কাজ না পেলেও সমস্ত নাগরিককে ন্যূনতম বেতন! চালু করার পথে সিকিম

Image
কাজ না পেলে মিলবে সরকারের তরফে ন্যূনতম বেতন। কাজ না করলেও সমস্যা নেই। সরকারের তরফে আপনার কাছে পৌঁছে যাবে ন্যূনতম বেতন। প্রকল্পের নাম ন্যূনতম বেতন প্রকল্প, যার কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে সিকিমে। ক্ষমতায় এলে ২০২২ সালের মধ্যে রাজ্যের সমস্ত বাসিন্দার হাতে ন্যূনতম বেতন পৌঁছে দেওয়া যাবে বলে জানাল সিকিমের ক্ষমতাসীন পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (পিডিএফ)। এই প্রকল্প চালু হলে দেশের মধ্যে প্রথম রাজ্য হবে সিকিম, যারা রাজ্যের বাসিন্দাদের হাতে ন্যূনতম বেতন পৌঁছে দিতে পারবে। যদিও ন্যূনতম বেতনের বিষয়টি সিকিমের মস্তিষ্কপ্রসূত, এরকমটা নয়। ২০১৭ সালে বিষয়টি নিয়ে একটি অর্থনৈতিক সমীক্ষা চালায় কেন্দ্র। দারিদ্র দূরীকরণে এবং সামাজিক উন্নয়নের নিরিখে এই ভাবনাকে খুবই আকর্ষণীয় বলে উল্লেখ করা হয় সেই সমীক্ষায়। সংবাদ মাধ্যমকে পিডিএফ সাংসদ প্রেমদাস রাই জানিয়েছেন, '' ইউনিভার্সাল বেসিক ইনকাম বা ন্যূনতম বেতন প্রকল্প চালু করতে আমাদের মুখ্যমন্ত্রী পবনকুমার চামলিং প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ক্ষমতায় আসার তিন বছরের মধ্যে এই প্রকল্প চালু করা যাবে বলে আমরা আশাবাদী।'' পরীক্ষামূলক ভাবে গুজরাত এবং মধ্যপ্রদেশ সরকার নিজেদের উপজ

চিটফান্ড তদন্তে সক্রিয় হচ্ছে সিবিআই, তলব করা হতে পারে প্রভাবশালীদের

Image
চিটফান্ড-কাণ্ডের তদন্তভার হাতে নেওয়ার পর রাজ্যের সমস্ত ভুয়ো অর্থলগ্নি সংস্থার একটি তালিকা তৈরি করে সিবিআই।  বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে আবার কোমর বেঁধে নামছে সিবিআই। সারদা-রোজভ্যালি ছাড়াও রাজ্যের শ'খানেক চিটফান্ডের বিরুদ্ধে লাগাতার অভিযানে নামতে চলেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। এ রাজ্যে বেশ কয়েক মাস ধরে চিটফান্ড তদন্তের গতি থমকে ছিল। সিবিআই সূত্রে খবর, ওই মামলাগুলি নতুন করে খতিয়ে দেখা হবে। সংস্থাগুলির সঙ্গে যুক্ত প্রভাবশালীদের তলব করা হতে পারে। বৃহস্পতিবার মঙ্গলম অ্যাগ্রো প্রোডাক্টস লিমিটেড নামে একটি চিটফান্ড সংস্থার অফিসে হানা দেয় সিবিআই। এর পাশাপাশি বেহালায় ওই সংস্থার ডিরেক্টরদের বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে বলে ওই গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে খবর। চিটফান্ড-কাণ্ডের তদন্তভার হাতে নেওয়ার পর রাজ্যে যে সব ভুয়ো অর্থলগ্নি সংস্থা রয়েছে, তার একটি তালিকা তৈরি করে সিবিআই। প্রথম দিকেই নাম উঠে আসে সারদা, রোজভ্যালি, এমপিএস-এর মতো সংস্থাগুলির। এ ছাড়াও রাজ্যে বেশ কয়েকটি চিটফান্ড সংস্থার সক্রিয় থাকার প্রমাণ পান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। অনেক চিটফান্ড সংস্থা ব্যবসার ধরন বদলেও, বেশ কয়েক বছ

ছেলে-বউমা বাইরে, তালাবন্ধ বাড়িতে অগ্নিদগ্ধ হলেন অশীতিপর বৃদ্ধা

Image
ফাঁকা বাড়িতে বৃদ্ধা মাকে তালা বন্ধ করে বেরিয়ে যেতেন ছেলে ও বউমা। বাড়িতে আচমকা আগুন লেগে যাওয়ায় সব ওলোটপালট হয়ে গেল।অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় ওই বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভরতি করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনার পর ছেলে ও বউমাকে ঘিরে রীতিমতো বিক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা। অমানবিক ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহার শহরে। কোচবিহার শহরের নিউ কদমতলা এলাকায় ছেলে ও বউমার সঙ্গে থাকেন নব্বই পেরোনো সাধনা রায়। তাঁর ছেলে ও বউমা দু'জনেই চাকরি থেকে অবসর নিয়েছেন। তুফানগঞ্জে তাঁদের আরও একটি বাড়ি আছে। সাধনাদেবীর দুই নাতি সেখানে থাকে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, যখনই বাইরে যাওয়ার দরকার পড়ত, তখন ফাঁকা বাড়িতে ওই বৃদ্ধাকে তালাবন্ধ করে বেরিয়ে যেতেন তাঁর ছেলে উদয়শংকর ও বউমা নারায়ণী। প্রায় রোজই বাড়িতে একা থাকতে হত সাধনাদেবীকে। বুধবার সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা দেখেন, তালাবন্ধ বাড়িতে আগুন লেগে গিয়েছে।দমকল ও পুলিশে খবর দেন তাঁরা। দরজার তালা ভেঙে অশীতিপর ওই বৃদ্ধাকে উদ্ধার করেন দমকলকর্মীরা। তাঁকে ভরতি করা হয়েছে হাসপাতালে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, শরীরের অনেকটা ্অংশ পুড়ে গিয়েছে। সাধনা রায়ের শারীরিক অবস্থা গুরুতর।  এদিকে এই ঘটনার

ফেসবুকে পোস্ট দেখে লোনের আবেদন, প্রতারিত যুবক

Image
ফেসবুকে পোস্ট দেখে লোনের আবেদন করে প্রতারিত হলেন এক যুবক। অর্পণ দেবনাথ নামে ওই যুবক সোনারপুরের মালিরবাগানের বাসিন্দা। অর্পণ বলেন, "বিজ্ঞাপনে লেখা ছিল যাঁদের আয়কর রিটার্ন ফাইল করতে হয় না বা যাঁরা কর্মরত নন তাঁরা লোন পাবেন। আমার টাকার দরকার ছিল তাই মেসেঞ্জারে ওই সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করি। অলোক দাস নামে এক ব্যক্তি আমাকে ওই সংস্থার হয়ে লোন করিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেন। তার জন্য আমার কাছ থেকে ভোটার কার্ড, আধার কার্ড ও প্যান কার্ডের ফোটোকপি ও একটি ব্ল্যাঙ্ক চেকও নেন। সোনারপুরে এসে শুভজিৎ দাস নামে একজন এগুলি নিয়ে যায়। পরদিনই আমাকে ফোনে ওরা জানায় আমার কাছ থেকে নেওয়া চেকটি হারিয়ে গিয়েছে। আমি আরেকটি চেক ওদের দিই। " ভেরিফিকেশনের জন্য অর্পণকে একটি ব্যাঙ্কেও নাকি নিয়ে যাওয়া হয়। ডাকা হয়েছিল হাজরাতেও। এর পর তাঁর মোবাইলে একটি মেসেজ আসে। যেখানে তিনি দেখেন, তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে ৩৫ হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। তখনই সোনারপুর থানায় যোগাযোগ করেন তিনি।  এরপরই তদন্ত শুরু করে পুলিশ। মানসকুমার দত্ত নামে এক ব্যাক্তির অ্যাকাউন্টে ওই টাকা ঢুকেছে বলে জানা গেছে।

ছুটির পরেও অফিসের কাজে চাপ! লোকসভায় নতুন বিলে নানা প্রস্তাব

Image
ছুটি হয়ে গিয়েছে আগেই। কিন্তু তার পরেই চলছে কাজ। বাড়ি গিয়ে দিতে হচ্ছে ইমেলের উত্তর, সবই চলতে থাকে আজকাল। এইসব বন্ধে লোকসভায়  বিল পেশ করেছেন এনসিপি সাংসদ সুপ্রিয়া সুলে। বিলটি প্রাইভেট মেম্বারস বিল নামে পরিচিত। বিলটির পোশাকি নাম রাইট টু ডিসকানেক্ট বিল। রাইট টু ডিসকানেক্ট বিলে বলা হয়েছে, ছুটির পর অফিসের কাজ সংক্রান্ত কোনও ফোনকল কিংবা ইমেল এড়িয়ে যেতে পারবেন সংশ্লিষ্টকর্মী। এই বিল পাশ হলে কর্মীদের ব্যক্তিগত ও কর্ম জীবনের মধ্যে ব্যবধান ও চাপ কমাবে বলে আশাপ্রকাশ করেছেন প্রস্তাবক সুপ্রিয়া সুলে। এই ধরনের আইন পাশ রয়েছে ফ্রান্সের সুপ্রিম কোর্টে। এছাড়াও এই আইন বলবত হয়েছে নিউইয়র্কে। জার্মানিতে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। বিলটির প্রস্তাবে বলা হয়েছে তথ্য প্রযুক্তি, যোগাযোগ এবং শ্রমমন্ত্রককে নিয়ে এমপ্লয়ি ওয়েলফেয়ার অথরিটি গঠন করতে হবে। বিলটিতে বলা হয়েছে, ১০ জনের বেশি কর্মী রয়েছে, এমন সংস্থায় নির্দিষ্ট সময় অন্তর কর্মীদের সঙ্গে বসতে হবে। যেখানে কর্মীদের নিজেদের দাবি থাকবে। সংস্থার কর্মীদের নিয়ে এমপ্লয়ি ওয়েলফেয়ার কমিটি গঠন করতে হবে। নির্দিষ্ট সময়ের বাইরে কোনও সংস্থা কর্মীকে কাজ করতে বাধ্য করতে পারব

বড় বউদির সঙ্গে স্বামীর 'সম্পর্ক' ভালো ঠেকেনি! বিয়ের ১১ মাসের মাথায় মর্মান্তিক পরিণতি যুবতী স্ত্রীর

Image
বড় বউদির সঙ্গে স্বামীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক। সেকথা জানতে পেরে প্রতিবাদ করেছিলেন সদ্য বিয়ে করা স্ত্রী। পরিণতি হল মর্মান্তিক। বিয়ের ১১ মাসের মাথায় অস্বাভাবিক মৃত্যু হল যুবতী গৃহবধূর। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে নদীয়ার তাহেরপুরে। মৃতার নাম সুজাতা মিত্র। বয়স সবে ১৯ বছর। তাহেরপুরের বাদকুল্লা বাপুজিনগর গ্রামের বাসিন্দা অরিন্দম মিত্রের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল সুজাতার। গত বছর পয়লা ফেব্রুয়ারি দেখাশোনা করেই অরিন্দম মিত্রের সঙ্গে বিয়ে হয় মালদার মুচিয়া অঞ্চলের তরুণী সুজাতা বিশ্বাসের। বিয়ের সমস্ত প্রচুর পণ নেয় বরপক্ষ। নগদ ১ লাখ, সোনাদানা, আসবাবপত্র- কোনওটাই বাদ যায়নি। মেয়ের শ্বশুরবাড়ির দাবিদাওয়া মেনে সবই সাজিয়ে গুছিয়ে দিয়ে মেয়েকে স্বামীর ঘর করতে পাঠান সুজাতার বাড়ির লোকেরা। কিন্তু, শ্বশুরবাড়িতে পা রাখা মাত্র-ই স্বামী আর বড় জায়ের আচার আচরণ নিয়ে মনে খটকা লাগে সুজাতার। বড় বউদির সঙ্গে স্বামীর 'মাখো মাখো' ভাবটা চোখে লাগে যুবতী স্ত্রীর। মনের কোণে দানা বাঁধে সন্দেহ। বেশ কিছুদিন যাওয়ার পরই সুজাতার সন্দেহ সত্যি হয়। সুজাতা জানতে পারে যে বড় বউদির সঙ্গে তাঁর স্বামী অরিন্দম মিত্রের বিবাহ বহির্ভূ

অফিসের বাইরে আর ‘বস’-এর ফোন ধরতে হবে না! বেসরকারি বিল এল সংসদে

Image
কেমন হত, যদি কাজের সময়ের বাইরে বা ছুটির দিনে অফিসের ফোনে জেরবার না হতে হয়? অথবা উত্তর না দিলেও কোনও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকার না থাকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের? শুনতে যতই অবাস্তব মনে হোক, এমনই একটি প্রাইভেট বিল সংসদে আনলেন এনসিপি সাংসদ সুপ্রিয়া সুলে। সুপ্রিয়ার প্রস্তাব, এমন আইন আনা হোক, যাতে কর্মজীবন এবং পারিবারিক জীবনের ভারসাম্য নষ্ট না হয়। যদিও এই ধরনের কোনও বিল এ দেশে আনা সম্ভব কিনা, তা নিয়ে প্রচুর প্রশ্নের অবকাশ রয়েছে। শীতকালীন অধিবেশনের শেষ দিনে এই প্রাইভেট বিলটি লোকসভায় পেশ করেন এনসিপি সাংসদ সুপ্রিয়া সুলে। বিলের পক্ষে তাঁর যুক্তি, বহু সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, বেসরকারি ক্ষেত্রে অফিসের কাজের চাপে ব্যক্তিগত জীবন বলে কার্যত আর কিছু থাকে না। প্রায় ২৪ ঘণ্টাই অফিসের কাজের জন্য প্রস্তুত থাকতে হয়। ফোন ধরা, ই-মেলের উত্তর দেওয়া তো রয়েছেই, এমনকি, বাড়িতেও ল্যাপটপ, কম্পিউটার নিয়ে বসে পড়তে হয় অফিসের কাজে। আবার ফোন, ই-মেলের উত্তর না দিলে শৃঙ্খলাভঙ্গের কোপেও পড়তে হয়। সুলে বলেন, ''পরিবারের সঙ্গে কর্মক্ষেত্রের ভারসাম্য রক্ষা করতেই 'ডিসকানেক্ট' এবং 'কল রিসিভ' না করার অধিক

সরলেন বিচারপতি ললিত, অযোধ্যা মামলা ফের পিছোল, শুনানি ২৯ জানুয়ারি

Image
ফের পিছিয়ে গেল রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ মামলার শুনানি। পরবর্তী ২৯ জানুয়ারি চূড়ান্ত শুনানির দিন ঠিক হবে, জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চে বিতর্কিত রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ মামলার শুনানি শুরু হওয়ার কথা ছিল আজ, বৃহস্পতিবার। সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ এই শুনানি শুরু হয়। কিন্তু শুরুতেই বিতর্ক বাধায় পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন বিচারপতি ললিত। তার পরই চূড়ান্ত শুনানির দিন ঠিক করার জন্য পরবর্তী ২৯ তারিখ বেছে নেয় বিচারপতিদের বেঞ্চ। এ দিন মামলার শুনানির শুরুতেই সকাল ১০টা ৩৯ মিনিট নাগাদ মুসলিম পক্ষের আইনজীবী রাজীব ধওয়ন সওয়াল শুরু করার অনুমতি চান বেঞ্চের কাছে। তাঁকে থামিয়ে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ বলেন, ''কী শুরু করবেন? আজকের দিনটা শুনানির জন্য নয়, মামলার চূড়ান্ত শুনানি কবে, সে দিনটা ঠিক করার জন্য।'' সুপ্রিম কোর্ট কেন তিন সদস্যের বেঞ্চ থেকে পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ গঠন করল সুপ্রিম কোর্টের কাছে জানতে চান ওই মুসলিম পক্ষের আইনজীবী। আইনজীবী রাজীব ধওয়ন ওই বেঞ্চের সদস্য বিচারপতি উদয় ইউ ললিতকে নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। ১৯৯৭ সালে বিচারপতি ললিত নিজেও বিতর্কিত

পলাশি হবে পর্যটন কেন্দ্র, নবদ্বীপ ও মায়াপুর হেরিটেজ সিটি: মমতা

Image
হবিবপুর: নদিয়া জেলার পলাশিতে একটি পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা হচ্ছে। তেমনি নবদ্বীপ ও মায়াপুরকে নিয়ে হেরিটেজ সিটি গড়ে তোলা হবে। এই দুুটি ক্ষেত্রেই কাজ কতদূর বা জমি নিয়ে কোনও সমস্যা আছে কিনা মুখ্যমন্ত্রী জানতে চান জেলাশাসক সুমিত গুপ্তর কাছে। জেলাশাসক জমির কোনও সমস্যা নেই জানিয়ে দেন। এর পর মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই দুিট কাজ যাতে শেষ করতে হবে। পলাশির যুদ্ধকে স্মরণ করে পলাশিতে এই পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা হচ্ছে যেমন, গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর জায়গা নবদ্বীপ মায়াপুরে প্রচুর ভক্তের সমাগম হয় প্রতিদিন। রাজ্যের বাইর থেকেও প্রচুর মানুষ আসেন। তাই এই জায়গাকে হেরিটেজ সিটি গড়ে তোলার কাজ যত দ্রুত শুরু করা যায় তারও নির্দেশ দেন জেলা প্রশাসনকে। পাশাপাশি জেলার খেজুর গুড়ের বিশেষ নাম রয়েছে। সেই গুড়কে প্যাকেজিং করে বাইরে বিক্রি করার ব্যবস্থা করা যায় কিনা, প্রশাসনকে সে কথাও ভেবে দেখতে বলেছেন। জেলার সমস্ত উন্নয়নের কাজ যাতে সঠিক ভাবে হয় এবং সেইসব কাজে সব স্তরের নেতা–কর্মী, এমনকি জেলা পরিষদের নির্বাচিত সদ্যস্যরা যুক্ত হতে পারেন, সেইজন্য এই জেলার কতজন জেলা পরিষদে তৃণমূল জিতেছে, তা জানতে চান। তঁাকে জানানো হয়,

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ! 'বিপাকে' মোদীর রাজ্য সরকার

Image
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বিপাকে গুজরাত সরকার । রাজ্যে ২০০২ থেকে ২০০৭-এর মধ্যে হওয়া এনকাউন্টার নিয়ে বিচারপতি এইচএস বেদি কমিটির রিপোর্ট শেয়ার করতে নির্দেশ দিয়েছে। সাংবাদিক বিজি ভার্গিস এবং গীতিকার জাভেদ আখতার ২০০৭ সালে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সময়ে ২২ টি ভুয়ো এনকাউন্টার নিয়ে তথ্য দেওয়ার জন্য আবেদন দাখিল করেছিলেন। এরপরেই সর্বোচ্চ আদালত ২০১২-র ২ মার্চ বেদি কমিটি গঠন করে দেয় ২০০২ থেকে ২০০৭-এর মধ্যে হওয়া এনকাউন্টারগুলির তদন্ত করার জন্য। আগের শুনানিতে রঞ্জন গগৈ-এর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ ( বেঞ্চের অন্য বিচারপতিরা হলেন বিচারপতি এসকে কাউল এবং বিচারপতি কেএম জোসেফ বিচারপতি বেদিকে প্রশ্ন করেন, ফাইনাল রিপোর্ট জমা দেওয়ার আগে তিনি কমিটির বাকি সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন কিনা। সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী,আদালত বিচারপতি বেদিকে অনুরোধ করেছিল, নিজের মত জানানোর জন্য।

ফেসবুকে পাতা ভুয়ো বিজ্ঞাপনের ফাঁদ, খপ্পরে পড়ে অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও টাকা

Image
ফেসবুকে ভুয়ো বিজ্ঞাপন দেখে লোনের আবেদন করে প্রতারণার শিকার হলেন এক ছাত্র ৷ ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরে। ফেসবুকের ভুয়ো বিজ্ঞাপনে লেখা ছিল, যাদের আয়কর রিটার্ন নেই এবং যারা কর্মরত নন, তাঁরাও আবেদন করলে লোন পাবেন ৷ সোনারপুরের মালিরবাগানের বাসিন্দা অর্পণ দেবনাথ নামে ওই ছাত্র জানিয়েছেন, তাঁর কিছু টাকার প্রয়োজন ছিল। তাই মেসেঞ্জারের মাধ্যমে ওই সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি৷ তাঁকে লোন করিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয় ৷ তাঁকে ২ লাখ ৭৫ হাজার টাকার লোন দেওয়া হবে বলে জানানো হয় ৷ এইজন্য তাঁর কাছ থেকে ভোটার কার্ড, আধার কার্ড ও প্যান কার্ডের জেরক্স  চাওয়া হয়। সঙ্গে একটি ব্ল্যাঙ্ক চেকও চেয়ে নেয় ওই সংস্থা৷ প্রতারিত ছাত্রের অভিযোগ, শুভজিত দাস নামে এক ব্যক্তি সব ডকুমেন্ট তার থেকে সংগ্রহ করেন ৷ কিন্তু পরদিনই তাঁকে বলা হয়, তার কাছ থেকে নেওয়া চেকটি হারিয়ে গিয়েছে ৷ ফের তাঁর কাছ থেকে আরও একটি চেক নেওয়া হয় ৷ শুধু তাই নয় তাঁকে ব্যাঙ্কেও নিয়ে যাওয়া হয় ৷ ভেরিফিকেশনের জন্য তাঁকে হাজরাতেও ডাকা হয়৷ সেই সময়ই তাঁর মোবাইলে একটি মেসেজ আসে৷ তাতেই তিনি দেখতে পান, তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে ৩৫ হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়েছ

ছোট কেব্‌ল টিভি কোম্পানির অস্তিত্ব নিয়ে উদ্বেগে ফিরহাদ

Image
বড় সংস্থাকে সাহায্যের জন্য ছোট সংস্থাগুলিকে বিপদে ফেলা ঠিক নয়। কেব্‌ল টিভি নিয়ে টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার (‌ট্রাই) সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার এ–‌কথা জানালেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী এবং কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। এদিন সায়েন্স সিটিতে '‌কেব্‌ল টিভি শো ২০১৯'‌ শীর্ষক একটি বাণিজ্যিক প্রদর্শনীর উদ্বোধন করতে এসে এ–‌কথা বলেন তিনি। প্রদর্শনীতে ছিলেন রাজ্যের পূর্ত, ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। নগরোন্নয়ন মন্ত্রী বলেন, '‌দাম কমানোর নামে বেকার ছেলেদের বিপদে ফেলা ঠিক নয়।'‌ বুধবার থেকে সায়েন্স সিটিতে শুরু–‌হওয়া এই প্রদর্শনী চলবে শুক্রবার পর্যন্ত। আয়োজক কেব্‌ল টিভি ইকুইপমেন্টস ট্রেডার্স অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (‌সিটিএমএ)‌। এটি তাদের ২২তম বাণিজ্যিক প্রদর্শনী। বিভিন্ন সংস্থা কেব্‌ল ব্যবসায়ের প্রয়োজনে তথ্যপ্রযুক্তির নানা সামগ্রী নিয়ে এসেছে। ২৪টি প্যাভেলিয়নে ১০৬টি স্টল দেওয়া হয়েছে। যোগ দিয়েছেন চীন ও বাংলাদেশের প্রতিনিধিরাও। ফিরহাদ বলেন, '‌কেব্‌ল টিভি এবং কেব্‌ল টিভি অপারেটরদের বিষয়ে রাজ্য সরকার খুবই সচেতন। পশ্চিমবঙ্গ একমাত্র রাজ্য যেখা

জাতীয় সড়কের কাজে ক্ষুব্ধ মমতা

Image
রাজ্যের উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান— এই দুই লক্ষ্যকে '‌পাখির চোখ'‌ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। বাণিজ্যে লগ্নি টানতে ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক মানের শিল্পপতিদের নিয়ে সম্মেলন করেছেন কলকাতায়। নিজেও গেছেন বিদেশে। বিনিয়োগকারীদের উৎসাহিত করে বাংলায় আনতে। এবার তারই রেশ ধরে বিশ্ব বিপণন বাণিজ্য সংস্থা '‌ফ্লিপকার্ট'‌ তাদের প্রকল্প গড়ছে এই রাজ্যে। নদিয়া জেলার হরিণঘাটায় ১০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগে গড়ে উঠছে '‌ফ্লিপকার্ট হাব'‌। আজ এখানে হবিবপুরে ছাতিমতলার মাঠে প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি এ কথা জানান। তিনি বলেন, '‌আমরা ওই সংস্থাকে জমি দিয়েছি। ওরা ১০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে হরিণঘাটায়। এর ফলে সরাসরি ১০ হাজার কর্মসংস্থান হবে। এছাড়াও অনুসারী শিল্প গড়ে উঠবে। তাতেও প্রচুর কর্মসংস্থানের সুযোগ ঘটবে।'‌ শিল্প গড়ার পাশাপাশি রাজ্যের পরিকাঠামো উন্নয়নও যে জরুরি, তাও এদিন মনে করিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। জেলার ওপর দিয়ে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষাকারী ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের ব্যাপারেও এদিন ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মমতা। তার কারণ, গত তিন বছর ধরে কেন্দ্রীয় সরকারের ঢিলে

সিলিন্ডার ফেটে পা উড়ল বেলুন ব্যবসায়ীর, আগুন তিলজলা ও গড়ফাতেও

Image
বইমেলায় গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে দুর্ঘটনা। বিস্ফোরণে পা উড়ে গেল বেলুন ব্যবসায়ীর। গুরুতর আহত হয়েছে একটি শিশুও। গতকাল রাতে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বিষ্ণুপুরের সাঁজুয়া বইমেলায়। বিস্ফোরণের পরই ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আহতদের উদ্ধার করে নিয়ে যান হাসপাতালে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বইমেলায় ছিল না পর্যাপ্ত অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা। ছিল না অ্যাম্বুল্যান্সও। তিলজলায় পুড়ে ছাই ব্যাগের কারখানা। গতকাল রাত সাড়ে আটটা নাগাদ ব্রিকফিল্ড লেনের ওই কারখানায় আগুন লাগে। চারতলা বিল্ডিংয়ের তিনতলায় ব্যাগের কারখানা। দোতলায় রয়েছে একটি স্কুল। আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা ছিল। ঘটনাস্থলে আসে দমকলের সাতটি ইঞ্জিন। ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় আগুন আয়ত্ত্বে আনতে বেগ পেতে হয় দমকলকে। কারখানাটিতে যথাযথ অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল কী না খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গড়ফা থানা এলাকার রামলাল বাজারে আগুন আতঙ্ক। গতকাল রাত দশটা নাগাদ একটি ডেকরেটর্সের গোডাউনে আগুন লাগে। সেখান থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনাস্থলে আসে দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন। প্রায় আড়াই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। দমকল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চ

আধারের সাথে ড্রাইভিং লাইসেন্স লিঙ্ক করবেন কীভাবে?

Image
ভারতবাসীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পরিচিয়পত্রের নাম আধার। সম্প্রতি এক রিপোর্টে জানানো হয়েছে ড্রাইভিং লাইসেন্সের সাথে আধার লিঙ্ক বাধ্যতামুলক করতে চলেছে কেন্দ্র। নতুন নিয়মে আধারের সাথে ড্রাইভিং লাইসেন্স বাধ্যতামুলক হতে চলেছে। এই উপায়ে একাধিক রাজ্যে একই ব্যাক্তির একাধিক ড্রাইভিং লাইসেন্স বানানো বন্ধ করা যাবে। বন্ধ হবে ভুয়ো লাইসেন্স তৈরীর কারবার। যেহেতু ড্রাইভিং লাইসেন্স রাজ্য সরকার দেয় তাই প্রত্যেক রাজ্যে ড্রাইভিং লাইসেন্সের সাথে আধার লিঙ্কের পদ্ধতি আলাদা হতে পারে। তবে নিয়মে মুল ধারা একই থাকবে। আধারের সাথে ড্রাইভিং লাইসেন্স লিঙ্ক করতে চাইলে নীচের পদ্ধতি অনুসরন করুন। যা যা প্রয়োজন ড্রাইভিং লাইসেন্স ও আদারের তথ্য নিয়ের কাছে রাখুন। একটি ইন্টারনেট কানেকশান। একটি কম্পিউটার, ট্যাবলেট বা স্মার্টফোন। এবার নীচের পদ্দতি অনুসরন করুন স্টেপ ১। সড়ক পরিবহন দপ্তরের ওয়েবসাইটে লগ ইন করুন। স্টেপ ২। লিঙ্ক আধার অপশান সিলেক্ট করুন। স্টেপ ৩। ড্রপ ডাউন থেকে 'ড্রাইভিং লাইসেন্স' সিলেক্ট করুন। স্টেপ ৪। ড্রাইভিং লাইসেন্স নম্বর দিয়ে 'গেট ডিটেলস' সিলেক্ট করুন। স্টেপ ৫। ড্রাইভিং লাইসেন্সের তথ্য মিলিয়ে নিন। স

'নির্বিচারে হত্যা'! প্রতিবাদে চাকরি ছেড়ে রাজনীতিতে পা কাশ্মীরি IAS টপারের

Image
কাশ্মীরে 'প্ররোচনাহীন হত্যার' প্রতিবাদ। সরকারি চাকরি থেকে ইস্তফা দিলেন কাশ্মীরের আইএএস অফিসার শাহ ফৈসাল। সম্ভবত রাজনীতিতে নাম লেখাতে চলেছেন তিনি। ২০১৭ সালে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় প্রথম হয়েছিলেন কাশ্মীরের শাহ ফৈসাল। গত সপ্তাহে কাশ্মীরে ফিরে আসেন তিনি। শুক্রবার সোশ্যাল মিডিয়ায় সরকারি চাকরি থেকে ইস্তফার কথা জানান এই আমলা। এক ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, 'কাশ্মীরে বিনা প্ররোচনায় হত্যাকাণ্ড' এবং 'ভারতীয় মুসলিমদের কোণঠাসা পরিস্থিতি'র প্রতিবাদে এই পদক্ষেপ করেছেন তিনি। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, ন্যাশনাল কনফারেন্সে যোগ দিতে চলেছেন শাহ ফৈসাল। আগামী লোকসভা ভোটে তিনি প্রার্থী হতে পারেন। ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লার একটি ট্যুইট কাশ্মীরের তরুণ এই আইএএস অফিসারের রাজনীতিতে যোগ দেওয়া ঘিরে জল্পনা আরও বাড়িয়ে দেয়। ওমর লেখেন, 'রাজনীতির জয় মানে আমলাতন্ত্রের হার। রাজনীতিতে স্বাগত।' গত সোমবার শাহ ফৈসাল রাজ্যে সরকারের কাছে তাঁর ইস্তফাপত্র পাঠিয়েছেন বলে খবরে প্রকাশ। তাঁর মঙ্গলবারের ফেসবুক পোস্টে রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। তাঁকে

সিকিমে জীবন বাজি রেখে ১৫০ পর্যটককে উদ্ধার করল সেনা

Image
উত্তর ও পূর্ব সিকিমে নতুন করে তুষারপাতের ফলে আটকে পড়েছিলেন ১৫০ জন পর্যটক। জীবন বাজি রেখে তাঁদের উদ্ধার করল সেনা। গতরাত পর্যন্ত ৫০ জনকে উদ্ধার করে ডোগরাতে সেনা ব্যারাকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। বাকিদের উদ্ধার করে লাচুঙয়ে হোটেলে পাঠানো হয়েছে। গতকাল পূর্বাভাস মতোই বরফ পড়ে সিকিমে। উত্তর সিকিমের পুলিশ সুপার কে ডি স্যাঙদরপা জানিয়েছেন, ভারী তুষারপাতের জেরে লাচুং থেকে ইয়ুমথাঙয়ের রাস্তায় বরফ জমে যায়। ফলে ওইপথে পর্যটকদের গাড়ি পিছলে খাদে পড়ার ঝুঁকি থাকায় গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে সেনা জওয়ান ও পুলিশের সহযোগিতায় অন্তত ৭০ জনকে উদ্ধার করে হাঁটাপথে লাচুঙয়ে নামিয়ে আনা হয়েছে। পূর্বাভাস মতো উত্তর সিকিমের লাচেন, লাচুং, গুরুডোঙ্গমার, গোম্পা সহ পূর্ব সিকিমের ছাঙ্গু , বাবামন্দির, নাথুলাসহ বিভিন্ন জায়গায় দফায় দফায় বরফ পড়েছে গতকাল। সেনা সূত্রে খবর, বরফে আটকে পড়া পর্যটকদের উদ্ধারে নামেন সেনাবাহিনীর ত্রিশক্তি কর্পসের শিখ রেজিমেন্টের জওয়ানরা। সবমিলিয়ে অন্তত ১৫০ জন পর্যটককে উদ্ধার করা হয়। টানা দু'ঘণ্টা তুষারপাতের জেরে ওই এলাকাগুলিতে তাপমাত্রা মাইনাস দশ ডিগ্রির নিচে নেমে যায়। ফলে আটকে পড়া পর্যটকদের মধ্যে অন

বিহারে ট্রেন ডাকাতি, লুট ৩০ লাখ টাকার জিনিস

Image
দিল্লি থেকে ভাগলপুরগামী এক্সপ্রেস ট্রেনে হানা দিল ৩০ জনেরও বেশি সশস্ত্র ডাকাত। ঘটনাটি গতরাতের। ডাকাতরা গয়না, ডজনখানেক মোবাইল ও নগদ টাকাসহ প্রায় ৩০ লাখের জিনিস লুট করে। প্রতিরোধ করতে এলে ছজনের বেশি যাত্রীকে ছুরি মেরে আহতও করে। দু'জনকে গুলিও মারে তারা। লুট হওয়া কামরাগুলির যাত্রীরা জামালপুর, মুঙ্গের, সুলতানগঞ্জ ও ভাগলপুরের বাসিন্দা বলে জানা গেছে। এই ঘটনা পর জামালপুর স্টেশনে রেল পুলিশের কাছে FIR করেছেন যাত্রীরা। ডাকাতির সময়ে ট্রেনটির S-8 এবং S-10 কামরায় ছিলেন আয়ুশ, মহম্মদ আবদুল ও সুভাষ চৌরসিয়া। তাঁদের কাছ থেকে জানা গেছে, ট্রেন তিন ঘণ্টা লেট চলছিল। রাত ৯টা ১১ মিনিটে কিউল থেকে ছেড়ে ধনোরি পৌঁছানোর পর আট থেকে দশজন অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ট্রেনে ওঠে। আর রাত সাড়ে নটা নাগাদ ডাকাতি শুরু করে। প্রায় আড়াই ঘণ্টা স্লিপার থেকে AC বাগিতে লুটপাট চালায় তারা। কিন্তু দেখা মেলেনি রেল পুলিশ বা জেলা পুলিশের। জানা যায় পুলিশের কাছে মাওবাদী হামলার খবর থাকায় তাঁরা বিশেষ বাহিনীর অপেক্ষা করছিল। ১০টা ৩৮ মিনিটে জামালপুর থেকে GRP ও রেল পুলিশ রওনা দেয়। আর প্রায় ১০টা ৫৪ মিনিট নাগাদ ঘটনাস্থানে পৌঁছায় পুলিশ।

মহিলাদের সম্মান করাটা শুরু হয় নিজের বাড়ি থেকে, মোদীকে জবাব রাহুলের

Image
নয়াদিল্লি: মহিলা প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে অপমান করা নিয়ে যখন সরব বিজেপি শিবির, তখন প্রধানমন্ত্রীকে পাল্টা দিলেন রাহুল গান্ধী। একদিকে যখন নরেন্দ্র মোদী বললেন, নির্মলা সীতারামণকে অপমান করতে গিয়ে আদতে দেশের মহিলাদের অপমান করেছেন রাহুল গান্ধী। তখন, রাহুল বললেন, "আমাদের দেশের সংস্কৃতি বলে মহিলাদের সম্মান করাটা শুরু হয় নিজের বাড়ি থেকে।" প্রধানমন্ত্রী একজন মহিলাকে তাঁকে রক্ষা করার জন্য নিয়োগ করেছেন বলে উল্লেখ করেন রাহুল। কিষাণ র‍্যালিতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, "৫৬ ইঞ্চির ছাতি নিয়ে ছুটে এলেন একজন চৌকিদার আর একজন মহিলাকে বললেন আপনাই আমাকে রক্ষা করুন। আমি আপনাকে রক্ষা করতে পারব না। আর আপনারা সবাই দেখলেন সেই মহিলা ওনাকে আড়াই ঘণ্টাও রক্ষা করতে পারলেন না।"   লোকসভায় রাফায়েল নিয়ে নির্মলা সীতারামণের আড়াই ঘণ্টার বক্তব্যের কথাই বলেন রাহুল। কংগ্রেস প্রেসিডেন্টের এই বক্তব্য স্বাভাবিকভাবেই বিতর্ক তৈরি করেছে। আগ্রার জনসভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, "এইভাবে গোটা দেশের মহিলাদের অসম্মান করা হয়েছে।" এরপরই মোদীকে জবাব দিয়ে ট্যুইট করেন রাহুল। লেখেন, "মোদীজিকে সম্মান দিয়ে বলছি, আমাদে

রাজ্যসভাতেও পাস সংরক্ষণ বিল, কত ভোটে ফয়সালা একনজরে, এখন স্রেফ আইনের অপেক্ষা

Image
লোকসভার পর রাজ্যসভাতেও পাস হয়ে গেল সংরক্ষণ সংশোধনী বিল। সংরক্ষণের পক্ষে ভোট পড়ল ১৬৫টি। আর বিপক্ষে ভোট মাত্র সাতটি। এই বিল সিলেক্ট কমিটিতে যাওয়া নিয়ে দাবি তোলেন বিরোধীদের একাংশ। তাও এদিন খারিজ হয়ে যায় ভোটাভুটিতে। ১৫৫-১৮ ভোটে তা খারিজ হয়ে যায়। ফলে উচ্চবর্ণের সংরক্ষণ জন্য এই সংশোধনীতে বাধা রইল না। সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে এই বিল সংসদের দুই কক্ষেই পাস হয়ে যাওয়ায় শিক্ষা ও চাকরিতে আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া উচ্চবর্ণের মানুষেরা সংরক্ষণের আওতায় আসবেন। এই বিল পাস হয়ে যাওয়ায় পণ্ডিত, জাঠ, গুর্জর, মারাঠারা সংরক্ষণের সুবিধা পাবেন। সবমিলিয়ে ১৯ কোটি মানুষ এই সংরক্ষণের আওতায় আসবেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় সংরক্ষণ প্রস্তাব পাস হয়ে যাওয়ার পর তা সংবিধান সংশোধনী হিসেবে সংসদে পেশ করা হয় মঙ্গলবার। বিলকে আইনে পরিণত করার প্রথম ধাপে অর্থাৎ লোকসভায় পাস করে যায় মোদী সরকার। বুধবার রাজ্যসভাতেও তা পাস হয়ে গেল। সিলেক্ট কমিটিতে যাওয়ার প্রস্তাবও খারিজ হয়ে গেল এদিন। উল্লেখ্য, এই সংরক্ষণের জন্য যেসব শর্ত রাখা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে পারিবারিক আয় হতে হবে বছরে ৮ লক্ষ টাকার নীচে। জমি থাকতে হবে ৫ একরের কম। বাড়ি হতে হবে ১০০০ স

দপ্তরে এসেই ১০ আধিকারিকের বদলির নির্দেশ বাতিল করলেন বর্মা

Image
দপ্তরে যোগ দিয়ে প্রথম দিনেই অস্থায়ী প্রধানের জারি করা সব বদলির নির্দেশিকা খারিজ করে দিলেন সিবিআই অধিকর্তা অলোক বর্মা। এই সবদলির নির্দেশিকাই জারি করেছিলেন নাগেশ্বর রাও। সিবিআইয়ের অস্থায়ঈ অধিকর্তা পদে আসার পরেই অলোক বর্মার টিমের ১০ সিবিআই অফিসারের বদলির নির্দেশিকা জারি করেছিলেন নাগেশ্বর রাও। শীর্ষ আদালতের নির্দেশিকা মেনে দপ্তরে যোগ দিয়ে প্রথম দিনেই সেই নির্দেশিকা বাতিল করে দেন অলোক বর্মা।যদিও শীর্ষ আদালত তাঁকে পদে ফেরানোর সময় সতর্ক করে জানিয়েছিল কোনও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না।এদিকে সিবিআই অধিকর্তা অলক বর্মার ভাগ্য নির্ধারণ করতে বুধবার রাতে বৈঠকে বসল নিয়োগ কমিটি। সোমবার সুপ্রিম কোর্ট বর্মাকে ছুটিতে পাঠানোর নির্দেশ বাতিল করে। নিয়োগ কমিটির বৈঠক ছাড়া সরকার একতরফা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বলেই। এক সপ্তাহের মধ্যে কমিটির বৈঠক ডাকতে বলা হয়। নিয়োগ কমিটিতে আছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, সব থেকে বড় বিরোধী দল কংগ্রেসের নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে ও সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। তবে এই মামলাটির বিচারে যুক্ত ছিলেন বলে গগৈ নিজে থাকেননি। তাঁর প্রতিনিধিত্ব করছেন সর্বোচ্চ আদালতের দ্বিতীয়

মেয়েদের নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য, বোর্ডের শো-কজের জবাবে ক্ষমা হার্দিকের

Image
বিতর্ক: হার্দিক-রাহুল। তোপের মুখে দুই ক্রিকেটার। এক জনপ্রিয় টিভি শোয়ে বেফাঁস কথাবার্তা বলে দেশের ক্রিকেট বোর্ডের তোপের মুখে ভারতীয় অলরাউন্ডার হার্দিক পাণ্ড্য। অস্ট্রেলিয়ায় ভারতীয় দলের সঙ্গে থাকা হার্দিককে বুধবার শো-কজ করে  বোর্ড। যার জবাবে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তবে যা পরিস্থিতি, তাতে শাস্তি হতে পারে এই ক্রিকেটারের। আর এই ঘটনার জেরে এ বার থেকে বোর্ডের চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটারদেরও অক্রিকেটীয় টিভি অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া  নিষিদ্ধ হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে।  সম্প্রতি বলিউড চিত্র পরিচালক কর্ণ জোহরের একটি জনপ্রিয় অনুষ্ঠানে অংশ নেন হার্দিক এবং কে এল রাহুল। তাতে বহু ব্যক্তিগত প্রশ্নের উত্তর দেন দু'জনেই। হার্দিকের নারীসঙ্গ নিয়ে খোলামেলা আলোচনাও হয় এই অনুষ্ঠানে। এই অনুষ্ঠানেই তিনি মেয়েদের নিয়ে একাধিক আপত্তিকর মন্তব্য করায় সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। হার্দিকের এই মন্তব্যগুলি নিয়ে দেশের বহু মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদে ফেটে পড়ায় ভারতীয় বোর্ড কর্তারাও নড়েচড়ে বসেন। ব়়ডোদরার এই ক্রিকেটারকে শো-কজ নোটিস পাঠিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়। রাতে সংবাদ সংস্থা জানায়, শো-কজের জবাবে হার্দিক

তৃণমূলের জোড়া সাংসদ বহিষ্কৃত, একজন বিজেপিতে

Image
সৌমিত্র খাঁ ও অনুপম হাজরা দলবিরোধী কাজের জন্য বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ-কে বহিষ্কার করল তৃণমূল। বুধবার দল থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই দিল্লিতে বিজেপিতে যোগ দিলেন তিনি। একই কারণে একই দিনে বোলপুরের তৃণমূল সাংসদ অনুপম হাজরাকেও বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিল তৃণমূল। এই দুই তরুণ সাংসদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই দলের দূরত্ব বাড়ছিল। দু'জনেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে নানা মন্তব্য করে দলের ক্ষোভ বাড়িয়েছেন। দলের কোনও সাংগঠনিক কাজের সঙ্গেও দীর্ঘদিন কোনও যোগাযোগ ছিল না তাঁদের। লোকসভা ভোটের আগে এই দুই সাংসদের ব্যাপারে তৃণমূল নেতৃত্ব কড়া পদক্ষেপ করতে পারেন বলে অনেক দিন ধরেই দলের অন্দরে গুঞ্জন চলছিল। এ দিন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, ''অনেক দিন ধরেই দলবিরোধী বিভিন্ন বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন সৌমিত্র। দলের সংগঠনের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক ছিল না। অনেক অপেক্ষা করেছি। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে সৌমিত্রকে দল থেকে সরিয়ে দেওয়া হল।'' বোলপুরের সাংসদ সম্পর্কে পার্থবাবু বলেন, ''অনুপম আরও ন্যক্কারজনক কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনিও বিভিন্ন

শেষ হল ৭২ বছরের অপেক্ষা, রাজ্যসভায় পাস হল দুঃস্থ জেনারেলদের জন্য সংরক্ষণ বিল

Image
স্বাধীনতার পর ইতিহাস রচনা হল বুধবার সন্ধেয়। রাজ্যসভায় পাশ হয়ে গেল আর্থিক সংরক্ষণ বিল। সংবিধান সংশোধনী বিলে ১৬৫টি ভোটে পাশ হয়ে গেল বিলটি। বিপক্ষে পড়েছে ৭টি ভোট। এই বিল পাশের ফলে উচ্চবর্ণের আর্থিকভাবে দুর্বলরা এবার পেতে চলেছেন ১০ শতাংশ সংরক্ষণের সুবিধা। মঙ্গলবার বিলটি পাশ হয়ে ছিল লোকসভায়। ৫৪৩ সদস্যের লোকসভায় ৩২৩টি ভোট পড়েছে বিলের পক্ষে। বিপক্ষে পড়েছে ৩টি ভোট। স্বাধীন ভারতে প্রথমবার সংরক্ষণ হতে চলেছে আর্থিক মাপকাটিতে। উচ্চবর্ণের আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া যুবক-যুবতীরাও এবার পাবেন সংরক্ষণের সুবিধা। বুধবার বিলটি নিয়ে প্রায় ১০ ঘণ্টা বিতর্ক চলে রাজ্যসভায়। বিরোধীদের অভিযোগ, বিলটি নিয়ে ভোটের আগে তাড়াহুড়ো করছে বিজেপি সরকার। কিন্তু এই বিলের বিরোধিতা সোচ্চারে করলে উচ্চবর্ণের ভোট হারানোর আশঙ্কা থাকে। রাজ্যসভায় বিলটি পাশের পর তা যাবে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে। তাঁর স্বাক্ষরের পর আইনে পরিণত হবে নতুন সংবিধান সংশোধনী।  আইনে পরিণত হলে, পরিবারের বার্ষিক আয় ৮ লক্ষের কম বা ৫ একরের কম কৃষি জমি থাকলে সংরক্ষণের সুবিধা পাবেন যুবক-যুবতীরা। এর ফলে সংরক্ষণ বেড়ে হতে চলেছে ৬০ শতাংশ। সুপ্রিম কোর্টের বেঁধে দ