ছোট কেব্‌ল টিভি কোম্পানির অস্তিত্ব নিয়ে উদ্বেগে ফিরহাদ


বড় সংস্থাকে সাহায্যের জন্য ছোট সংস্থাগুলিকে বিপদে ফেলা ঠিক নয়। কেব্‌ল টিভি নিয়ে টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার (‌ট্রাই) সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার এ–‌কথা জানালেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী এবং কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। এদিন সায়েন্স সিটিতে '‌কেব্‌ল টিভি শো ২০১৯'‌ শীর্ষক একটি বাণিজ্যিক প্রদর্শনীর উদ্বোধন করতে এসে এ–‌কথা বলেন তিনি। প্রদর্শনীতে ছিলেন রাজ্যের পূর্ত, ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। নগরোন্নয়ন মন্ত্রী বলেন, '‌দাম কমানোর নামে বেকার ছেলেদের বিপদে ফেলা ঠিক নয়।'‌

বুধবার থেকে সায়েন্স সিটিতে শুরু–‌হওয়া এই প্রদর্শনী চলবে শুক্রবার পর্যন্ত। আয়োজক কেব্‌ল টিভি ইকুইপমেন্টস ট্রেডার্স অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (‌সিটিএমএ)‌। এটি তাদের ২২তম বাণিজ্যিক প্রদর্শনী। বিভিন্ন সংস্থা কেব্‌ল ব্যবসায়ের প্রয়োজনে তথ্যপ্রযুক্তির নানা সামগ্রী নিয়ে এসেছে। ২৪টি প্যাভেলিয়নে ১০৬টি স্টল দেওয়া হয়েছে। যোগ দিয়েছেন চীন ও বাংলাদেশের প্রতিনিধিরাও।

ফিরহাদ বলেন, '‌কেব্‌ল টিভি এবং কেব্‌ল টিভি অপারেটরদের বিষয়ে রাজ্য সরকার খুবই সচেতন। পশ্চিমবঙ্গ একমাত্র রাজ্য যেখানে এই বিষয়টির জন্য একটি ‌হাইপাওয়ার কমিটি‌ আছে। রাজ্যে ২৫ হাজার কেব্‌ল অপারেটর আছেন। যার সঙ্গে যুক্ত আছেন এক লক্ষ লোক।'‌ আগামী দিনে বড় সংস্থার সঙ্গে প্রতিযোগিতার ময়দানে টিকে থাকতে গেলে তথ্যপ্রযুক্তিতে আরও উন্নত হওয়া দরকার বলে মনে করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, '‌বড় মাছ ছোট মাছকে গিলে খায়। ফলে তথ্যপ্রযুক্তির আধুনিকীকরণের মাধ্যমে ছোট যঁারা আছেন, তঁাদেরও শক্তিশালী হতে হবে। পাশাপাশি এটাও দেখতে হবে, গ্রাহকদের যেন এই তথ্যপ্রযুক্তির আধুনিকীকরণের জন্য কোনও অতিরিক্ত মূল্য না দিতে হয়।'‌ এদিন কেব্‌ল–‌সংক্রান্ত একটি বইয়ের আনুষ্ঠানিক প্রকাশ করেন ফিরহাদ।

প্রদর্শনীর চেয়ারম্যান এবং ‌সিটিএমএ–‌‌র কোষাধ্যক্ষ পবন জাজোড়িয়া বলেন, '‌নতুন তথ্যপ্রযুক্তিকে তুলে ধরা হল এই প্রদর্শনীর উদ্দেশ্য।'‌ ছিলেন সিটিএমএ–‌র সভাপতি রাজেশ দোশি, সহ–‌সভাপতি রাজেন্দ্রপ্রসাদ আগরওয়াল, সম্পাদক কে কে বিনানি–সহ অন্যরা।