Posts

Showing posts from June 11, 2018

মোদী জমানায় আড়াই লক্ষ কোটি টাকা ঋণ মকুব হয়েছে শিল্পপতিদের, কৃষকরা কিছুই পায়নি, অভিযোগ রাহুলের

Image
নয়াদিল্লি: নরেন্দ্র মোদী সরকার কৃষকদের স্বার্থ উপেক্ষা করেছে, কিন্তু প্রায় আড়াই লক্ষ কোটি টাকা ঋণ মকুব করে সাহায্য করেছে শিল্পপতিদের একটি ক্ষুদ্র গোষ্ঠীকে। অভিযোগ করলেন রাহুল গাঁধী। কংগ্রেসের অন্যান্য পশ্চাত্পদ সম্প্রদায় (ওবিসি) শাখার কর্মীদের সভায় রাহুল দাবি করেন, যাঁরা আড়ালে থেকে কাজ করেন, তাঁরা কখনও উপকৃত হন না, তাঁদের পরিশ্রমের ফসল ভোগ করে অন্যরা। দক্ষ লোকজনের পুরস্কার নেই ভারতে। কৃষকরা কঠোর পরিশ্রম করেন, কিন্তু মোদীজীর অফিসে তাঁদের দেখা মিলবে না। কংগ্রেস সভাপতি বলেন, ১৫ জন শিল্পপতিকে আড়াই লক্ষ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কৃষক কিছুই পায়নি। ঋণ মকুব হয়েছে ১৫ জনের জন্য, কিন্তু যে কৃষক আত্মহত্যা করেই যাচ্ছে, তার শিশুসন্তানরা কেঁদেই চলেছে। ব্যাঙ্কগুলির অনুত্পাদক সম্পদ বেড়ে হাজার কোটি টাকা ছুঁয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। ভারতে স্কিল বা দক্ষতার ঘাটতি রয়েছে, সরকারের এই অবস্থানকে চ্যালেঞ্জ করে রাহুল বলেন, এটা ঠিক নয়, কর্তাব্যক্তিরা বিষয়টা বুঝতে ব্যর্থ।

আজ থেকে বাড়ল বাস, মিনিবাসের ভাড়া, বাসে উঠলেই দিতে হবে ৭ টাকা, মিনিবাসে ৮

Image
কলকাতা: আজ থেকে বাড়ল বাস ও মিনিবাসের ভাড়া। বাসে উঠলেই আজ থেকে দিতে হবে ৭ টাকা আর মিনিবাসে ৮। বাড়ল ট্যাক্সি, লঞ্চ এবং ট্রামের ভাড়াও। সাধারণ বাসে উঠলে প্রথম চার কিলোমিটারের জন্য দিতে হবে ৭ টাকা, তারপর ৪ থেকে ১২ কিলোমিটারের জন্য ৯ টাকা। ১২ থেকে ১৬ কিলোমিটারের জন্য ১০ টাকা, ১৬ থেকে ২০ কিলোমিটার যেতে দিতে হবে ১১ টাকা। ২০ থেকে ২৪ কিলোমিটার যাত্রাপথের ভাড়া ১২ টাকা। মিনিবাস ও সরকারি বাসের ক্ষেত্রে প্রথম ৩ কিলোমিটারের জন্য দিতে হবে ৮ টাকা ভাড়া। ৩ থেকে ৬ কিমিতে ভাড়া হবে ৯ টাকা, ৬ থেকে ১০ কিলোমিটারে ১০ টাকা এবং ১০ থেকে ১৬ কিলোমিটারে ভাড়া ১১ টাকা। ট্যাক্সিতে উঠলে প্রথম ২ কিলোমিটারের জন্য ২৫ টাকার জায়গায় এখন থেকে দিতে হবে ৩০ টাকা। তারপর প্রতি কিমিতে বাড়ছে ১৫ টাকা করে। ট্রামের জন্য প্রথম ৪ কিলোমিটারের জন্য নতুন ভাড়া হল ৬ টাকা, যাত্রাপথ ৪ কিলোমিটারের বেশি হলে ৭ টাকা। রাজ্যজুড়ে জলপথ পরিবহণের ক্ষেত্রে প্রতি ধাপে ভাড়া বাড়ল ১ টাকা করে।

বিধবা বউদির জীবন সাজাতে এগিয়ে এলেন দেওর, আদিবাসী সমাজে অভিনব গণবিবাহ

Image
আদিবাসী সমাজে এমনও অনেক দম্পতি রয়েছেন, যাঁরা পয়সার অভাবে বিয়ের অনুষ্ঠান করতে পারেননি। বিনা বিয়েতেই সংসার করে দাম্পত্য জীবন কাটাচ্ছেন। আদিবাসী সমাজে অভিনব গণবিবাহ! দুরারোগ্য ব্যাধিতে দাম্পত্যের প্রথম এক বছরেই মারা গিয়েছেন স্বামী। অসহায় বউদিকে বাঁচাতে ঘর বাঁধতে এগিয়ে এসে হাত ধরেছেন দেওর অথবা গ্রামেরই অন্য কোনও যুবক। কিন্তু আদিবাসী সমাজ তাতে স্বীকৃতি দিতে নারাজ। অগ্যতা, বিনা বিবাহে দু'জনে এক সঙ্গে ঘর বেঁধে দিব্যি সংসার চালিয়ে যাচ্ছেন। আদিবাসী সমাজে এমনও অনেক দম্পতি রয়েছেন, যাঁরা পয়সার অভাবে বিয়ের অনুষ্ঠান করতে পারেননি। বিনা বিয়েতেই সংসার করে দাম্পত্য জীবন কাটাচ্ছেন। সামাজিক ভাবে এক প্রকার বয়কটের শিকার এই দম্পতিদের স্বীকৃতি দিতে গণবিবাহ অনুষ্ঠিত হলো দক্ষিণ দিনাজপুরের জলঘর এলাকায়। স্থানীয় ধারাইল গ্রামের আদিবাসী জনতা সংঘের সদস্যরা নিজেরাই উদ্যোগ নিয়ে রাজ্যে প্রথম অভিনব এই গণবিবাহের আয়োজন করেন। দক্ষিণ দিনাজপুরের বিভিন্ন এলাকার অবিবাহিত মোট সাত জোড়া দম্পতিকে চিহ্নিত করে তাঁদের বৈবাহিক বন্ধনে আবদ্ধ করলেন। আদিবাসী সম্প্রদায়ের এই অভিনব গণবিবাহকে ঘিরে রীতিমত উৎসবের পরিবেশ তৈরি হয়েছে অখ্যাত ধার

পরিত্যক্ত বাড়ি ভাঙতে গিয়ে মিলল রাজার আমলের রাশি রাশি স্বর্ণমুদ্রা!

Image
পরিত্যক্ত বাড়ি ভাঙতে গিয়ে মিলল রাশি রাশি স্বর্ণমুদ্রা! ঘটনাটি ঘটেছে ফ্রান্সের ব্রিটানি টাউনে। বাড়িটির মালিকের পরিচয় সামনে আসেনি। তবে ফরাসি আইন অনুযায়ী, ওই গুপ্তধন বাড়ির মালিক এবং আবিষ্কর্তার মধ্যে সমান ভাগ হবে। ব্যাট'আইসল নামে একটি সংস্থা ওই বাড়িটি ভাঙার চুক্তি পেয়েছিল। সংস্থার কর্তা লরেন্ট লে বিহান এএফপিকে জানিয়েছেন পুরো ঘটনাটা। তিনি জানান, ওই বাড়িটি অনেক বছর ধরে ফাঁকাই পড়ে ছিল। বহু দিন সংস্কার না হওয়ায় তা ভগ্নপ্রায় হয়ে গিয়েছিল। সম্প্রতি বাড়িটির মালিক ওই সংস্থাটিকে তা ভাঙার বরাত দেন। সেই মতো দিন কয়েক আগে বাড়িটি ভাঙতে যায় ওই সংস্থা। ভাঙার কাজ চলার সময়ই এক কর্মী দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার একটি কামানের গোলা দেখতে পান। সেটা হাতে নিয়ে বুঝতে পারেন ভিতরে কিছু আছে। ভেঙে দেখা যায়, একটা-দুটো নয়, পুরো ৬০০টা বেলজিয়ান সোনার কয়েন রয়েছে তার মধ্যে। প্রতিটি কয়েনের পিছনে ১৮৭০ সাল লেখা। কয়েনের অন্য পিঠে বেলজিয়ামের রাজা দ্বিতীয় লিওপোল্ডের ছবি। দ্বিতীয় লিওপোল্ড ১৮৬৫ থেকে ১৯০৯ সাল পর্যন্ত রাজত্ব করেছিলেন। এই কয়েনগুলো যে খুবই দুর্মূল্য তখনই তা নিশ্চিত হয়ে যান ওই সংস্থার কর্তা। কিন্তু এর আনুমানি

‘সমাজ আমাদের বাঁচতে দিল না!’ শিশুকে নদীতে ফেলে নিজেরাও আত্মঘাতী লেসবিয়ান যুগল

Image
সবরমতী নদী। ঘাটে রাখা একটি চিরকুটে এই সুইসাইড নোট লিখে সবরমতী নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হলেন দুই লেসবিয়ান যুগল। নিজেরা ঝাঁপ দেওয়ার আগে ওই লেসবিয়ান দম্পতিরই এক জন নদীতে ছুড়ে ফেলে দিলেন তাঁর তিন বছরের শিশুকে। সোমবারের ঘটনা। সবরমতী রিভারফ্রন্ট (পশ্চিম) পুলিশ স্টেশন জানিয়েছে, এলিসব্রিজের কাছে সবরমতী নদীর বাঁধানো ঘাটে ওই সুইসাইড নোট রেখে দোপাট্টা দিয়ে নিজেদের বেঁধে ঝাঁপ দেন দু'জনে। ওই লেসবিয়ান যুগলের এক জনের নাম আশা ঠাকোর, তাঁর বয়স ৩০। ২৮ বছর বয়সী অন্য জনের নাম ভাবনা ঠাকোর। আর তাঁদের তিন বছরের সন্তানের নাম মেঘা। লেসবিয়ান যুগলের সম্পর্ক নিয়ে পাড়াপড়শি, আত্মীয়স্বজনদের কটূক্তি আর সহ্য না করতে পেরেই ওঁরা আত্মঘাতী হয়েছেন। সেই বক্তব্যের সমর্থনে পুলিশ ওই লেসবিয়ান যুগলের লিখে যাওয়া সুইসাইড নোটটি দেখিয়েছে। যাতে লেখা, ''আমরা এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যাচ্ছি, যাতে আমরা ফের এক সঙ্গে থাকতে পারি। সমাজ আমাদের এখানে এক সঙ্গে থাকতে দিল না।'' পুলিশ জানাচ্ছে, দু'জনেই কাজ করতেন আমদাবাদ জেলার রাজোঢ়া গ্রামে। ভাবনার বাড়ি রাজোঢ়ায় হলেও আশা থাকতেন বাভলায়।

বিবাদের মূলে ‘মক্ষিরানি’, মত্ত বন্ধুকে জলে ফেলে খুন

Image
ধৃত দুই যুবক ও তরুণী। মত্ত অবস্থায় এক যুবককে তাঁর তিন বন্ধু এবং এক বান্ধবী মিলে ঝিলের জলে ঠেলে ফেলে দিল। রাতের অন্ধকারে জলে হাবুডুবু খাচ্ছে বছর উনত্রিশের এক যুবক। সে সাঁতার জানে না। সেই অবস্থাতেই পাড়ে দাঁড়িয়ে ওই যুবককে ধীরে ধীরে তলিয়ে যেতে দেখল বন্ধুরা। তার পর যে যার বাড়ি চলে গেল। মে মাসের ৬ তারিখ বিকেল সাড়ে ৩টে নাগাদ হাওড়া জগাছা থানা এলাকার অধিবাসী ক্লাবের কাছে প্রেস কোয়ার্টার্স ঝিলে ভেসে ওঠে এক যুবকের দেহ। পরের দিন দেহটি ছেলে তুষারের বলে শনাক্ত করেন তাঁর বাবা তারকনাথ ঘোষ। পোস্টমর্টেম রিপোর্টে জলে ডুবে মৃত্যুর উল্লেখ থাকলেও, সন্দেহ হয় তুষারের বাবার। কারণ ছেলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল স্কুটার চড়ে। অথচ সেই স্কুটার ছিল না ঝিলের ধারে। জগাছা থানায় ছেলের কয়েক জন বন্ধু ও এক বান্ধবীর নাম করে অভিযোগ জানান রেলের কর্মী তারকনাথ। তাঁর অভিযোগ, খুন হওয়ার দিন বাড়ি থেকে বেরনোর সময় তুষার বেশ কিছু টাকা ও গয়না নিয়ে যায় ওই মেয়েটিকে দেওয়ার জন্য। সেই টাকা ও গয়না তুষারের বন্ধুরা নিয়ে নিয়েছে বলে তাঁর বাবার অভিযোগ। সোমবার অভিযুক্ত চার জনকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তুষারের বন্ধুদের জেরা করতে গিয়েই বেরিয়ে আসে আ

GST-র আওতায় আনলে কমবে পেট্রল, ডিজ়েলের দাম : চিদম্বরম

Image
দিল্লি : ক্রমাগত বাড়ছে পেট্রল, ডিজ়েলের দাম। এবার পেট্রল, ডিজ়েলের দাম কমাতে দাওয়াই দিলেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম। পেট্রল, ডিজ়েলের দাম খুব শিগগিরই কমবে, যদি তা GST-র আওতায় আনা যায়। এক সাংবাদিক বৈঠকে পি চিদম্বরম বলেন, "ভারতীয় জনতা পার্টি ১৯টি রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে। তাদের উচিত এখনই পেট্রল, ডিজ়েলকে GST-র আওতায় নিয়ে আসা। যদি GST-র আওতায় পেট্রল, ডিজ়েলকে আনা হয়, তবে অবশ্যই পেট্রল, ডিজ়েলের দাম কমবে।"  তিনি আরও বলেন, "যেভাবে কৃত্রিমভাবে পেট্রল, ডিজ়েল ও LPG-র দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে, তাতে মানুষের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। জ্বালানির দাম বৃদ্ধির পেছনে কোনও কারণ নেই। এর ফলে অসহায় মানুষদের লুট করা হচ্ছে।" 

সিঙ্গাপুরে ঘুঁষিতে স্ত্রীর নাক ভাঙায় ২,০০০ ডলার জরিমানা

Image
সিঙ্গাপুর: গত বছরের ১৭ মার্চ রাতে ঝগড়া চলাকালীন ঘুঁষি মেরে স্ত্রীর নাক ফাটিয়ে দেওয়ায় এক ব্যক্তির ২,০০০ ডলার জরিমানা হল। সিঙ্গাপুরের এক আদালত আজ এই রায় দিয়েছে। ওই দম্পতি অবশ্য এখন সুখে সংসার করছেন। ডেপুটি পাবলিক প্রসিকিউটর ট্যান ইয়ানিং জানিয়েছেন, 'অং কিম হুয়াতের বোনের কাছে তাঁদের বড় ছেলেকে রাখা নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া শুরু হয়। ২০১৭-র ১৭ মার্চ রাত ১১টা নাগাদ ঝগড়া চলাকালীন অংয়ের স্ত্রী নিজের দিকে একটি ফল কাটার ছুরি বাগিয়ে ধরেন। তিনি অংকে বলেন তাঁকে মেরে ফেলতে। অং সে কথায় কান দেননি। ফলে তখনকার মতো ঝগড়া মিটে যায়। কিন্তু এর কিছুক্ষণ পরেই একটি বেত নিয়ে স্ত্রীর পিঠে মারতে থাকেন। এরপর ঘুঁষি মেরে নাক ভেঙে দেন তিনি। তদন্তের সময় অং স্বীকার করেন, তিনি স্ত্রীকে বার্তা দেওয়ার জন্যই তাঁকে বেত মারেন। তিনি বুঝিয়ে দিতে চাইছিলেন, ঝগড়ার সময় ছুরি বাগিয়ে ধরা ঠিক হয়নি।' ইনানিং আরও জানিয়েছেন, জখম অবস্থায় অংয়ের স্ত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। দেখা যায়, তাঁর নাক ভেঙে গিয়েছে এবং ডান চোখের উপরে এক সেন্টিমিটার কেটে গিয়েছে। পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরে অবশ্য তাঁদের সম্পর্ক স্বাভাবিক হয়ে যায়। তাঁদের ছেলে

লুঠেরাদের রাজনৈতিক আশ্রয় দিচ্ছে ব্রিটেন, নীরব মোদী প্রসঙ্গে তীব্র প্রতিক্রিয়া রঘুরাম রাজনের

Image
নয়াদিল্লি: পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক (পিএনবি) কেলেঙ্কারিতে অন্যতম অভিযুক্ত নীরব মোদীর ব্রিটেনে রাজনৈতিক আশ্রয় চাওয়ার খবরে তীব্র প্রতিক্রিয়া রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজনের। তিনি ট্যুইট করে বলেছেন, 'ওরা ভারতে এসেছিল, আমাদের লুঠ করেছে। তারপর আমরা ওদের তাড়িয়েছি। সময় লাগে ২০০ বছর। এখন আমরা ভারতীয়রাই নিজেদের লুঠ করছি আর লুঠেরাদের রাজনৈতিক আশ্রয় দিচ্ছে ব্রিটেন। ঔপনিবেশিক প্রথা মিটেছে খাতায় কলমে। আসলে ব্রিটিশরা এখনও আমাদের শাসন করছে।' সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, ব্রিটেনে রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়েছেন নীরব। যদিও ব্রিটেনের তরফে এই খবরের সত্যতা স্বীকার করা হয়নি। চলতি বছরের শুরুতেই হিরে ব্যবসায়ী নীরব ও তাঁর আত্মীয় মেহুল চোকসির বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ ঋণখেলাপির অভিযোগ ওঠে। মামলা দায়ের হওয়ার আগেই দেশ ছেড়ে পালান নীরব ও মেহুল। তাঁদের এখনও দেশে ফেরানো যায়নি। নীরবের ব্রিটেনে রাজনৈতিক আশ্রয় নেওয়ার খবর সত্যি হলে তাঁকে প্রত্যর্পরণের আবেদন জানানো হতে পারে বলে বিদেশমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে।

প্রকাশ্যে আর এক রামরহিমের কীর্তি! দিল্লি থেকে ধর্ষণের দায়ে গ্রেফতার আর এক স্বঘোষিত গডম্যান

Image
ডেরা সাচা সৌদার সাজাপ্রাপ্ত ধর্ষক গডম্যান গুরমিত রাম রহিম সিংয়ে সাধ্বীকে ধর্ষণের দায়ে ২০ বছরের সাজা হয়েছে। একইরকমের কাণ্ড করে গ্রেফতার হল দিল্লির এক স্বঘোষিত গডম্যান। এক মহিলা শিষ্যকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। অভিযুক্তের নাম দাঁতি মহারাজ। দিল্লির ফতেপুর বেড়ির শনি ধামের প্রধান এই মহারাজ। এই প্রথম নয়, এর আগেও বহুবার এই মহারাজের নামে যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে। এক মহিলা পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছেন, দুই বছর আগে দাঁতি মহারাজ তাঁকে ধর্ষণ করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে শনি ধামের মধ্যেই। ভয় ও আতঙ্কের মধ্যে থাকায় তিনি অভিযোগ দায়ের করেননি। কারণ এই মহারাজের দিল্লি ও এনসিআর এলাকায় ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। অভিযুক্ত মহারাজ জাতীয় টেলিভিশন চ্য়ানেলে শো করে। তার নামে ওয়েবসাইট ও স্যোশাল মিডিয়ায় প্রচার রয়েছে। আর সেসবের ভয়েই মহিলা এতদিন ধরে ঘটনা চেপে রেখেছিলেন। এই মহারাজকে হেফাজতে নিয়ে পুলিশ কোন সত্যাসত্য উদঘাটন করে, সেটাই এখন দেখার।

প্লাস্টিকখেকো জীবাণুর খোঁজ পেলেন বাঙালি বিজ্ঞানী, দূষণ নিয়ন্ত্রণে নয়া দিশা

Image
পাইপ থেকে বোতল, ক্যারিব্যাগ থেকে খেলনা। প্লাস্টিকের তৈরি জিনিস খেয়ে ফেলছে জীবাণু। মিশিয়ে দিচ্ছে মাটিতে। ধাপা থেকে এমন ১৮টি প্লাস্টিকখেকো জীবাণু আবিষ্কার করে গোটা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিলেন এক বাঙালি অধ্যাপক-বিজ্ঞানী। তাঁর দাবি, প্লাস্টিকের মতো লয়-ক্ষয়হীন বস্তুকে পঞ্চভূতে বিলীন করে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনে বিপ্লব আনবে এই আবিষ্কার। আবিষ্কৃত জীবাণুর নাম জানতে দেশ-বিদেশ থেকে বহু বর্জ্য ব্যবস্থাপন সংস্থা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। ২০১৫ সালের ২৫ মার্চ একটি ফরাসি সংস্থা অধ্যাপকের ল্যাবরেটরিতে এসে কয়েক কোটি ডলারের 'অফার'-ও দেয়। ড. স্বপন ঘোষ। রহড়ার রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ সেন্টেনারি কলেজের মলিকুলার মাইকোপ্যাথলজি ল্যাবরেটরির এই অধ্যাপক দীর্ঘদিন ধরে ব্যাকটেরিয়া-জীবাণু নিয়ে কাজ করছেন। সহযোগী হিসাবে পান দুই ছাত্র সুজয় পাল ও সব্যসাচী মুখোপাধ্যায়। 'অধ্যাপক সিউডোমোনাস' ড. আনন্দমোহন চক্রবর্তীর ছাত্র হওয়ার সুবাদে তেলখেকো 'সিউডোমোনাস পুটিডা'-র সঙ্গে দীর্ঘদিনের পরিচয় স্বপনবাবুর। ২০১৩ সালে কল্যাণীর গয়েশপুরের কয়েকটি চাষের জমি থেকে মাটি পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ করেছিলেন স্

ব্যান্ডেল স্টেশন থেকে গ্রেপ্তার JMI জঙ্গি

Image
ধৃত হাজিবুল্লা       ব্যান্ডেল : ব্যান্ডেল স্টেশন থেকে এক JMI (জামাত-উল-মুজাহিদিন ইন্ডিয়া) জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করল STF। ধৃতের নাম হাজিবুল্লা। বছর সাতান্নর এই জঙ্গির খোঁজে অনেকদিন ধরে তল্লাশি চালাচ্ছিল STF। তার বাড়ি মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জে। ২০১৩ সালের ৭ জুলাই বুদ্ধগয়া বিস্ফোরণের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে হাজিবুল্লার বিরুদ্ধে। ওই বিস্ফোরণে ৫ জন আহত হয়েছিলেন। STF সূত্রে জানা গেছে, বুদ্ধগয়ায় বিস্ফোরণের জন্য বিস্ফোরক বানানোয় হাত রয়েছে হাজিবুল্লার। অনেকদিন ধরে সে হুগলিতে লুকিয়েছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গতরাত পৌনে নটা নাগাদ ব্যান্ডেল স্টেশনে টিকিট কাউন্টারের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে STF। সে JMI-এর সামশেরগঞ্জ মডিউলের সদস্য। হুগলির বিভিন্ন জায়গায় সে জঙ্গি নিয়োগের কাজ করছিল। 

রাজ্যে পরিকাঠামো উন্নয়নে ১৮,০০০ কোটি

Image
রবিবার, ছুটির দিনে রাজ্যবাসীকে সুখবর দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তিনি জানিয়েছেন, সম্প্রতি রাজ্য সরকার পরিকাঠামো উন্নয়নে ১৮,০০০ কোটি (আঠারো হাজার কোটি) টাকা অনুমোদন করেছে।   আগামী শুক্রবার বাণিজ্যিক সফরে চীন যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। তার আগে রবিবার তিনি নিজের ফেসবুক পেজে লিখেছেন, 'পরিকাঠামো উন্নয়নে বাংলা দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। আগামী দিনে এর ফলে রাজ্য জুড়ে বিপুল কর্মসংস্থান ও বিনিয়োগ হবে'।  সেই অগ্রগতির বিস্তারিত ব্যাখ্যাও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।  ফেসবুকে (এবং টুইটারে) তিনি জানিয়েছেন, ওই বিপুল বরাদ্দ রাজ্য জুড়ে উড়ালপুল, গ্রা–শহরে পানীয় জল প্রকল্প, সেতু নির্মাণ, বিদ্যুৎ সরবরাহ, সস্তার আবাসন, সেচ–সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পরিকাঠামো গড়তে ব্যবহার করা হবে।  কিছুদিন আগেই 'মা–‌মাটি–‌মানুষের সরকারে'–এর ৭ বছর পূর্ণ হয়েছে। গত ৭ বছরে তাঁর সরকার যে সব উন্নয়নমূলক কাজ করেছে, তার বিস্তারিত বিবরণ দিয়ে ফেসবুকে বাংলার মানুষকে অভিনন্দনও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। জানিয়েছেন, কেন্দ্রের আর্থিক বঞ্চনা সত্ত্বেও তিনি বাংলাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।  অন্যান্য বিভিন্ন বিদেশ সফরের মতোই মমতার চীন সফরেরও ম

শিশু নিপীড়ন রুখতে প্রধান শিক্ষকদের বিশেষ ক্লাস

Image
কলকাতা: স্কুলে শিশুরা নিপীড়নের শিকার হচ্ছে কি না, তা বুঝতে এবং সেই পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে পাঠ নেবেন প্রধান শিক্ষকরা। প্রতি জেলা থেকে তিনশোটি স্কুলের প্রধানদের এ বিষয়ে প্রশিক্ষিত করবে শিক্ষা দপ্তর। আর এই কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে স্টেট কাউন্সিল অব এডুকেশন রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিংকে (এসসিইআরটি)। তারপর প্রধান শিক্ষকরা যে যাঁর নিজ নিজ স্কুলে গিয়ে বাকি শিক্ষকদেরও এই বিষয়ে অবগত করবেন। জুলাই থেকেই প্রশিক্ষণের কাজ শুরু করে দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। এই বিশেষ প্রশিক্ষণের জন্য একটি পুস্তিকাও তৈরি করেছে এসসিইআরটি। যার নাম শিশু সুরক্ষা নীতি সংক্রান্ত পুস্তিকা। স্কুলে শিশু সুরক্ষা একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কিন্তু সম্প্রতি রাজ্যের বহু স্কুলেই দেখা যাচ্ছে, শিশুদের অধিকার মারাত্মকভাবে লঙ্ঘিত হচ্ছে। কখনও শিক্ষকদের হাতে, কখনও আবার সহপাঠীদের মাধ্যমে এই ঘটনা ঘটছে। কিন্তু সবচেয়ে বড় ব্যাপার হল, বহু খুদে ছাত্রছাত্রী নিপীড়িত হলে তা প্রকাশ্যে বলতে চায় না। মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে এবং আতঙ্কে থাকে তারা। শিক্ষকরা মনে করেন, স্কুলেই একটা নির্দিষ্ট সময় কাটাতে হয় ছাত্রছাত্রীদের। স্বাধীনতা ও মর্যাদা— তাদের জন্য এই দু'ট

৬০০ আলোকবর্ষ দূরের গ্রহ আবিষ্কার বাঙালির হাত ধরে

Image
এক্সোপ্ল্যানেটটিও নিজের সূর্যকে ঘিরে পাক খাচ্ছে। সৌরমণ্ডলের বাইরে আরও একটি গ্রহের খোঁজ মিলল। সেই আবিষ্কার ঘটল এক বাঙালির নেতৃত্বে একদল ভারতীয় বিজ্ঞানীর হাত ধরে। আমাদের থেকে ৬০০ আলোকবর্ষ দূরের এক তারা বা নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করছে ওই গ্রহটি।। আমাদের সৌরজগতের বাইরে থাকা গ্রহগুলিকে বলা হয় 'এক্সোপ্ল্যানেট'। ইসরো বা ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা-র অধীনস্থ আমদাবাদের ফিজিক্যাল রিসার্চ ল্যাবরেটরির বিজ্ঞানীদের এই আবিষ্কার, ভারতীয় মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে এক ঐতিহাসিক ঘটনা। কারণ, এই প্রথম কোনও ভারতীয় সংস্থার হাত ধরে কোনও এক্সোপ্ল্যানেট আবিষ্কৃত হল। এর আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের হাতে গোনা কয়েকটি দেশ এক্সোপ্ল্যানেট আবিষ্কার করতে পেরেছে। প্রথম এক্সোপ্ল্যানেট আবিষ্কার করেছিলেন মিশেল মেয়ার। নয়ের দশকে। এ বার ভারতও ঢুকে পড়ল সেই 'এলিট ক্লাব'-এ। এই গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন বাঙালি বিজ্ঞানী অভিজিৎ চক্রবর্তী। অভিজিৎবাবু আনন্দবাজারকে জানান, "শনির চেয়ে ছোট, অথচ নেপচুনের চেয়ে বড় এমনই একটি এক্সোপ্ল্যানেটের সন্ধান পেয়েছি আমরা। ২৭টি পৃথিবী জুড়লে যতটা হয়, ঠিক সেই চেহারারই এই এক্সোপ

ভক্তদের কাছ থেকে কোনও রকম প্রণামী নিতে পারবে না পুরীর পাণ্ডারা

Image
পুরীর মন্দিরে বড়সড় বদল। বড়সড় বদল আনল পুরীর জগন্নাথ মন্দির কর্তৃপক্ষ। এবার থেকে ভক্তদের কাছ থেকে কোনও রকম প্রণামী নিতে পারবেন না সেবায়তরা। এমনটাই নির্দেশ জারি করল পুরীর জগন্নাথ মন্দির কর্তৃপক্ষ। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, এক মামলায় সুপ্রিম কোর্টের অবসরকালীন বেঞ্চের বিচারপতি আদর্শ কুমার গোয়েল ও বিচারপতি অশোক ভূষণ  গত শুক্রবার এই ব্যপারে মন্দির কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন। ভক্তরা যাতে পুজো দিতে গিয়ে হেনস্থার মুখে না পড়ে সেই দিকটিও খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। এই নির্দেশ পাওয়ার পরেই নড়েচড়ে বসে মন্দির কর্তৃপক্ষ ও ওড়িশা সরকার। মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে চাইলে ভক্তরা প্রণামী বাক্স(হুণ্ডি), মন্দিরের প্রধান অফিস, শাখা অফিস, মন্দির তথ্য কেন্দ্রে প্রণামী কিংবা অনুদান জমা দিতে পারেন। সেখান থেকে একটি রশিদ ভক্তদের দেওয়া হবে। শ্রী জগন্নাথ টেম্পল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের প্রধান কর্তা পি কে জানা জানিয়েছেন, 'সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশেই হল আইন। সবারই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে চলা উচিত। আমরা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ সবাইকে মেনে চলার জন্য অনুরোধ করছি।' ওড়িশার আইনমন্ত্রী প্র

জমির উপর দিয়ে তার গেলে টাকা পাবেন জমির মালিক, আইন আনছে রাজ্য

Image
জমির উপর দিয়ে হাইটেনশনের লাইন গেলে টাকা পাবেন জমির মালিক৷ খুব শীঘ্রই নতুন আইন আনতে চলেছে রাজ্য সরকার৷ টিটাগড়ে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এমনটাই জানালেন বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়৷ পাশাপাশি তিনি বলেন, ভাঙরে পাওয়ার গ্রিড তৈরি করার ক্ষেত্রে তৃণমূলেরও কিছু খামতি থেকে গিয়েছিল৷ ঠিকমতো এলাকার মানুষকে বিষয়টা বোঝানো যায়নি৷ তার সুযোগ নিয়ে একদল মানুষ সেখানকার মানুষকে ভুল বুঝিয়েছেন৷ বিদ্যুৎমন্ত্রী এদিন বলেন, ''আমি এখনও বিশ্বাস করি ভাঙরে পাওয়ার গ্রিড হতে পারে৷ আমরা সেখানকার মানুষকে ঠিকমত বোঝাতে পারিনি৷ হয়তো ওঁদের কাছে আমরা পৌঁছাতে পারিনি৷ তাই একদল নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করতে সেখানকার মানুষকে ভুল বুঝিয়েছে৷ কোথাও পাওয়ার গ্রিডের তার গেলে সন্তান ধারণ ক্ষমতা কমে যায় কিংবা জমিতে ফসল জন্মাবে না, এগুলি ভিত্তিহীন কথা৷ কোনও সত্যতা নেই৷'' শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ''যেসব তথাকথিত নকশালবাদী ভাঙড়ে ঘাঁটি তৈরি করেছিল, তাঁরাই এলাকার মানুষকে ভুল বুঝিয়েছে৷ নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ পূরণ করতে৷ অথচ পাওয়ার গ্রিড কিন্তু রাজ্যের কোনও বিষয়ই নয়৷ কেন্দ্র সরকারের এক

আরও ৫০টি গ্রাম দত্তক নিল বিশ্বভারতী

Image
আচার্য তথা দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে নতুন করে  ৫০টি গ্রাম অধিগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিলেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। এই নিয়ে অধিগৃহীত গ্রামের সংখ্যা হবে ১০০। গত ২৫ মে বিশ্বভারতীর সমাবর্তন অনুষ্ঠানে মোদীর বক্তব্যে উঠে এসেছিল গ্রাম পুনর্গঠনে কবিগুরুর দর্শনের কথা। তার পরেই বিশ্বভারতীর অধীনে থাকা ৫০টি গ্রামের কাজ নিয়ে যেমন প্রশংসা করেছিলেন, তেমনই প্রতিষ্ঠানের শতবর্ষ পূর্তির আগে গ্রামের সংখ্যাও বাড়ানোর আহ্বান জানান। এই আহ্বানে অনুপ্রাণিত হয়েই আরও ৫০টি গ্রাম গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেন কর্তৃপক্ষ। রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গি ভাবে জড়িয়ে শান্তিনিকেতন ও শ্রীনিকেতন। কবির বহু দিনের স্বপ্নলালিত পল্লি-পুনর্গঠনকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে ১৯২২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি কুঠিবাড়িতে শুরু হয়েছিল ইনস্টিটিউট অফ রুরাল রিকনস্ট্রাকশনের কাজ, নাম পায় শ্রীনিকেতন। শান্তিনিকেতন থেকে মাইল দুয়েক দূরে  শ্রীনিকেতনেই প্রাণ পেতে থাকে রবীন্দ্রনাথের গ্রামীণ ভাবনা। সেই সময় পার্শ্ববর্তী ছ'টি গ্রামকে নিয়ে কাজ শুরু হয়েছিল। ক্রমে সেই সংখ্যাই হয়েছে ৫০টি। বিশ্বভারতীর জীবনব্যাপী শিক্ষা ও সম্প্রসারণ বিভাগ বর্তমানে

সবথেকে পাওয়ারফুল সুপারকম্পিউটার আনল আমেরিকা

Image
ওয়াশিংটনঃ  কয়েক বছর ধরে চিনের কাছে পিছিয়ে থাকার পর আবারও বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগতির কম্পিউটারের জায়গা দখল করে নিয়েছে আমেরিকা। ডিপার্টমেন্ট অফ এনার্জি 'সামিট' নামের নতুন এই মেশিন উন্মোচন করে। এই সুপারকম্পিউটার বানাতে তারা কম্পিউটার নির্মাতা মার্কিন সংস্থা আইবিএম আর চিপ নির্মাতা সংস্থা এনভিডিয়া'র সঙ্গে মিলে কাজ করেছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনবিসি-কে আইবিএম প্রধান নির্বাহী জিনি রমেটি বলেন, আইবিএম এই সুপারকম্পিউটার বানিয়েছে। তিনি বলেন, "এটি আসলেই আমাদের সবচেয়ে বড় অর্জনগুলোর একটি। এটি দ্রুততম, দ্রুততম সুপারকম্পিউটার।" একে আইবিএম-এর কম্পিউটার সিস্টেম ওয়াটসন-র 'নাতি' হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন তিনি।   সামিট সেকেন্ডে সর্বোচ্চ দুই লাখ ট্রিলিয়ন হিসাব করার ক্ষমতা রাখে। বর্তমানে আমেরিকার সবচেয়ে ক্ষমতাধর সুপারকম্পিউটার টাইটান-এর চেয়ে এটি আটগুণ বেশি ক্ষমতাধর। এটি বানাতে চার বছর লেগেছে বলে জানিয়েছেন রমেটি। রমেটি ওই সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে আরও জানিয়েছেন, গবেষকদের জন্য "যে পরীক্ষা করতে ২৭ বছর থেকে ১৩ হাজার বছরের সময় লাগতে পারত, তা তারা এর মাধ্যমে একদিনেই করতে পারবেন।" এ

এইচআইভি পজিটিভ, মাধ্যমিক পাস করেও লেখাপড়া ছাড়ার পথে পাঁচ পড়ুয়া

Image
অশিক্ষা, কুসংস্কার আর দারিদ্র্য। জীবনে প্রতিবন্ধকতার শেষ নেই। কিন্তু, সেইসব প্রতিবন্ধকতাকে তুচ্ছ করে জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষার সসম্মানে উত্তীর্ণ ওরা। কিন্তু, তারপর? একাদশ শ্রেণিতে কি ভরতি হতে পারবে এইচআইভি আক্রান্ত  মণীষা, ফাতিমা, সঞ্জয়, সোহম ও পূজা (নাম পরিবর্তিত)?  মারণ রোগের কারণে কারও বাবা-মা কর্মহীন, কেউ আবার হারিয়ে ফেলেছেন বাবা-মাকেই। চরম দ্রারিদ্রে দিন কাটে উত্তর চব্বিশ পরগনার জেলার পাঁচ এইচআইভি আক্রান্ত পড়ুয়ার। সুস্থ থাকতে দু'বেলা পেটভরে খাবার জোগাড় করতেই হিমশিম অবস্থা। কোনওমতে মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাস করেছে তারা। কিন্তু, একাদশ শ্রেণিতে পড়াশোনার খরচ জোগাবে কে? ভে্বে কুলকিনারা করতে পারছে না ওই কিশোর-কিশোরীরা। তাই মাঝপথেই পড়াশোনা ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। বাবা-মা দু'জনেই এইচআইভি পজিটিভি। শরীরে মারণ ব্যাধি নিয়েই জন্মেছে উত্তর চব্বিশ পরগনার বিড়ার বাসিন্দা ফতিমা। রোগের কথা জানাজানি হতেই কাজ হারিয়েছেন তার বাবা। কোনওমতে দিন চলে। ৩১১ নম্বর পেয়ে মাধ্যমিক পাস করেছে ফতিমা। একাদশ শ্রেণিতে ভরতি হওয়ার জন্য প্রয়োজন মাত্র ৯০০ টাকা। কিন্তু, মেয়ের পড়াশোনার জন্য সেটুকু টাকা

শরীরের বাইরে হৃত্‍পিণ্ড নিয়ে জন্মানো শিশুর মৃত্যু

Image
ছোট্ট শরীর থেকে বেরিয়ে আসা একটি মাংসপিণ্ড তালে তালে ধুকপুক করছে। দৃশ্যটা দেখেই চমকে উঠেছিলেন ডাক্তারবাবু। হৃৎপিণ্ড যে শরীরের বাইরে। একটু স্থিতিশীল করেই সদ্যোজাতকে রেফার করে দিয়েছিলেন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকরা। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। বাঁচানো গেল না বিরল শিশুটিকে। গত বুধবার বিকেলে পশ্চিম মেদিনীপুরের তেমাথানির একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে শিশুটির জন্ম হয়। সিজার করেন ডা. মানস ঘোষ। নার্সিংহোমের কর্ণধার ডা. উত্তম বারিক জানিয়েছেন, শিশুটির বুক ভেদ করে হার্ট বেরিয়ে এসেছিল। আর কোনও অস্বাভাবিকতা ছিল না। স্বাভাবিক শিশুর মতোই কাঁদছিল সে। কিন্তু দুঃখের বিষয় শিশুটিকে বাঁচানো যায়নি। জানা গিয়েছে, মেদিনীপুর মেডিক্যাল থেকে বুধবার রাতেই শিশুটিকে কলকাতার এনআরএস হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। মেডিক্যাল বোর্ড বসে। সিদ্ধান্ত হয়, অস্ত্রোপচার করে শিশুটির হার্ট ভিতরে ঢোকানোর চেষ্টা হবে। কিন্তু তার আগেই শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। পরে মৃত্যু হয়। বিশিষ্ট শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. প্রভাস প্রসূন গিরি জানিয়েছেন, "আমি জীবনে একবারই দেখেছি এমন শিশু। এই রোগকে বলে 'এক্টোপিয়া কর্ডিস'। বিদ

মুম্বইয়ে প্রকাশ্য দিবালোকে রাস্তায় যৌনতায় মাতল যুগল, হইচই বাণিজ্যনগরীতে

Image
বাণিজ্যনগরী মুম্বইয়ে একেবারে প্রকাশ্য রাস্তায় যৌনতায় মাতল যুগল। যা দেখে হইচই পড়ে গেল মুম্বইয়ে। ঘটনাটি ঘটেছে পর্যটকে ঠাসা নরিম্যান পয়েন্ট এলাকায়। রাস্তার ডিভাইডারে বসে যুগল যৌনতায় মাতে। যা দেখে কেউ ছবি তুলেছেন, কেউ ভিডিও করে রেখেছেন। পুরো ঘটনাই হয়েছে সকলের সামনে। সেই ঘটনার ভিডিও স্যোশাল মিডিয়ায় ঘুরছে। স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে টহলরত পুলিশ ভ্যান ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। পুলিশ সূত্রে খবর, যুগলের মধ্যে মহিলাকে ধরা গিয়েছে। তবে পুরুষ সঙ্গীটি পালিয়ে গিয়েছে। সে বিদেশি নাগরিক। তাঁর খোঁজে এখন তল্লাশি চলছে। মহিলা জেরায় জানিয়েছেন, তাঁরা যৌন সঙ্গম করেননি। একে অপরকে চুম্বন করছিলেন। এখনও পুলিশ কোনও মামলা দায়ের করেনি। এলাকায় সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে ঘটনার সত্যাসত্য জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। বিদেশি যুবকের খোঁজে তল্লাশি জারি রয়েছে।

স্ত্রীর দেহে অ্যাসিড ছুড়ে আত্মঘাতী স্বামী, জখম ২ মেয়ে

Image
তুমুল ঝগড়ার পরে স্ত্রী ও দুই মেয়ের শরীরে অ্যাসিড ছুড়ে আত্মঘাতী হলেন বছর চল্লিশের যশপাল। শনিবার রাতের ঘটনায় স্তম্ভিত প্রতিবেশীরা।  রবিবার দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, রাজধানীর উত্তর পূর্ব প্রান্তে কারাওয়াল নগরের বাসিন্দা যশপালের সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর প্রায় প্রতিদিনই বচসা হত। শনিবার রাতে ফের দাম্পত্য কলহ বাধলে আচমকা বোতল থেকে তিনি স্ত্রী এবং দুই মেয়ের দেহে অ্যাসিড ছুড়ে দেন। একই সঙ্গে নিজেও অ্যাসিড পান করেন যশপাল। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।  খবর পেয়ে পুলিশ কারাওাল নগরের বাড়িতে পৌঁছে যশপালের প্রাণহীন দেহ উদ্ধার করে। জিটিবি হা,পাতালে নিয়ে যাওয়া হয় আহতদের। জানা গিয়েছে, অ্যাসিডের স্পর্শে যশপালের স্ত্রীর শরীরের চল্লিশ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে। তাঁর দুই মেয়ের শরীর আংশিক পুড়লেও তাঁরা আপাতত বিপন্মুক্ত হয়েছেন বলে পুলিশের দাবি। 

নাবালক ধর্ষণ, হাজতে প্রতিবেশী মহিলা

Image
বছর পনেরোর এক কিশোরকে ধর্ষণের অভিযোগে ৪৫ বছর বয়সী এক মহিলাকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। অন্ধ্রপ্রদেশের বিজয়ওয়াড়ার নুন্নার ঘটনা। অভিযুক্ত মহিলা বেশ কয়েকমাস ধরে ওই নাবালকের ওপর যৌন নির্যাতন চালিয়েছে বলে অভিযোগ।  যৌন নির্যাতনের ঘটনা কিছুদিন আগে ঘটলেও নির্যাতিত পরিবারের তরফে থানায় অভিযোগ দায়েরের পরই বিষয়টি সামনে আসে। অভিযুক্ত মহিলা নির্যাতিত শিশুর প্রতিবেশী বলে জানা গিয়েছে। পুলিশের মতে, অভিযুক্ত মহিলাই নাবালককে 'প্রলুব্ধ' করেছিল।  কিশোরের মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে পকসো আইনের ৪ ধারায় পুলিশ অভিযোগ দায়ের করেছে। নাবালক এবং অভিযুক্ত মহিলার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। অভিযুক্তকে পুলিশ নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে। 

দিনমজুরের কাজ করেও পরীক্ষায় নজির সঞ্জীবের

Image
সঞ্জীব মণ্ডল। পড়াশোনার খরচ জোগাড় করতে হত দিনমজুরি করেই। বেশি দিন স্কুল ছুটি থাকলে পাড়ি দিতেন দিল্লি। সেখানে নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করে কিছু বাড়তি আয়। তার পরে ফের পড়াশোনা। উচ্চ মাধ্যমিক দেওয়ার পর দিনই ফের তিনি পাড়ি দেন দিল্লিতে। পাশ করলে ভর্তির টাকা জোগাড় করতে হবে যে! মহানন্দটোলা কাটাহা দিয়ারা হাই স্কুলের এই অদম্য ছাত্রের নাম সঞ্জীব মণ্ডল। উচ্চ মাধ্যমিকে তাঁর প্রাপ্ত নম্বর চাঁচল মহকুমার স্কুলগুলোর কলা বিভাগের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এখনও দিল্লিতে শ্রমিকের কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। স্কুলে পড়ে রয়েছে তাঁর মার্কশিট। চোখে দেখেননি নিজের নম্বর। রতুয়ার ফুলহারের ওপারে চর এলাকা সম্বলপুরের বাসিন্দা সঞ্জীবের মোট নম্বর ৪৬৬। বাংলায় তিনি পেয়েছেন ৯৭, ইংরেজিতে ৮০, ভূগোলে ৯৮, ইতিহাসে ৯৪ আর রাষ্ট্রবিজ্ঞানে ৯৪। বাবা বংশী মণ্ডলও দিনমজুরের কাজ করেন। ফুলহার নদীর ওপারে চর এলাকায় কাজ জোটে না নিয়মিত। থাকেন ভাঙাচোরা মাটির ঘরে। তাঁর এক ছেলে, এক মেয়ে। অর্থাভাবে মেয়ের বিয়ে এখনও দিয়ে উঠতে পারেননি।  ছেলের টিউশনের ব্যবস্থা করা তো দূরের কথা, দু'বেলা দু'মুঠো খাবার জোটাতে হিমশিম খেতে হয় বংশীকে। নিজের পড়ার খরচ জ

হুটহাট ফরোয়ার্ডে সাবধান, জেল আছে পিছে!

Image
• পঞ্চায়েত ভোটের সময়ে ভুয়ো খবর ছড়ানোর অভিযোগে সিপিএম সাংসদ মহম্মদ সেলিমের ছেলে রাসেল আজ়িজ়কে ঘিরে এখন গোয়েন্দা পুলিশের টানাটানি চলছে। • ভিন্‌ধর্মীরা দুর্ঘটনায় জখম এক ধর্মপ্রচারকের উপরে হামলা চালায় বলে সম্প্রতি ভুয়ো খবর প্রচারের অভিযোগ উঠেছিল। পরিণামে একটি ওয়েবসাইটের সম্পাদককে গ্রেফতার করেছিল বেঙ্গালুরু পুলিশ। • এ রাজ্যেও অশান্তি বাধানোর মতলবে ভুয়ো ছবি পোস্ট করার অভিযোগে গত বছর একটি রাজনৈতিক দলের আইটি সেলের নেতার কোমরে দড়ি পড়েছিল। কুমতলবে ভুয়ো খবর ছড়ানো তো বটেই, আলটপকা খবর নেটমাধ্যমে 'ফরোয়ার্ড' করার বিপজ্জনক দিক নিয়ে আলোচনা চলছে আইনজ্ঞদের মধ্যে। এক সাংবাদিক তথা নেতার একটি ফেসবুক পোস্ট নিয়ে মামলায় মাদ্রাজ হাইকোর্টের সাম্প্রতিক রায়েও নেটে দায়িত্বজ্ঞানহীন 'পোস্ট ফরোয়ার্ড' করার প্রবণতার বিপদের কথা বলা হয়েছে। সাইবার আইন বিশেষজ্ঞ বিভাস চট্টোপাধ্যায়ের ব্যাখ্যা, ''কে কোন খবর বা ছবি ফন্দি এঁটে তৈরি করল আর কে তা প্রচার করল, আইন সেই কচকচি বোঝে না। লোকে যেটা বিশ্বাস করে, সেটাই সাধারণত প্রচার করে থাকে।'' গত বছরই পশ্চিম মেদিনীপুরের এক যুবক উৎসবের সময়ে অশান্তি বাধা

তোলাবাজির অভিযোগ, ফ্রিডম ২৫১ প্রস্তুতকারী সংস্থার মালিক মোহিত গোয়েল গ্রেপ্তার

Image
দিল্লি : ধর্ষণের মামলা নিষ্পত্তির পরিবর্তে টাকা আদায়ের চেষ্টার অভিযোগ। গ্রেপ্তার রিংগিং বেলস কম্পানির ডিরেক্টর মোহিত গোয়েল। রিংগিং বেলসই বিশ্বের সবচেয়ে সস্তা স্মার্টফোন বাজারে আনার কথা ঘোষণা করেছিল। মোহিত গোয়েল ছাড়া আরও দু'জনকে দিল্লি থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ২০১৬ সালে বিশ্বের সবচেয়ে সস্তা স্মার্টফোন ফ্রিডম ২৫১ বাজারে আনার কথা ঘোষণা করেছিল রিংগিং বেলস। ফোনের দাম ঠিক হয়েছিল মাত্র ২৫১ টাকা। গতবছরের শুরুতে জালিয়াতির অভিযোগে তিনমাসের বেশি সময় জেল খেটেছিলেন মোহিত গোয়েল। তবে, পরে এলাহাবাদ হাইকোর্ট থেকে তিনি জামিন পেয়ে যান। গাজ়িয়াবাদের একটি সংস্থার অভিযোগের ভিত্তিতে মোহিত গোয়েলকে গ্রেপ্তার করা হয়। মোহিতের বিরুদ্ধে ১৬ লাখ টাকার প্রতারণার অভিযোগ আনে সংস্থাটি।

শিলিগুড়ি পুরসভার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হবেন গ্রন্থন!

Image
শিলিগুড়ি পুরসভার প্রচারের মুখ হতে চলেছেন জলপাইগুড়ির কৃতী ছাত্র গ্রন্থন। রবিবার দুপুরে শিলিগুড়ি পুরসভার একদল কাউন্সিলরকে সঙ্গে নিয়ে জলপাইগুড়ির হাকিমপাড়ায় গ্রন্থন সেনগুপ্তের বাড়িতে এসেছিলেন মেয়র অশোক ভট্টাচার্য। উচ্চ মাধ্যমিকে রাজ্যে প্রথম হওয়া গ্রন্থনের হাতে ফুল, বই তুলে দিলেন অশোকবাবু। তিনি জানালেন, শহর পরিচ্ছন্ন রাখা-সহ নানা সামাজিক বার্তা জানাতে শিলিগুড়ি পুরসভা জাতীয় ক্রিকেটার তথা শিলিগুড়ির ছেলে ঋদ্ধিমান সাহাকে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর করে প্রচার চালায়। এবার থেকে সেই প্রচারে গ্রন্থনের ছবি ও ভিডিয়ো ব্যবহার করা হতে পারে। মেয়র অশোকবাবুর কথায়, "গ্রন্থন গোটা রাজ্যের গর্ব। ওঁকে ব্যবহার করার নানা পরিকল্পনা করেছি। শিলিগুড়ি পুরসভার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর করা হতে পারে ওঁকে। এ বিষয়ে পুরসভায় আলোচনা করে, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।" জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি পাশাপাশি দুই শহরের অনেক মিল থাকলেও, কলকাতা হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চ কোথায় হবে তা নিয়ে নব্বইয়ের দশকে দুই শহরের বাসিন্দাদের একাংশের মধ্যে টানাপোড়েন হয়। যার রেশ এখনও মাঝেমধ্যে শোনা যায়। সে দিক থেকে এই সিদ্ধান্ত দুই শহরকে আরও কাছা

প্রসূতিদের কষ্ট ঘোচাতে রাস্তা গড়লেন মেয়েরা

Image
অনেক বার প্রশাসনের কাছে দরবার করা হয়েছিল। সুরাহা হয়নি। গ্রাম থেকে কাছের রাস্তাই দু'কিলোমিটার দূরে। এ মাসের গোড়ায় এক প্রসূতিকে নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছতে এত দেরি হল যে, গর্ভেই মারা গেল শিশুটি। গ্রামের মেয়েরা এ বার নিজেরাই কোদাল-বেলচা হাতে নেমে পড়লেন। দেড়শো মহিলা তিন দিনে তৈরি করে ফেললেন দু'কিলোমিটার রাস্তা। সম্প্রতি বিহারের বাঁকা জেলার ভৌঁসি ব্লকে উপর-নিমা গ্রামের ঘটনা। উপর-নিমা আর পিছনের গ্রাম জোজারপুর মিলিয়ে ৫০০ পরিবারের বাস। বেশির ভাগই হয় আদিবাসী, নয় দলিত। কয়েক বছর ধরেই বাসিন্দারা রাস্তা তৈরির আবেদন নিয়ে প্রশাসনের কাছে দরবার করছিলেন। বারবারই নানা আইনি জটিলতার কথা শুনতে হয়েছে তাঁদের। কাজ এগোয়নি। অথচ সরু আল বেয়ে দু'কিলোমিটার হেঁটে না গেলে কোনও রাস্তায় ওঠা যায় না। কেউ অসুস্থ হলেও ভ্যান বা টোটো ডেকে আনারও উপায় নেই। রাস্তা তৈরির অন্যতম নেত্রী খুশবু দেবী বলছিলেন, ''প্রসবযন্ত্রণা উঠলে হাসপাতালে যাওয়াই মুশকিল। অনেক সময় রাস্তাতেই প্রসব হয়ে যায়।'' এ বার শিশুটি মারা যাওয়ার খবর পেয়েই ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙে ওঁদের। পাহাড় কেটে রাস্তা গড়া, গয়া জেলার দশরথ মাঝির গল্প ওঁরা শোনে

ইদের ছুটির বিজ্ঞপ্তিও ভুয়ো! কর্মচারিদের মধ্যে তুমুল বিভ্রান্তি

Image
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া খবর ঘিরে গত কয়েক বছরে দেশের নানা প্রান্তে একাধিক অশান্তি এমনকি প্রাণহানি, সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। কিন্তু উৎসবের ছুটিকে কেন্দ্র করে একেবারে জাল 'সরকারি নির্দেশিকা' ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা আগে ঘটেছে বলে মনে করতে পারছেন না অনেকেই। আসন্ন ইদের ছুটি সংক্রান্ত এমন একটি নির্দেশিকা ঘিরেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজ্যে। সূত্রের খবর, বিষয়টি নিয়ে পুলিশের ভূমিকায় 'অখুশি' নবান্নের শীর্ষমহল মনে করছে, পুলিশের এ নিয়ে আগেই তৎপর হওয়া দরকার ছিল। 'ভুয়ো' খবর ছড়ানোর বিষয়টি ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে দেখার জন্য পুলিশকে নির্দেশও দিয়েছে নবান্ন। গত দু'দিন ধরে খোদ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অর্থ বিভাগের লেটারহেডে ইদের ছুটি সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকা ছড়িয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর ওই নির্দেশিকা ঘিরেই রাজ্য সরকারি কর্মচারি মহলে তুমুল বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে।   বিজ্ঞপ্তিটি 'ভুয়ো' জানিয়ে রবিবার টুইট করেছে কলকাতা পুলিশ। এ দিন এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) অনুজ শর্মা জানান, বিজ্ঞপ্তিটি 'সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন'। দোষীদের চিহ্নিত করতে তদন্ত শুরু হয়েছে। পাশাপাশি, যাঁরা এই ভুয়ো বিজ্ঞপ্তিটি সোশ্যাল

মহিলা কর্মীকে জুতোর মালা, অভিযুক্ত জেলখাটা নেতাকে মালা পরাল তৃণমূল!

Image
দলের মহিলা কর্মীকে জুতোর মালা পরিয়ে নিগ্রহের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন যুব তৃণমূল নেতা। জামিন পেতেই গলায় ফুলের মালা পরিয়ে তাঁকে নিয়ে এলাকায় হল বিজয় মিছিল। পঞ্চায়েত ভোটের সাফল্যের জন্য রবিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের বাগডুবিতে বিজয় মিছিলের আয়োজন করেছিলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। সেই মিছিলের সামনের সারিতে দেখা যায় মহিলা কর্মী নিগ্রহে অভিযুক্ত স্থানীয় যুব তৃণমূল নেতা সঞ্জিত ওরফে লক্ষ্মী কুইল্যাকে। শনিবারই জামিনে জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন তিনি। এ দিন সঞ্জিতকে গাঁদার মালা দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। তার পরে শুরু হয় বিজয় মিছিল। ওই মিছিলে সঞ্জিতের পাশাপাশি ঘুরতে দেখা গিয়েছে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি সলিল দাসকে। পঞ্চায়েত ভোটে ফল প্রকাশের পরে এই বাগডুবি গ্রামেই তৃণমূল কর্মী কবিতা দাসকে জুতোর মালা পরিয়ে ঘোরানোর অভিযোগ উঠেছিল। ওই মহিলার স্বামী গোপাল দাস এলাকার বিদায়ী পঞ্চায়েত সদস্য। এ বার ভোটে কবিতাদেবী নির্দলের হয়ে কাজ করেছেন, স্রেফ এই সন্দেহে তৃণমূলের লোকেরা তাঁকে নিগ্রহ করে বলে অভিযোগ। কান ধরে ওঠবোস করানো হয়। তার পরে জোটে জুতোর মালা। অভিযুক্ত তিন জনের মধ্যে সঞ্জিতকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। পরে তাঁকে দল থেকে বহিষ্

ভুল থেকে শিক্ষা নিলে হার হয় না

Image
লক্ষ্মী কুইল্যা (বাঁ-দিকে) ও তাঁর অনুগামীরা বুঝলেন না, বিজয়োল্লাস করলেই জয় সূচিত হয় না। মানুষ কখনও ব্যর্থ হতে পারে না, হয় সে সফল হবে, না হয় সে শিখবে। মহাজনের মহাবাক্য এ। প্রায় রোজই ছোট-বড় দৃষ্টান্তে এ তত্ত্বের সত্যতা টের পাওয়া যায়। তাতে বেশ স্বস্তিও অনুভূত হয়। মনে হয়, সামনের  দিগন্তে শুধু আলো আর আলো, কোনও অন্ধকার নেই। সেই উজ্জ্বল রেখাকে প্রেক্ষাপটে রেখেই সম্প্রতি চোখের সামনে জ্বলজ্বল করে উঠল বেশ কয়েকটা মুখ— লিপি বিশ্বাস, মাইনো মাড্ডি, সরস্বতী কাপাসি, মৌলি দাস, মিলি ঘোষ, মল্লিকা খাতুন, সঙ্গীতা সরকার। তাঁদের প্রত্যেকের আখ্যানই হল মানুষের জয়যাত্রার অসামান্য সব আখ্যান। কিন্তু জীবনে ঝঞ্ঝাও থাকে। দিগন্তের আলো ঢেকে দিতে চায় আচমকা উড়ে আসা কালো মেঘ। ভুল থেকে শিক্ষা নিতে না চাওয়ার এক প্রবণতাও মানুষের মধ্যেই দেখা যায়। সেখানেই ব্যতিক্রমের মুখে পড়ে মানুষের অব্যর্থতার তত্ত্ব। লিপি, মাইনো, সরস্বতী, মল্লিকা, মৌলি, মিলিরা কী ভাবে সফল? সফল রুখে দাঁড়িয়ে। পড়তে দিতে চায়নি পরিবার, স্কুল থামিয়ে বিয়ে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু এ মেয়েরা মাথা নিচু করেননি। প্রায় প্রত্যেকেই এ বাংলার কোনও না কোনও প্রত্যন্ত প্রান্তে

টাকা না ‘ঘনিষ্ঠতা’, কসবায় মহিলা খুনের মোটিভ নিয়ে এখনও ধন্দ

Image
পারিবারিক অ্যালবাম থেকে। (একেবারে ডান দিকে শীলা চৌধুরী)।  শনিবার বিকেলে কসবার টেগোর পার্কের ঘরে শীলা চৌধুরীর নিথর দেহ যেখানে পড়ে ছিল, তার পাশেই টেবিলে ছিল একটা গ্লাস। তলানিতে পড়ে ছিল খানিকটা ফলের রস। আর সেই গ্লাসের সূ্ত্র ধরেই শেষ পর্যন্ত পুলিশের জালে ধরা পড়ল ন্যাটমোর সায়েন্টিফিক অফিসার শীলার খুনিরা। খুনিদের এক জনের বয়স আঠারো, অন্য জনের পনেরো। গত কাল, ঘটনার দিন শীলার দেহ উদ্ধার হওয়ার পর, ফ্ল্যাটের সাফাইকর্মী শম্ভু দাবি করেছিল, দুপুর ১২টা নাগাদ সে এক বার গিয়েছিল শীলার ফ্ল্যাটে। তখন সেখানে নাকি উপস্থিত ছিলেন অন্য এক মহিলা, যাকে শম্ভু চেনে না। তখনই পুলিশের জেরার মুখে সে বলে, শীলা তাকে বিকেলে 'সস' নিয়ে যেতে বলেছিলেন। তাই সে বিকেলে ফ্ল্যাটের দিকে যাচ্ছিল, তখনই দেখা হয় শীলার বন্ধু তাপস পালের সঙ্গে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অবিশ্বাস করার কোনও কারণ ছিল না।  জেরায় প্রথমে শম্ভু বলেছিল, তাকে ফলের রস খেতে দিয়েছিলেন শীলা। কিন্তু পরে ঘরে তল্লাশি চালাতে গিয়ে ঘরের একটা পরিত্যক্ত কোণে সেই ফলের রস পড়ে থাকতে দেখেন তদন্তকারীরা। সেখান থেকেই তদন্তকারীদের সন্দেহ হয়, কেন তুচ্ছ একটা বিষয়ে মিথ্যে কথা ব