মহিলা কর্মীকে জুতোর মালা, অভিযুক্ত জেলখাটা নেতাকে মালা পরাল তৃণমূল!


দলের মহিলা কর্মীকে জুতোর মালা পরিয়ে নিগ্রহের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন যুব তৃণমূল নেতা। জামিন পেতেই গলায় ফুলের মালা পরিয়ে তাঁকে নিয়ে এলাকায় হল বিজয় মিছিল।

পঞ্চায়েত ভোটের সাফল্যের জন্য রবিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের বাগডুবিতে বিজয় মিছিলের আয়োজন করেছিলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। সেই মিছিলের সামনের সারিতে দেখা যায় মহিলা কর্মী নিগ্রহে অভিযুক্ত স্থানীয় যুব তৃণমূল নেতা সঞ্জিত ওরফে লক্ষ্মী কুইল্যাকে। শনিবারই জামিনে জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন তিনি। এ দিন সঞ্জিতকে গাঁদার মালা দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। তার পরে শুরু হয় বিজয় মিছিল। ওই মিছিলে সঞ্জিতের পাশাপাশি ঘুরতে দেখা গিয়েছে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি সলিল দাসকে।

পঞ্চায়েত ভোটে ফল প্রকাশের পরে এই বাগডুবি গ্রামেই তৃণমূল কর্মী কবিতা দাসকে জুতোর মালা পরিয়ে ঘোরানোর অভিযোগ উঠেছিল। ওই মহিলার স্বামী গোপাল দাস এলাকার বিদায়ী পঞ্চায়েত সদস্য। এ বার ভোটে কবিতাদেবী নির্দলের হয়ে কাজ করেছেন, স্রেফ এই সন্দেহে তৃণমূলের লোকেরা তাঁকে নিগ্রহ করে বলে অভিযোগ। কান ধরে ওঠবোস করানো হয়। তার পরে জোটে জুতোর মালা। অভিযুক্ত তিন জনের মধ্যে সঞ্জিতকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। পরে তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করে তৃণমূল। এ দিন কবিতাদেবী বলেন, ''অভিযুক্ত সকলের শাস্তি হোক এখনও তাই চাই।''

তৃণমূল সূত্রের খবর, এর আগেও বাগডুবিতে বিজয় মিছিল হয়েছিল। তা হলে কেন ফের মিছিল? প্রশ্নের সদুত্তর মেলেনি। তবে তৃণমূলের একাংশ মানছে, এতে দলের ভাবমূর্তি প্রশ্নের মুখে পড়ল। লক্ষ্মী এবং তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। মেদিনীপুরের তৃণমূল বিধায়ক মৃগেন মাইতি অবশ্য বলেন, ''মিছিলের বিষয়টি জানি না। খোঁজ নিয়ে দেখছি।'' তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতির প্রতিক্রিয়া, ''বিষয়টি শুনেছি। খোঁজ নিচ্ছি। এ সব বরদাস্ত করা হবে না। দল ব্যবস্থা নেবে।''

জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরে অভিযুক্ত নেতাদের বরণ করে নেওয়ার ঘটনা মেদিনীপুরে নতুন নয়। বাম নেতাদের ক্ষেত্রেও একাধিক বার এ দৃশ্য দেখা গিয়েছে।