Posts

Showing posts from June 5, 2018

পরীক্ষা দিতে বাধা, হতাশায় আত্মহত্যা UPSC পরীক্ষার্থীর

Image
স্বপ্ন ছিল সিভিল সার্ভিসের পরীক্ষায় পাশ করে সরকারি চাকরি করবেন। কিন্তু সেই স্বপ্ন অধরাই থেকে গেল। পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে কর্নাটকের এক ছোট্ট গ্রামের বাসিন্দা বরুণ চন্দ্রনকে বেছে নিতে হল আত্মহননের পথ। সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার জন্যে নিজেকে তৈরি করতে পাঁচ বছর আগে দিল্লিতে এসেছিলেন বরুণ। কিছুদিন আগেই পয়সা বাঁচাতে এবং কোচিং ইনস্টিটিউটের কাছাকাছি থাকার জন্যে তিনি উঠে আসেন রাজেন্দ্র নগরে। লক্ষ্য একটাই। যেভাবেই হোক পঞ্চম বারে পাশ করতেই হবে। কিন্তু সামান্য বিভ্রান্তির জন্যে তাঁর পরীক্ষাই দেওয়া হল না। সেই ধাক্কা সামলাতে না পেরে বরুণ বেছে নিলেন আত্মহত্যার পথ।  জায়গা ভালো করে না চেনার কারণে প্রথমে ভুল সেন্টারে পৌঁছে যান বরুণ। পাহাড়গঞ্জের সেই সেন্টার থেকে তাঁকে বলা হয় কাছেই অন্য আর একটি সেন্টারে তাঁর সিট পড়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের (৯.২০) মাত্র চার মিনিট পর সঠিক পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছালে তাঁকে জানিয়ে দেওয়া হয়, দেরি হওয়ার কারণে তাঁকে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হবে না। হাজার কাকুতি মিনতিতেও কোনও লাভ হয় না।  ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স-এর কুমতা রিসার্চ স্টেশনের এক বৈজ্ঞানিক ছেলে বরুণ এই ঘটনা মেনে নিতে পারেননি।

চরম যৌনসুখের জন্য নারীর পুরুষকে প্রয়োজন নেই, বলছে সমীক্ষা

Image
'আর্কাইভ অফ সেক্সুয়াল বিহেভিয়ার'-এর সদ্য প্রকাশিত হয়েছে এমনই এক রিপোর্ট। রিপোর্টটি তৈরি হয়েছে ৩০০০ মহিলার উপরে সমীক্ষা চালিয়ে। মহিলারা নিজেরাই যৌনতায় স্বয়ংসম্পূর্ণা, জানাচ্ছে সমীক্ষা। নারী স্বয়ংসম্পূর্ণা। প্রবাদ নয়, সমীক্ষা বলছে। প্রতি মাসে অন্তত ৫৫ বার যৌনসুখের শীর্ষে পৌছতে পারেন মহিলারা। শুধু তাই নয়, সমীক্ষার পরের অংশটি পুরুষদের একহাত নেওয়ার জন্য যথেষ্ট। নারীর এই চূড়ান্ত সুখের শৃঙ্গে চড়ার জন্য কোনও পুরুষের সাহায্য প্রয়োজন নেই। আন্তর্জাতিক জার্নাল 'আর্কাইভ অফ সেক্সুয়াল বিহেভিয়ার'-এর সদ্য প্রকাশিত হয়েছে এমনই এক রিপোর্ট। রিপোর্টটি তৈরি হয়েছে ৩০০০ মহিলার উপরে সমীক্ষা চালিয়ে। এই ৩০০০ মহিলাকে সমীক্ষকরা দু'টি ক্যাটেগরিতে ভাগ করে নিয়েছিলেন। প্রথম দলটিতে রয়েছেন সেই সব মহিলা, যাঁদের যৌনসঙ্গী প্রাথমিক ভাবে পুরুষ। আর দ্বিতীয় দলটিতে রয়েছেন তাঁরা, যাঁদের যৌনসঙ্গী হিসেবে পছন্দ মহিলা। চার সপ্তাহ ধরে সমীক্ষাটি চালানো হয়। তার পরেই প্রকাশিত ফলটি পুরুষের চক্ষু চড়কগাছ করার জন্য যথেষ্ট। একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত এই সমীক্ষার ফলের একটি অংশে বলা হচ্ছে— হেটেরোসেক্সুয়ালদের ক

নরেন্দ্র মোদিকে ৯ পয়সার চেক পাঠালেন এই ব্যক্তি

Image
নয়াদিল্লি: গত কয়েকদিন আগেই ক্রমশ বেড়ে চলেছিল তেলের দাম। আকাশ ছুঁয়েছিল পেট্রল। বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছিল দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। যদিও দাম যখন কমতে শুরু করল, তখন তা মোটেই সন্তোষজনক হয়নি। কোনোদিন এক পয়সা তো কোনোদিন ৫ পয়সা, এভাবেই কমছে দাম। যা ক্ষোভের মাত্রা আরও খানিকটা বাড়িয়ে দিয়েছে। আর এই অসামঞ্জস্যের কারণেই অভিনব কায়দায় প্রতিবাদ জানালেন এক ব্যক্তি। প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলের জন্য একটি চেক কেটে দিয়েছেন এক ব্যক্তি। ইতিমধ্যেই ভাইরাল সেই ছবি। গায়ত্রী ব্যাংকের একটি চেক। প্রাইম মিনিস্টার ন্যাশনাল রিলিফ ফান্ডের জন্য দেওয়া হয়েছে ওই চেক। ৯ পয়সার একটি চেক কাটা হয়েছে। মোদী সরকারকে এভাবেই অভিনব কায়দায় জবাব দিয়েছেন তিনি।   আসলে ১৬ দিন ধরে হু হু করে দাম বাড়ার পর এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ দাম কমেছে ৯ পয়সা। আর তাতেই আরও ক্ষুব্ধ দেশবাসী। বিভিন্ন জায়গায় পরিবহন ধর্মঘটেরও ডাক দেওয়া হয়েছে। পেট্রল শীঘ্রই ১০০ টাকা ছোঁবে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই কটাক্ষ করেই কেন্দ্রকে জবাব দিয়েছেন তেলেঙ্গানার ওই ব্যক্তি। ৯ পয়সা দাম কমায় বেঁচেছে এটুকুই। সেটুকুই তিনি তুলে দিতে চান প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে।

পরমাণু বোমা থেকে বাঁচতে তৈরি গোপন বাঙ্কার, ঠিকানা লুকোতে কারিগরকেই খুন

Image
তাজমহল তৈরি হওয়ার পর নাকি কারিগরের হাত কেটে ফেলার আদেশ দিয়েছিলেন সম্রাট শাহজাহান। স্থাপত্যকে অদ্বিতীয় করে রাখাই নাকি ছিল তাঁর উদ্দেশ্য। মুঘল সম্রাটের মতই এবার গুপ্ত 'নিউক্লিয়ার শেল্টার' নির্মাণ করার পর সুড়ঙ্গের মিস্ত্রিকেই হত্যা করলেন এক ব্যক্তি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই ঘটনা সাড়া ফেলেছে গোটা দেশে। পরমাণু যুদ্ধ হলে খোলা আকাশের নিচে যা কিছু থাকবে সব পুড়ে ছাই হয়ে যাবে। জলাশয়, ঝরনা সব শুকিয়ে যাবে। গাছপালা বাড়ি ঘর সব ধ্বংস হয়ে যাবে। বেঁচে থাকলে তেজষ্ক্রিয় বিকিরণের কারণে আশ্রয়স্থলের বাইরে বেরনো যাবে না কয়েকটা বছর। তাই বাঁচার একমাত্র উপায়, গভীর সুড়ঙ্গ খুঁড়ে সেখানে নিরাপদ আশ্রয় তৈরি করা। সেখানে কয়েক বছরের জন্য খাবার, জল, বিদ্যুতের ব্যবস্থা মজুত রাখা। যেমন ভাবা তেমনি কাজ। দীর্ঘ কয়েক বছরের চেষ্টায় মার্কিন মুলুকে এমনই এক নিরাপদ সুড়ঙ্গ তৈরির চেষ্টা করেছিলেন ২৭ বছরের ড্যানিয়েল বেকউইট। কাজ এগিয়েও ছিল অনেকটা। ওয়াশিংটন ডিসি-র খুব কাছে মেরিল্যান্ডের বেথেসদা এলাকায় এক খামারবাড়ির তলায় গোপনে চলছিল কাজ। সুড়ঙ্গের তলায় খাবার, জল, পোশাক, বিনোদন এবং বিদু্যৎ উৎপাদনের জন্য জেনারেটর, ব্যাটার

পথের ধারে পুরুষদের পাশেই ‘শৌচকর্ম’ তরুণীর! তবুও তাঁকে কুর্নিশ সকলের

Image
অঙ্কিতা সেনগুপ্ত। বালিগঞ্জ স্টেশনের ধারে শৌচকর্ম করছিলেন কয়েকজন পুরুষ। আচমকাই তাঁদের মধ্যে গিয়ে উপস্থিত এক তরুণী। অন্যদের বিস্মিত করে তিনিও শৌচকর্ম করার ভঙ্গিতে বসে পড়লেন রেললাইনের ধারেই! বিস্মিত জনতা ভিড় জমালেন তাঁকে ঘিরে। উড়ে এল কটূক্তিও। উঠে দাঁড়িয়ে ওই তরুণী বললেন, ''একবার ভেবে দেখুন, শৌচালয় না থাকলে মেয়েদের কতটা সমস্যা হয়! আপনারা রাস্তার ধারেই শৌচকর্ম করতে পারেন, কিন্তু সামাজিক বৈষম্যের বেড়াজালে আমাদের সে সুযোগও নেই।'' তাঁর কথায় এবার মিলল সমর্থন। একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে যুক্ত অঙ্কিতা সেনগুপ্ত নামের ওই তরুণী গত বছরখানেক ধরে গড়িয়াহাট, বালিগঞ্জ এলাকায় মহিলাদের জন্য পর্যাপ্ত শৌচালয় তৈরির দাবিতে লড়াই চালাচ্ছেন। ফুটপাথবাসী মহিলাদের সমস্যার গভীরতা বুঝতে একাধিক রাত তাঁদ‌ের সঙ্গে গড়িয়াহাট উড়ালপুলের নীচে কাটিয়েছেন। তিনি বলেন, ''এই সমস্যা যে কতটা গভীর, তা ভুক্তভোগী মাত্রেই জানেন। অধিকাংশ জায়গাতেই পর্যাপ্ত পরিমাণে 'সুলভ' নেই। যেগুলি রয়েছে, রাত একটু গড়ালেই বন্ধ হয়ে যায়। পুরুষেরা রাস্তা বা রেললাইনের ধারে শৌচকর্ম করে নিতে পারেন। কিন্তু মহিলাদের সে

চন্ডীগড়ে ধর্ষিতার মুখে অ্যাসিড জাতীয় তরল ছুড়ল দুষ্কৃতীরা

Image
চন্ডীগড়: জুভেনাইল কোর্টে যাওয়ার পথে ধর্ষিতার উপর ছোড়া হল অ্যাসিড জাতীয় তরল পদার্থ৷ ঘটনাটি ঘটে চন্ডীগড়ে৷ আহত অবস্থায় ওই মেয়েটিকে সঙ্গে সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে৷ যদিও আঘাত গুরুতর নয় বলেই জানিয়েছে চন্ডীগড় পুলিশ৷ ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে৷   পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার জুভেনাইল কোর্টে ওই মেয়েটির ধর্ষণ মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল৷ সেই মতো আদালতে যাচ্ছিল সে৷ পথে তার উপর হামলা হয়৷ ঘটনাটি ঘটে পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে৷ দুই দুষ্কৃতী তার মুখে তরল জাতীয় কিছু ছোড়ে৷ আক্রান্ত ওই কিশোরীর বয়ান রেকর্ড করেছে পুলিশ৷ ওই মেয়েটির বয়ান অনুযায়ী, দুই যুবক বাইকে ছিল৷ তাদের মুখ হেলমেটে ঢাকা ছিল৷ তার মুখে তরল জাতীয় কিছু জিনিস ছোড়ার পর চোখে মুখে জ্বালা অনুভব করতে থাকে সে৷ এর পর তাকে সেক্টর ১৬র কাছে মাল্টি স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ ডাক্তাররা জানিয়েছেন, ওই কিশোরীর চিকিৎসা চলছে৷ তার শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই৷ অপরদিকে পুলিশ জানিয়েছে, মেয়েটির মুখ ওড়না দিয়ে ঢাকা ছিল৷ সম্ভবত সেই কারণে বড় ক্ষতির হাত থেকে বেঁচে গিয়েছে সে৷ কী জাতীয় তরল পদার্থ তার মুখে ছোড়া হয়েছিল তা তদন্ত

ডেটিং অ্যাপের ফাঁদে ১২ লাখ খোয়ালেন মুম্বইয়ের ব্যাঙ্ককর্মী

Image
মাত্র একটা ক্লিক। মোবাইলের স্ক্রিনে ভেসে উঠল এক সুন্দরী মহিলার ছবি। পাশেই লেখা, 'আমার সঙ্গে ডেটিং করতে চান?' কী মনে হল, ক্লিকটা করেই ফেললেন। তার পর নিজের নাম, মোবাইল নম্বর, বয়স আর শহরের নামটাও লিখে দিলেন। সঙ্গে সঙ্গেই ফোন, 'হ্যালো তানিয়া বলছি। সারা দিন ধরে পাঁচ তারা হোটেলে সুবেশা তরুণীর সঙ্গে সময় কাটাতে চান? তা-ও একেবারে একান্তে।' এমন একটা ফোনই কাল হল মুম্বইয়ের এক ব্যাঙ্ককর্মীর। ডেটিং অ্যাপে ক্লিক করে খোয়া গেল ১২ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা! গত ২১ মে একটি অ্যাপের বিজ্ঞাপন চোখে পড়েছিল তাঁর। এর পর ক্লিক। ফোনে তানিয়া নামের মেয়েটি বলেছিল, একটি ডেটিং সংস্থা চালায় তারা। প্রথমে বেশ খানিকটা টাকা দিতে হয় বটে, তবে সুন্দরী মহিলাদের সঙ্গে ডেটের পর প্রায় পুরো টাকাটাই ফিরিয়ে দেওয়া হয়। তাই আর একটুও ভাবেননি মুম্বইয়ের ব্যক্তি। প্রথম দফায় সাড়ে তিন লক্ষ, তার পর আরও তিন দফায় সাত লক্ষ টাকা দিয়ে দেন তিনি। তবুও দেখা মেলেনি কোনও সুন্দরীর। তখন মিনি নামে এক মহিলা ফোন করে বলেন, আরও বেশ খানিকটা টাকা দেওয়ার কথা। কথা হয় কলকাতার শুভজিৎ মণ্ডল নামে এক ব্যক্তির সঙ্গেও। তখনই বুঝতে পারেন, প্রতারকদের ফ

ছিঃ! দুই ভাইয়ের লালসার শিকার তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী

Image
হায়দরাবাদ: বাইরে মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে হামেশাই প্রশ্ন উঠেছে, কিন্তু বাড়ির চার দেওয়ালের মধ্যে, নিজের পরিবার পরিজনদের মধ্যেও যে সে নিরাপদ নয়, একের পর এক ঘটনা যেন সেই কথাও কিন্তু প্রমাণ করছে৷ আট থেকে আশি পুরুষের লালসার শিকার মহিলারা৷ রেহাই পেল না নয় বছর বয়সী এক নাবালিকাও৷ হায়দরাবাদের বানজারা হিলসে এই নক্ক্যারজনক ঘটনা ঘটেছে৷ পুলিশ সূত্রে খবর, প্রায় এক সপ্তাহ আগে চকোলেটের লোভ দেখিয়ে নাবালিকাকে বাড়ির মধ্যে ডেকে এনে একের পর এক ধর্ষণ করে দুই ভাই শ্রীকান্ত(২২) এবং ইয়েলেশ(১৮)৷ ধর্ষণের পর ওই নাবালিকা যাতে মুখ না খোলে তার জন্য ভয়ও দেখায় তারা৷ তবে এই নির্যাতনের ঘটনা ঘটার সময় নাবালিকার চিৎকার প্রতিবেশীরা শুনতে পেয়ে তার বাবা-মা-কে জানায়৷ মেয়েটির অভিভাবকেরা পুলিশের দ্বারস্থ হয়৷ নির্যাতিতাকে চিকিৎসার জন্য ভরোসা সেন্টারে পাঠানো হয়৷ তৃতীয় শ্রেণির ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে, বানজারা হিলস্ ইনস্পেক্টর কে শ্রীনিবাস পকসো আইন, আইপিসি ৩৭৬ ধারায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। অন্যদিকে হায়দরাবাদে, সুপারমার্কেটের এক কর্মী জি যোগেশ তার সহকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার হয়৷ ১৯ বছর

আখচাষিদের জন্য ৮০০০ কোটি টাকার প্যাকেজ মোদী সরকারের

Image
নয়াদিল্লী: কৃষক বিদ্রোহে চৈতন্য হল মোদী সরকারের৷ শেষ পর্যন্ত আখচাষিদের জন্য ৮০০০ কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ খুব শীঘ্রই প্রধানমন্ত্রী এই প্যাকেজের ঘোষণা করবেন বলে সরকারি সূত্রে খবর৷ কিছুদিন আগেই লোকসভা উপনির্বাচনে কৈরানা কেন্দ্রে হেরেছে বিজেপি৷ কৈরানা লোকসভা কেন্দ্রটি পরছে উত্তরপ্রদেশের আখ উৎপাদন এলাকায়৷ সেখানে পরাজয় বিজেপির কাছে আগামী বছরের লোকসভা ভোটে অশনি সংকেত৷ সেটা বুঝেই আখচাষিদের ক্ষোভ মেটাতে সচেষ্ট মোদী সরকার৷   মোট ৮০০০ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করা হবে৷ তার মধ্যে থাকবে ৩০ লাখ মেট্রিক টন আখ স্টোর করে রাখার ব্যবস্থা, ইথানল উৎপাদন বাড়ানো, চিনির দাম বাড়ানো সহ একগুচ্ছ পরিকল্পনা৷ আখচাষিরা সুগার মিল থেকে নেওয়া টাকাও যাতে সহজে মেটাতে পারেন এই প্যাকেজে সেই ব্যবস্থাও থাকবে৷ এই ৮০০০ কোটি টাকার মধ্যে ১২০০ কোটি টাকা খরচা ধরা হয়েছে স্টোরে আখ রাখার খরচা, সুদ ও বিমা সংক্রান্ত বিষয়ে৷ এর ফলে সুগার মিলগুলি তাদের কিছুটা গুছিয়ে নিতে পারবে ও ফের চাষিদের তাদের অংশ দিতে পারবে৷ স্টোরে আখ রাখার জন্য টাকা সরাসরি চাষিদের অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করা হবে বলেই সংবাদ সূ

পথভোলা কিশোরীকে বাড়ি ফেরানোর অছিলায় বিহারে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ বন্ধুর

Image
পথভোলাী রিষড়ায় বাড়ি ফিরতে বন্ধুকে ফোন করে ডেকে পাঠিয়েছিল হাওড়া স্টেশনে। বিপদে যাকে সে ভরসা করেছিল, সেই বন্ধুই তাকে নিয়ে যায় বিহারের হাজিপুরে। তারপর এক আত্মীয়ের বাড়িতে রেখে দিনের পর দিন ধর্ষণ করে। মাস দু'য়েক বাদে ছেড়ে দেয় বিহারের পথে। হাজিপুর স্টেশনে পুলিশের সন্দেহ হওয়ায় ওই কিশোরীকে ধরে হোমে পাঠায়। এর পর হোম কর্তৃপক্ষ বাড়ির লোককে খবর পাঠালে উদ্ধার হয় কিশোরী। তার অভিযোগের ভিত্তিতে রিষড়া থেকে নবীন সিং নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে হাওড়া রেল পুলিশ। জানা গিয়েছে, ২১ মার্চ রিষড়া থেকে কলকাতায় আসার পর মায়ের সঙ্গে ওই কিশোরীর ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। এর পর কিশোরী হাওড়া স্টেশন থেকে বন্ধু নবীন সিংকে মোবাইলে ফোন করে বিষয়টি জানায়। নবীন তাকে স্টেশনে অপেক্ষা করতে বলে। তারপর বাড়ি ফেরানোর অছিলায় বিহারের হাজিপুরে জামাইবাবুর বাড়িতে নিয়ে যায়। দিনের পর দিন ধর্ষণ করে হাজিপুর স্টেশনে ছেড়ে দেয় ৩ মে। এর পর কিশোরীর ঠাঁই হয় হোমে। বাড়ি ফেরার পর বাড়ির লোকজন চন্দনগর কমিশনারেটে অভিযোগ দায়ের করে। হাওড়া রেল পুলিশে কেসটি স্থানান্তরিত করা হয়। এর পরই গ্রেপ্তার করা হয় নবীন সিংকে। সোমবার নব

৭ জুন থেকে লাগাতার বাস ধর্মঘটের ডাক

Image
কলকাতা: বাস-ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে ফের বাস ধর্মঘট৷ কলকাতা, দুই চব্বিশ পরগণায় এই বাস ধর্মঘটের জেরে ভোগান্তি হতে পারে বলে জানা গিয়েছে৷ জানা গিয়েছে, বাস মালিকদের সংগঠন জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস সিন্ডিকেট এই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে৷ অনির্দিষ্টকালের এই বাস ধর্মঘটে পথে নামবে না প্রায় সাড়ে সাত হাজার বাস৷   যদিও, বেঙ্গল বাস সিন্ডিকেটের দীপক সরকার জানিয়েছেন, তাদের কাছে এই ধর্মঘটের কোনও খবর নেই এখনও পর্যন্ত৷ স্কুল বাস সংগঠনের তরফ থেকেও জানানো হয়েছে ধর্মঘটে যাওয়ার কোনও খবর তাদের কাছে নেই৷

আজ হাইকোর্টে ডিএ মামলার শুনানি

Image
কলকাতা: দীর্ঘ কয়েক মাস বাদে ফের ডিএ মামলার শুনানি শুরু হল৷ মঙ্গলবার দুপুর দুটো থেকে শুনানি শুরু হবে৷ ৫ জুন থেকে ৭ জুন চলবে এই শুনানি৷ এই তিনদিনেই স্পষ্ট হয়ে যাবে রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা তাদের মহার্ঘ্য ভাতা আদৌ পাবে কিনা৷ যদি এই মামলার শুনানি চলাকালীন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত বলেছিলেন, সরকারি কর্মচারীদের ডিএ বাকি নেই৷ তবে পাল্টা মামলাকারীদের পক্ষ থেকে বার বার জানানো হয়েছিল, এখনও তাদের ডিএ বাকি রয়েছে৷ এই বিষয়ে তাদের আইনজীবী আদালতে দাবি করেছিলেন, সরকারি কর্মচারীদের ডিএ পাওয়ার অধিকার রয়েছে৷ এখনও রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ বাকি৷   এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেছিলেন, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ -র মধ্যে বিশাল ফারাক রয়েছে৷ রাজ্য সরকার সঠিক সময় ডিএ দেয়নি৷ ফলে ২০১৫ সাল থেকে জনস্বার্থ মামলায় শুনানি শুরু হলেও এখনও সেই মামলা চলছে৷ বর্তমানে এই মামলাটি বিচারপতি গিরিশ গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চে৷

দীর্ঘ ২২ বছরের টানাপোড়েনের পর ঘরে ফিরল মেয়ে, আনন্দে বাঁধ ভেঙছে চোখের জল

Image
বীরভূম:  কথায় আছে যতক্ষণ শ্বাস, ততক্ষণই আশ। দীর্ঘ প্রতীক্ষায় সেই আশাটাই হারিয়ে ফেলেছিলেন বিলানুর বিবি। ভাবেননি, ফিরে পাবেন হারানো মেয়েকে। অথচ ২২ বছর পর ঘরে ফিরেছে সে। আনন্দে বাঁধ ভাঙছে চোখের জল। গল্প মনে হলেও সত্যি। অন্তত তেমনটাই দাবি টগরী বিবির। ২২ বছর আগে পরিবারের সঙ্গে বীরভূমের মহম্মদবাজারে থাকতেন তিনি। রানিগঞ্জের বাসিন্দা শাহবুবের সঙ্গে টগরীর বিয়ে দেন তাঁর মা বিলানুর। তারপরের ঘটনা বড় এলোমেলো। বিয়ের কিছুদিন পরই নিখোঁজ হয়ে যান টগরী। বেপাত্তা হয়ে যান তাঁর স্বামীও। ২২ বছর পর ঘরে ফিরে টগরী জানালেন..মা বিয়ে দিয়েছিল। স্বামী ট্রেনে তুলে ছেড়ে চলে যায়। আমি অচেনা জায়গায় চলে যাই। ট্রেনে উত্তরপ্রদেশের এক অখ্যাত গ্রামে পৌঁছে গিয়েছিলেন টগরী। সেখানে তাঁকে আশ্রয় দেন নরিন্দর নামে এক যুবক। কিছুদিন পর নরিন্দরের সঙ্গে ফের ঘর বাঁধেন তিনি। দু'জনের একটি সন্তানও হয়। স্বামী, সন্তান নিয়ে মায়ের ঘরে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন টগরী। কিন্তু বিধি বাম। গাইসালের ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় স্বামী, সন্তানকে হারান টগরী। তারপর শ্বশুরবাড়ি ফিরে গেলেও ঠাঁই হয়নি। উল্টে স্বামীকে খুনের দায়ে হাজতবাস করতে হয়। জেল থেকে বেরোনোর পর এদ

সন্ধান রথের, মিলল শিরোস্ত্রাণ, খননে নতুন দিশা

Image
রথের চাকা...রথে বসার আসনের ভাঙা অংশ...বেশ কয়েকটা সমাধির গর্ত। সোমবার উত্তরপ্রদেশের সানাউলিতে এই কয়েকটি জিনিসের খোঁজ মেলার পরই রীতিমতো উত্তেজিত পুরাতাত্ত্বিকরা। দেশে প্রথম বার ব্রোঞ্জযুগের রথের নিদর্শন মিলেছে এ দিনের খননকার্যের সময়। লৌহযুগেরও আগে রথের বেশ কয়েকটি নিদর্শন হরপ্পা সভ্যতায় ঘোড়ার অস্তিত্বের প্রশ্নটা আরও এক বার উস্কে দিল। সভ্যতার প্রাচীন ইতিহাসে ভারত যে একেবারেই পিছিয়ে ছিল না, এ দিনের খননকার্যের পর নিদর্শন তারই প্রমাণ। শুধু রথের চাকাই নয়। খননে মিলেছে শিরোস্ত্রাণও। শক্তপোক্ত এই শিরোস্ত্রাণ ইঙ্গিত দিচ্ছে যোদ্ধাগোষ্ঠীর অস্তিত্বেরও। তা হলে কি নতুন করে মহাভারতের যুগের কোনও ইঙ্গিত মিলতে পারে? জানা যেতে পারে কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ আদৌ হয়েছিল কি না? হরপ্পায় ঘোড়ার প্রথম অস্তিত্বই বা কবে, এই প্রশ্নের উত্তর এ বার মিলতে পারে বলেই মনে করছেন পুরাতাত্ত্বিকেরা। ওই রাজ্যের রাখিগিরি, কালিবঙ্গান, লোথালে এর আগেও সমাধির গর্তের নিদর্শন মিলেছে। কিন্তু এ দিনের খননকার্যে পাওয়া রথের অস্তিত্ব একেবারেই প্রথম। অর্থাৎ, লৌহযুগেরও আগের সভ্যতায় ছিল রথের ব্যবহার। কিন্তু প্রশ্নটা হল, সেই রথ টানত কারা? ঘোড়

বাঁচতে গিয়ে ঘটিবাটি বিক্রি

Image
এ যেন শাঁখের করাত! সরকারি হাসপাতালে ঠাঁই নেই। আর বেসরকারি হাসপাতালে গেলে ঘটিবাটি বিক্রি হওয়ার ভয়। বিভিন্ন সরকারি মেডিক্যাল কলেজে খোঁজ নিলেই জানা যায়, সেখানে আইসিইউ, আইটিইউ এবং ভেন্টিলেশনে ঠাঁই পাওয়ার জন্য রোগীদের দীর্ঘ লাইন। আর সেই লাইনের বড় অংশই বেসরকারি হাসপাতাল থেকে ফেরত আসা রোগী। যাঁরা বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে করাতে কার্যত নিঃস্ব হয়ে যান। তার পরে কোনও মতে সরকারিতে একটা শয্যা জোটানোর জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করেন। মুখ ও গলার ক্যানসারে আক্রান্ত বছর ছত্রিশের পঙ্কজ রাউতকে অস্ত্রোপচারের জন্য মুম্বইয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। অস্ত্রোপচারের দিন মেলে তিন মাস পরে। কলকাতায় ফিরে আসেন পঙ্কজের পরিবার। সাদার্ন অ্যাভিনিউয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের পরে রেডিয়োথেরাপির জন্য পঙ্কজ চিত্তরঞ্জন ক্যানসার হাসপাতালে যান। তবে রেডিয়োথেরাপির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে পঙ্কজের গাল এবং গলার কিছুটা অংশ বিকৃত হয়ে যায়। পঙ্কজের স্ত্রী নীলমের আক্ষেপ, ''অস্ত্রোপচারের পরে সুস্থ হয়ে উঠছিল। কিন্তু রেডিয়োথেরাপির পরে ওঁর মুখটাই অনেকটা বদলে গেল।'' পঙ্কজের প্লাস্টিক সার্জারি করানোর সিদ্ধান্ত নেয় তা

প্লাস্টিকের বিকল্প জৈব প্লাস্টিক

Image
পরিবেশ দিবস আসে এবং চলেও যায়। প্লাস্টিক-দূষণের সুরাহা হয় কি? এই প্রশ্নের মধ্যেই আজ, মঙ্গলবার আবার হাজির বিশ্ব পরিবেশ দিবস। রাষ্ট্রপুঞ্জ এ বছর থিম হিসেবে প্লাস্টিক-দূষণকেই বেছে নিয়েছে। মূল অনুষ্ঠানের আয়োজক দেশ ভারত। ক্রমবর্ধমান প্লাস্টিক-দূষণের মধ্যেই মুশকিল আসানের খুব ক্ষীণ একটা আলো যেন আসি-আসি করছে! সেটা হল বায়োপ্লাস্টিক বা জৈব প্লাস্টিক। তাতে দূষণের কোনও আশঙ্কা নেই। অর্থাৎ শত্রু প্লাস্টিকের বদলে মিত্র জৈব প্লাস্টিক। তবে তাতে খরচ বেশি। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের ছবিটা কী? রাজ্যের দোকানে দোকানে পাতলা প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগের ছড়াছ়়ড়ি। অথচ সেগুলির কোনওটিই বৈধ কারখানায় তৈরি হয় না! সোমবার জাতীয় ক্ষুদ্র শিল্প নিগম এবং বণিকসভা বেঙ্গল ন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের যৌথ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের শেষে এ কথাই জানালেন রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের চেয়ারম্যান কল্যাণ রুদ্র। তিনি বলেন, ''এমন কোনও কারখানাকে আমরা ছাড়পত্র দিইনি। বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ ভাবে এবং লুকিয়েই এই ধরনের ব্যাগ তৈরি হচ্ছে।'' পরিবেশকর্মীরা বলছেন, ৫০ মাইক্রনের থেকে পাতলা প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ তো চোরাবাজারে

বন্ধুত্ব যেন মিলিয়ে দিল দিল্লি, বর্ধমানকে।

Image
সম্পর্ক মেনে নিতে না পেরে সম্প্রতি দিল্লির তরুণ অঙ্কিত সাক্সেনাকে খুনের অভিযোগ উঠেছিল তাঁর মুসলিম প্রেমিকার পরিবারের বিরুদ্ধে। তাতে জড়িয়ে গিয়েছিল রাজনীতি, ধর্ম। কিন্তু, রুখে দাঁড়িয়েছিলেন অঙ্কিতের বাবা। গত ৩ জুন ইফতার পার্টি আয়োজন করেছিলেন বাড়িতে। অঙ্কিতের শ্রাদ্ধ করেন তাঁর বন্ধু আজহার। এখনও সন্তানহারা দম্পতির সুখে-দুঃখে মুসলিম পড়শিরাই পাশে রয়েছেন। সোমবার বর্ধমান শহরে যেন উঠে এল দিল্লির সেই সম্প্রীতির ছবি। বন্ধু মিলন দাসের শ্রাদ্ধানুষ্ঠান করলেন রিকশা চালক রবি শেখ। রবি বলেন, ''আমরা খুব ভাল বন্ধু ছিলাম। ১০ বছরে এমন কোনও দিন নেই যে চায়ের দোকানে দেখা হয়নি। সেখানে ওর পরিবার নেই বলে শ্রাদ্ধ হবে না! তাই আমিই ১০ দিন ধরে সব রকম আচার মেনে শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের আয়োজন করেছি।'' স্থানীয় বাসিন্দারা চাঁদা তুলে প্রায় ২০০ জন ভবঘুরে ও ভিখারিদের খাওয়ানোর ব্যবস্থাও করেন এ দিন। বর্ধমান শহরের বাবুরবাগ নার্স কোয়ার্টারের বাসিন্দা রবি শেখ। মিলন ৩০ বছর আগে ওই এলাকায় আসেন। কোথায় তাঁর বাড়ি, নিজের কেউ আছেন কি না, তার হদিস পাননি কেউই। ওই এলাকায় চায়ের দোকান, রোল-মোগলাইয়ের দোকানে আস্তানা ছিল তাঁর। তাঁদে

‘গাড়িই ওকে শেষ করে দিল’

Image
রাসবিহারী অ্যাভিনিউয়ে এম এল রায় হাউসের চারতলায় দেওয়াল জুড়ে লাগানো বা়ড়ির বড় ছেলে শিবাজী রায়ের ছবি। বিদেশি গাড়ির সামনে রোদ-চশমা পরে দাঁড়ানো কালো ফ্রেমে বাঁধানো শিবাজীর সেই ছবির নীচে লেখা, 'লিভ ফর ড্রাইভিং, অন দ্য ওয়ে টু জার্মানি!' রবিবার সন্ধ্যায় স্বামীর মৃত্যুর খবর বাড়িতে আসতেই দেওয়াল থেকে ছবিটা নামিয়ে ফেলার নির্দেশ দেন শিবাজীর স্ত্রী নমিতা। আপাতত সেই ছবি ভাঁড়ার ঘরে প্যাকিং বাক্সে বন্দি। মঙ্গলবার সেই ছবির প্রসঙ্গ উঠতেই স্বামীর মৃতদেহ আঁক়ড়ে নমিতা বলেন, ''গাড়িই ওকে শেষ করে দিল! একটাও গাড়ি আর যেন না থাকে। সব বিক্রি করে দিক। কোনও গাড়ির ছবিও চাই না।'' পাশে বসা শিবাজীর মা বলেন, ''আমার ছেলে তো কখনও খারাপ ভাবে গাড়ি চালায় না। কেন এ রকম হল? ছবি সরিয়ে আর কী হবে? ছেলেটা ফিরবে কি!'' রবিবার সকালে বন্ধুদের সঙ্গে ছেলে শ্রেয়াংশকে নিয়ে 'লং ড্রাইভে' বেরিয়ে ডোমজুড়ের পাকুড়িয়া সেতুর কাছে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে শিবাজীর। যদিও বরাত জোরে বেঁচে গিয়েছেন শ্রেয়াংশ। দুর্ঘটনার আগে তিনি নিজেদের গাড়ি থেকে নেমে বাবার বন্ধু আদর্শ সুরানার গাড়িতে ওঠেন। তার

বেতন কমিশনকে প্রস্তুতির নির্দেশ দিল নবান্ন

Image
বেতন কমিশনকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিল নবান্ন। সূত্রের দাবি, রাজ্য সরকারের তরফে বেতন কমিশনকে জানানো হয়েছে, নির্দেশ দিলেই যেন সুপারিশ জমা দেওয়া হয়। কমিশনের মেয়াদ শেষ হতে চলেছে আগামী ২০১৮ সালের ২৫ নভেম্বর। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি কর্মচারীদের বকেয়া মেটানোর বিষয়ে একটা ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। অর্থ দফতর সূত্রের খবর, তার পর থেকেই দুই কিস্তিতে ২৫ শতাংশ মহার্ঘভাতা দেওয়ার ব্যাপারে ভাবনাচিন্তা চলছে। প্রশাসনিক সূত্রের ব্যাখ্যায়, রীতি অনুযায়ী মহার্ঘভাতা ১২৫ শতাংশ হলেই বেতন কমিশন কার্যকর করা হয়। বর্তমানে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘভাতার পরিমাণ ১০০ শতাংশ। বকেয়া ২৫ শতাংশ দেওয়ার জল্পনা সত্যি হলে বেতন কমিশনের সুপারিশ কার্যকর করতে বাধা থাকবে না বলে মনে করা হচ্ছে। বাস্তবে ২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে বেতন কমিশনের বর্ধিত বেতন চালু হওয়ার কথা ছিল। তা তখন হয়নি। কর্মচারী সংগঠনগুলির দাবি, শুধু মূল বেতনের উপর হিসাব হলে (অন্তর্বর্তী বেতনবৃদ্ধি বাদ দিয়ে) এই তিন বছরে একজন গ্রুপ-ডি কর্মচারীর বকেয়ার পরিমাণ ৯১ হাজার টাকার কিছু বেশি। একজন লোয়ার ডিভিশন ক্লার্কের ক্ষেত্রে এই পরিমাণ ১ লক্ষ ২১ হাজার টাকার বে

‘বন্ধু তো আর নেই, মেয়েটা অন্তত ফিরুক’

Image
মেয়েকে কথা দেওয়া ছিল, পরীক্ষায় ভাল ফল করলে তার দু'টো ইচ্ছে পূরণ করা হবে। মেয়ে জানিয়েছিল, ভাল ফল করলে তাকে পমেরিয়ান কুকুর কিনে দিতে হবে। আর বাবার সঙ্গে 'লং ড্রাইভ'-এ নিয়ে যেতে হবে। সদ্য সিবিএসই-তে ৯৬ শতাংশ নম্বর নিয়ে পাশ করা আসনা সুরানার দু'টো ইচ্ছেই পূরণ করেছিলেন তার বাবা, নির্মাণ ব্যবসায়ী আদর্শ সুরানা। বারো দিন আগে মেয়ের জন্য তিনি কিনে এনেছিলেন সাদা বাচ্চা পমেরিয়ান। আসনা তার নাম দিয়েছে হেজ়েল। আর মেয়েকে নিয়েই রবিবার গিয়েছিলেন 'লং ড্রাইভে'। বাবা ফিরলেও, ফেরেনি মেয়ে। পথ দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম সেই মেয়ে এখন একবালপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আদর্শ বললেন, ''ওর সব ইচ্ছেই তো রাখা হল। ও যেন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে আসে!'' সেই সঙ্গে এখন তাঁর মনে হচ্ছে, ''ও জেদ করছিল ঠিকই, তবে শিবাজীর গাড়িতে ওকে বসতে না দিলেই ভাল হত।'' রবিবার সকালে ডোমজুড়ের পাকুড়িয়া সেতুর কাছে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ব্যবসায়ী শিবাজী রায়ের। তিনি আদর্শের বন্ধু ছিলেন। তাঁর ফেরারি গাড়িতেই ছিল আসনা। দুর্ঘটনার কয়েক মিনিট আগে শিবাজীর গাড়ি থেকে নেমে অন্য গাড়িতে যায় শিবাজী