পরীক্ষা দিতে বাধা, হতাশায় আত্মহত্যা UPSC পরীক্ষার্থীর


স্বপ্ন ছিল সিভিল সার্ভিসের পরীক্ষায় পাশ করে সরকারি চাকরি করবেন। কিন্তু সেই স্বপ্ন অধরাই থেকে গেল। পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে কর্নাটকের এক ছোট্ট গ্রামের বাসিন্দা বরুণ চন্দ্রনকে বেছে নিতে হল আত্মহননের পথ। সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার জন্যে নিজেকে তৈরি করতে পাঁচ বছর আগে দিল্লিতে এসেছিলেন বরুণ। কিছুদিন আগেই পয়সা বাঁচাতে এবং কোচিং ইনস্টিটিউটের কাছাকাছি থাকার জন্যে তিনি উঠে আসেন রাজেন্দ্র নগরে। লক্ষ্য একটাই। যেভাবেই হোক পঞ্চম বারে পাশ করতেই হবে। কিন্তু সামান্য বিভ্রান্তির জন্যে তাঁর পরীক্ষাই দেওয়া হল না। সেই ধাক্কা সামলাতে না পেরে বরুণ বেছে নিলেন আত্মহত্যার পথ। 

জায়গা ভালো করে না চেনার কারণে প্রথমে ভুল সেন্টারে পৌঁছে যান বরুণ। পাহাড়গঞ্জের সেই সেন্টার থেকে তাঁকে বলা হয় কাছেই অন্য আর একটি সেন্টারে তাঁর সিট পড়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের (৯.২০) মাত্র চার মিনিট পর সঠিক পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছালে তাঁকে জানিয়ে দেওয়া হয়, দেরি হওয়ার কারণে তাঁকে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হবে না। হাজার কাকুতি মিনতিতেও কোনও লাভ হয় না। 

ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স-এর কুমতা রিসার্চ স্টেশনের এক বৈজ্ঞানিক ছেলে বরুণ এই ঘটনা মেনে নিতে পারেননি। তিনি ফিরে যান ওল্ড রাজেন্দ্র নগরে তাঁর ফ্ল্যাটে। সুইসাইড নোটে চন্দ্রনের আর্জি, তাঁর পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবরা যেন দ্রুত তাঁকে ভুলে যান। একমাত্র তাহলেই তাঁর আত্মা শান্তি পাবে। বরুণের বন্ধুরা জানিয়েছেন, সুযোগ শেষ হয়ে আসার আশঙ্কায় চাপে ছিলেন চন্দ্রন। 
 ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার। পুলিশ জানিয়েছে বিকেল ৫.৫৫ নাগাদ আত্মহত্যা করেন বরুণ। ময়নাতদন্তের পর তাঁর মরদেহ তুলে দেওয়া হয় দিদি ও জামাইবাবুর হাতে। বরুণের গ্রামেই শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।