Posts

Showing posts from July 15, 2018

সুইস ব্যাঙ্কে কয়েকশো কোটির ভারতীয় অ্যাকাউন্ট, নেই কোনও দাবিদার

Image
তিন বছর ধরে কয়েকশো কোটি টাকা পড়ে আছে ব্যাঙ্কে, অথচ কেউ দাবি করছেন না! ব্যাঙ্ক উপযুক্ত দাবিদারদের টাকা ফেরাতে চাইছে, তা সত্ত্বেও কেউ এগিয়ে আসছেন না! সম্প্রতি এমনই অনেক দাবিদারহীন ভারতীয় অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলল সুইস ব্যাঙ্কে। সুইস ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, সেই ২০১৫ সাল থেকেই এই সমস্ত অ্যাকাউন্টগুলো এ ভাবেই পড়ে রয়েছে। ব্যাঙ্কের পরিভাষায় ডরম্যান্ট অ্যাকাউন্ট। কোনও লেনদেন, না কোনও দাবিদার। এমন ৩৫০০টি অ্যাকাউন্ট রয়েছে। যার মধ্যে আবার ৬টি ভারতীয়! ২০১৫ সালে প্রথম লেনদেন বন্ধ অ্যাকাউন্টের তালিকা প্রকাশ করে সুইস ব্যাঙ্ক। সেই থেকে এখনও পর্যন্ত সব মিলিয়ে মোট ৩,৫০০টি অ্যাকাউন্ট চিহ্নিত করেছেন ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। উপযুক্ত নথি এবং প্রমাণ দিয়ে সেই অ্যাকাউন্টের দাবি করতে পারেন যে কেউ। দাবিদারকে উপযুক্ত মনে করলে সেই তালিকা থেকে ওই অ্যাকাউন্ট মুছে ফেলা হবে। ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, ২০১৭ সালে উপযুক্ত দাবিদার মেলায় এই তালিকা থেকে এমন ৪০টি অ্যাকাউন্ট এবং দুটো সেফ ডিপোজিট বক্স মুছে ফেলা হয়। কিন্তু যে ছ'টি অ্যাকাউন্ট ভারতীয় বলে তালিকা প্রকাশ করেছে সুইস ব্যাঙ্ক, এখনও পর্যন্ত সেই অ্যাকাউন্টগুলিকে কেউই নিজের বলে

বাড়িতে তৈরি খাবার নিয়ে যেতে পারবেন মাল্টিপ্লেক্সে

Image
পপকর্নের দাম বেশি কেন?  এই অভিযোগে মাল্টিপ্লেক্সের ম্যানেজারকে উত্তমমধ্যম দিয়ে শিক্ষা দিয়েছিল মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনার কর্মীরা। বম্বে হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে রমরমিয়ে চলছিল মাল্টিপ্লেক্সে পপকর্নের ব্যবসা। অভিযোগ ছিল, ৫ টাকার পপকর্ন বিকোচ্ছিল ২৫০ টাকায়। সেই ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল গোটা রাজ্যে। এবার সিনেপ্রেমীদের স্বস্তি দিতে নয়া পদক্ষেপ নিল মহারাষ্ট্র সরকার। এবার থেকে বাড়িতে বানানো খাবার হলে-মাল্টিপ্লেক্সে নিয়ে ঢুকতে পারবেন দর্শকরা। যা আগে নিষিদ্ধ ছিল। জানা গিয়েছে, ১ আগস্ট থেকে নয়া সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে চলেছে ফড়ণবিস সরকার। এর অন্যথা হলে সিনেমা হল ও মাল্টিপ্লেক্স কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাজ্যের খাদ্য সরবরাহ মন্ত্রী রবীন্দ্র চহ্বন। একইসঙ্গে মাল্টিপ্লেক্সগুলিকে প্রেক্ষাগৃহে বিক্রিত খাবারের দাম কমানোর আরজি জানিয়েছে সরকার। সরকারের এই সিদ্ধান্তে যারপরনাই রাজ্যবাসী খুশি। এবং এর সিংহভাগ কৃতিত্ব তাঁরা দিচ্ছেন মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা ও দলের প্রধান রাজ ঠাকরেকে। মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনার তরফে জানানো হয়েছে, গত মাসে তাদের কয়েকজন নেতা-কর্মী পুণে শহরের

ফের হোয়াটসঅ্যাপে গুজব, কর্নাটকে পিটিয়ে খুন গুগল ইঞ্জিনিয়ারকে

Image
কালভার্টে পড়ে আছে গাড়িটা। ফের ছেলেধরা গুজব। ফের হোয়াটসঅ্যাপ এবং গণপিটুনিতে মৃত্যু! এই তালিকায় এ বার কর্নাটকের বিদার। সেখানে হোয়াটসঅ্যাপে ছেলেধরা গুজব ছড়ানোয় গণপিটুনির বলি হলেন গুগলের এক সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন এক জন এবং গুরুতর আহত আরও তিন জনের চিকিৎসা চলছে। শনিবারের ঘটনা। বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে বেড়িয়ে রাস্তার ধারে গাড়ি দাঁড় করিয়ে কয়েকজন শিশুকে চকোলেট বিলি করছিলেন এক বিদেশি। কাতারের নাগরিক মহম্মদ সালাম নামে ওই বিদেশি আরও চার বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে বেরিয়েছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, একটি গাড়িতে কাতারের মহম্মদ সালাম, হায়দরাবাদের বাসিন্দা মহম্মদ আজম-সহ পাঁচ বন্ধু লং ড্রাইভে গিয়েছিলেন। এঁদের মধ্যে মহম্মদ আজমই হলেন গণহিংসার বলি ওই সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। তিনি গুগলে কাজ করতেন। কর্নাটকের বিদারে পৌঁছনোর পর তাঁরা রাস্তার পাশে গাড়িটা দাঁড় করান। তারপর ছোট ছেলেমেয়েদের চকোলেট বিলি করতে শুরু করেন। ওই এলাকায় আগে থেকেই ছেলেধরা গুজবের একটা চাপা জনরোষ ছিলই। তার উপর বহিরাগতকে এ ভাবে চকোলেট বিলি করতে দেখে অনেকেই ঘাবড়ে যান। হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপেও অনেকেই এই বার্তা পৌঁছে দেন। কিছু ক

"জোট সরকারের যন্ত্রণা বিষের মতো পান করছি", কেঁদে ফেললেন কুমারস্বামী

Image
বেঙ্গালুরু : জোট সরকার নিয়ে বলতে গিয়ে কেঁদে ফেললেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী। তিনি বলেন, "আপনারা আমায় অভিনন্দন জানাবেন বলে ফুল নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। আপনাদের ভাই মুখ্যমন্ত্রী হয়েছে বলে আপনারা সকলেই খুশি। কিন্তু আমি খুশি নই। আমি জোট সরকারের যন্ত্রণাটা জানি। আমি এই জোট সরকারের যন্ত্রণা বিষের মতো পান করছি।" কুমারস্বামীকে সংবর্ধনা জানাতে গতকাল একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে JD(S)। মুখ্যমন্ত্রীকে মালা ও পুষ্পস্তবক দিয়ে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এরপর বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, "আপনাদের ভাই মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন ভেবে আপনারা খুশি হয়েছেন। কিন্তু তা নয়। আমি জোট সরকারের যন্ত্রণা ভোগ করছি। যেটা বিষের থেকে কিছু কম নয়। এই পরিস্থিতিতে আমি একটুও ভালো নেই।" এরপরই কেঁদে ফেলেন কুমারস্বামী।  কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে কর্নাটকে সরকার গঠন করেছে কুমারস্বামীর দল। কংগ্রেস পেয়েছে ৮০টি আসন। JD(S) ৩৭টি ও তাদের জোট সঙ্গী BSP একটি আসন পেয়েছে। JD(S)-র চেয়ে বেশি আসন পেয়েও BJP-কে ঠেকাতে মুখ্যমন্ত্রীর পদ কুমারস্বামীকে ছেড়েছে সরকার। এদিকে, সরকার গড়ার পর থেকে কেউ কেউ অভিযোগ করে, মুখ্যমন্ত্রীকে রাস্তা

শহরে বড়সড় ব্যাংক জালিয়াতি চক্রের পর্দাফাঁস, বর্ধমান ও ঝাড়খণ্ড থেকে গ্রেপ্তার ৪

Image
শহরে বড়সড় ব্যাংক জালিয়াতি চক্রের হদিশ৷ তিন থেকে চার লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ৷ ঝাড়খণ্ড ও বর্ধমান থেকে চারজনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ৷ এদিকে মধ্যমগ্রামে ডেবিট কার্ডে প্রতারণার শিকার এক ব্যবসায়ী৷ ৫ দফায় অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও ৪৭ হাজার টাকা৷ বারাসাত থানায় অভিযোগ দায়ের৷ চাকরি জীবন থেকে অবসর নিয়েছেন৷ জীবনের শেষ সঞ্চয় জমা রেখেছেন ব্যাংকে৷ গচ্ছিত টাকার সুদেই চলে সংসার, কেউ আবার পেনশনভোগী৷ কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, বেছে বেছে এমন লোকদের নিশানা করত ব্যাংক জালিয়াতরা৷ কীভাবে চলত এই প্রতারণার চক্র? তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, গ্রাহকদের ব্যাংক ম্যানেজার পরিচয় দিয়ে ফোন করত প্রতারকরা৷ সকলেই ইংরেজিতে কথা বলায় রীতিমতো ওস্তাদ৷ ফলে গ্রাহকদের কোনও সন্দেহ হত না৷ প্রতারকদের ডেবিট কার্ডের নম্বর-সহ বিভিন্ন গোপন তথ্য জানিয়ে দিতেন তাঁরা৷ আর সেই তথ্য ব্যবহার করে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে নিত অভিযুক্তরা৷ কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দাদের দাবি, এভাবেই গ্রাহকদের অ্যাকাউন্ট খেকে উধাও হয়ে গিয়েছে তিন থেকে চার লক্ষ টাকা৷ দিন কয়েক আগে হেয়ার স্ট্রিট থানায় প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন এক ব্যক্তি৷ তদন্তে নামে কলকাতা পুলিশে

বুরারির ধাঁচে গণ আত্মহত্যা ঝাড়খণ্ডে, একই বাড়ি থেকে মিলল ৬টি ঝুলন্ত দেহ

Image
বুরারির ছায়া এবার ঝাড়খণ্ডেও। একই বাড়িতে একই পরিবারের ৬ জনের মৃত্যুকে ঘিরে দানা বেঁধেছে রহস্য। মৃতদের মধ্যে রয়েছে দু'জন মহিলা ও দুই শিশু। বাড়ি থেকে একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার করেছে পুলিশ। সেখানে লেখা রয়েছে দেনায় দায়ে আত্মহত্যা করেছে গোটা পরিবার। ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগে। পরিবারের পাঁচ জন গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। ষষ্ঠ জন আত্মহত্যা করেছেন বাড়ির ছাদ থেকে লাফ দিয়ে। পুলিশ সূত্রে এও জানা গিয়েছে ওই পাঁচ জনের নাম মবাহীর মাহেশ্বরী (৭০), কিরণ মাহেশ্বরী (৬৫), নরেশ আগরওয়াল (৪০), প্রীতি আগরওয়াল (৩৮), আমন (৮) ও অঞ্জলি (৬)। এই পরিবারের একটি ফলের দোকান ছিল। সম্প্রতি পানিপথের একটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে একই পরিবারের তিনজনের দেহ। পানিপথের অভিজাত এলাকার ওই ফ্ল্যাটে গত একবছর ধরে থাকছিলেন ব্যবসায়ী রীতেশ গর্গ ও তাঁর পরিবার। স্ত্রী রেখা ও দুই সন্তান বংশ (১৫) ও পুষ্টি (১০)। শুক্রবার সকাল থেকে তাঁদের সাড়াশব্দ না পেয়ে বাড়িওয়ালা খোঁজ নিতে গিয়েই জানালা দিয়ে দেখতে পান রীতেশের ঝুলন্ত দেহ। পরে ঘরে ঢুকে দেখা যায় মাটিতে অচেতন অবস্থায় পড়ে রয়েছেন রীতেশের স্ত্রী রেখা। দুই সন্তান বংশ ও পুষ্টি

মাত্র ৩৯ টাকায় আনলিমিটেড কলিং দেবে BSNL

Image
টেলিকম যুদ্ধে এয়ারটেল, জিও ভোডাফোন ও আইডিয়াকে এক চুল জায়গা ছাড়তে নারাজ রাষ্ট্রায়াত্ত্ব টেলিকম সংস্থা ভারত সঞ্চার নিগম লিমিটেড (BSNL)। দম্প্রতি কোম্পানির প্রায় সব প্রিপেড প্ল্যান ঢেলে সাজিয়েছে BSNL। এবার মাত্র ৩৯ টাকায় আনলিমিটেড কলিং এর সাথে একাধিক অন্য সুবিধা নিয়ে এলো BSNL। BSNL এর ৩৯ টাকার প্রপেড প্ল্যানে গ্রাহকরা দেশের যে কোন মোবাইল নম্বরে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ফোন করতে পারবেন। দিল্লি ও মুম্বাই সহ দেশের সব সার্কেলে এই প্ল্যান চালু করেছে ভারত সঞ্চার নিগম লিমিটেড। ৩৯ টাকার এই প্ল্যানে আনলিমিটেড কলিং এর সাথেই BSNL গ্রাহকরা ১০০ টি SMS আর কলার টিউন সার্ভিস বিনামূল্যে পেয়ে যাবেন। ৩৯ টাকার এই প্ল্যানের ভ্যালিডিটি ১০ দিন। যদিও এই প্ল্যানের সাথে কোন ডাটা সুবিধা দেবে না BSNL। ডাটা ব্যবহার করতে চাইলে ৩৯ টাকার প্ল্যানের সাথে আলাদা ডাটা প্ল্যান রিচার্জ করতে হবে। এই বছরের শুরুতে এই রকম দুইটি ভয়েস প্ল্যান লঞ্চ করেছিল ভারত সঞ্চার নিগম লিমিটেড। BSNL –এর ৯৯ টাকার প্ল্যানে গ্রাহকরা আনলিমিটেড কলিং এর সাথেই ১০০ টি SMS বিনামূল্যে পেয়ে যাবেন। BSNL এর ৯৯ টাকার এই প্ল্যান ২৬ দিন ভ্যালিড থাকবে। এছাড়াও কলিং এর জ

দিল্লির মিউজিয়ামে কোটিপতি চোর! ধরিয়ে দিল সিসিটিভি

Image
চুরির অভিযোগে পুলিশেক জালে ধনকুবের উদয় রাত্রা। সপ্তাহ তিনেক আগে মিউজিয়াম থেকে গায়েব হয়ে গিয়েছিল অত্যন্ত দামি পাথরের একটি রেপ্লিকা।তন্ন তন্ন করে খুঁজেও তার হদিশ মেলেনি। শেষমেশ পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষ। পুলিশ এসে চোর খুঁজতে গিয়ে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তো অবাক! কোনও ছিঁচকে চোর নয়। এমন কীর্তি করেছেন গুরুগ্রামের এক ধনকুবের। শুক্রবার গুরুগ্রামের বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ। নয়াদিল্লি ন্যাশনাল মিউজিয়ামে ১৫ লক্ষ বছরের পুরনো 'ওল্ডুভাই হ্যান্ডঅ্যাক্স' নামের দামি পাথরের ওই প্রতিরূপটি রাখা ছিল। গত ২৪ জুন থেকেই তার খোঁজ মিলছিল না। প্রথম দিকে মিউজিয়ামেরকর্মীরাই খোঁজ শুরু করে। কিন্তু, তাদের সব চেষ্টাই বিফলে যায়। অবশেষে গত কাল পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন মিউজিয়ামের শীর্ষকর্তারা। নয়াদিল্লির ডিসিপি মধুর বর্মা জানিয়েছেন, তদন্ত নেমে মিউজিয়ামের ভিতরের সবক'টি সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখতে শুরু করেন তাঁরা। যেখানে ওই পাথরটি রাখা ছিল সেখানকার সিসিটিভি-তেই ধরা পড়ে 'চোরে'র কীর্তি। এর পর সেই 'চোরে'র খোঁজে নেমে পড়ে পুলিশ। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তাঁর না

মৃত মানুষের জন্য বরাদ্দ ৫০ কোটি ।

Image
এ রাজ্যে প্রতি বছর যত লোক মারা যান, রেশন কার্ড বাতিলের সংখ্যা তার থেকে অনেক কম। এমন তথ্য হাতে আসার পরেই 'অন্য রকম গন্ধ' পেয়েছিলেন খাদ্য দফতরের কর্তারা। খোঁজ নিতে গিয়ে দেখা গেল, লক্ষ-লক্ষ মৃত ব্যক্তির নামে প্রতি সপ্তাহে খাদ্যসাথী প্রকল্পের কেজি-কেজি চাল-আটা তুলে নেওয়া হচ্ছে। যার খরচ বছরে প্রায় ৫০ কোটি টাকা। এই অবস্থায় দফতরের এক শীর্ষ কর্তা সমস্ত জেলা প্রশাসন, পুরনিগমকে চিঠি পাঠিয়ে বলেছেন, এ বার ডেথ রেজিস্টার দেখে খাদ্যসাথী প্রকল্পের গ্রাহকদের মধ্যে যাঁরা মৃত তাঁদের নাম বাদ দিতে হবে। সেই চিঠির সঙ্গে দফতরের প্রধান সচিব মনোজ অগ্রবালের নির্দেশিকাও জুড়ে দেওয়া হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, রেশন কার্ডের তালিকা থেকে মৃতের নাম বাদ পড়ার যে সংখ্যা, তা রাজ্যের স্বাভাবিক মৃত্যুর হারের সঙ্গে মিলছে না। অর্থাৎ স্বাভাবিক মৃত্যুর হারের থেকে অনেক কম সংখ্যক মৃত ব্যক্তির নাম বাতিল হচ্ছে। ফলে বেহাত হয়ে যাচ্ছে কোটি-কোটি টাকার খাদ্য সামগ্রী। এ প্রসঙ্গে খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, ''এক শ্রেণির রেশন ডিলার মৃতের নামে থাকা কার্ড রেখে দিয়ে রেশনের বরাদ্দ তুলে যাচ্ছেন। এই চক্র বন্ধ করতেই দফতর এ

বিয়ের পর সেক্স ছাড়া এগুলি নিয়ে বেশি চিন্তা করে মেয়েরা

Image
বিয়ে মস্ত বড় একটা দায়িত্ব। নতুন মানুষ, নতুন পরিবেশ, সব কিছুই একেবারে নতুন। বাড়ির চেনা জানা গণ্ডি থেকে বেরিয়ে একটা অচেনা পরিবেশে নিজের জায়গা করে নেওয়া নিঃসন্দেহে একটা চ্যালেঞ্জের বিষয়। বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িতে নিজেকে গুছিয়ে নিতে মেয়েদের একটা বছর সময় লেগেই যায়। তবে বিয়ে মানে যে শুধুই সেক্স। তা কিন্তু নয়। সেক্সের থেকেও অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে। সেগুলি হল.... শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বোঝা শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের মন পাওয়া খুবই কঠিন। তবে এই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে অনেকেই ছেলের বউকে আপন করে নেন। আবার অনেকে ছেলে ও বউমার জীবনে একটু বেশি নাক গলিয়ে ফেলেন। যা সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এই বিষয়গুলির সঙ্গে মেয়েদের মাথা ঠান্ডা করে ডিল করতে হয়। অনেকেই পরিস্থিতির সামাল দিতে না পেরে স্বামীকে নিয়ে অন্যত্র চলে যান। কিন্তু, সেটা কোনও সমাধান নয়। তবে হ্যাঁ পরিস্থিতি যদি খুব খারাপ হয়ে যায় তাহলে অবশ্যই চলে যান। কারণ ইচ্ছে মতো বাঁচার অধিকার আপনারও রয়েছে। তবে যতক্ষণ পারবেন লড়ুন। খাওয়া একটা বড় সমস্যা খাওয়া খুব বড় একটা সমস্যা। অনেকেই অনেক খাবার খান না। কিন্তু, বাপেরবাড়িতে থাকাকালীন তা নিয়ে কোনও সমস্যা হয়নি। এদিকে

চাকরি দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা, পুলিশের জালে হুগলির স্কুল শিক্ষক

Image
হুগলি: চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার এক প্রাথমিক শিক্ষক। প্রতারিত ব্যক্তি হেয়ার স্ট্রিট থানায় ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায় নামে ওই শিক্ষককে হুগলির উত্তরপাড়ার মাখলা মানিকতলা এলাকার ফ্ল্যাট থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ অভিযুক্ত সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিম মেদিনীপুরের এক স্কুলে শিক্ষকতা করত৷ সন্দীপের স্ত্রীও একজন স্কুল শিক্ষিকা৷ কলকাতার এক যুবকের সঙ্গে আলাপ হয় সন্দীপের৷ চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় সন্দীপ৷ অভিযোগ, চাকরি দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণাও করে সে৷ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পর থেকেই কলকাতার ওই যুবকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা বন্ধ করে দেয় সে৷ বেশ কয়েকদিন পর পুলিশের দ্বারস্থ হন প্রতারিত৷ হেয়ার স্ট্রিট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি৷ অভিযোগের ভিত্তিতে সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ৷  উত্তরপাড়ার মাখলা মানিকতলার একটি বহুতলে বসবাস করত সন্দীপ৷ তার ফ্ল্যাটেও হানা দেয় পুলিশ৷ সেখান থেকেই হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্তকে৷ ধৃতের বাড়ি থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ

মন্দিরের মধ্যে ধর্ষিতাকে পুড়িয়ে মারল দুষ্কৃতীরা

Image
লখনউ : ফিরে এল আসিফা স্মৃতি৷ এবার নৃশংসতার নজির গড়ল উত্তরপ্রদেশ৷ দুই সন্তানের মাকে নির্মমভাবে ধর্ষণ করে মন্দিরের ভিতর পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠল রাজ্যের সম্বলে৷ ৫ অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি এই ঘটনার পিছনে রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর৷ সূত্র অনুযায়ী, ধর্ষণের পরে প্রাণ বাঁচাতে ওই মহিলা উত্তরপ্রদেশ পুলিশের সাহায্য চেয়েছিলেন৷ ১০০ ডায়াল করে সাহায্যের প্রার্থনা করতে চেয়েছিলেন তিনি৷ কিন্তু তাঁর সেই ফোন কেউ ধরেনি বলে অভিযোগ৷ ধর্ষণে বাধা দিতে চেয়েছিলেন ওই মহিলা৷ সেই 'অপরাধে' পুড়িয়ে মারা হল তাঁকে৷ সংবাদ সংস্থা এএনআই জানাচ্ছে বছর পঁয়ত্রিশের ওই মহিলা বাড়িতে ঘুমোচ্ছিলেন৷ সঙ্গে ছিলেন স্বামী ও দুই সন্তান৷ তখনই অজ্ঞাতপরিচয় ওই দুষ্কৃতীরা বাড়িতে ঢুকে পড়ে৷ শনিবার রাত ২.৩০ নাগাদ এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে৷ মহিলার স্বামী জানিয়েছেন অভিযুক্ত ৫ ব্যক্তি এক এক করে বাড়িতে ঢুকে মহিলাকে ধর্ষণ করে৷ তারপর বেরিয়ে যায়৷ পরে ফের ফিরে আসে তারা৷ মহিলাকে জোর করে টেনে নিয়ে যায় গ্রামেরই এক মন্দিরে৷ সেখানে যজ্ঞশালায় ওই মহিলাকে পুড়িয়ে মারা হয় বলে জানিয়েছেন মহিলার স্বামী৷ পুলিশ পরে ঘটনাস্থলে আসে৷ ওই পরিবার

আজ রাতেই হেস্তনেস্ত, ফ্রান্স - ক্রোয়েশিয়ার মহারণে প্রত্যয়ী ২ কোচই

Image
অপেক্ষা আর কয়েক ঘণ্টার। এক মাসের লড়াই শেষে অঘটনের বিশ্বকাপের ফাইনালে আজ রাতে মুখোমুখি হবে ফ্রান্স ও ক্রোয়েশিয়া। ভারতীয় সময় রাত ৮.৩০ মিনিটে মস্কোর লুঝনিকি স্টেডিয়ামে শুরু হবে শেষ 'যুদ্ধ।' আর তার আগে দু'দলই বেশ সাবধানী। এতটুকু ভুলচুক হলেই হাতছাড়া হতে পারে স্বপ্ন ছোঁয়ার সাধ। তাই শিষ্যদের সতর্ক করছেন ফ্রান্স ও ক্রোয়েশিয়া দু'পক্ষের কোচই।  ম্যাচের আগের দিন খেলোয়াড়দের সতর্ক করেছেন ফ্রান্সের কোচ দিদিয়ের দেশঁ। জানিয়েছেন, ক্রোয়েশিয়াকে হারাতে গেলে শান্ত, আত্মবিশ্বাসী ও মনোযোগী হতে হবে। দেশঁ বলেন, এরকম ম্যাচ খেলতে পারা ভীষণ আনন্দ ও সম্মানের। একজন পেশাদার ফুটবলারের জন্য বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনাল খেলতে পারার থেকে গর্বের আর কিছু নেই। আমরা যথা সম্ভব দলকে জয়ের জন্য প্রস্তুত করেছি। আমি ছেলেদের শান্ত, আত্মবিশ্বাসী ও মনোযোগী থাকতে পরামর্শ দিয়েছি।' দেশঁ মেনে নিয়েছেন, ক্রোয়েশিয়ার থেকে তাঁর দলের খেলোয়াড়দের অভিজ্ঞতা কম। কারণ হিসাবে তিনি জানান, ২০১৬-য় ইউরো ফাইনালে পর্তুগালের কাছে হারের পর দলে ১৪ জন নতুন মুখ নিয়েছে ফ্রান্স। ফলে এবারের ফ্রান্স দল অপেক্ষাকৃত নবীন। তবে দেশঁর দাবি, অভিজ্ঞতায় প

গয়না, পোশাকের নামে ১০০ কোটির প্রতারণা ব্যাঙ্ককে

Image
হিরের গয়না, সোনার ব্রেসলেট, দামি পাথর বসানো কানের দুল তৈরি করা হবে কলকাতার এবং বাইরের ক্রেতাদের জন্য। তার জন্য স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে নেওয়া হয়েছিল প্রায় তিরিশ কোটি টাকার ঋণ। কিন্তু ব্যাঙ্কের যতক্ষণে হুঁশ ফেরে, ততদিনে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে পুরো টাকাই। প্রায় দশ বছর আগে ঋণ নেওয়া টাকা আদায় করতে গিয়ে এখন সিবিআইয়ের দ্বারস্থ হয়েছেন স্টেট ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। ব্যাঙ্কের দায়ের করা এফআইআরের উপর ভিত্তি করে ক্যামাক স্ট্রিটের একটি নামি স্বর্ণপ্রস্তুতকারী সংস্থার তিন ডিরেক্টরের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। অন্যদিকে, শিশুদের পোশাক তৈরির নাম করে প্রায় ৩৬ কোটি টাকা পরিশোধ না-করায় মির্জা গালিব স্ট্রিটের একটি পোশাক প্রস্তুতকারী সংস্থার বিরুদ্ধেও এফআইআর দায়ের করেছে স্টেট ব্যাঙ্কের এসএমই ব্রাঞ্চ।  কী ভাবে প্রতারণা করা হয়েছে ব্যাঙ্কের সঙ্গে? ব্যাঙ্কের জীবনদীপ ভবনের জোনাল ম্যানেজার গৌতম সাহা কেন্দ্রীয় সংস্থার কাছে চলতি মাসে দায়ের করা অভিযোগে বলেছেন, ওই সংস্থার ক্যামাক স্ট্রিটে একটি বড় শোরুম রয়েছে। ২০০৯ সালে ঋণ নেওয়ার আগে তারা ব্যাঙ্ককে জানায় হাওড়ার ডোমজুড়ে তাদের একটি কারখানা রয়েছে। কলকাতার বিভিন্ন ব্যবসায়ী

সাবধান! নতুন কায়দায় ব্যাঙ্ক প্রতারণা, মোবাইলে লিঙ্ক পাঠিয়ে হ্যাকিং, তারপর অ্যাকাউন্ট থেকে গায়েব টাকা

Image
কলকাতা: এবার নতুন কায়দায় ব্যাঙ্ক প্রতারণার ছক। কল্যাণীর বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্রের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ। লিঙ্ক পাঠিয়ে, মোবাইল হ্যাক করে হয়েছে প্রতারণা, প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের। উত্তর ২৪ পরগনার ঘোলা থানার ঘটনা। ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া অরপ্রিয় বর্মনের দাবি, দিনকয়েক আগে ই-কমার্স সাইটের মাধ্যমে ওটিপি সহ তাঁর মোবাইলে পরপর চারটি লিঙ্ক পাঠানো হয়। ঘাবড়ে গিয়ে ব্যাঙ্কে ছুটে যান ওই পড়ুয়া। অভিযোগ, এরপর বৃহস্পতিবার ব্যাঙ্কের নাম করে তাঁর কাছে ফোন আসে। ওই ব্যক্তির কাছ থেকে নিজের অ্যাকাউন্ট নম্বর জেনে হতবাক হয়ে যান ওই ছাত্র। ফোন কেটে দেওয়ার পরেই তাঁর মোবাইলে চারটি এসএমএস আসে। কয়েক দফায় তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে সাড়ে ৫ হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। গতকাল ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের কাছে ও ঘোলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই পড়ুয়া। পুলিশ সূত্রে খবর, টাকা হাতানোর জন্য ই-কমার্স সংস্থার নামে তৈরি করা হয় ভুয়ো ট্রানজাকশন আইডি। তদন্তে ব্যারাকপুর কমিশনারেটের সাইবার অপরাধ দমন শাখা।

ঋতুস্রাবের সময় মন্দিরে কেন ঢোকা যায় না? জেনে নিন বিজ্ঞানসম্মত কারণ

Image
জন্ম থেকে অনেকেই কুসংস্কারের বশবর্তী। বাড়ির পরিবেশই তাদের কুসংস্কারের প্রতি মনোনিবেশ করতে একপ্রকার বাধ্য করে। কেউ এমন পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসে, কেউ চেষ্টা করেও পারেন না। আবার কেউ চেষ্টাটাই করেন না। তাই হাজার আধুনিক হয়ে যাক, ভারতীয়দের জীবনে কুসংস্কার এখনও চেপে বসে রয়েছে। কিন্তু এর মধ্যে এমন কিছু রীতি রয়েছে যা এখন কুসংস্কারের আওতায় পড়ে গিয়েছে। কিন্তু তার পিছনে রয়েছে বিজ্ঞানসম্মত কারণ। সূর্যাস্তের পর নখ না কাটা অনেক সময় বাড়ির গুরুজনেরা নিদান দেন, সূর্যাস্তের পর নখ কাটা যাবে না। মনে হয়, কোনও কারণ তো নেই! ক্ষতিও হয় না। তাহলে কেন এমন নিয়ম? কিন্তু আগেকার দিনে বিদ্যুতের সরবরাহ ছিল সীমিত। তারও আগে বিদ্যুৎ তো ছিলই না। ফলে সূর্যাস্তের পর কমে যেত আলো। ফলে নখ কাটতে যেমন অসুবিধা হত, তেমনই ঠিকমতো পরিষ্কার করতে না পারলে ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনাও থাকত। শ্মশানযাত্রা থেকে ফিরে স্নান এটা তো অবশ্যম্ভাবী। কুসংস্কার মনে হলেও এর পিছনে কিন্তু গভীর কারণ রয়েছে। শ্মশানে থাকে নানা রকম জীবাণু। সেই জীবাণু বাড়ির পরিবেশে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। স্নান করে নিলে জীবাণুগুলিও ধুয়ে যায়। তাই বহুযুগ থেকে চলে আসছে এই প্

অত্যাচার সহ্য করেও কেন সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করেন মহিলারা?

Image
রোজ অশান্তি। একটু এদিক থেকে ওদিক হলেই চিৎকার। গায়ে হাত পর্যন্ত তুলেছে। চোখের নিচের কালো দাগ রোদচশমাও ঢাকতে ব্যর্থ। এত অত্যাচার কেন সইছে মেয়েটা। এমন মেয়েরাই বা অত্যাচার সহ্য করে অত্যাচারী স্বামী কিংবা প্রেমিকের সঙ্গে থাকে কেমন করে? বিশেষজ্ঞদের মতে- আশা- একটু হয়তো বদমেজাজি। সময় গেলেই সব ঠিক হয়ে যাবে। ক্ষমা চেয়ে নেবে। এই ভেবেই বেশিরভাগ মহিলা সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করে। সামাজিক সম্মান- এই কারণই যাবতীয় নষ্টের মূল। লোকে কী বলবে! এই ভেবেই বেশিরভাগ মহিলা দিনের পর দিন অত্যাচার সইতে থাকে। সমাজবদ্ধ প্রাণী হওয়ার মূল্য চোকাতে থাকে। সন্তান- প্রেমিক কিংবা স্বামীকে ছেড়ে দিলে সন্তানের কী হবে? তার জীবনে প্রভাব পড়তে। ভালভাবে মানুষ হবে না। এই ভাবনাই মহিলাদের সম্পর্কের চক্রব্যূহে আটকে রাখে। অপরিণত- ও তো ওরকমই! এখনও তেমন পরিণত হয়নি। বয়স আরেকটু বাড়লে সবকিছু বুঝতে শিখবে। তখন আর এরকম করবে না। এই আশাতেই অত্যাচারী সঙ্গীর সঙ্গে থেকে যান অনেকে। আধিপত্য প্রবণতা- ভালবাসা ও আধিপত্য প্রবণতার মধ্যে একটা পার্থক্য রয়েছে। সেটা অনেকেই বুঝে উঠতে পারেন না। স্বামী কিংবা প্রেমিক সবকিছুতে নাক গলালেও তাঁকে প্রে

অ্যান্টিবায়োটিক খাচ্ছেন? তা হলে এই খাবারগুলো ভুলেও খাবেন না

Image
কলকাতা:  অ্যান্টিবায়োটিক-এর কোর্স চলাকালীন কিছু সতর্কতা মেনে চলতে হয়। বিশেষ করে, নির্দিষ্ট কিছু খাবার ও পানীয় এড়িয়ে চলুন! নচেৎ, শরীরে মারাত্মক সাইড এফেক্টস দেখা দেয়! খাবারের তালিকা থেকে বাদ দিন-- ১) অ্যালোকহল! ওষুধের কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়। ক্যাফেন রয়েছে এমন পানীয়ও খাওয়া চলবে না। যেমন কফি! ২) অম্ল জাতীয় খাবার যেমন চকোলেট, বাদাম, টক ফল, টোম্যাটো খাবেন না। ৩) আঁশ জাতীয় খাবার! এই ধরনের খাবার পাকস্থলিতে খাবার শোষনের গতি কমিয়ে দেয়। ৪) অতিরক্ত মাত্রায় আয়রন রয়েছে, এমন খাবার খাবেন না। এগুলো শরীরে অ্যান্টিবায়োটিক শোষন বা অ্যাবসর্পসন-এর হার কমিয়ে দেয়। ৫) দুগ্ধ জাতীয় খাবার নৈব নৈব চ। এই ধরনের খাবারে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে যা অ্যান্টিবায়োটিক শোষনে বাধা দেয়। যদি একান্তই দুগ্ধজাতীয় খাবার খেতে চান, তা হলে দই খেতে পারেন। এতে প্রোবায়োটিক আছে, ফলে অ্যান্টিবায়োটিক-এর উপর কোনও প্রভাব ফেলে না!

শাশুড়ির অবৈধ সম্পর্কে প্রতিবাদ ! করুণ পরিণতি গৃহবধূর

Image
দেগঙ্গা: শাশুড়ির সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক দেখে ফেলতেই পুত্রবধূকে মারধর করে গায়ে কেরসিন তেল ঢেলে মেরে ফেলার অভিযোগে অভিুক্ত শাশুড়ি। অগ্নিদগ্ধ স্ত্রীকে বাঁচাতে গিয়ে মৃত্যুর সঙ্গে আর জি কর হাসপাতালে পাঞ্জা লড়ছেন স্বামী । এই ঘটনায় দেগঙ্গার জামালপুর হাটখোলা গ্ৰামে চাঞ্চল্য। শাশুড়ির নামে দেগঙ্গা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে । বছর দুয়েক আগে হাড়োয়া থানার শ‍্যামলা গ্রামে বিয়ে করে এসেছিলেন  দেখাশুনা করে বিয়ে হয় দেগঙ্গা থানার জামালপুর হাটখোলায় ৷ রবিবার বিধবা শাশুড়ি সঙ্গে স্থানীয় এক ব‍্যাক্তির অবৈধ সম্পর্ক দেখে প্রতিবাদ করেছিলেন পুত্রবধূ ৷ অভিযুক্ত শাশুড়ি মারধর করে গায়ে পুত্রবধূর গায়ে কেরসিন তেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়, স্ত্রীর চিৎকারে ছুটে এসে বাঁচাতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হয় স্বামী আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রতিবেশীরা দু'জনকেই উদ্ধার করে প্রথমে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেছিলেন ৷ পরে অবস্থার আবনতি হতে তাদের নিয়ে যাওয়া হয় আর জি কর হাসপাতালে আজ সকাল নটার সময় আর জি করে মৃত্যু হয় ।পরিবারের পক্ষ থেকে স্বাশুড়ির কঠোর শাস্তির দাবি ক‍রা হয়েছে। ঘটনার তদন্তে দেগঙ্গা থানার পুলিশ।

খুন হল 'সুপারি কিলার' নিজেই, শেষ হল ২০ বছরের দুষ্কৃতী-রাজ

Image
শুক্রবার বাড়ি থেকে বেরনোর সময় বউয়ের মাথায় হাত রেখে কথা দিয়েছিলেন, ঝামেলায় জড়াবেন না। রাতে বাড়ি ফিরে আসবেন। কিন্তু সেই রাতে কেন আর কোনওদিনই বাড়ি ফেরা হবে না বনগার 'সুপারি কিলার' অসীম ভট্টাচার্যের। বনগা এলাকায় তাঁর ২০ বছরের দুষ্কৃতি-রাজ শেষ হল রক্তাক্ত খুনের মধ্য দিয়ে। শনিবার সকালে ঠাকুর পল্লী এলাকা থেকে মেলে তাঁর লাশ। খুনের দায়েই জেলে গিয়েছিলেন অসীম। কিন্তু সংশোধনাগারে এতটুকু পরিবর্তন হয়নি তার। মাত্র ৬ দিন জামিনে মুক্তি পেতেই ফের শুরু হয়েছিল তার দাদাগিরি। তবে তিনি নিজেও আশঙ্কা করছিলেন, তাঁর গতিবিধির উপর নজর রাখছে কেউ। ফাঁস হয়ে যাচ্ছে তার পরিকল্পনা। সন্দেহ বর্তেছিল এলাকারই আরেক দুষ্কৃতীর উপর। জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে মদ্যপ অবস্থায় বন্দুক হাতে তার বাড়িতে হানা দিয়েছিলেন অসীম। তাকে না পেয়ে তার মাকে বেদাড়ক মারধর-ও করেন অসীম। এরপর অসীমের গতিবিধি সম্পর্কে আর কিছু জানা যায়নি। এদিন সকাল ১১টা নাগাদ ঠাকুরপল্লীর এক পুকুরের পাশ থেকে পুলিশ তার দেহ উদ্ধার করে। তার মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপের চিহ্ন মিলেছে। পুরনো শত্রুতার জেরেই এই খুন, এব্যাপারে পুলিশ মোটামুটি নিশ্চিত। তাদের দাবি তারা

সচিন-সৌরভের ক্লাবে পা রাখলেন ধোনি

Image
লর্ডস: ২০০৪ সালে রাঁচি থেকে ভারতীয় ক্রিকেটের আঙিনায় পা রেখেছিলেন৷ তারপর শেষ একদশকের বেশি সময় ধরে ক্রিকেটের একের পর এক রেকর্ড ভেঙেছেন এবং গড়েছেন৷ শনিবার ইংল্যান্ড বনাম ভারতের চলতি ওয়ান ডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে নিজের গড়া রেকর্ডবুকে যোগ করলেন নতুন আরেক রেকর্ড৷ ভারতের চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে এবং বিশ্বের দ্বিতীয় উইকেট কিপার ব্যাটসম্যান হিসেবে ওয়ান ডে তে ১০,০০০ রান পূর্ন করলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি৷ ১০,০০৪ হাজার রান পূর্ণ করতে ধোনি খেলেছেন মোট ৩২০টি ম্যাচ৷ ধোনির আগে উইকেট কিপার ব্যাটসম্যান হিসেবে এই রেকর্ড একমাত্র ছিল শ্রীলঙ্কান কিংবদন্তি কুমার সঙ্গাকারার৷ ওয়ান ডে-র মোট ৪০৪ ম্যাচে ১৪,২৩৪ রানের রেকর্ড রয়েছে শ্রীলঙ্কার উইকেট কিপার ব্যাটসম্যানের৷ উইকেট কিপার ব্যাটসম্যান হিসেবে সঙ্গাকারার পরেই থাকলেন ধোনি৷ ২০১৭ সালের জুলাই মাসে অ্যাডাম গিলক্রিস্টকে(ওয়ান ডে ৯,৪১০ রান)টপকে যান প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক৷ শনিবার ৩৩ রান করার মুহূর্তেই ওয়ান ডে তে ১০,০০০ রানের মাইল স্টোন স্পর্শ করেন ধোনি৷ ধোনির আগে যে তিনজন ভারতীয় ব্যাটসম্যান ১০০০০ রানের মাইলস্টোন ছুঁয়েছেন তাঁরা হলেন, সচিন তেন্ডুল

টিভি দেখায় দাদা ও মায়ের বকুনি, গায়ে আগুন দিয়ে আত্মঘাতী অভিমানী ষোড়শী

Image
পড়াশুনোয় মন নেই। সারাদিন শুধু টিভি আর টিভি। ফলে এবছর মাধ্যমিকে ফেল করেছিল মেয়েটি। টিভির ভূত মাথা থেকে তাড়াতে কিশোরীকে বকাবকি করেছিলেন মা ও দাদা। সেই অভিমানে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মঘাতী হল সে। ঘটনা পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের তিলডাংরার। নিহত কিশোরী রিম্পা মাজি (১৬)। শুক্রবারও পড়াশুনো ছেড়ে বসে টিভি দেখছিল রিম্পা। বোনকে বোঝাতে প্রথমে ধমক দেয় তার দাদা। বকাবকি করেন মা-ও। শনিবার সকালে বাড়িতে একাই ছিল রিম্পা। তখনই গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেয় সে। গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে তাকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে। সেখান থেকে রেফার করা হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।  মৃতার পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, সারাদিন টিভিতে ডুবে থাকত রিম্পা। পড়শুনো না করায় গত বছর মাধ্যমিকে ফেল করে সে। তার পরও কাটেনি টিভির নেশা। বারবার বোঝানোর পরও কাজ হয়নি। তাই বোনের নেশা ছাড়াতে শুক্রবার বেশ বকাবকি করেন দাদা ও মা। এতেই চরম পথ বেছে নেয় ষোড়শী রিম্পা। মনোবিদরা বলছেন, ১৬ বছর বড় অস্থির সময়। এই সময় নারী ও পুরুষের দেহ ও মনে নানা পরিবর্তন ঘটে। নানা রকম হরমোনের ক্ষরণে সহজেই চরম আবেগপ্রবণ

মেয়ে ঋতুমতী, পার্টি দিলেন মা! জরায়ু কেক-স্যানিটারি প্যাড আইসক্রিম

Image
আর পাঁচটা পার্টির মতোই এতেও থাকছে মিউজিক, ফান, ফিয়েস্তা। কিন্তু কেন? কেন এমন এক অবসরকেই তাঁরা বেছে নিচ্ছেন পার্টি দেওয়ার উপলক্ষ হিসেবে? পার্টি কে না ভালবাসে। মিউজিক, মস্তি, খানাপিনা। কিন্তু, পার্টির তো একটা উপলক্ষ চাই! সেটার খোঁজে মাঝে মাঝেই হন্যে হতে হয় পার্টিপ্রোন বা সাদা বাংলায় পার্টিপ্রাণদের। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম 'মিরর'-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, যুক্তরাজ্যে এক নতুন পার্টি-ট্রেন্ড এই মুহূর্তে লক্ষণীয় হয়ে উঠেছে। এই পার্টির নাম 'পিরিয়ড পার্টি'। মেয়ে প্রথম ঋতুমতী হলেই মায়েরা 'থ্রো' করছেন এই ধরনের পার্টি। আর পাঁচটা পার্টির মতোই এতেও থাকছে মিউজিক, ফান, ফিয়েস্তা। কিন্তু কেন? কেন এমন এক অবসরকেই তাঁরা বেছে নিচ্ছেন পার্টি দেওয়ার উপলক্ষ হিসেবে? প্রশ্নের উত্তরে মায়েরা যা জানাচ্ছেন, তা কিন্তু বেশ সিরিয়াস ব্যাপার। তাঁদের মতে, সদ্য ঋতুমতী কিশোরীদের সমাজিক সমস্যা অনেক। তারা তাদের এই শারীরিক পরিবর্তন নিয়ে খোলাখুলি কথা বলতে লজ্জা পায়। পরিবার-পরিজন তো দূর অস্ত, বন্ধুদের সামনেও সঙ্কুচিত হয়ে থাকে। পিরিয়ড পার্টি সেই সঙ্কোচকে দূর করার জন্য আয়োজিত। তবে আর পাঁচটা পার

ধর্ষণের ভিডিয়োয় ব্ল্যাকমেইল, জওয়ানের কীর্তিতে আত্মঘাতী যুবতী

Image
যুবতীর আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে বিএসএফের এক জওয়ানের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। ওই জওয়ানের বিরুদ্ধে ধর্ষণেরও একটি পৃথক মামলা হয়েছে।  স্থানীয় থানায় এফআইআরে মুজফ্‌ফরনগরের ওই যুবতীর বাবা জানান, তাঁর মেয়ের সঙ্গে এতদিন ভালোবাসার মিথ্যে অভিনয় করে এসেছে অভিযুক্ত বিএসএফ জওয়ান। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করে। মেয়ে বিয়ের জন্য চাপ দিলে, সম্পর্ক কেটে বেরোনোর চেষ্টা করে। ভয় দেখাতে ঘনিষ্ঠতার ভিডিয়ো ইন্টারনেটে আপলোড করার হুমকি দেয়। সেই মানসিক চাপেই মেয়ে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে। শনিবার পুলিশ জানিয়েছে, ধর্ষণ, আত্মহত্যায় প্ররোচনা-সহ কয়েক'টি ধারায় অভিযোগ হয়েছে। তবে, অভিযুক্তকে এখনও গ্রেপ্তার করা যায়নি। 

সহপাঠীর ধারালো ব্লেডে রক্তাক্ত ক্লাস সেভেনের ছাত্র, পিঠে পড়ল ৩৫ সেলাই

Image
বচসায় সহপাঠীকে ধারালো ব্লেডে ক্ষতবিক্ষত করল ক্লাস সেভেনের এক পড়ুয়া। জখম ওই ছাত্রের শরীরে ৩৫টি সেলাই পড়েছে। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লির বদরপুরের এক সরকারি স্কুলে।  স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ক্লাসে বসার জায়গা নিয়ে ওই দুই ছাত্রের মধ্যে বচসা হয়। অভিযুক্ত ছাত্র পেনসিল বক্স থেকে ধারালো ব্লেড বের করে, আচমকা পিছন থেকে ওই ছাত্রের উপর হামলা চালায়। এই ঘটনায় হতচকিত ক্লাসের অন্য পড়ুয়ারা মারমুখী ওই সহপাঠীকে ঠেকাতে পারেনি। ক্লাসে শিক্ষক এসে অভিযুক্তকে বিরত করে। ততক্ষণ ওই ছাত্রের পিঠে বেশ কয়েক বার ব্লেড টানে অভিযুক্ত। স্কুলের শিক্ষকরাই আহত ওই ছাত্রকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। ডাক্তাররা জানান, ক্ষতয় ৩৫টি সেলাই পড়েছে। আহত ছাত্রের অভিযোগ, মারমুখী ওই ছাত্র আগেই তাকে হামলার হুমকি দিয়েছিল। ক্লাস টিচারকে সে কথা জানিয়েছিল। কিন্তু, শিক্ষক গুরুত্ব দেননি।

সন্ত্রাস ছেড়ে সঙ্গীতে, নজির কাশ্মীরি গায়কের

Image
প্রায় ৭০ বছর আগে কাশ্মীরি কবি গুলাম আহমেদ মেহজুর লিখেছিলেন লোকগীতিটা। 'হা গুলো'। মানে, 'ও ফুল'! প্রেম-বিরহের সেই গানই দ্রুত ছড়িয়ে যাচ্ছে উপত্যকার গণ্ডি পেরিয়ে, দেশের গণ্ডি পেরিয়ে। সৌজন্যে পাকিস্তানের 'কোক স্টুডিয়ো এক্সপ্লোরার'। 'ক্লিক' বাড়ছে ইউটিউবে। সঙ্গীতপ্রেমীরা চিনে নিচ্ছেন ওই লোকগীতির গায়ক, মহম্মদ আলতাফ মিরকে। কারুশিল্পী ছিলেন মির। সব ছেড়েছুড়ে হয়ে গিয়েছিলেন জঙ্গি। এখন তিনি সঙ্গীতশিল্পী। নতুন রূপে 'হা গুলো'-র প্রধান গায়ক। গত ৩ জুলাই পাকিস্তানে মুক্তি পেয়েছে সঙ্গীত অনুষ্ঠানটির নয়া সংস্করণ। আর মাত্র দু'দিনেই 'হা গুলো'-র দর্শকসংখ্যা দেড় লক্ষ ছাড়িয়েছে। আরও একটা বদল হয়েছে মিরের জীবনে। আদপে কাশ্মীরের অনন্তনাগের মানুষ তিনি। জীবন তাঁকে নিয়ে গিয়ে ফেলেছে পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের মুজফ্ফরাবাদে। স্ত্রী, চার সন্তান-নিয়ে সেখানেই এখন সংসার তাঁর। অনন্তনাগের জংলত মান্ডিতে থাকার সময়ে নির্ঝঞ্ঝাটেই দিন কাটত মিরের। কাপড়ের উপর আড়ির কাজ ও নানা রকম সেলাই করেই রোজগার হত। গানের গলাটা ছিলই। বিয়েবাড়ি, সুফিয়ানা মেহফিলের মতো নানা অনুষ্ঠানেও গাইতেন। নামও হয়

প্রেমে না, তরুণীকে কুপিয়ে ধৃত যুবক

Image
গৃহশিক্ষকের কাছে পড়তে গিয়েছিলেন বছর উনিশের তরুণী। সকাল ৯টা নাগাদ এক বান্ধবীর সঙ্গে ফিরছিলেন সেখান থেকে। হঠাৎই পথ আটকায় পরিচিত এক যুবক। প্রেমের প্রস্তাব দেয় মেয়েটিকে। তরুণী উচ্চবাচ্য না করায় ভোজালি বের করে কোপাতে থাকে। শনিবার বসিরহাটের মাটিয়া থানার মালতিপুর গ্রামের এই ঘটনায় জনতা পাকড়াও করে হামলাকারী যুবককে। মারধর করা হয়। স্থানীয় কিছু মানুষ তাকে উদ্ধার করে একটি ঘরে আটকে রাখেন। পরে পুলিশ এসে গ্রেফতার করে আলি হোসেন মণ্ডল নামে ওই যুবককে। জখম তরুণী বসিরহাট জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর গলায়, হাতে, পিঠে, মাথায় কোপ লেগেছে। কচুয়ার গ্রামে থাকে আলি। তরুণীর বাড়ি কাছেই। স্থানীয় স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়েন তিনি। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আলি তাঁকে আগেও প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছে। নানা ভাবে উত্ত্যক্ত করত। মাস ছ'য়েক আগে মেয়েটি বাড়িতে সে সব কথা জানান। বাবা যোগাযোগ করেন আলির পরিবারের সঙ্গে। পরের কয়েক মাস আর উপদ্রব করেনি আলি। তার পরে হঠাৎ এ দিনের আক্রমণ। হাসপাতালে শুয়ে তরুণী বলেন, ''আলির ব্যবহার অত্যন্ত খারাপ। ওর প্রস্তাবে সম্মতি দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। সে কথাটা স্পষ্ট করে জানিয়

রেললাইনে ছাত্রীর দেহ উদ্ধার, রহস্য

Image
সোনারপুর ও সুভাষগ্রাম স্টেশনের মাঝে রেললাইনে পড়ে থাকা কিশোরীর মৃত্যু ঘিরে রহস্য দানা বেঁধেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, মেয়েটির বাড়ি ডায়মন্ড হারবার থানার কামারপোল এলাকায়। শনিবার মেয়েটির বাবা সোনারপুর জিআরপি থানায় তাঁর মেয়েকে ধর্ষণ ও খুন করা হয়েছে বলে সন্দেহ প্রকাশ করে অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি জানিয়েছেন, দ্বাদশ শ্রেণির পডুয়া তাঁর মেয়ে বৃহস্পতিবার স্কুল থেকে ফিরে বান্ধবীদের সঙ্গে সরিষা টিচার্স কোয়ার্টার্সের কাছে টিউশনি নিতে গিয়েছিলেন। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ তার পড়া শেষ হয়। এর পরেই নিখোঁজ হয়ে যায় সে। রাতেই পরিবারের তরফে নিখোঁজ ডায়েরি করা হয় থানায়। শুক্রবার মেয়েটির দেহ উদ্ধার হয়। মেয়েটির ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত হওয়ায় এর পরেই হইচই শুরু হয়ে যায়। মৃতার বাবা এ দিন থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ, প্রথমে পুলিশ ডায়েরি নেওয়া নিয়ে টালবাহানা করে। গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা সমিতির কর্মীদের দাবি, তাঁদের সঙ্গে এই নিয়ে কিছুক্ষণ কথা কাটাকাটির পরে অভিযোগ নেয় পুলিশ। রেল পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে, প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু কী করে মেয়েটি ওই জায়গায় গেল, তা স্পষ্ট নয়। পুলিশ জানিয়ে

কনজাঙ্কটিভাইটিসকে ‘না’ বলুন এই বর্ষায়

Image
ভরা বর্ষা মানেই জল-কাদার বিড়ম্বনার সঙ্গে কিছু অসুখ-বিসুখের প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়া। তার মধ্যে অন্যতম কনজাঙ্কটিভাইটিস। চোখের কনজাঙ্কটিভা আক্রান্ত হলেই এই অসুখ হয়। সাধারণত, ভাইরাস, ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া বা ফাংগাসের আক্রমণে চোখের এই সংক্রমণ হয়। এই রোগের প্রাথমিক লক্ষণ চোখ লাল হওয়া। কিন্তু এর বাইরেও এর বেশ কিছু উপসর্গ দেখা যায় । কনজাঙ্কটিভাইটিস নিয়ে ঠিক কী কী সতর্কতা অবলম্বন করলে এই অসুখেও সমস্যায় পড়বেন না, জেনে নিন। অবহেলা না করে প্রথম থেকে সাবধান হয়ে চিকিৎসকদের পরামর্শ নিলে কিন্তু বর্ষার এই রোগ থেকে সহজেই মুক্তি মিলবে। কেন হয় এই রোগ? চক্ষু বিশেষজ্ঞ হিমাদ্রি দত্ত-র কথায়, এই অসুখ কোনও ভাবেই সারাসরি ছোঁয়া ছাড়া হয় না। বর্ষাকালে বাতাসে ভেসে বেড়ায় অনেক ভাইরাস। তার মধ্যে শক্তিশালী অ্যাডেনো ভাইরাস অন্যতম। তার প্রভাবেই কনজাঙ্কটিভাইটিস হয়। অ্যাডেনো জাতীয় ভাইরাসের আক্রমণে কর্নিয়ায় ছোট ছোট দানা তৈরি হয়৷ যার ফলে দেখার ক্ষমতা কমে যায়। এমন সময় চোখে আলো পড়লেও সমস্যা হয়। বাইরের ক্ষতিকারক ব্যাকটিরিয়া, ভাইরাস থেকে চোখ বাঁচাতে পরুন সানগ্লাস। ছবি: পিক্সঅ্যাবে। কী কী সতর্কতা প্রয়োজন আক্রান্ত ও সুস্থ দুই

সিআইডিকে ধোঁকা, মুম্বই পুলিশের হেফাজত থেকে চম্পট ভারতী ঘোষের দেহরক্ষীর

Image
সিআইডিকে বোকা বানিয়ে চম্পট দিল প্রাক্তন আইপিএস ভারতী ঘোষের দেহরক্ষী মোস্ট ওয়ান্টেড সুজিত মণ্ডল। মুম্বই থেকে খালি হাতেই ফিরতে হল সিআইডির দলকে। ভারতীর মতো সুজিতের বিরুদ্ধেও পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর থানার তোলাবাজি মামলায় চার্জশিট দিয়েছে সিআইডি। প্রাক্তন আইপিএস ভারতী ঘোষের মতোই ফেরার তার দেহরক্ষী সুজিত মণ্ডলও। সিআইডি কর্তাদের দাবি, দাসপুর তোলাবাজি মামলার অভিযোগকারী চন্দন মাঝিকে গত কয়েকদিন ধরেই ফোনে হুমকি দিচ্ছিল সুজিত। সিআইডি সূ্ত্রে খবর, সুজিত চন্দনকে হুমকি দিয়ে বলে, ওই জেলার অনেক প্রথম সারির নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির তথ্য প্রমাণ পুলিশের হাতে তুলে দিয়ে মামলা করবে সে। চন্দন মারফত সিআইডি আধিকারিকরাও গোটা ঘটনা জানতে পারেন। জানা যায়, শুক্রবার সুজিত মুম্বইয়ের লোকমাণ্য তিলক থানায় গিয়েছে অভিযোগ জানাতে। সেই খবর পাওয়া মাত্রই সিআইডির পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয় মুম্বই পুলিশের সঙ্গে। তাঁদের জানানো হয়, সুজিত এ রাজ্যে একটি মামলায় অভিযুক্ত। ইতিমধ্যেই তার বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে এবং সে ফেরার। মুম্বই পুলিশকে অনুরোধ করা হয়, সুজিতকে যেন তাঁরা আটক করে রাখে। সিআইডির দাবি, সেই কথোপকথন অনুযায়ী, শুক্রবার লোক

মৃত্যুর দু’মাস পর জানা গেল খুন হয়েছেন চিকিৎসক!

Image
চিকিৎসকের মৃত্যুর দু'মাস পর জানা গেল তাঁকে খুন করা হয়েছে। তখন অবশ্য বোঝাই যায়নি। মনে করা হচ্ছিল এটা স্বাভাবিক মৃত্যু। এখন বিষয়টি জানাজানি হতেই নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে মেঘনাথ সাহা সরণিতে। ইতিমধ্যেই পুলিশ খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। গত মে মাসে মৃত্যু হয় চিকিৎসক চান্দ্রেয়ী দাসচৌধুরীর। বাড়ি থেকেই তাঁর অচৈতন্য দেহ উদ্ধার হয়। ওই সময় আত্মীয়-পরিজনরাই তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে আসেন। চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করলেও, ময়না তদন্তের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছিলেন আত্মীয়েরা। অবশেষে ১০ জুলাই রিপোর্ট আসার পর হতবাক পরিজনরা। জানা যায়, চান্দ্রেয়ীকে কেউ শ্বাসরোধ করার পর, মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করে খুন করেছে। পুলিশের সন্দেহ, ঘনিষ্ঠ কেউ তাঁকে খুন করেছে। 'নিখুঁত' ভাবে পরিকল্পনা মাফিক চান্দ্রেয়ীকে খুন করা হয়েছে। যাতে কারও সন্দেহ না হয়। চান্দ্রেয়ীর উপর কার আক্রোশ? কে তাঁকে খুন করতে পারে? ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। ইতিমধ্যেই মৃতার বেশ কয়েক জন আত্মীয়কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। জেরা করা হচ্ছে তাঁর ভাইকেও। বাবার মৃত্যুর পর বাড়িতে মা, ভাইয়ের সঙ্গে চান্দ্রেয়ী থাকতেন। বাড়িতে ঢোক

কত রাত হবে? ৮টা-৯টা, নাকি তারও বেশি!

Image
একা থাকবেন ভাল কথা, কিন্তু বাড়ি দেখার সময় তো কাউকে নিয়ে আসতে পারতেন! মানে? বাবা, মা, দাদা, কাকা— কেউ নেই? হয় নাকি! এ শহরে নতুন চাকরি নিয়ে আসা এক মহিলার পরিচয় দিয়ে ভাড়া বাড়ি খুঁজতে সল্টলেক অঞ্চলের এক 'ব্রোকারে'র দ্বারস্থ হওয়া গিয়েছিল। এক মহিলা একাই থাকবেন শুনে ফোনে বলেছিলেন, ''বাড়ি দেখতে গিয়ে সাবধানে কথা বলতে হবে।'' কিন্তু 'ব্রোকারের' সঙ্গে একা দেখা করতে গিয়েই তো জুটল বকুনি। এ শহরে বাড়ি ভাড়া পেতে কেন এখনও নাজেহাল হওয়ার অভিযোগ তোলেন মহিলারা, তা বুঝতেই শুরু হয়েছিল খোঁজখবর। প্রথম দিন সল্টলেক পরিক্রমার শুরুতেই বকুনি দিয়ে নরম হলেন ব্রোকার, ''আসলে কী জানেন দিদি, একা মহিলাদেরও বিশ্বাস করেন না বাড়িওয়ালারা। বোঝেনই তো, কত কী ঘটে!'' সঙ্গে অভিভাবক না নিয়ে যাওয়ার জের এ ভাবেই চলল পিএনবি চত্বরের একটি বাড়িতে পৌঁছনো পর্যন্ত। প্রৌঢ়া মালকিন নেমে এলেন। তিনতলা বাড়ির নীচের তলার দু'টো ঘর ভাড়া দেবেন। মধ্য তিরিশের মহিলা একা থাকার জন্য বাড়ি খুঁজছেন দেখে কৌতূহল চাপতে পারলেন না। প্রশ্ন এল, ''বিয়ে করেননি?'' সম্ভাব্য ভাড়াটের উত্তর শুনে

দুরন্ত মাঝমাঠই আজ ফারাক করে দেবে ফাইনালে

Image
দুর্দান্ত একটা বিশ্বকাপ হয়ে গেল রাশিয়ায়। যেখানে মাঠের মধ্যে বল থামানোও সমান গুরুত্ব পেল এ বার। আর এই বল থামানোর বিষয়টা ফলাফলের ব্যাপারেও কার্যকরী ভূমিকা নিয়েছে। আর তারই ফল বাঁক খাওয়ানো ফ্রি-কিক বা বা কর্নার কিক থেকে দুরন্ত সব গোল। মাঠের প্রান্তসীমার দিকে কাছাকাছি কোনও জায়গা—যেখানে বিপক্ষ ফুটবলার বলের কাছে পৌঁছে গিয়ে বিপদের সম্ভাবনা তৈরি করতে পারেন তা আগাম বুঝে ফেলা, প্রচুর ছোট ছোট পাস খেলা, মাঝমাঠে বলের দখল রাখার জন্য ফুটবলার বাড়িয়ে রাখা যাতে আচমকা শটে গোল না হয়— এ সবই দেখা গিয়েছে এ বারের বিশ্বকাপে। সব দলের অনুশীলনেই রক্ষণের চেয়ে আক্রমণের ব্যাপারটা গুরুত্ব পায় বেশি। এই বিশ্বকাপে খেলাগুলো দেখে সেটাই বোঝা গিয়েছে। একটা দল সেটপিস থেকে গোল করলেও, দেখা গিয়েছে বিপক্ষের সেটপিসের সময় গোল খাচ্ছে। উরুগুয়ে খিমেনেস-এর গোলে উল্লাস করলেও ঠিক সে ভাবেই ওদের বিরুদ্ধে গোল করে গিয়েছে রাফায়েল ভারান। ইংল্যান্ডের হয়ে যেমন মাগুয়্যের গোল করতে সহায়তা করেছেন, কিন্তু তিনিই কলম্বিয়ার ইয়েরি মিনাকে আটকাতে পারেননি। এর একটা ব্যাখ্যা হল,  অনুশীলনে সেট পিসের সময় কোচের হাতে 'কিকার'-রা রয়েছেন। যারা হেড দিয়ে রক্ষণ