মৃত্যুর দু’মাস পর জানা গেল খুন হয়েছেন চিকিৎসক!


চিকিৎসকের মৃত্যুর দু'মাস পর জানা গেল তাঁকে খুন করা হয়েছে। তখন অবশ্য বোঝাই যায়নি। মনে করা হচ্ছিল এটা স্বাভাবিক মৃত্যু। এখন বিষয়টি জানাজানি হতেই নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে মেঘনাথ সাহা সরণিতে।

ইতিমধ্যেই পুলিশ খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। গত মে মাসে মৃত্যু হয় চিকিৎসক চান্দ্রেয়ী দাসচৌধুরীর। বাড়ি থেকেই তাঁর অচৈতন্য দেহ উদ্ধার হয়। ওই সময় আত্মীয়-পরিজনরাই তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে আসেন। চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করলেও, ময়না তদন্তের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছিলেন আত্মীয়েরা। অবশেষে ১০ জুলাই রিপোর্ট আসার পর হতবাক পরিজনরা।

জানা যায়, চান্দ্রেয়ীকে কেউ শ্বাসরোধ করার পর, মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করে খুন করেছে। পুলিশের সন্দেহ, ঘনিষ্ঠ কেউ তাঁকে খুন করেছে। 'নিখুঁত' ভাবে পরিকল্পনা মাফিক চান্দ্রেয়ীকে খুন করা হয়েছে। যাতে কারও সন্দেহ না হয়। চান্দ্রেয়ীর উপর কার আক্রোশ? কে তাঁকে খুন করতে পারে? ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের।

ইতিমধ্যেই মৃতার বেশ কয়েক জন আত্মীয়কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। জেরা করা হচ্ছে তাঁর ভাইকেও। বাবার মৃত্যুর পর বাড়িতে মা, ভাইয়ের সঙ্গে চান্দ্রেয়ী থাকতেন। বাড়িতে ঢোকা বেরোনোর জন্য চারটি পথ। তার মধ্যে একটি বন্ধ ছিল কয়েক মাস ধরে। যে দিন ওই চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, সে দিন ঘরের দরজা খোলাই ছিল। স্থানীয় সূত্রে খবর, বিয়ে করেননি ৪৮ বছর বয়সি চান্দ্রেয়ী। বাবা মারা যাওয়ার পর কারও সঙ্গে খুব একটা বেশি কথা বলতেন না। ভাইয়ের সঙ্গে সম্পর্ক খুব একটা ভাল ছিল না বলেই জানা গিয়েছে।