Posts

Showing posts from June 23, 2018

ললিপপ খেতে ভালোবাসা ছেলেটাই জঙ্গি, মানতে পারছেন না প্রতিবেশীরা

Image
ললিপপ খেতে বড্ড ভালবাসত ছেলেটা। সেই ছেলেটারই আবার জঙ্গি হওয়ার বড় সাধ! চোখের সামনে শিশু থেকে কিশোর হয়ে ওঠা ছেলেটির এমন কাজ তাই মানতে পারছেন না দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগাম জেলার ব্রেহারাদা ইয়ারিপোরা গ্রামের অনেকে। গত ৬ জুন কাশ্মীরের মছিল সেক্টর দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় যে তিন জঙ্গি সেনার হাতে নিহত হয়েছে, তাদের মধ্যেই রয়েছে সেই কিশোর, জাহিদ রশিদ বাট। সদ্য কৈশোরে পা দেওয়া গ্রামের চেনা ছেলেটি কী ভাবে এত কম বয়সে জঙ্গি দলে নাম লেখাল, সেটাই ভাবাচ্ছে পড়শিদের। সকলের মনে এখন একটাই প্রশ্ন, ললিপপের জায়গায় কী ভাবে বন্দুক উঠে এল ওই কিশোরের হাতে? জাহিদের এক দিদি জানিয়েছেন, খুব অল্প বয়স থেকেই জঙ্গি হতে চাইত জাহিদ। তার জন্য সে যোগাযোগও করেছিল স্থানীয় জঙ্গিদের সঙ্গে। কিন্তু এত ছোট ছেলেকে দলেই নিতে চায়নি তারা। এমনকি, জাহিদকে ভাল করে পড়াশোনা করার পরামর্শও দেয় তারা। বাড়িতেও নানা ভাবে জাহিদকে বোঝানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তাতেও যে লাভ হয়নি, তার প্রমাণ গত বছর একটি ভিসা জোগাড় করে কোনও ভাবে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে পৌঁছে জঙ্গিদলে তার নাম লেখানোয়। এতেই স্পষ্ট, জঙ্গি হওয়ার জন্য সে কতটা মরিয়া হয়ে উঠেছিল। ভারতীয় সেনা

এবার দিঘার সমুদ্রে কোমর জলের বেশি নামলেই গ্রেপ্তার

Image
দিঘা: দিঘা সমুদ্রে দুর্ঘটনা ঠেকাতে বেপোরোয়া পর্যটকদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিল জেলা পুলিশ প্রশাসন। হাঁটু কিংবা কোমরের বেশি জলে নামলেই সমুদ্রপাড়ে কর্মরত নুলিয়ারা মাইকিং করে সতর্ক করবে। মাইকিং এর পরও যদি পর্যটকদের বেপোরোয়া মনোভাব লক্ষ্য করা যায় সঙ্গে সঙ্গে তাদের গ্রেপ্তার করা হবে। সমুদ্রে তলিয়ে মৃত্যু ঠেকাতে এমনই কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে জেলা পুলিশ। সেইসঙ্গে মদ্যপান অবস্থায় সমুদ্রে নামলে পর্যটকদের গ্রেপ্তারের পাশাপাশি জরিমানা করা হবে বলেও সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশ। সেইসঙ্গে সমুদ্রপাড়ে নজরদারির জন্যে বাড়ানো হয়েছে পুলিশ ও সিভিক ভলানটিয়ারের সংখ্যা। গত এক সপ্তাহে ৪ জন পর্যটকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটায় নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ প্রশাসন। তাই দিঘার একাধিক ঘাটে মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(গ্রামীণ) ইন্দ্রজিৎ বসু জানান, পর্যটকদের সমুদ্রস্নানের উপর নজরদারি বাড়াতে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মাইকিং থেকে সাইরেন ব্যবহার করা হচ্ছে। সেইসঙ্গে বেপোরোয়া মনোভাবাপন্ন পর্যটকদের গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পর্যটকদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে আরও

'সঞ্জুর ৩৫০ মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক জেনেও চুপ মান্যতা!'

Image
আর মাত্র কয়েকটা দিনের অপেক্ষা। সঞ্জু সিনেমা বড়পর্দায় মুক্তি পাওয়ার আগেই ট্রেলারে দারুণ চমক দিয়ে দিয়েছেন পরিচালক রাজকুমার হিরানি।  ''ইতনা ভ্যারাইটি-ওয়ালা লাইফ আপকো কিধার মিলেগা? ম্যাঁয় বেওয়াড়া হুঁ, থারকি হুঁ, ড্রাগ অ্যাডিক্ট হুঁ, সব হুঁ। লেকিন টেররিস্ট নেহি হুঁ।'' বিতর্কপূর্ণ জীবন থেকে রোম্যান্টিক সঞ্জয় দত্ত। ব্যাক্তিগত জীবনের সব মশালাই থাকছে এই ছবিতে। ছবি রিলিজের আগে, বোমা ফাটালেন প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী ও অভিনেত্রী দিয়া মির্জা। সঞ্জু সিনেমায় অভিনয় ছাড়াও এর আগে সঞ্জয় দত্তের সঙ্গে বেশ কয়েকটি সিনেমায় কাজ করেছেন তিনি। উল্লেখ্য, এই সিনেমায় বর্তমান স্ত্রী মান্যতার ভূমিকায় এভিনয় করেছেন দিয়া। রিল লাইফ ও রিয়েল লাইফ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে নায়িকা বলেছেন, 'সঞ্জয় দত্তের সঙ্গে ৩৫০টা সম্পর্ক ছিল, এটা জানত মান্যতা। এ বিষয় নিয়ে কখনও সঞ্জয়কে বিচার করতেন না কখনও।'  একটি সাক্ষাত্‍কারে দিয়া মির্জা জানিয়েছেন, চরিত্র বোঝাতে গিয়ে যখন রাজকুমার আমাকে জানান, সঞ্জয়ের ৩০৮ মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। এ কথা শুনে ভীষণ অবাক হয়ে প্রশ্ন করেছিলাম, এ সব মান্যতা জানতেন? রাজকুমার বললেন, অবশ্যই। তা সত্ত্বে

বিয়ের পরে শারীরিক সম্পর্ক কি বাধ্যতামূলক?

Image
বিয়ে মানেই কি শরীরী মিলন? দু'টি মানুষের বিয়ে মানেই কি তাদের বাধ্যতামূলক ভাবে শারীরিক সম্পর্কে যেতেই হবে? 'বিয়ে' শব্দটির বিবিধ সং‌জ্ঞা রয়েছে। দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখলে বিয়ে হল দু'টি মানুষের আত্মার মিলন। সেক্ষেত্রে যে কোনও প্রেমই কিন্তু বিয়ে। কিন্তু সমাজ যে সংজ্ঞা মেনে চলে, তা হল— 'বিয়ে' মানে দু'জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের একসঙ্গে থাকার সমাজস্বীকৃত, আইনস্বীকৃত ও রাষ্ট্রসম্মত অনুমতি। এই একসঙ্গে থাকা মানেই কি শারীরিক সম্পর্ক? অর্থাৎ বিয়ের পরে স্বামী এবং স্ত্রী একই বাড়িতে একই ঘরে, একই ছাদের তলায় থাকছেন বলেই কি তাঁদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হওয়া বাধ্যতামূলক? মানবিক অর্থে তা একেবারেই নয়। কিন্তু আইনসম্মত বিয়ের সঙ্গে একটি বিষয় ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে এবং তা হল— 'কনজিউমেশন অফ ম্যারেজ'। নরনারীর মধ্যে সম্পূর্ণ সঙ্গম অর্থাৎ স্ত্রীঅঙ্গে পুরুষাঙ্গের পূর্ণ প্রবেশ— 'কনজিউমেশন'-কে আইনের ভাষায় এভাবেই বর্ণনা করা হয়। অর্থাৎ শারীরিক ভাবে কাছাকাছি এলেই কিন্তু তাকে কনজিউমেশন বলা যায় না। যদি এই বিষয়টি না ঘটে তবে সেই বিয়েটি আইনসিদ্ধ হলেও তা সম্পূর্ণ নয় আইনের চোখে। তাই কন

বাঁকুড়া থেকে সল্টলেক বাস চালু

Image
বাঁকুড়া থেকে সরাসরি সল্টলেক যাওয়ার এসবিএসটিসি-র বাতানুকূল বাস পরিষেবা চালু হল। শুক্রবার বাঁকুড়া ডিপো থেকে এই বাস পরিষেবার আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন বাঁকুড়ার জেলাশাসক উমাশংকর এস। উপস্থিত ছিলেন এসবিএসটিসি-র ম্যানেজিং ডিরেক্টর গোদালা কিরণ কুমার, ওন্দার বিধায়ক অরূপ খান, বাঁকুড়ার বিধায়ক শম্পা দরিপা, রানিবাঁধের বিধায়ক জ্যোৎস্না মান্ডি, বাঁকুড়ার পুরপ্রধান মহাপ্রসাদ সেনগুপ্ত-সহ এসবিএসটিসির বিভিন্ন আধিকারিকেরা। এসবিএসটিসি-র বাঁকুড়া ডিপোর আধিকারিকেরা জানান, প্রতিদিন সকাল সাড়ে সাতটায় করুণাময়ী থেকে রওনা দিয়ে ১২টা ৪৫-এ বাঁকুড়ায় পৌঁছবে। দুপুর ৩টা ১৫ মিনিটে বাঁকুড়া ডিপো থেকে রওনা হয়ে রাত ৮টা ৪৫তে করুণাময়ীতে ফিরবে। পথে শুধু দুর্গাপুর রেলস্টেশন লাগোয়া বাসস্ট্যান্ড, সিটি সেন্টার এবং বর্ধমান বাসস্ট্যান্ডেই থামবে বাসটি।

দুর্নীতি করলে ভোট পাই কেন, প্রশ্ন আব্বাসের

Image
নিয়ম ভেঙে গাড়ি চালিয়ে পুলিশের উপরই তম্বি করেছিলেন তিনি। রাজারহাটের নিউটাউনে ট্রাফিক পুলিশকে 'জানেন আমি কে' বলে হেনস্থা করার অভিযোগও উঠেছিল। এমন 'অভ্যাস' তাঁর সেই ছাত্রবেলার— বলছেন উলুবেড়িয়ার প্রবীণ নেতারা। এখন তিনি উপ-পুরপ্রধান। সম্প্রতি তোলাবাজির অভিযোগে ধমক খেয়েছেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। আব্বাসউদ্দিন খান অবশ্য তৃণমূলের সব থেকে বেশি ভোটে জেতা কাউন্সিলর। গত লোকসভা উপনির্বাচনেও উলুবেড়িয়া পুরসভার ৩২টি ওয়ার্ডের মধ্যে তাঁর ২৪ নম্বরেই সব থেকে বেশি ভোটে এগিয়ে ছিলেন তৃণমূল প্রার্থী সাজদা আহমেদ। বিরোধীরা বলেন, ''আব্বাসের রিগিংয়ের সামনে দাঁড়ায় কে!'' রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়েছিল ছাত্র পরিষদের ছাতার নীচে। উলুবেড়িয়া কলেজের কাছেই তাঁর পৈতৃক বাড়ি। ১৯৯১-৯২ সালে ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ২০০৯ সালে কাউন্সিলর হিসাবে প্রথম নির্বাচিত হওয়ার আগে পর্যন্ত দাপটের সঙ্গে ছাত্র রাজনীতি করেছেন। তবে তারপরও ছাড়েননি কলেজের চৌহদ্দি। প্রত্যক্ষ ছাত্র রাজনীতি থেকে বিদায় নিলেও কলেজের সঙ্গে ওতপ্রত জড়িত তিনি। এমনকি কাউন্সিলরের অফিসঘরটিও এখন সেই কলেজের কাছেই। পৈতৃক ভিটে ছ

তিন হাসপাতাল ঘুরে গলা থেকে বেরোল ব্যাটারি

Image
সপ্তাহখানেক আগে ব্যাটারি গিলে ফেলেছিল পাঁচ বছরের একরত্তি ছেলেটা। তিন হাসপাতাল ঘুরে অবশেষে শুক্রবার সেই ব্যাটারি বার করা হল খুদের শ্বাসনালী থেকে! দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার চম্পাহাটির বাসিন্দা আফতার আলি মোল্লার ছেলে রেহান মোল্লা খেলতে গিয়ে বিপদ ঘটায়। মুখে ঢুকিয়ে ফেলে প্রায় ২ সেন্টিমিটার ব্যাসের একটি ব্যাটারি। এর পরেই রেহানের শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। পরিবার সূত্রে খবর, রাতেই রেহানকে নিয়ে স্থানীয় হাসপাতালে যাওয়া হয়। কিন্তু কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, কিছু বোঝা যাচ্ছে না। রেহানকে মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। সেখানে এক্স-রে এবং প্রাথমিক পর্বের কয়েকটি পরীক্ষার পরে বোঝা যায় যে, রেহানের গলায় আটকে রয়েছে ব্যাটারি। কিন্তু চিকিৎসক জানান, অস্ত্রোপচারের জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো সেখানে নেই। তাই কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার রাতে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয় একরত্তি রেহানকে। শ্বাসকষ্টের কারণে ঠিক করে খেতেও পারছিল না সে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, এক্স-রে, সিটি স্ক্যান করে দেখা যায়, শ্বাসনালী আর খাদ্যনালীর মাঝে আটকে ব্যাটারিটি। যা

বৌয়ের নামে ঋণ নিয়ে শোধ না করা নিষ্ঠুরতা

Image
স্ত্রীর নামে ঋণ তো অনেকেই নেন। দেহরাদূনের বিনীত শর্মাও (নাম পরিবর্তিত) নিতেন। কিন্তু তিনি তা শোধ করতেন না। ফলে পাওনাদাররা এসে তাঁর স্ত্রীকে হেনস্থা করত। বিনীতের স্ত্রী নিষ্ঠুরতার অভিযোগ তুলে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা করেছিলেন। কিন্তু পরিবার আদালত তাঁর সেই আর্জি খারিজ করে দেয়। উত্তরাখণ্ড হাইকোর্ট মঞ্জুর করেছে বিচ্ছেদ। যুক্তি, স্ত্রীর নামে ঋণ নিয়ে তা শোধ না করে তাঁকে হেনস্থা মুখে ঠেলে দেওয়াটাও নিষ্ঠুরতা। উত্তরাখণ্ড হাইকোর্টের বিচারপতি ভি কে বিস্ত ও বিচারপতি অলোক সিংহের বেঞ্চ সম্প্রতি এই রায় দিতে গিয়ে মন্তব্য করেছে, ''পরিবার আদালতের বিচারক পেশ করা প্রমাণগুলিকে যথাযথ গুরুত্ব দিতে ও তার মাত্রা বুঝতে ব্যর্থ হয়েছেন।'' বেঞ্চের যুক্তি, নিষ্ঠুরতা দু'রকম হতে পারে। শারীরিক ও মানসিক। এই ক্ষেত্রে বিনীতের স্ত্রীকে দু'টিরই মুখোমুখি হতে হয়েছে। বিনীত স্ত্রীর নামে দামি গাড়ি কেনার জন্যও ঋণ নিয়েছিলেন। অনেক ক্ষেত্রে ঋণ নেওয়ার সময় স্ত্রীকে গ্যারান্টার হিসেবে রেখেছিলেন। কোনওটাই শোধ করেননি। তাঁর স্ত্রী গৃহবধূ, নিজস্ব কোনও রোজগার নেই। পরে বিনীত স্ত্রীকে ছেড়ে অন্য এক জনের সঙ্গে থাকতে শুরু ক

খুঁটির গণধর্ষণে অভিযুক্তেরা অধরাই

Image
ঝাড়খণ্ডের খুঁটি জেলায় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পাঁচ জন সদস্যকে গণধর্ষণের ঘটনার তিন দিন পরেও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তবে শুক্রবার এক অভিযুক্তের ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। ঘোষণা করা হয়েছে ৫০ হাজার টাকার পুরস্কারও। গত মঙ্গলবার খুঁটি জেলার ওচাং গ্রামে একটি স্কুল চত্বর থেকে ওই পাঁচ তরুণী এবং তাঁদের ৬ পুরুষ সহকর্মীকে বন্দুক দেখিয়ে তুলে নিয়ে যায় জনা ছয়েক দুষ্কৃতী। কয়েক ঘণ্টা পরে তাঁরা ছাড়া পেয়ে ফিরে এসে জানান, মেয়েদের প্রত্যেককে ধর্ষণ করা হয়েছে। পুরুষদের নিজেদের প্রস্রাব খেতে বাধ্য করা হয়েছে। মোবাইলে সেই ছবিও তুলে রেখেছে দুষ্কৃতীরা। বুধবার খুঁটি থানা এবং খুঁটি মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। খুঁটির পুলিশ সুপার অশ্বিনী সিংহ জানান, ধর্ষিতাদের মোবাইলে ধর্ষণের ভিডিয়ো রেকর্ড করার পরে মেমোরি কার্ড খুলে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কোনও ভাবে এক জনের মোবাইলের 'মেমোরি'-তে তা সেভ হয়ে গিয়েছিল। সেখান থেকেই ওই অভিযুক্তের ছবি মিলেছে। ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার এক কর্তা, দুই নার্স এবং সংশ্লিষ্ট স্কুলের দুই শিক্ষিকাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। তাঁরা প্রত্যেকেই ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলেন। পুলিশ সূত্রের খবর, মঙ্গ

‘মেসির পাশে কেউ ছিল না’

Image
আর্জেন্টিনার খেলায় যা দেখলাম, তা বোধ হয় প্রত্যাশিতই ছিল। শুধুমাত্র বিশ্বকাপের দু'টি ম্যাচ দেখলেই তো হবে না, আমাদের সমস্যা শুরু হয়েছিল যোগ্যতা অর্জন পর্ব থেকেই। তখন থেকেই জঘন্য খেলেছি আমরা। শেষ পর্যন্ত আর্জেন্টিনা যে রাশিয়ায় যেতে পেরেছে, সেটাই তো ছিল অঘটন। সেই একই দল তো বিশ্বকাপে খেলছে। যাদের না আছে কোনও সঠিক পরিকল্পনা, না আছে সঠিক দিশা। এর পর আর কী-ই বা আশা করা যায়? ক্রোয়েশিয়ার কাছে ০-৩ হারের পরে তাই আর্জেন্টিনা ভক্তদের মনে আশা কমছে, রাগ আর অপমান বাড়ছে। আমি বিশ্বাস করার শক্তি হারিয়ে ফেলেছি যে, আমরা নক-আউট পর্বে যাব। ভেবেছিলাম, প্রথম ম্যাচটা ড্র করার পরে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া অবস্থায় দারুণ লড়াকু একটা আর্জেন্টিনা দলকে দ্বিতীয় ম্যাচে দেখতে পাব। বাস্তবে যেটা দেখলাম, তা প্রথম ম্যাচের চেয়েও খারাপ। খুবই হতাশাজনক পারফরম্যান্স। লিয়োনেল মেসিকে খলনায়ক বাছা মোটেও ঠিক হবে না। আর্জেন্টিনার জার্সিতে ও সর্বস্ব দেওয়ার চেষ্টা করে, কিন্তু কোনও সমর্থনই পায়নি দলের থেকে। মেসিকে খুব একা মনে হচ্ছিল। ওরা প্রত্যেকে মাঠের বাইরে খুব ভাল বন্ধু। কিন্তু মাঠের মধ্যে আর্জেন্টিনার ফুটবলারদের দেখে মনে হচ্ছিল, কেউ

তিন মাসের মেয়েকে ফেলে ঢুকতে হবে গ্রামে, তরুণীকে নিদান পুরুলিয়ায়

Image
তিন মাসের ফুটফুটে মেয়ে। মঙ্গলবার দুপুরে ঘুম থেকে উঠে তাকিয়ে দেখল একগাদা অচেনা মুখ। ড্যাবড্যবে চোখে মাথা ঘুরিয়ে মা-কে খোঁজার চেষ্টা করল। কিন্তু খুঁজে পেল না। সে জানতেও পারল না আর কোনও দিনই হয়তো সে তার মাকে দেখতে পাবে না। নিজের বাবা-মা থাকতেও তাকে অনাথ হয়েই বাঁচতে হবে। কেউ জানতেও পারবে না, তিন মাসের সন্তানকে শুধু প্রাণে বাঁচাতে তাকে অনাথ করে দিতে বাধ্য হয়েছে তার মা। কারণ সমাজের মুরুব্বিরা এই দুধের শিশুর প্রাণদণ্ডর নিদান দিয়েছেন। এই নিদান উত্তর প্রদেশ বা হরিয়ানার কোনও খাপ পঞ্চায়েতের নয়। এ রাজ্যেরই একটি গ্রামের ঘটনা, যেখানে পড়ুয়ারা সবুজ সাথী প্রকল্পে সাইকেল পায়, যারা টিভিতে বিশ্বকাপ ফুটবল দেখে, মেসি রোনাল্ডো নিয়ে আলোচনাও করে। পুরুলিয়ার বড়াবাজার থানা এলাকার একটি গ্রামের ১৭ বছরের মেয়ে। মেলায় একটি ছেলের সঙ্গে আলাপ। সেই সূত্র ধরেই কয়েক মাসের মধ্যে বিয়ের সিদ্ধান্ত। ছেলে-মেয়ে কোনও পক্ষের বাড়ি থেকেই মেনে নেওয়া হয়নি এই বিয়ে। সেটা মেনে নিয়েই সংসার পাতেন তাঁরা। থাকার স্থায়ী ঠিকানা নেই। ছেলের মূল বাড়ি বাঁকুড়ায়। কিন্তু তিনি স্ত্রীকে নিয়ে থেকে গেলেন সেই বড়াবাজার এলাকারই একটি গ্রামে। বড় চাষিদের ট

‘দেশের জার্সিতে ৫৬তম গোল, মাঠেই কেঁদে ফেললেন নেমার’

Image
ব্রাজিল  ২  :   কোস্টা রিকা  ০ খেলা শেষ হওয়ার পরে দেখলাম, মাটিতে হাঁটু গেড়ে নেমার দ্য সিলভা স্যান্টোস (জুনিয়র) দু'হাতে মুখ ঢেকে কাঁদছেন। গোলের পর গোল নষ্ট করতে করতে ব্রাজিলীয় তারকা এতটাই চাপে পড়ে গিয়েছিলেন, হয়তো সেখান থেকেই মুক্তির কান্না! লিয়োনেল মেসির আর্জেন্টিনা চূড়ান্ত ব্যর্থ হওয়ার পর ব্রাজিল কেমন খেলে, সেটা দেখার অপেক্ষায় ছিলাম। শুক্রবার বিকেলের ব্রাজিল কিন্তু খেলল ব্রাজিলের মতোই। পেলে, রোনাল্ডো, রোনাল্ডিনহোরা যে আলো ছড়িয়ে গিয়েছেন, সাম্বার দেশের সেই ফুটবল-সৌন্দর্য তিতের হাতে অক্ষত। পাসের বৈচিত্র, নিখুঁত পাস, ভাল ড্রিবল, উইং প্লে, ডাউন দ্য মিডল দৌড়ে বিপক্ষকে ছিন্নভিন্ন করা— এ সবের জন্যই তো ব্রাজিলের খেলা দেখা। সুইৎজারল্যান্ড ম্যাচটার পরে অনেক উন্নতি করেছেন নেমাররা। আমার ধারণা, বিশ্বকাপ যত এগোবে, তিতের টিমের খেলা আরও খুলবে। খেতাবের যুদ্ধে ওরা থাকবেই। সংযুক্ত সময়ে দু'টো গোল থেকেই স্পষ্ট, ব্রাজিলের জেতার খিদেটা শেষ মিনিট পর্যন্ত ছিল। খেতাবের আকাঙ্ক্ষা নিয়ে মাঠে নামা অনেক দলই ঘাবড়ে গিয়ে নিজেদের খেলা ভুলে যায়। গোল না পেলে তো পাহাড়প্রমাণ চাপ সব দলকেই মানসিক ভাবে কোণঠাসা কর