Posts

Showing posts from February 18, 2019

ফের কিষান লংমার্চ ২০ ফেব্রুয়ারি

Image
মুম্বই: ফের নাসিক থেকে মুম্বই লংমার্চ-এ হাঁটতে চলেছে সিপিএমের কৃষক সভা। এই কিষান লংমার্চ শুরু হবে আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি৷ কিষান সভার সর্ব ভারতীয় সভাপতি তথা লংমার্চের নেতা অশোক ধাওয়ালে জানিয়েছেন, গত বছরের লংমার্চের একাধিক দাবি পূরণ না হওয়ায় এবারে ফের লংমার্চের করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে তা শুরুর আগে মহারাষ্ট্র সরকার বাম কৃষক নেতাদের গ্রেফতার করা শুরু করেছে বলে তাঁর অভিযোগ৷ ধাওয়ালের আশা, পুলিশ যতই গ্রেফতারি করুক না কেন গত লংমার্চের থেকেও এবারে বেশি মানুষ মিছিলে হাঁটবেন। এদিকে এই লংমার্চের বর্ষপূর্তির পাশাপাশি মহারাষ্ট্রের নাসিক অঞ্চলের একটি লোকসভা আসনে এনসিপি ও কংগ্রেসের সমর্থন নিয়ে সিপিএম ভোটে লড়বে।দ্বিতীয় লংমার্চের নেপথ্যে কাজ চলছে সেই নির্বাচনী লড়াইয়ের প্রস্তুতি। প্রসঙ্গত গত বছর কৃষকদের এই লঙ মার্চ ক্ষয়িষ্ণু সিপিএম পার্টিকে অক্সিজেন জুগিয়েছিল৷ গত বছর কয়েকদিন ধরে হেঁটে আসা এই লঙ মার্চে কৃষকদের শৃঙ্খলা এবং আচরণ মুগ্ধ করেছিল সাধারণ মানুষদের৷ বিশেষত মুম্বই শহরের যান চলাচল তথা সাধারণ নাগরিক এবং পরীক্ষার্থীদের যাতে কোনও রকম অসুবিধা না হয় তার জন্য লঙ মার্চের সময়ের পরিবর্ত

পার্টি ফান্ডে টাকা না দেওয়ায় অবসরপ্রাপ্ত সেনা জওয়ানকে মার, অভিযুক্ত তৃণমূল

Image
কোচবিহার: পার্টি ফান্ডে টাকা না দেওয়ায় প্রহৃত অবসরপ্রাপ্ত সেনা জওয়ান সমীর কুমার দাস৷ রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহারের দেওয়ানহাট এলাকায়৷ অভিযোগের তির তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যার স্বামী এবং তার সহযোগীদের দিকে৷ এদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে৷ যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা ও তার অভিযুক্ত স্বামী৷ জানা গিয়েছে, দু'বছর আগে সেনার চাকরি থেকে স্বেচ্ছায় অবসর নিয়েছেন প্রহৃত জওয়ান সমীর কুমার দাস৷ বর্তমানে তিনি অস্থায়ী ভাবে থাকেন বালুরঘাটে এবং তাঁর মা ও পরিবারের অন্যরা থাকেন কোচবিহারের দেওয়ানহাটে৷ মাঝে মধ্যে কোচবিহারের বাড়িতে যান সমীরবাবু৷ তিনি জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরেই তাঁর কাছ থেকে পার্টি ফান্ডের নামে মোটা অঙ্কের টাকা চাইত দেওয়ানহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যা ঝর্ণা সরকারের স্বামী শিবু সরকার৷ তাঁর কাছ থেকে দলের নামে চার লক্ষ টাকা চায় সে৷ প্রথমে তা দিতে অস্বীকার করেন সমীরবাবু৷ পরে বাধ্য হয়ে এক লক্ষ টাকা দেন তিনি৷ কিন্তু তাতেও অভিযুক্তদের ক্ষোভ প্রশমিত হয়নি৷ অভিযোগ, রবিবার সমীরবাবুকে বাড়ির কাছের একটি জায়গায় নিয়ে গিয়ে মারধ

কৃষ্ণগঞ্জের বিধায়ক সত্যজিত্ বিশ্বাস খুনে গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত অভিজিত্ পুণ্ডারি

Image
নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের বিধায়ক সত্যজিত্ বিশ্বাস খুনে গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত।  ধৃতের নাম অভিজিত্ পুণ্ডারি। সোমবার সকালে  পশ্চিম মেদিনীপুর ডেবরা রাধামোহনপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে সিআইডি। তার কাছ থেকে একটি বন্দুকও উদ্ধার করেছেন তদন্তকারীরা। বিধায়ক খুনের পর এক সপ্তাহ কেটে গেলেও মূল অভিযুক্ত গ্রেফতার না হওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হচ্ছিল। অভিজিতের বাংলাদেশ পালিয়ে যাওয়া নিয়েও সন্দেহ তৈরি হয়। এক্ষেত্রে পুলিস বিএসএফের সাহায্য চায়। গেঁদে ও বনগাঁ সীমান্তে বিএসএফের কাছে অভিজিতের ছবি দিয়ে সতর্ক করা হয়। এর আগে এই ঘটনায় সুজিত মণ্ডল ও কার্তিক মণ্ডল নামে আরও দুজনকে গ্রেফতার করা হয়।  ধৃত সুজিতকে জেরা করেই অভিজিতের নাম জানতে পারেন তদন্তকারীরা। জানা যায়, ঘটনার দিন অভিজিত মাঠেই ছিল।  সুজিতকে জেরা করে তদন্তকারীরা আরও জানতে পারেন, বিধায়ক সত্যজিত্ বিশ্বাসকে খুনের ছক অন্তত মাস ছয়েক আগে থেকেই হয়ে গিয়েছিল। চাকরির নাম করে তিন মাস কলকাতায় থাকে অভিজিত্ পুণ্ডারি। তখনই সে সত্যজিতকে খুনের ছক কষে। কলকাতায় তিন মাস কাটানোর পর ফের সে নদিয়ায় ফিরে যায়। গত ৬ মাস ধরেই সত্যজিতের প্রত্যেক গতিবিধির ওপর নজর রাখা

‘দেশ বিরোধী’ পোস্টে গ্রেফতার, জামিন পেয়েই উধাও গুয়াহাটির বাঙালি অধ্যাপিকা

Image
এই সেই অধ্যাপিকা। 'নিখোঁজ' হয়ে গেলেন পাপড়ি বন্দ্যোপাধ্যায়! পুলওয়ামায় জঙ্গি হানার পরে সেনাবাহিনী নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য এবং কেন্দ্রের সমালোচনা করে সাসপেন্ড হয়েছিলেন গুয়াহাটির ওই কলেজ শিক্ষিকা। পাশাপাশি, সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন ধরনের হুমকির মুখেও পড়েন তিনি। গুয়াহাটির আইকন কমার্স কলেজের ইংরাজি বিভাগের শিক্ষিকা পাপড়ি দেবী বিষয়টি নিয়ে যেমন এফআইআর করেছেন, তেমনই তাঁর বিরুদ্ধেও দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলাও দায়ের হয়েছে। পুলিশ তাঁকে গ্রেফতারও করে। পরে অবশ্য জামিন পেয়ে যান পাপড়ি। সোমবার থানায় হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু তিনি না যাওয়ায় পুলিশ পাপড়ির বাড়িতে গেলে তাঁর খোঁজ মেলেনি।  সোশ্যাল মিডিয়ায় কী লিখেছিলেন ওই কলেজ শিক্ষিকা? পাপড়ি লিখেছিলেন, "এই আক্রমণ কাপুরুষোচিত। কিন্তু কাশ্মীর উপত্যকায় ভারতীয় সেনা মহিলাদের ধর্ষণ করেছে, বাচ্চাদের খুন করেছে, পুরুষদের জবাই করেছে। দেশের সংবাদমাধ্যম নাগাড়ে সেখানকার লোকজনকে খলনায়ক সাজিয়েছে। কর্মফল ভোগ করতেই হবে।" পরে তিনি আরও লেখেন, "গো-মাতা ও রাম মন্দিরের বাইরে অন্য কোনও কিছু নিয়ে মাথা না ঘামানো সরকারের বিরাট গাফিলতির ফল এই জঙ্গি

ব্যক্তিগত আক্রোশে খুন? বিধায়ক খুনে জালে মূল অভিযুক্ত অভিজিৎ

Image
বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস খুনে গ্রেফতার (ইনসেটে) অভিজিৎ। নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস খুনে গ্রেফতার হল মূল অভিযুক্ত অভিজিৎ পুণ্ডারী। পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরা এলাকার রাধামোহনপুরে এক আত্মীয়ের বাড়িতে গা ঢাকা দিয়েছিল অভিজিৎ। সেখান থেকে ট্রেনে করে পালানোর সময় সিআইডি এবং জেলা পুলিশের যৌথ অভিযানে অবশেষে জালে পড়ল সে। গত ৯ ফেব্রুয়ারি রাতে পয়েন্ট ব্লাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে খুন করা হয় সত্যজিৎ বিশ্বাসকে। বিধায়ক খুনে এর আগে গ্রেফতার করা হয়েছে বেশ কয়েক জনকে। কিন্তু মূল অভিযুক্ত ধরা না পড়ায়, ক্ষোভ বাড়ছিল স্থানীয়দের মধ্যে। খুনের নেপথ্যে কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে, ব্যক্তিগত শত্রুতার কথাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তদন্তকারীরা। যদিও বিধায়ক খুন হওয়ার পর বিজেপি এবং তৃণমূল, একে অপরের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলতে শুরু করে। তৃণমূলের শীর্ষ স্থানীয় নেতারা অভিযোগ করেন, এই ঘটনার নেপথ্যে বিজেপির মদত রয়েছে। অন্য দিকে বিজেপির দাবি, গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের জেরেই খুন হয়েছেন বিধায়ক। মজিদপুর ফুলবাড়ি ফুটবল ময়দানে খুন হন সত্যজিৎ। চেয়ারে বসা বিধায়কের ডান দিকে দাঁড়িয়ে ছিল অভিজি

মোমবাতি হাতে মিছিল না করে বাংলার শহিদদের পাশে দাঁড়ান মমতা; ভারতী

Image
নয়াদিল্লিঃ  ভারতের ইতিহাসে সবথেকে বড় জঙ্গি হামলা। ভয়ানক এই হামলায় শহিদ হতে হয়েছে বাংলার দুই বীর জওয়ানকে। ভয়ানক এই ঘটনার পর শহিদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে গোটা দেশের মানুষ। সেলেব দুনিয়া থেকে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের সরকার সবাই ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে। কিন্তু বাংলার এই দুই শহিদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্যে এখনও পর্যন্ত মমতা সরকার কোনও ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেনি। আর তা যাতে দ্রুত দেওয়া হয় সেই দাবিই তুলল বিজেপি।   মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ আইপিএস অফিসার হিসেবে পরিচিত সদ্য গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়া ভারতী ঘোষ বলেছেন, মহারাষ্ট্র সরকার ইতিমধ্যেই ৫০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে। বিহার সরকার ১১ লক্ষ টাকা। অথচ জঙ্গি হামলায় নিহত সিআরপিএফ জওয়ানদের দু'জন পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা হলেও, এখনও পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেননি। শুধুই মোমবাতি হাতে মিছিল না করে এই জওয়ানদের পরিবার এখন কীভাবে চলবে, সেই ব্যাপারে পদক্ষেপ করতে হবে রাজ্যকে। প্রসঙ্গত, জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামায় ওই জঙ্গি হানায় প্রাণ হারিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের বাউরিয়ার বাসিন্দা বাবলু সাঁতরা এবং ত

মাধ্যমিকে প্রশ্নফাঁসের জন্য তৈরি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ, সিআইডি-র জালে ৫

Image
মাধ্যমিকের একের পর এক প্রশ্নফাঁসের ঘটনার তদন্তে নামল সিআইডি। আর শুরুতেই অনেকটা এগিয়ে গেলেন তদন্তকারীরা। সিআইডি সূত্রে খবর, বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার সাহায্যে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন ফাঁসে অভিযুক্ত  ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আরও ২ জন সন্দেহভাজনকে আটক করেছেন গোয়েন্দারা। ধৃতরা শাহবুল আমিন, শাহবাজ মণ্ডল, সাজিদুর রহমান। আটক দুজনের নাম, পরিচয় এখনও জানা যায়নি। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, এই পাঁচ অভিযুক্তের মধ্যে রয়েছে দুই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। মালদার কালিয়াচক এবং হুগলির পাণ্ডুয়ার বাসিন্দা এরা। একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করে প্রশ্ন ফাঁস করছিল। পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর উত্তরও এই গ্রুপের মাধ্যমেই তারা ছড়িয়ে দিচ্ছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়।  গত ১২ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়েছে এবছরের মাধ্যমিক পরীক্ষা। প্রথম দিন বাংলা, দ্বিতীয় দিন ইংরাজি প্রশ্ন, পরীক্ষা শুরুর আধঘণ্টা পর থেকেই ঘুরতে থাকে হোয়াটসঅ্যাপ-সহ নানা সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায়। পরের দুদিন ইতিহাস এবং ভূগোলের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটে। পরীক্ষা শুরুর আধঘণ্টা পরই প্রশ্ন বেরিয়ে যায় বাইরে। পরীক্ষার যৌক্তিকতা এবং নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। ক্ষোভ বাড়তে থাকে শ

বিয়েতে পাওয়া টাকা শহিদদের পরিবারের জন্য দান করলেন গুজরাটের নবদম্পতি

Image
পুলওয়ামার অবন্তীপোরায় সিআরপিএফ কনভয়ের উপর জইশ জঙ্গিদের আত্মঘাতী হামলার ফলে শহিদ হন ৪৯ জন জওয়ান। তারপর থেকে দেশজুড়ে তাঁদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানাতে ও তাঁদের আর্থিক সাহায্য করতে উদ্যোগ নেন সর্বস্তরের মানুষ। এবার সেই কাজে এগিয়ে এলেন গুজরাটের ভদোদরার এক নদম্পতি। বিয়েতে অতিথিদের থেকে পাওয়া সমস্ত অর্থ শহিদদের পরিবারের জন্য দান করলেন তাঁরা। আসলে পুলওয়ামার ঘটনার পরেই শহিদ সিআরপিএফ জওয়ানদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর পরিকল্পনা নেন গুজরাটের ভদোদরার কারেলিবাগ এলাকার ভিরাস পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু, কীভাবে তা করবেন প্রথমে ভেবে উঠতে পারছিলেন না। পরে ঠিক করেন সামনেই বাড়ির এক সদস্য মহেশের বিয়ে। সেই উপলক্ষ্যে বাড়িতে আসা অতিথিরা যা আর্থিক উপহার দেবেন তা পুরোটাই শহিদদের পরিবারগুলির জন্য দান করে দেবেন তাঁরা। বিষয়টি মহেশকে জানাতে তিনি এগিয়ে আসেন পরিকল্পনাটি বাস্তবায়িত করতে। অর্থের পরিমাণ যাতে আরও বাড়ে তাই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন জীবনসঙ্গী হতে চলা দীপিকার সঙ্গেও। সবকিছু শুনে নিজের বাড়িতে পাওয়া আর্থিক উপহারও এই কাজে দান করার প্রস্তাব দেন দীপিকা। আর তারপর পরিকল্পনা মতো রবিবার বিয়ের অনুষ্ঠানের

তথ্য পাচারের অভিযোগে গ্রেপ্তার কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থায় কর্মরত বিজ্ঞানী

Image
দুর্গাপুর: কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা থেকে গোপন তথ্য বাইরে বেরিয়ে যাচ্ছে। এই অভিযোগের তদন্তে নেমে ওই সংস্থায় কর্মরত এক বিজ্ঞানীকে গ্রেপ্তার করল দুর্গাপুর থানার পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থার গোপন তথ্য সংবাদমাধ্যমকে দিয়েছেন তিনি। ধৃতের নাম রুদ্র চট্টোপাধ্যায়। দুর্গাপুরে কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা সিএমইআরআই বা সেন্ট্রাল মেকানিক্যাল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটে কাজ করেন এই বিজ্ঞানী।  জানা গিয়েছে, দুই মাস আগে একটি বিশেষ প্রোজেক্টে কাজ করার জন্য তাঁকে পাঞ্জাবের লুধিয়ানায় বদলি করা হয়। বিজ্ঞানী রুদ্র চট্টোপাধ্যায় যখন দুর্গাপুরে চাকরি করতেন, তখন  সিএমইআরআই-র বেশ কিছু গোপন তথ্য সংবাদমাধ্যমের হাতে চলে যায়। বিষয়টি নজরে আসতেই নড়চড়ে বসে কর্তৃপক্ষ। ঘটনাটি জানানো হয় মানব সম্পদ উন্নয়নমন্ত্রকে। সিএমইআরআই-কে থানায় অভিযোগ দায়ের করার নির্দেশ দেয় কেন্দ্র। জানা গিয়েছে, গত বছরের নভেম্বরে কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা থেকে তথ্য পাচারের অভিযোগে এফআইআর দায়ের করা হয় দুর্গাপুর থানায়। তবে এফআইআরে অভিযুক্ত হিসেবে নির্দিষ্ট করে কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি। অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে থানায় অভি

পুলওয়ামা কাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড, মাসুদ ঘনিষ্ঠ কামরান খতম, সংঘর্ষে হত চার সেনাও

Image
সেনা তল্লাশি অব্যাহত, মূল চক্রী কামরান খতম।  পুলওয়ামা হামলার মূল চক্রী কামরানকে নিকেশ করল ভারতীয় সেনা। পুলওয়ামার পিংলান গ্রামে একটি বাড়িতে বেশ কয়েক জন জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে, এই খবর পাওয়ার পরই রবিবার গভীর রাত থেকে শুরু হয়েছিল তল্লাশি। তল্লাশি অভিযান চলাকালীনই জঙ্গিরা গুলি চালাতে শুরু করে সেনাবাহিনীর উপরে। সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষে মৃত্যু হয় এক মেজর এবং তিন সেনা জওয়ানের। গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয়েছে দুই জইশ জঙ্গিরও।  এই দুই জঙ্গির মধ্যে পুলওয়ামায় সিআরপি কনভয়ে হামলার মূল চক্রী কামরানও রয়েছে। অপর এক জঙ্গির নাম হিলাল। হিলাল পুলওয়ামারই স্থানীয় বাসিন্দা। জইশের একটি ঘাঁটি উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও খবর। দু'পক্ষের গুলির লড়াইয়ের মাঝে পড়ে মৃত্যু হয়েছে দুই স্থানীয়েরও। মৃত জঙ্গিদের মধ্যে এক জন জইশ কমান্ডার কামরান, এমনটাই জানা গিয়েছে।  গুলির লড়াই এখনও চলছে, কয়েক জন জঙ্গিও আত্মগোপন করে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। জঙ্গি আত্মগোপনের খবর পেয়ে রবিবার গভীর রাতে বাড়ি ঘিরে ফেলে ৫৫ রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের সেনা। সেনা সূত্র এবং আরও কয়েকটি সূত্রের কাছে খবর ছিল, কামরান-সহ আরও কয়েক জন জইশ জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে পুলওয়ামার আশেপাশেই। এ

নজরদারি এড়াতে সিমহীন মোবাইল দিয়ে যোগাযোগ রাখছিল পুলওয়ামার চক্রীরা!

Image
পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার পর চলছে কড়া নজরদারি। পুলওয়ামায় আধাসেনার কনভয়ে হামলার আগে শীর্ষ জইশ জঙ্গি নেতা এবং পাকিস্তানি 'হ্যান্ডলার'-রা আদিল এবং তার সঙ্গীদের যোগাযোগ রেখেছিল 'ওয়াই এসএমএস' প্রযুক্তিতে। গোয়েন্দাদের দাবি, ওই প্রযুক্তি ব্যবহার হওয়াতেই হামলার আগে কোনও নজরদারিতেই ধরা পড়েনি জঙ্গিদের কথোপকথন। বৃহস্পতিবারের হামলা পরবর্তী সময়ে তদন্ত করতে গিয়ে সেনা গোয়েন্দাদের হাতে জঙ্গিদের পাঠানো দু'টি বার্তা আসে। তার মধ্যে একটি বার্তায় রয়েছে: 'সাকসেসফুল ফিউনেরাল অব মুজাহিদিন জিশ মহম্মদ'। দ্বিতীয় বার্তা হল: 'ইন্ডিয়ান সোলজারস কিলড অ্যান্ড ডজনস অব ভেহিকলস ডেসট্রয়েড অন ফ্রেঞ্জি অ্যাটাক।' এই বার্তা হাতে পাওয়ার পরই সেনা গোয়েন্দারা বুঝতে পারেন জইশ জঙ্গিরা 'ওয়াই এসএমএস' প্রযুক্তিতে বার্তা চালাচালি করছে। 'ওয়াই এসএমএস' কী? সেনা গোয়েন্দাদের টেলি কমিউনিকেশন বিশেষজ্ঞদের সূত্রে জানা গিয়েছে, ওয়াই এসএমএস হল অতি উচ্চ রেডিও কম্পাঙ্ক (আল্ট্রা হাই রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি)। ওই প্রযুক্তির সাহায্যে এনক্রিপটেড মেসেজ পাঠানো সম্ভব। সহজ ভাষায়,একটি রেডিও সেটের সঙ্গে সিম কার্ডহী

জঙ্গিহানার প্রতিবাদে দেশজুড়ে ব্যবসা বন্ধের ডাক

Image
নয়াদিল্লি: সোমবার দেশজুড়ে ব্যবসা বন্ধের ডাক দিয়েছে কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স৷ পুলওয়ামায় জঙ্গি হানায় নিহত সেনাদের পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা দেখাতে এই বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে৷ গত বৃহস্পতিবার কাশ্মীরের পুলওয়ামায় জঙ্গিহানায় অন্তত ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে৷ তারই প্রেক্ষিতে এই বনধ৷এই বনধের ফলে বাজারগুলি বন্ধ রাখা হবে৷ এদিন দিল্লিতে পাইকারি এবং খুচরো বাজার বন্ধ থাকবে৷ পাশাপাশি মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ পশ্চিমবঙ্গ, উত্তর প্রদেশ রাজস্থান, তামিলনাড়ু, পাঞ্জাব হরিয়ানা জম্মু ও কাশ্মীরে এই বনধ পালন করা হবে৷ এই ব্যবসায়িক সংগঠনের সম্পাদক প্রবীন খান্ডেলওয়াল সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, এদিন ব্যবসায়ীরা অনশনেও বসছে এবং শোক মিছিলও বের করবে বিভিন্ন রাজ্যে৷ তিনি আরও জানান, তাদের পক্ষ থেকে নিহত সেনার পরিবারকে আর্থিক সাহায্যেরও ব্যবস্থা করা হচ্ছে৷ পাকিস্তানকে চিন সমর্থম করার চিনা পণ্য বয়কটের জন্য দেশজুড়ে প্রচার শুরু করা হচ্ছে বলে এই ব্যবসায়ী সংগঠনটি জানিয়েছে৷

সাত দিনের মধ্যে লাহোরে ঢুকে পাক ধংসের হুঁশিয়ারি ভারতীয় সেনার

Image
দেশের জনতা রাগে ফুঁসছে। প্রধানমন্ত্রী থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলছেন সেনাকে ছাড়পত্র দিয়ে বলছেন ভারতীয় সেনা তাঁরা যা খুশি করতে পারে। অনেকে পথে নেমে মিছিল করছেন। মোমবাতি থেকে মোবাইলের টর্চ লাইট জ্বালিয়ে বইছে শ্রদ্ধার বন্যা। কিন্তু যাদের সতীর্থদের প্রাণ গেল, যারা দিনের পর দিন জীবনের বাজি রেখে সীমান্তে লড়ছেন তাঁরা কি বলছেন? তাঁরা কি করতে চাইছেন? পুলওয়ামা হামলার দায় কাদের উপর দিচ্ছেন তাঁরা? সে খবর কেউ জানতে চায় না। তাই সোশ্যাল মাধ্যমেই নিজেদের মনের কথা জানিয়েছেন সেনা জওয়ানরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভারতীয় সেনার খাবারের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলে সরকারের চক্ষুশূল হয়েছিলেন এক জওয়ান। কিন্তু তাতে কিছু পরিবর্তন হয়নি। তাঁরা যে ভারতমাতার সৈনিক। পালটা দিতে তাঁরা পিছপা হন না। নেহাত তাঁদের হাত পা ধরে টেনে রেখেছে দেশের রাজনীতি , না হলে সব হামলার কড়া জবাব দিতে প্রস্তুত ভারতীয় সেনা। ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে এমনটাই আবারও তাঁরা জানাচ্ছেন আবারও সেই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেই। নাম না নিয়ে এক খুব্ধ সেনা জম্মু কাশ্মীরের সীমান্ত থেকেই ফেসবুক লাইভ করে জানিয়েছেন, "কেন আমাদের এভাবে আটকে রাখা হচ্ছে বলতে পারেন? সাতদিন সময় দিন। লাহোরে

মাধ্যমিকে প্রশ্নফাঁসের জন্য তৈরি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ, সিআইডি-র জালে ৫

Image
মাধ্যমিকের একের পর এক প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনার তদন্তে নামল সিআইডি। আর শুরুতেই অনেকটা এগিয়ে গেলেন তদন্তকারীরা। সিআইডি সূত্রে খবর, বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার সাহায্যে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন ফাঁসে অভিযুক্ত  ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আরও ২ জন সন্দেহভাজনকে আটক করেছেন গোয়েন্দারা। ধৃতরা শাহবুল আমিন, শাহবাজ মণ্ডল, সাজিদুর রহমান। আটক দুজনের নাম, পরিচয় এখনও জানা যায়নি। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, এই পাঁচ অভিযুক্ত একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করে প্রশ্ন ফাঁস করছিল। পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর উত্তরও এই গ্রুপের মাধ্যমেই তারা ছড়িয়ে দিচ্ছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। গত ১২ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়েছে এবছরের মাধ্যমিক পরীক্ষা। প্রথম দিন বাংলা, দ্বিতীয় দিন ইংরাজি প্রশ্ন, পরীক্ষা শুরুর আধঘণ্টা পর থেকেই ঘুরতে থাকে হোয়াটসঅ্যাপ-সহ নানা সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায়। পরের দুদিন ইতিহাস এবং ভূগোলের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটে। পরীক্ষা শুরুর আধঘণ্টা পরই প্রশ্ন বেরিয়ে যায় বাইরে। পরীক্ষার যৌক্তিকতা এবং নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। ক্ষোভ বাড়তে থাকে শিক্ষক মহলে। এভাবে পরপর প্রশ্নফাঁসের ঘটনা রীতিমতো কৌতুকের পর্যায়ে চলে যায় নানা স্তরে। মধ্যশিক্ষা

পুলওয়ামা হামলায় উত্তপ্ত আবহে আজ শুরু কুলভূষণ মামলার শুনানি

Image
পুলওয়াম হামলা নিয়ে ভারত-পাক সম্পর্ক এখন তলানিতে। এরকম এক অবস্থায় আজ বিদেশে পাকিস্তানের মুখোমুখি হচ্ছে ভারত। আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতে আজ শুরু হচ্ছে কুলভূষণ যাদব মামলার শুননি। হেগের আন্তর্জাতিক ন্যায় বিচার আদালতে ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ওই শুনানি চলবে। ভারতের পক্ষে কুলভূষণের হয়ে সওয়াল করবেন বিশিষ্ট আইনজীবী ও প্রাক্তন সলিসিটার জেনারেল হরিশ সালভে। পাশাপাশি পাকিস্তানের পক্ষে থাকছেন সে সেদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল আনোয়ার মনসুর। একসময় মনে করা হয়েছিল করতারপুর করিডোর খোলার ফলে দুদেশের মধ্যে সম্পর্ক অনেকটাই সহজ হবে। কিন্তু পুলওয়ামা হামলা তা একেবারেই ভেস্তে দিল। এরকম এক অবস্থায় এই মামলা ঘিরে ফের দুদেশের মধ্যে উত্তেজনার পারদ চড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। অবসরপ্রাপ্ত নৌসেনা অফিসার কুলভূষণ যাদবকে ২০১৭ সালের এপ্রিলে মৃত্যদণ্ড দেয় পাকিস্তানের সেনা আদালত। এর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে যায় ভারত। ২০১৭ সালের ৮ মে প্রথম ওই আপিল করা হয় আন্তর্জাতিক আদালতে। উল্লেখ্য, পাকিস্তানের দাবি বালুচিস্তানে ঢুকে ভারতের হয়ে চরবৃত্তি করছিলেন কুলভূষণ যাদব। যদিও কুলভূষণের পরিবারের দাবি অবসর নেওয়ার পর তিন

ফের রক্তাক্ত পুলওয়ামা, জঙ্গি-সেনা গুলির লড়াইয়ে শহিদ ১ মেজর সহ ৪ জওয়ান

Image
ফের রক্তাক্ত পুলওয়ামা। লুকিয়ে থাকা জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযানে নেমে প্রাণ হারালেন এক মেজর সহ ৪ জওয়ান। এছাডা়ও ১ জন সাধারণ নাগরিকও মারা গিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। শহিদ জওয়ানরা ৫৫ নম্বর রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের সদস্য। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এখনও চলেছে গুলির লড়াই। বৃহস্পতিবার জঙ্গি হানার পর থেকেই এলাকায় তল্লাশি চালাচ্ছিল সেনা। রবিবার রাত বারোটা নাগাদ খবর আসে পুলওয়ামার পিংলান গ্রামে লুকিয়ে রয়েছে ২-৩ জন জইশ জঙ্গি। তাদের ধরতেই অভিযানে নামে সেনা, সিআরপিএফ ও কাশ্মীর পুলিস। এলাকার ইন্টারনেট, মোবাইল অচল করে দেওয়া হয়। ভোররাতে একটি বাড়ি ঘিরে ফেলে নিরাপত্তা বাহিনী। পালানোর পথ না পেয়েই গুলি চালাতে শুরু করে বেপরওয়া জঙ্গিরা। জঙ্গিদের গুলিতে মারাত্মক আহত হন ৪ জওয়ান। এদের মধ্যে ছিলেন এক মেজরও। তাদের তড়িঘড়ি বাদামিবাগের সেনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে সকালে তাদের মৃত্যু হয়।   পুলওয়ামা হামলায় আত্মঘাতী জঙ্গি আদিল দারের প্রশিক্ষক রশিদ গাজি এখনও এলাকাতেই লুকিয়ে রয়েছে বলে গোয়েন্দাদের অনুমান। সেনা তত্পরতায় সে পালাতে পারেনি বলেই মনে করা হচ্ছে। এরকম এক অবস্থায় বৃহস্পতিবার হামলার পর থেকেই এলাকায় শুরু হয় তল্লাশি

সরকারি সুরক্ষা তুলে নেওয়া হল ৬ কাশ্মীরি নেতার উপর থেকে

Image
মিরওয়াইজ় উমর ফারুক ও সাবির শাহ। পুলওয়ামায় হামলার পরেই বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের নিরাপত্তা প্রত্যাহারের বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। রবিবার কাশ্মীরের ছয় বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতার নিরাপত্তা প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ গত কালই বলেছিলেন, ''পাকিস্তান ও আইএসআইয়ের কাছ থেকে যাঁরা অর্থ পান, তাঁদের আর নিরাপত্তা দেওয়া হবে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।'' আজ মিরওয়াইজ় উমর ফারুক, ফজল হক কুরেশি, আব্দুল গনি বাট, হাশিম কুরেশি, বিলাল লোন এবং সাবির শাহ— এই ছয় বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতার নিরাপত্তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। ওই নেতারা সরকারি খরচে অন্য যে সব সুবিধে পান, তা-ও প্রত্যাহার করা হবে বলে সরকারি সূত্রে খবর। সরকারের এই সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে হুরিয়ত মুখপাত্র বলেন, ''আমাদের নেতারা কখনও নিরাপত্তা চাননি। সরকারই নিরাপত্তা দিয়েছিল। এখন তারাই প্রত্যাহার করেছে। এটা আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়।'' বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের নিরাপত্তা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্তকে বিজেপি নেতৃত্ব স্বাগত জানিয়েছেন। কিন্তু এ

বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের নিরাপত্তা তুলে নেওয়া হল

Image
পুলওয়ামায় জঙ্গিদের হামলায় সেনা জওয়ানদের মৃত্যুর পর থেকে উত্তপ্ত জম্মু–কাশ্মীর৷ চলছে বিক্ষিপ্ত হিংসা৷ এই অবস্থায় কাশ্মীরি বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের আর কোনওভাবেই নিরাপত্তা দেওয়ার কথা ভাবল না সরকার৷ ফলে হুরিয়ত কনফারেন্সের শীর্ষ নেতাদের নিরাপত্তা বলয় তুলে নেওয়া হচ্ছে৷ জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই জম্মু–কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্টের নেতা মীরওয়াইজ উমর ফারুকের নিরাপত্তা তুলে নেওয়া হয়েছে৷ তিনি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের যৌথ সংগঠন অল পার্টি হুরিয়ত কনফারেন্সের অন্যতম নেতা তথা সংগঠনের নরমপন্থী গোষ্ঠীর প্রধান৷ সংবাদসংস্থা পিটিআই জানাচ্ছে, বিচ্ছিন্নতাবাদী মীরওয়াইজ বরাবরই কাশ্মীরের স্বাধীনতা নিয়ে মন্তব্য করেছেন৷ হুরিয়ত কনফারেন্সের অন্যান্য নেতৃত্বদেরও নিরাপত্তা দ্রুত তুলে নেওয়া হচ্ছে৷ তারা যেসব সরকারি সুযোগ পান সেটাও তুলে নেওয়া হবে৷ মোট পাঁচজন বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের ওপর থেকে এই নিরাপত্তা তুলে নেওয়া হয়েছে। মীরওয়াইজ উমর ফারুকের পাশাপাশি বাকি চারজন হল, আবদুল গানি ভাট, বিলাল লোন, হাসিম কুরেশি এবং সাবির শাহ। এমনকী কোনও অবস্থাতেই এই নিরাপত্তা দেওয়া হবে না বলে নির্দেশিকা জারি হয়েছে।

জঙ্গিহানার প্রতিবাদে পাকিস্তান সুপার লিগ সম্প্রচার থেকে সরে এল আইএমজি-রিলায়েন্স

Image
নয়াদিল্লি: পুলওয়ামায় জঙ্গিহানার প্রতিবাদে আইএমজি-রিলায়েন্স পাকিস্তান সুপার লিগ সম্প্রচার থেকে সরে এল ৷ গত বৃহস্পতিবার কাশ্মীরের পুলওয়ামায় এক জঙ্গিহানায় ৪০ জন সেনার মৃত্যু হয়৷ এমন দুঃখজনক ঘটনার প্রেক্ষিতে সংস্থাটি এই কাজ থেকে সরে আসছে বলে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডএর কর্তা শোহেব শেখ এবং কামিল খানের কাছে মেল পাঠিয়েছে বলে সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর৷ ঘটনাচক্রে ডিডি স্পোর্টস ভারতে এই খেলার সম্প্রচার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়ার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই রিলায়েন্সও এমন সিদ্ধান্ত নেয়৷ এক্ষেত্রে একমাত্র প্রযোজক হওয়ায় তারা সরে গেলে পাকিস্তান সুপার লিগের সম্প্রচার সম্ভব হবে না যতক্ষণ না কোনও বিকল্প প্রযোজক সংস্থার পরিষেবা পাওয়া যাচ্ছে ৷ তবে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর ওয়াসিম খান এক বিবৃতিতে জানান, এই বিষয়ে তাদের নতুন প্রযোজক সংস্থার নাম সম্ভবত সোমবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ঘোষণা করা হবে৷ প্রসঙ্গত, সেদিন কাশ্মীরের পুলওয়ামায় জঙ্গিহানার কিছুক্ষণের মধ্যেই সংযুক্ত আরব আমিরশাহির দুবাইয়ে উদ্বোধন হয় পাকিস্তান সুপার লিগে। আর পাকিস্তানের এই টি-টোয়েন্টি লিগের সম্প্রচারের ব

মদের দোকান বন্ধের দাবিতে মহিলাদের বিক্ষোভ, ফের উত্তেজনা বেতাইয়ে

Image
তেহট্ট: দিন দশেকের ব্যবধান। সরকার অনুমোদিত মদের দোকান বন্ধের দাবিতে ফের উত্তেজনা ছড়াল নদিয়ার তেহট্ট মহকুমার বেতাইয়ে। মদের দোকানে চড়াও হয়ে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় মহিলারা। ভাঙচুরেরও চেষ্টা হয়। শেষপর্যন্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনার প্রতিবাদে প্রশাসনের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ওই দোকানের মালিক। নদিয়ার তেহট্টের মহকুমার করিমপুর-কৃষ্ণনগর রোডের একেবারেই লাগোয়া জনপদ বেতাই। এলাকাটি যথেষ্ট জনবহুল। স্থানীয় একটি পেট্রল পাম্পের কাছে একটি মদের দোকান খোলার লাইসেন্স দিয়েছিল আবগারি দপ্তর। কিন্তু উদ্বোধনের আগেই সেই দোকানে চড়াও হয়েছিলেন স্থানীয় মহিলারা। রীতিমতো ভাঙচুর চালিয়ে মদের ক্রেটে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। তবে এবার আগুন লাগানো না হলেও, বেতাই এলাকারই অন্য একটি সরকারি অনুমোদিত মদের দোকানের ভাঙচুরের চেষ্টা করলেন মহিলারা। আগের দোকান থেকে এই দোকানটির দূরত্ব মেরেকেটে ৫০০ মিটার। বিক্ষোভকারী মহিলাদের বক্তব্য, "এলাকার বেশিরভাগ মানুষ কৃষক কিংবা শ্রমিক। সরকারই যদি মদের দোকান খোলার অনুমতি দেয়, তাহলে এলাকার পুরুষদের মদে আসক্তি আরও বাড়বে। তাহলে সংসার চলবে কী করে?" এদিকে বেতাইয়ে

রাস্তা ধসে চাপা পড়ে গেল পাঁচ শিশু, মর্মান্তিক ও ভয়ঙ্কর পরিণতি বাঁকুড়ায়

Image
গ্রাম সড়ক যোজনায় রাস্তায় কাজ চলছিল। সেখানেই খেলায় মেতেছিল জনা কয়েক শিশু। তখনই ঘটল বিপত্তি। মাটি চাপা পড়ে মৃত্যু হল তিন শিশুর। আরও দুই শিশু গুরুতর জখম হয়েছে। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বাঁকুড়ার পাত্রসায়রে। জখম শিশুদের বিষ্ণুপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বাঁকুড়ার পাত্রসায়রের আখড়াশোল গ্রামে বাড়ি তাদের। রবিবার দুপুরে খাওয়াদাওয়ার পর তারা খেলাধূলা ছিল। রাস্তার জন্য গর্ত খোঁড়া হয়েছিল। পাশে ছিল শুকনো নালা। তখন হঠাৎ করেই নির্মীয়মাণ রাস্তার একাংশ ভেঙে পড়ে। সেই মাটিতেই চাপা পড়ে যায় পাঁচজন। পাঁচজনকে উদ্ধারের চেষ্টায় ঝাঁপিয়ে পড়েন স্থানীয়রা। দুজনকে জীবন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। বাকি তিনজনের নিথর দেহ উদ্ধার করা হয়। তাদের হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে মৃতরা হল- পূজা বাউড়ি, শিল্পা বাউড়ি ও রিয়া বাউড়ি। স্থানীয়দের দাবি, শুকনো নালায় খেলার সময় মাটি ধরে ওঠানামা করছিল। তখনই হুড়মুড়িয়ে ধস নামে। রাস্তার মাটি ধসে চাপা পড়ে যায়। উল্লেখ্য, এমনই এক ঘটনা ঘটে নদিয়ার তেহট্টে। অবৈধভাবে মাটি তোলার সময় ধস নেমেছিল ইটভাটা লাগোয়া এলাকায়। তখন মাটি চ

পুলওয়ামা-কাণ্ডের পর ভারতীয় সেনার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক পোস্ট, বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা

Image
ভারতীয় সেনার বিরুদ্ধে বিতর্কিত পোস্ট করে তৃণমূল কংগ্রেসে বহিষ্কৃত হলেন এক নেতা। গোটা দেশ পুলওয়ামায় আত্মঘাতী জঙ্গি হামলা নিয়ে শোকপ্রকাশ করছেন, তখন যুব তৃণমূলের বালুরঘাটের টাউন সহ সভাপতি শান্ত সরকার ভারতীয় সেনাকেই কাঠগড়ায় তোলেন। আর এই দেশবিরোধী মন্তব্যের পর তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। পুলওয়ামা-কাণ্ডের পর দলমত নির্বেশেষ সমস্ত রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীরা সন্ত্রাসাবাদ ও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। এরই মধ্যে তৃণমূল নেতা শান্ত সরকার ভারতীয় সেনাদের কাঠগড়ায় তুলে একটি পোস্ট করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাতেই তৃণমূল কংগ্রেস কড়া ব্যবস্থা নেয়। ফেসবুকে একটি পোস্টে ভারতীয় সেনার বিরুদ্ধে কাশ্মীরিদের হত্যা ও মহিলাদের ধর্ষণের অভিযোগ করা হয়। সেই পোস্টে লাইক ও শেয়ার করেন তৃণমূল নেতা। তিনি তৃণমূলের এসএসটি সেলের বালুরঘাটের সভাপতি ছিলেন। তিনি টাউন যুব তৃণমূলের সহ সভাপতিও। রবিবার তাঁকে বহিষ্কারের পর তৃণমূল কংগ্রেসের এসএসটি সেলের জেলা সভাপতি তথা প্রাক্তন বিধায়ক সত্যের রায় জানান, তাঁর কৃতকর্মের জন্য পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্রের সঙ্গে আলোচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

পাকিস্তানে সেনা কনভয়ে আত্মঘাতী জঙ্গি হামলা, মৃত ৯, জখম ১১

Image
৩ দিন আগেই ঘটে গিয়েছে পুলওয়ামা জঙ্গি হামলা। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার আত্মঘাতী জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটল পাকিস্তানে। সেখানে বালুচিস্তানে সেনা কনভয়ে রবিবার সন্ধ্যায় আত্মঘাতী জঙ্গি বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছেন অন্তত ১১ জন। দ্য বালুচিস্তান পোস্ট-ের দাবি, বালোচ আজোই সাংগার বা বিআরএএস এই আত্মঘাতী জঙ্গি হামলার দায় স্বীকার করেছে। জানা গিয়েছে, বালুচিস্তানের চিন-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডর বা সিপিইসি- রুটের টারবাট ও পাঞ্জগুর-এর মধ্যে এই জঙ্গি হামলা হয়। সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মহম্মদ বিন সলমন-এর পাকিস্তানে পা রাখার ১ ঘণ্টা আগে এই বিস্ফোরণ হয়।  বালোচ রাজি আজোই সাংগার বা বিআরএএস হল বালুচিস্তানের তিনটি সংগঠনের একটি জঙ্গি ফোরাম। যার পোশাকি নাম বালুচ প্রো-ফ্রিডম অর্গানাইজেশন। এই ফোরামের মধ্যে রয়েছে, বালুচ লিবারেশন আর্মি, বালুচিস্তান লিবারেশন ফ্রন্ট এবং বালুচ রিপাবলিকান গার্ড