ব্যক্তিগত আক্রোশে খুন? বিধায়ক খুনে জালে মূল অভিযুক্ত অভিজিৎ


বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস খুনে গ্রেফতার (ইনসেটে) অভিজিৎ।

নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস খুনে গ্রেফতার হল মূল অভিযুক্ত অভিজিৎ পুণ্ডারী। পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরা এলাকার রাধামোহনপুরে এক আত্মীয়ের বাড়িতে গা ঢাকা দিয়েছিল অভিজিৎ। সেখান থেকে ট্রেনে করে পালানোর সময় সিআইডি এবং জেলা পুলিশের যৌথ অভিযানে অবশেষে জালে পড়ল সে।
গত ৯ ফেব্রুয়ারি রাতে পয়েন্ট ব্লাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে খুন করা হয় সত্যজিৎ বিশ্বাসকে। বিধায়ক খুনে এর আগে গ্রেফতার করা হয়েছে বেশ কয়েক জনকে। কিন্তু মূল অভিযুক্ত ধরা না পড়ায়, ক্ষোভ বাড়ছিল স্থানীয়দের মধ্যে। খুনের নেপথ্যে কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে, ব্যক্তিগত শত্রুতার কথাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তদন্তকারীরা।

যদিও বিধায়ক খুন হওয়ার পর বিজেপি এবং তৃণমূল, একে অপরের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলতে শুরু করে। তৃণমূলের শীর্ষ স্থানীয় নেতারা অভিযোগ করেন, এই ঘটনার নেপথ্যে বিজেপির মদত রয়েছে। অন্য দিকে বিজেপির দাবি, গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের জেরেই খুন হয়েছেন বিধায়ক।

মজিদপুর ফুলবাড়ি ফুটবল ময়দানে খুন হন সত্যজিৎ। চেয়ারে বসা বিধায়কের ডান দিকে দাঁড়িয়ে ছিল অভিজিৎ পুণ্ডারী। প্রত্যক্ষদর্শী শুভঙ্কর মণ্ডল পুলিশকে জানিয়েছেন, মূল অভিজিৎ হঠাৎই চাদরের তলা থেকে বন্দুক বের করে। পুলিশে কাছে শুভঙ্করের দাবি, ''আমি ভেবেছিলাম খেলনা বন্দুক। তার পরই একটা আওয়াজ, ধোঁয়া। দেখি সত্যকাকা মাটিতে পড়ে রয়েছেন।''

স্থানীয় এবং পুলিশের একটি সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, কয়েক মাস আগে বিধায়কের উপস্থিতিতে তৃণমূলের লোকজন অভিজিৎকে মারধর করে। কারণটা রাজনৈতিক ছিল না। পারিবারিক একটি সমস্যা নিয়ে অভিজিৎ তাঁর বৌদিকে গালিগালাজ করেন। অভিযুক্তের দাদা প্রসেনজিৎ বিধায়কের কাছে অভিযোগ করেছিলেন। 'শাসন' করতে এসে মারধর করায়, বিষয়টি ভাল ভাবে নেয়নি অভিজিৎ। সে কারণেই কি বিধায়ককে খুন করেছে অভিজিৎ? নাকি পিছন থেকে কেউ এই ঘটনার মদত দিয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। বিজেপি নেতারা যুক্ত কি না, তা-ও দেখা হচ্ছে।
ইতিমধ্যেই বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের নামে এফআইআর করা হয়েছে। ওই মামলায় তিনি হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিনও নিয়েছেন।