Posts

Showing posts from September 2, 2018

শিশুকন্যাকে খুন করে বালতিতে চুবিয়ে দুর্ঘটনা প্রমাণের চেষ্টা, গ্রেফতার মা

Image
মাত্র সাত মাসের মেয়ে। সে-ই নাকি আর্থিক অনটন নিয়ে এসেছে পরিবারে। এই অন্ধ বিশ্বাসেই শিশুকন্যাকে ওড়নার ফাঁস দিয়ে দমবন্ধ করে নৃশংস ভাবে খুন করলেন মা। খুনের পর আবার দুর্ঘটনার তত্ত্ব সাজাতে চুবিয়ে দিয়েছিলেন বালতিতে। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। দিল্লির হজরত নিজামউদ্দিন থানা এলাকায় গত ২০ অগস্টের এই ঘটনায় মৃত শিশুর মা বছর সাতাশের মহিলাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ২০ অগস্ট সন্ধ্যায় আদিবা নামে ওই মহিলা সাত মাসের মেয়েকে মুলচাঁদ হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তিনি জানান, বাথরুমে বালতির মধ্যে পড়ে জলে ডুবে গিয়েছিল শিশুটি। কিন্তু গলায় দাগ দেখে চিকিৎসকদের সন্দেহ হওয়ায় পুলিশে খবর পাঠান তাঁরা। দিল্লির এইমস হাসপাতালে শিশুটির মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় পুলিশ। গত ২৭ অগস্ট ময়নাতদন্তের রিপোর্টে মেলে। জানা যায়, জলে ডুবে নয়, শ্বাসরোধের কারণেই মৃত্যু হয়েছে ওই শিশুর। শিশুটির পাকস্থলি বা শরীরের ভিতরে কোথাও জল পাওয়া যায়নি। জলে ডুবে মৃত্যুর অন্য কোনও লক্ষণ ছিল না। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরই নতুন করে তদন্তে নামে পুলিশ। ওই মহিলার বাড়িতে গিয়ে বাথরুমে থাকা একটি বালতি-সহ বেশ কিছু সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত হয়। এরপরই ওই ম

চুল বসাতে গিয়ে ১৫ দিন অজ্ঞান রইলেন অভিনেতা, মাথায় দগদগে ঘা

Image
চুল গজানোর চিকিৎসার আগে ও পরে সাজিদ হাসান। গিয়েছিলেন টাক মাথায় চুল বসাতে। কিন্তু ডাক্তারের 'হাত যশে' ১৫ দিন অজ্ঞান থাকার পর কোনও ক্রমে বাড়ি ফিরলেন।। সঙ্গে উপরি পাওনা খুবলে নেওয়া মাথার খুলিতে দগদগে ঘা। ভয়াবহ অভিজ্ঞতার শিকার বিশিষ্ট অভিনেতা। টাকে চুল গজানোর বিজ্ঞাপনে হামেশাই দেখা যায় একই ব্যক্তির অপারেশনের আগের এবং পরের দু'টি ছবি। কিন্তু পাকিস্তানের বিখ্যাত অভিনেতা ও লেখক সৈয়দ সাজিদ হাসানের সেরকম পাশাপাশি দু'টি ছবি দেখলে শিউরে উঠবেন যে কেউ। হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট করাতে গিয়ে দুর্বিষহ অভিজ্ঞতার কথা পাক অভিনেতা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন একাধিক ভিডিও বার্তায়। তার পরই সেই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। ভিডিও বার্তায় সাজিদ জানিয়েছেন, গত কয়েক বছর আগে এক চিকিৎসকের সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়। সাজিদের কথায়, ওই চিকিৎসক কার্যত গায়ে পড়েই বন্ধুত্ব করেন। ধীরে ধীরে দু'জনের কিছুটা ঘনিষ্ঠতাও তৈরি হয়। কিন্তু এই বন্ধুত্ব পর্বে  গল্পগুজবের ফাঁকে মাঝে মধ্যেই ওই চিকিৎসক তাঁকে হেয়ার ট্রান্সপ্লান্টের পরামর্শ দিতেন। কিন্তু তিনি খুব একটা গুরুত্ব দেননি। তবে ভিতরে ভিতরে টাক নিয় কিছুটা যে হীনমন্যত

রাস্তা সারাতে মিক্সার মেশিনে বাড়ছে দূষণ

Image
বিষাক্ত: মিক্সার মেশিন থেকে নির্গত কালো ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ছে রুবি এলাকায়। রাস্তা তৈরির জন্য জনবহুল এলাকায় 'মিক্সার মেশিন' ব্যবহার করা যাবে না— এমনই নির্দেশ দিয়েছে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। তা সত্ত্বেও বাইপাসের রুবি মোড়ে রাস্তা সারাইয়ে টানা ব্যবহৃত হচ্ছিল ওই যন্ত্র। অভিযোগ, ওই যন্ত্র থেকে নির্গত কালো ধোঁয়ায় ভরে গিয়েছিল চার দিক। আর তার জেরেই দূষণ বেড়ে যায় আশপাশের এলাকায়। এমনকি, ওই ধোঁয়ায় অনেকে অসুস্থও বোধ করেছেন। এমনিতেই রুবি মোড় যথেষ্ট ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। সেখানে বেশ কয়েকটি বহুতলের পাশাপাশি রয়েছে তিনটি হাসপাতালও। অভিযোগ, শুধু এলাকাবাসীই নন, এই দূষণের জেরে ভুগতে হয়েছে ওই পথে যাতায়াতকারী পথচারী থেকে গাড়িচালক বা আরোহীদেরও। বুধবার রাতে অফিস থেকে বেরিয়ে বাইপাস ধরে বাড়ি ফিরছিলেন মল্লিকা মজুমদার। রুবি মোড়ের কাছে এসে তিনি দেখেন, আইল্যান্ড সংলগ্ন এলাকা কালো ধোঁয়ায় ভরে গিয়েছে। তাঁর প্রশ্ন, ''প্রথমে ভেবেছিলাম কোথাও আগুন লেগেছে। পরে জানতে পারলাম আইল্যান্ড সংলগ্ন রাস্তা সারানোর জেরেই এই ধোঁয়া। রাস্তা সারানো হচ্ছে ভাল কথা। কিন্তু সে জন্য কেন দূষণের কবলে পড়তে হবে?'' দূষণ নিয়ন্ত্

ছাত্র-ছাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষায় বাড়তি নজর

Image
পড়ুয়াদের জন্য স্কুলে স্কুলে চালু রয়েছে মিড-ডে মিলের ব্যবস্থা। কিন্তু তার পরেও পড়ুয়াদের স্বাভাবিক পুষ্টি ও বৃদ্ধি আদৌ ঠিক ভাবে হচ্ছে কি? সে দিকেই এ বার বাড়তি নজর দিতে চলেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও কলকাতা সর্বশিক্ষা মিশন বিভাগ। এর জন্য ইতিমধ্যেই জেলার প্রতিটি স্কুলে ওজন ও উচ্চতা পরিমাপ করার যন্ত্র দেওয়া শুরু করেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন। স্কুলে প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত মিড-ডে মিল প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ অর্থের ৬৫ শতাংশ দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। বাকি অর্থ দেয় রাজ্য। এর আগে এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে বহু অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু যে কারণে এই প্রকল্প, তা আদৌ কার্যকরী হচ্ছে কি না, সেই নজরদারি সর্বত্র চালানো হয় না বলেই দাবি বহু স্কুল কর্তৃপক্ষের। এ বার তাই কলকাতা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় এই প্রকল্পের উপরে নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে। কলকাতা সর্বশিক্ষা মিশনের চেয়ারম্যান কার্তিক মান্না জানিয়েছেন, স্কুলগুলিকে ওজন মাপার মেশিন এবং স্কেল ইতিমধ্যেই দেওয়া হয়েছে। তা দিয়ে প্রতি তিন মাস অন্তর পড়ুয়াদের শারীরিক চিকিৎসা করা হয়। তবে তিনি বলছেন, ''কিন্তু সরকার চাইছে বিষয়টিতে আরও গুরুত্ব দিতে। তাই নজরদারি আরও বাড়ানো

ডিএ নিয়ে স্যাটে হাতিয়ার বাম আমলের নির্দেশিকাই

Image
বাম সরকারের আমলের একটি নির্দেশিকাই শেষপর্যন্ত কর্মচারীদের হাত শক্ত করতে পারে বলে মনে করছে রাজ্য সরকারি কর্মচারী সংগঠনগুলি। ২০০৮ সালের ২৮ অগস্ট পঞ্চম বেতন কমিশন গঠন করেছিল তৎকালীন বাম সরকার। ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসেই সেই কমিশন রিপোর্ট দেয় সরকারকে। সূত্রের তথ্য, বেতন কমিশনের সুপারিশ রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে পেশ করার পরে সেগুলি মেনে নেওয়ার বিষয়টি নির্দেশিকার মাধ্যমে ২০০৯ সালের ২৩ জুলাই জানিয়ে দেয় অর্থ দফতর। ২০০৬ সালের ১ জানুয়ারির পরিবর্তে রাজ্য সরকার সেই বেতন কমিশন কার্যকর করেছিল ২০০৮ সালের ১ এপ্রিল থেকে। কমিশনের সেই সুপারিশগুলির মধ্যে অন্যতম ছিল মহার্ঘভাতার বিষয়টি। নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল, বেতন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী ২০০৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে রাজ্য সরকারের নির্ধারিত হারে কর্মীদের মহার্ঘভাতা দেওয়া হবে। অধিকারের বিষয়টি স্পষ্ট করে দিয়ে সম্প্রতি মহার্ঘভাতার বাকি বিষয়গুলি স্থির করার জন্য স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল বা স্যাট'কে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। সংগঠনের নেতারা মনে করছেন, ২০০৯ সালের সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী তাঁদের বকেয়া মহার্ঘভাতার দাবিটা প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে।

স্থায়ী স্তন্যপান কক্ষ চালু করার দাবি পুরুলিয়ায়

Image
যাত্রী প্রতীক্ষালয় এ ভাবেই সাজানো হয়েছিল। মাস ছয়েকের একটি শিশু যুবতী মায়ের কোলে থেকে থেকে কেঁদে উঠছিল। পাশের এক মহিলা বলে উঠলেন— ''ওর বোধহয় খিদে  পেয়েছে।'' বাচ্চার যে খিদে পেয়েছে, যুবতী মাও তা বুঝতে পেরেছেন। কিছুক্ষণ আগেই খিদে মেটানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু, বাসস্ট্যান্ড চত্বরে ভিড়ের জন্য তিনি সুবিধা করে উঠতে পারছিলেন না। ভিড় দেখে অসহায় মুখে এ বার তিনি বাচ্চাকে খাওয়াতে চলে গেলেন বাসস্ট্যান্ড থেকে কিছুটা দূরে এক গাছতলায়। আঁচল ফেলে সেখানেই তিনি শিশুকে দুধ খাওয়ালেন। ঘরের বাইরে কোলের শিশুকে খাওয়ানো নিয়ে কম বেশি সব মাকেই এই এক সমস্যায় পড়তে হয়। অস্ট্রেলিয়ার এক মহিলা সেনেটর লারিসা ওয়াটারস পার্লামেন্টে অধিবেশন চলাকালীন ১৪ সপ্তাহের শিশুকন্যাকে দুধ খাইয়েছিলেন। সেই ছবি ভাইরাল হয়। বিশ্বজুড়ে অনেকে তাঁর ওই ভূমিকার প্রশংসা করেন। শিশুদের মাতৃদুগ্ধ পানের গুরুত্ব বোঝাতে ১-৭ অগস্ট আন্তর্জাতিক ব্রেস্ট ফিডিং উইক পালন করা হয়। কী ভাবে, কত ক্ষণ সন্তানদের স্তন্যপান করাতে হয়, কোন ভঙ্গিতে শিশুকে কোলে রাখতে হয়— এ সব নিয়ে আলোচনা এবং প্রদর্শনী চলে। জেলা স্বাস্থ্য দফতর, আইসিডিএস এবং ইউনিসেফের যৌথ উ

১ ইঞ্চির স্টিকারের সূত্র ধরেই খুলল পার্থ খুনের রহস্য

Image
এক ইঞ্চির একটি স্টিকার। সেই সূত্রেই ডোমজুড়ের ব্যাঙ্ককর্মী পার্থ চক্রবর্তী খুনের রহস্য উন্মোচন হল। শুক্রবার বিকেলে ডোমজুড়ের কাটলিয়ার বাসিন্দা, পেশায় দর্জি বছর ছাব্বিশের শেখ সামসুদ্দিনকে আটক করেছিলেন তদন্তকারীরা। তাকে জেরা করে এবং সঙ্গে নিয়ে গিয়ে ওই রাতে অঙ্কুরহাটিতে মুম্বই রোডের ধার থেকে প্লাস্টিকে মোড়া অবস্থায় পার্থের কাটা মুণ্ড, দু'টি হাত এবং হাঁটুর নীচ থেকে কাটা দু'টি পা উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তাকে গ্রেফতার করা হয়। খুন এবং দেহ পাচারে সাহায্য করার অভিযোগে শনিবার গ্রেফতার করা হয় সামসুদ্দিনের বাবা মনসুর আলিকেও। তাদের বাড়ি থেকে মিলেছে পার্থের কাছ থেকে খোয়া যাওয়া ব্যাঙ্কের ৩ লক্ষ ৫৮ হাজার টাকাও। কিন্তু সামসুদ্দিনের খোঁজ মিলল কী ভাবে? এখানেই আসছে স্টিকারের কথা। পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার বিকেলে রাঘবপুর থেকে পার্থের দেহের যে অংশটি উদ্ধার করা হয়, তা মোড়া ছিল প্লাস্টিকে। ভিতরে ছিল অসংখ্য কাপড়ের টুকরোও। তারই একটিতে মেলে কলকাতার একটি পোশাক সংস্থার স্টিকারটি। ওই সংস্থা সামসুদ্দিনকে জামা তৈরির বরাত দিত। সামসুদ্দিনের নাম পাওয়ার পরে পার্থ সলপে যে বেসরকারি ব্যাঙ্কে চাকরি করতেন, সেখানে খোঁজ

বুলেটে ১ সেকেন্ড দেরিতেও ক্ষমা চাইবে রেল

Image
শুধু জাপানি প্রযুক্তিই নয়, জাপানি সংস্কৃতিও এ বার ভারতের বুলেট ট্রেনে। আর তাই আমদাবাদ-মুম্বই বুলেট ট্রেনের দু'ঘণ্টার সফরে এক সেকেন্ড দেরিতেও যাত্রীদের কাছে লিখিত ক্ষমা চাইবেন বুলেট ট্রেন কর্তৃপক্ষ। এ দেশে ট্রেন লেট নিত্যদিনের ঘটনা। রাজধানীর মতো ট্রেনও প্রতিদিন দেরিতে চলে। ভারতীয় রেলের সময়ে চলার হার যেখানে প্রায় ৭০ শতাংশ, জাপানে বুলেট ট্রেন গত ৫০ বছরে সব মিলিয়ে দেরি করেছে ১ মিনিটের সামান্য কিছু বেশি। জাপানের সময়ে চলার সংস্কৃতি এ বার দেশীয় বুলেট ট্রেনে আনতে চায় ন্যাশনাল হাই স্পিড রেল কর্পোরেশন (এনএইচএসআরসি)। জাপানি ঋণ ও জাপানি প্রযুক্তিতে এ দেশে বুলেট ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। ট্রেন চালানো শেখাতে বডোদরায় বুলেট ট্রেন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলার কাজ জোর কদমে শুরু করেছে এনএইচএসআরসি। ২০২০ সালের মধ্যে প্রথম পর্বের কাজ শেষ হবে। সংস্থাটি জানিয়েছে, ২০২২-২৩ সালের মধ্যে বুলেট ট্রেন চালু হয়ে যাবে। ট্রেন চালানো, স্টেশন ও সিগন্যালিং ব্যবস্থার জন্য প্রায় ৩৫০০ দক্ষ কর্মী প্রয়োজন হবে। এঁদের মধ্যে ১৫০০ জনকে জাপানে প্রশিক্ষণে পাঠানো হবে। বাকিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বডোদরা ক

শ্যামবাজারে শিশুকন্যাকে খুন করে ড্রেনে

Image
ঘুমন্ত মায়ের পাশ থেকে বৃহস্পতিবার রাতে উধাও হয়ে গিয়েছিল আড়াই বছরের মেয়েটি। প্রায় ২৪ ঘণ্টা পরে এলাকারই একটি ড্রেনে ঢাকনা-চাপা অবস্থায় মিলল তার দেহ! শ্যামবাজারের দেশবন্ধু পার্ক এলাকার শ্যামলাল স্ট্রিটের ঘটনা। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানিয়েছে, গলা টিপে মারা হয়েছে জবা দাস নামে ওই শিশুটিকে। তবে তার শরীরে যৌন নির্যাতনের প্রমাণ মেলেনি। উল্টোডাঙা থানা ও লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগ তদন্তে নামলেও শনিবার রাত পর্যন্ত অপরাধী অধরা। সন্দেহ করা হচ্ছে, শিশুটির মায়ের সঙ্গে কোনও শত্রুতার জেরেই এই খুন। ঠিক দু'বছর আগে, ২০১৬ সালের ৩১ অগস্ট রাতে ব্রেবোর্ন রোডের ফুটপাতবাসী বারো বছরের এক বালিকাকে সেখান থেকে জোর করে গাড়িতে তুলে পালিয়েছিল দু'জন যুবক। পরে মেয়েটির দেহ মেলে তিলজলা এলাকায়। ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছিল তাকে। খিদিরপুর এলাকা থেকে ধরা পড়ে অভিযুক্ত গুড্ডু এবং শঙ্কর। তাদের বিচার চলছে। পুলিশ জানিয়েছে, জবাকে নিয়ে রাজা দীনেন্দ্র স্ট্রিটের ফুটপাতে থাকতেন তার মা। সেখানেই থাকেন জবার মাসি, মেসো ও মাসতুতো ভাই-বোনেরা। জবা নিখোঁজ হওয়ার পরে শুক্রবার অভিযোগ দায়ের হয়েছিল উল্টোডাঙা থানায়। সে দিনই রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ

পরিবেশে ত্রাস ছড়াচ্ছে গোমাতার অন্ত্রের গ্যাস

Image
বৈদিক গ্রন্থে শাস্ত্রকারেরা বলছেন, 'অপ্সরা ও গন্ধর্বের শোভনগন্ধা গাভীর ন্যায় মেধা যেন আমার সঙ্গে যুক্ত হয়' । যুগ যুগ ধরে জনহিতে জড়িয়ে থাকা এই উপকারী প্রাণীটির সর্বাঙ্গই উপমাস্থল। কিন্তু ভারত তথা গোটা বিশ্ব জুড়ে ত্রাস ছড়াচ্ছে এই 'শোভনগন্ধা' গাভীর বাতকর্ম এবং উদ্গার। বিজ্ঞানীরা বলছেন— গরুর অন্ত্রে এমন কিছু জীবাণুর উপস্থিতি যার ক্রিয়ায় খাদ্যবিয়োজনের পর পায়ুপথে যে বায়ু নিঃসরণ হয় (এবং উদ্গারে) তা মিথেন গ্যাসে ভরপুর। উষ্ণায়নে যার ক্ষতিকর ভূমিকা কার্বন ডাইঅক্সাইডের থেকে অন্তত কুড়ি গুণ বেশি। গোটা বিষয়টিকে অবশ্য মানুষের 'কুকর্মের পরিণাম' বলে দাবি করছেন আরএসএস তথা সঙ্ঘ পরিবারের নেতারা। ভারত রক্ষা মঞ্চের মুখপাত্র সূর্যকান্ত কেলকারের যুক্তি, ''গরুর উপর অত্যাচারের পরিণাম এই বিষাক্ত গ্যাস নিঃসরণ। যে গোমাতার চার দিকে এক পাক ঘুরলে মানুষের বিকাশ হয়, তাকে কেটে খাওয়া হচ্ছে। এর ফল মানুষকে পেতেই হবে। এ বার নিজেদের সংযত করার সময় এসেছে। নয় তো পরিবেশ ছারখার করে মানুষকে শাস্তি দেবেন গোমাতা।'' একমত নন বিজ্ঞানীরা। বরং আমেরিকা, ব্রিটেনের পর ভারতের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়

মোমো-আতঙ্ক দুই জেলায়

Image
আতঙ্কের হোয়াটস্অ্যাপ। বাঁ দিকে, বসিরহাটে। ডান দিকে, ক্যানিংয়ে। এ বার মোমো-আতঙ্ক হাসনাবাদ এবং ক্যানিংয়ে। দুই পড়ুয়ার মোবাইলে মোমো-র নাম করে মেসেজ এসেছে।  হাসনাবাদ ব্লকের দক্ষিণ বিষ্ণুপুর গ্রামের বাসিন্দা সুস্মিতা মণ্ডল টাকি কলেজে দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। শনিবার সকাল ৯টা নাগাদ তাঁর মোবাইলে মেসেজ আসে। মোমো-র ছবি দেখে তিনি আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। মেসেজ মুছেও ফেলেন। কিন্তু তারপরেও বারবার মেসেজটি আসতে থাকায় তিনি লেখেন, ''কে রে তুই? কী চাস?''। পাল্টা মেসেজ আসে, 'আই অ্যাম মোমো'। এরপরে প্রায় তিরিশ মিনিট ধরে বেশ কয়েকটি 'হোয়াটসঅ্যাপ কল' আসে ছাত্রীটির মোবাইলে। ভয় পেয়ে মোবাইল বন্ধ করে দেন সুস্মিতা। বিষয়টি পরিবারের তরফে পুলিশকে জানানো হয়। হাসনাবাদের কাকাড়িয়া গ্রামে বাড়ি অমিত সর্দারের। শনিবার বেলা ১১টা নাগাদ টাকি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র অমিত তাঁর মোবাইলে মোমোর ছবি দেখে আতঙ্কিত হন। ১০ মিনিট ধরে তাঁর মোবাইলে একের পর প্রশ্ন আসায় বিষয়টি তিনি পরিবারের অন্যদের জানান। তাঁরা থানায় যোগাযোগ করেন। অমিতের কথায়, ''রাত ১২টায় ফের কথা হবে বলে জানিয়েছে মোমো।'' শনিবার সকালে

অসুস্থ ছেলেকে নিয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু

Image
দীপ দাস ও শ্যামল দাস ইট দিয়ে উঁচু করা তক্তপোষের উপরে পরপর গুছিয়ে রাখা খান ছয়েক বালিশ। তক্তপোষের নীচে ওষুধের শিশি, বেবি ফুড, দু'টো আপেল। মাথার উপরে রং চটা সিলিং ফ্যানটা ঘ্যাঁচঘ্যাঁচ শব্দ করে ঘুরে চলেছে। বাড়ির মেঝেয় বসে মাঝবয়সি মানুষটা কথা বলার জন্য শব্দ হাতড়ে চলেছেন। বেশ খানিকটা সময় নিয়ে তিনি বললেন, ''জানেন, সারা দিন ওই বালিশগুলো নিয়েই শুয়ে থাকত দীপ। শেষ দিকে আর নড়াচড়ার ক্ষমতা ছিল না ওর। দেখে কষ্ট হত।'' ফুঁপিয়ে কেঁদে ওঠেন তিনি। ফের শুরু করেন, ''শেষ দিকে খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল দীপ। ভাইও খেত না। খাবারের থালা নিয়ে ছেলের সামনে বসে থাকত। ছেলেটা যে আর থাকবে না, বুঝতে পেরেই এই পথ বেছে নিল ও।'' শুক্রবার রাতে আগরপাড়ার গাঁধীনগরের ৬ নম্বর রেল গেটের কাছে ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু হয়েছে শ্যামল দাস (৪৮) এবং তাঁর সন্তান দীপ দাসের (৯)। পুলিশ জানায়, এই ঘটনায় একটি সুইসাইড নোট মিলেছে। শ্যামলবাবুর নাম করে তাতে লেখা আছে, ''দাদা আমাকে ক্ষমা করিস। আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। ছেলেটা আর সুস্থ হবে না। আমি কী করে, কাকে নিয়ে বাঁচব?'' সব দেখে পুলিশের ধারণা,

মহাকাশে ‘রাক্ষস’, তা-ও উলঙ্গ! প্রমাণ করলেন দুই বাঙালি বিজ্ঞানী

Image
চন্দ্রচূড় চক্রবর্তী ও সুদীপ ভট্টাচার্য মহাশূন্যে এক ব্ল্যাক হোল রাক্ষস যে আবার উলঙ্গ, তা প্রমাণ করলেন দুই বাঙালি বিজ্ঞানী। বেজিংয়ে কাভলি ইনস্টিটিউট অব অ্যাস্ট্রনমি অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোফিজিক্স-এর চন্দ্রচূড় চক্রবর্তী ও মুম্বইয়ের টাটা ইনস্টিটিউট অব ফান্ডামেন্টাল রিসার্চ-এর সুদীপ ভট্টাচার্য ওঁদের আবিষ্কার ঘোষণা করেছেন বিখ্যাত জার্নাল 'ফিজিক্যাল রিভিউ'-তে। ব্ল্যাক হোল আসলে ভারী নক্ষত্রের প্রেত অবস্থা। নক্ষত্রের অগ্নিকুণ্ড চালু থাকলে তাপের কারণে তা ফুলে-ফেঁপে বড় হতে চায়। উল্টো দিকে, নক্ষত্রে উপস্থিত প্রচণ্ড পরিমাণ পদার্থ মহাকর্ষের ক্রিয়ায় তাকে সঙ্কুচিত করতে চায়। এই দুই বিপরীত ক্রিয়ার ভারসাম্যই নক্ষত্রের জীবন। কোনও তারার অগ্নিকুণ্ড চিরকাল স্থায়ী হতে পারে না। আগুন নিভলে ফুলে-ফেঁপে আয়তনে বাড়ার প্রবণতা উধাও। তখন শুধুই গ্র্যাভিটির নিষ্পেষণ। ভারী তারায় অনেক পদার্থ থাকে বলে তার বেলায় ওই অন্তর্মুখী চাপও প্রচণ্ড। তখন নক্ষত্রের কেন্দ্রে একটা শাঁস, যার ঘনত্ব অপরিসীম। এর বৈজ্ঞানিক নাম 'সিঙ্গুলারিটি'। সিঙ্গুলারিটির চার দিকে একটা এলাকা পর্যন্ত ওর তীব্র গ্র্যাভিটিজনিত আকর্ষণ বজায় থাকে। ওই

এশিয়াডে সোনা জিতে তাস খেলার ‘কুলীন’ হলেন দুই বাঙালি ‘বৃদ্ধ’

Image
প্রণব বর্ধন ও শিবনাথ সরকার। 'তাস, দাবা, পাশা/ তিন সর্বনাশা'— প্রবাদটা বদলে যেতে পারে এ বার। তাস যে আর নিছক সময় কাটানোর খেলা নয়, সেটা প্রমাণ করে দিলেন দুই বঙ্গসন্তান। সন্তোষপুরের প্রণব বর্ধন এবং হাওড়ার শিবপুরের শিবনাথ সরকার। জাকার্তা এশিয়াড থেকে আর এক বাঙালি স্বপ্না বর্মণের মতোই দেশের জন্য সোনার পদক আনলেন দুই বন্ধু— পুরুষদের ব্রিজের পেয়ার্স ইভেন্টে ৩৮৪ পয়েন্ট পেয়ে। চিনের ল্যাক্সিং ইয়ান এবং গ্যান চেনকে হারালেন তাঁরা। এই প্রথম বার তাসকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এশিয়াডে। প্রথম বছরেই সাফল্যের মুখ দেখে উদ্বেল দু'জনেই। তাস নিয়ে ওঠা নানা বিতর্ক সরিয়ে প্রণব-শিবনাথ বলেছেন, ''ব্রিজ জুয়া খেলা নয়। এটা দাবার চেয়েও কঠিন।'' কী ভাবে ব্যাখ্যা করা যায় এই সাফল্যকে? তাস খেলার 'কুলীন' হওয়া? প্রমাণ করে দেওয়া যে, হকি, ফুটবল, টেনিস, অ্যাথলেটিক্স, সাঁতারের মতো তাসও পারে মর্যাদার পদক এনে দিতে? নাকি প্রৌঢ়ত্বে দাঁড়ানো দু'টো মানুষের এশিয়াডে সোনা পাওয়ার বিরল কৃতিত্ব? প্রণব এবং শিবনাথ— দু'জনেরই বয়স পঞ্চাশ থেকে ষাটের কোঠায়। শনিবার তাঁদের জয়ের দিনে তাই শুরু হয়ে গেল আরও একটা চ