বুরারির ধাঁচে গণ আত্মহত্যা ঝাড়খণ্ডে, একই বাড়ি থেকে মিলল ৬টি ঝুলন্ত দেহ


বুরারির ছায়া এবার ঝাড়খণ্ডেও। একই বাড়িতে একই পরিবারের ৬ জনের মৃত্যুকে ঘিরে দানা বেঁধেছে রহস্য। মৃতদের মধ্যে রয়েছে দু'জন মহিলা ও দুই শিশু। বাড়ি থেকে একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার করেছে পুলিশ। সেখানে লেখা রয়েছে দেনায় দায়ে আত্মহত্যা করেছে গোটা পরিবার।

ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগে। পরিবারের পাঁচ জন গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। ষষ্ঠ জন আত্মহত্যা করেছেন বাড়ির ছাদ থেকে লাফ দিয়ে। পুলিশ সূত্রে এও জানা গিয়েছে ওই পাঁচ জনের নাম মবাহীর মাহেশ্বরী (৭০), কিরণ মাহেশ্বরী (৬৫), নরেশ আগরওয়াল (৪০), প্রীতি আগরওয়াল (৩৮), আমন (৮) ও অঞ্জলি (৬)। এই পরিবারের একটি ফলের দোকান ছিল।

সম্প্রতি পানিপথের একটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে একই পরিবারের তিনজনের দেহ। পানিপথের অভিজাত এলাকার ওই ফ্ল্যাটে গত একবছর ধরে থাকছিলেন ব্যবসায়ী রীতেশ গর্গ ও তাঁর পরিবার। স্ত্রী রেখা ও দুই সন্তান বংশ (১৫) ও পুষ্টি (১০)। শুক্রবার সকাল থেকে তাঁদের সাড়াশব্দ না পেয়ে বাড়িওয়ালা খোঁজ নিতে গিয়েই জানালা দিয়ে দেখতে পান রীতেশের ঝুলন্ত দেহ। পরে ঘরে ঢুকে দেখা যায় মাটিতে অচেতন অবস্থায় পড়ে রয়েছেন রীতেশের স্ত্রী রেখা। দুই সন্তান বংশ ও পুষ্টির দেহ উদ্ধার তাদের পড়ার ঘর থেকে। দু'জনেরই গলায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। যা দেখে পুলিশের প্রাথমিক ধারণা হয় শ্বাসরোধের কারণেই মৃত্যু হয়েছে দুই কিশোর-কিশোরীর।

আত্মঘাতী রীতেশ গর্গ পেশায় ব্যবসায়ী। সমনলখা এলাকায় ছাপাখানার ব্যবসা চালাতেন তিনি। ছেলে ও মেয়েকে ভাল স্কুলে পড়ানোর জন্যই এক বছর আগে পানিপথে আসে পরিবারটি। ভাড়া বাড়িতেই থাকছিল তারা। বাড়িওয়ালা অনিল বাত্রা জানিয়েছেন, গর্গ পরিবারে বড় কোনও অশান্তির কথা তাঁরা এই এক বছরে জানতে পারেননি। বরং বেশ হাসিখুশিই ছিল পরিবারটি। শুক্রবার রীতেশের বাবা-মা ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে ফোন করেন বাড়িওয়ালা বাত্রাকে। তারপরই গর্গদের খোঁজ নিতে যান তিনি।

তবে ঘটনায় রীতেশের স্ত্রী রেখা মারা যাননি। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, গর্গ দম্পতি প্রথমে বিষ খাইয়ে এবং শ্বাসরোধ করে দুই সন্তানের মৃত্যু নিশ্চিত করেন। তারপর নিজেরাও গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।