বিয়ের পর সেক্স ছাড়া এগুলি নিয়ে বেশি চিন্তা করে মেয়েরা


বিয়ে মস্ত বড় একটা দায়িত্ব। নতুন মানুষ, নতুন পরিবেশ, সব কিছুই একেবারে নতুন। বাড়ির চেনা জানা গণ্ডি থেকে বেরিয়ে একটা অচেনা পরিবেশে নিজের জায়গা করে নেওয়া নিঃসন্দেহে একটা চ্যালেঞ্জের বিষয়। বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িতে নিজেকে গুছিয়ে নিতে মেয়েদের একটা বছর সময় লেগেই যায়। তবে বিয়ে মানে যে শুধুই সেক্স। তা কিন্তু নয়। সেক্সের থেকেও অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে। সেগুলি হল....


শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বোঝা
শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের মন পাওয়া খুবই কঠিন। তবে এই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে অনেকেই ছেলের বউকে আপন করে নেন। আবার অনেকে ছেলে ও বউমার জীবনে একটু বেশি নাক গলিয়ে ফেলেন। যা সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এই বিষয়গুলির সঙ্গে মেয়েদের মাথা ঠান্ডা করে ডিল করতে হয়। অনেকেই পরিস্থিতির সামাল দিতে না পেরে স্বামীকে নিয়ে অন্যত্র চলে যান। কিন্তু, সেটা কোনও সমাধান নয়। তবে হ্যাঁ পরিস্থিতি যদি খুব খারাপ হয়ে যায় তাহলে অবশ্যই চলে যান। কারণ ইচ্ছে মতো বাঁচার অধিকার আপনারও রয়েছে। তবে যতক্ষণ পারবেন লড়ুন।

খাওয়া একটা বড় সমস্যা
খাওয়া খুব বড় একটা সমস্যা। অনেকেই অনেক খাবার খান না। কিন্তু, বাপেরবাড়িতে থাকাকালীন তা নিয়ে কোনও সমস্যা হয়নি। এদিকে বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িতে এটা খাব না সেটা খাব না এটা করা খুব বাজে বিষয়। তাই মনের দুঃখে কষ্ট করে হলেও সেই খাবারগুলি কোনওকমে খেয়ে নেন। এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করার একটা রাস্তা রয়েছে। তা হল প্রথমে তো এটা খাব না ওটা খাই না বলতে পারবেন না। তাই রান্নার ভারটা যদি পারেন নিজের হাতে নিয়ে নিন। দেখবেন কোনও সমস্যা হচ্ছে না। আর তা না হলে কথায় কথায় শাশুড়িকে বলে দিন আপনি কী পছন্দ করেন আর কী করেন না। এতেও কাজ না হলে শাশুড়ির অপছন্দের পদ রান্না করে তাঁকে খাওয়ান। এভাবে হয়তো পরিস্থিতি বদলাতে পারে।

নিজের একটা আলাদা জগৎ তৈরি করা
বিয়ের আগে কম বেশি সবাই নিজেকে নিয়েই বেশি চিন্তা করেন। মা-বাবাকে খুব একটা গুরুত্ব দেন না। নিজের জগৎ, নিজের চিন্তাভাবনা, নিজের ইচ্ছেগুলোকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া সবই চলে। কিন্তু, বিয়ের পর এগুলো একেবারেই চলে না। তখন নিজেরটা কম ভেবে শ্বশুরবাড়ির লোকের চিন্তা বেশি করতে হয়। যা মাঝে মধ্যে মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তবে আপনি যদি আপনার নিজের একটা জগৎ বজায় রাখতে চান তাহলে স্বামীকে সেকথা খুলে বলুন। না হলে ওই চারদেওয়ালের মধ্যে কখন যে নিজেকে হারিয়ে ফেলবেন তা বুঝতেই পারবেন না। সময় থাকতে থাকতে নিজেকে নতুন করে প্রতিষ্ঠিত করন।

আধ্যাত্মিক বিশ্বাস
এতদিন স্নান করে হয়তো ঠাকুর ঘরে যেতেন না। স্নান করে ফোন নিয়ে ঘাঁটতে ঘাঁটতে খেতে বসে যেতেন। মা ঠাকুর ঘরে যেতে বললেও যেতেন না। কিন্তু, বিয়ের পর তা করলে আর চলবে না। কারণ অনেকেই এই বিশ্বাসের উপর বাড়ির কল্যাণ-অকল্যাণকে যোগ করে দেন। ফলে আপনি যদি এ বিশ্বাসের গুরুত্ব না দেন তাহলে বাড়িতে অশান্তি লেগেই থাকবে। তাই বিশ্বাস না করলেও বাড়ির শান্তি বজায় রাখতে এগুলি করুন। কিছুটা মেনে নিন। দেখবেন আপনারও ভালো লাগবে।

কাজ ভাগ করে দিন
এখন প্রায় সবই নিউক্লিয়ার ফ্যামিলি। তাই কাজ খুব একটা বেশি থাকে না। সে যাই হোক না কেন, আপনি সবার মধ্যে কাজ ভাগ করে দিন। ছুটির দিনে স্বামীকে দিয়ে বাড়ির কাজ করান। বাজার করতে বলুন শ্বশুরকে। যদি তাঁর শরীর ভালো থাকে তবেই। না হলে নিজের কাজ কমানোর জন্য কোনও সবজি বিক্রেতাকে বলুন বাড়িতে এসে সবজি দিয়ে যেতে। আর এখন তো বেশিরভাগ জিনিস অ্যাপের মাধ্যমেই বাড়িতে পৌঁছে যায়।

ভালো খবর কবে আসবে ?
বিয়ের পর এই একটা প্রশ্ন শুনতে শুনতে কান পচে যায়। কয়েকজন মানুষের হাবভাব এমন থাকে যেন বিয়ের পর দিনই তাদের ভালো খবর দিয়ে দিলে ভালো হত। আর দু'বছর কেটে যাওয়ার পরও যখন কোনও ভালো খবর আসে না, তখন তো গুঞ্জন শুরু হয়। সব বর্তায় মেয়েদের উপর। কেন তারা বাচ্চা নিচ্ছে না তার উত্তরও মেয়েদের দিতে হয়। বিয়ে করার মূল কারণ হল বাচ্চা হওয়া। এটাই মূল লক্ষ্য হতে হবে একটা দম্পতির। এটা একেবারেই ঠিক না। সেই দম্পতি বাচ্চা নেওয়ার জন্য কতটা তৈরি আছে সেটা কেউ বোঝে না। তাই এসব কথায় খুব বেশি গুরুত্ব দেবেন না। আপনাদের যখন মনে হবে তখনই নিন। বাকিরা কয়েকদিন একই কথা বলতে বলতে থেমে যাবে।