খুন হল 'সুপারি কিলার' নিজেই, শেষ হল ২০ বছরের দুষ্কৃতী-রাজ


শুক্রবার বাড়ি থেকে বেরনোর সময় বউয়ের মাথায় হাত রেখে কথা দিয়েছিলেন, ঝামেলায় জড়াবেন না। রাতে বাড়ি ফিরে আসবেন। কিন্তু সেই রাতে কেন আর কোনওদিনই বাড়ি ফেরা হবে না বনগার 'সুপারি কিলার' অসীম ভট্টাচার্যের। বনগা এলাকায় তাঁর ২০ বছরের দুষ্কৃতি-রাজ শেষ হল রক্তাক্ত খুনের মধ্য দিয়ে। শনিবার সকালে ঠাকুর পল্লী এলাকা থেকে মেলে তাঁর লাশ।

খুনের দায়েই জেলে গিয়েছিলেন অসীম। কিন্তু সংশোধনাগারে এতটুকু পরিবর্তন হয়নি তার। মাত্র ৬ দিন জামিনে মুক্তি পেতেই ফের শুরু হয়েছিল তার দাদাগিরি। তবে তিনি নিজেও আশঙ্কা করছিলেন, তাঁর গতিবিধির উপর নজর রাখছে কেউ। ফাঁস হয়ে যাচ্ছে তার পরিকল্পনা। সন্দেহ বর্তেছিল এলাকারই আরেক দুষ্কৃতীর উপর।

জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে মদ্যপ অবস্থায় বন্দুক হাতে তার বাড়িতে হানা দিয়েছিলেন অসীম। তাকে না পেয়ে তার মাকে বেদাড়ক মারধর-ও করেন অসীম। এরপর অসীমের গতিবিধি সম্পর্কে আর কিছু জানা যায়নি। এদিন সকাল ১১টা নাগাদ ঠাকুরপল্লীর এক পুকুরের পাশ থেকে পুলিশ তার দেহ উদ্ধার করে। তার মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপের চিহ্ন মিলেছে।

পুরনো শত্রুতার জেরেই এই খুন, এব্যাপারে পুলিশ মোটামুটি নিশ্চিত। তাদের দাবি তারা আততায়ীদের চিহ্নিত করতে পেরেছে। তবে এখনও এই ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি। বনগা মহকুমা হাসপাতালে অসীমের দেহের ময়না তদন্ত করা হয়।

অসীমের খুনের খবরে অবশ্য স্বস্তিই পেয়েছে বনগাবাসী। তার নামে বনগা ও অশোকনগর থানায় চার-চারটি খুনের মামলা ছিল। এছাড়া তোলাবাজী, হুমকি, মাদক পাচার - অভিযোগের তালিকাটা ছিল দীর্ঘ। তার গ্রেফতারের দাবিতে একবার পথ অবরোদও করেছিলেন এলাকাবাসী।