শহরে বড়সড় ব্যাংক জালিয়াতি চক্রের পর্দাফাঁস, বর্ধমান ও ঝাড়খণ্ড থেকে গ্রেপ্তার ৪


শহরে বড়সড় ব্যাংক জালিয়াতি চক্রের হদিশ৷ তিন থেকে চার লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ৷ ঝাড়খণ্ড ও বর্ধমান থেকে চারজনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ৷ এদিকে মধ্যমগ্রামে ডেবিট কার্ডে প্রতারণার শিকার এক ব্যবসায়ী৷ ৫ দফায় অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও ৪৭ হাজার টাকা৷ বারাসাত থানায় অভিযোগ দায়ের৷

চাকরি জীবন থেকে অবসর নিয়েছেন৷ জীবনের শেষ সঞ্চয় জমা রেখেছেন ব্যাংকে৷ গচ্ছিত টাকার সুদেই চলে সংসার, কেউ আবার পেনশনভোগী৷ কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, বেছে বেছে এমন লোকদের নিশানা করত ব্যাংক জালিয়াতরা৷ কীভাবে চলত এই প্রতারণার চক্র? তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, গ্রাহকদের ব্যাংক ম্যানেজার পরিচয় দিয়ে ফোন করত প্রতারকরা৷ সকলেই ইংরেজিতে কথা বলায় রীতিমতো ওস্তাদ৷ ফলে গ্রাহকদের কোনও সন্দেহ হত না৷ প্রতারকদের ডেবিট কার্ডের নম্বর-সহ বিভিন্ন গোপন তথ্য জানিয়ে দিতেন তাঁরা৷ আর সেই তথ্য ব্যবহার করে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে নিত অভিযুক্তরা৷ কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দাদের দাবি, এভাবেই গ্রাহকদের অ্যাকাউন্ট খেকে উধাও হয়ে গিয়েছে তিন থেকে চার লক্ষ টাকা৷

দিন কয়েক আগে হেয়ার স্ট্রিট থানায় প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন এক ব্যক্তি৷ তদন্তে নামে কলকাতা পুলিশের ব্যাংক জালিয়াতি প্রতিরোধ শাখার গোয়েন্দারা৷ শনিবার রাতে ঝাড়খণ্ডের জামতারা ও বর্ধমান থেকে গ্রেপ্তার করা হয় চারজনকে৷ এই ব্যাংক জালিয়াতি চক্রের জাল কতদুর ছড়িয়েছে? এই চক্রের আরও কারা জড়িত? তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা৷ এদিকে আবার উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতে এক ব্যবসায়ী ডেবিট কার্ডের তথ্য হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারক৷ ওই ব্যবসায়ীর অভিযোগ, পাঁচ দফায় তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে ৪৭ হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে৷ বারাসাত থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি৷