চাকরি দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা, পুলিশের জালে হুগলির স্কুল শিক্ষক


হুগলি: চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার এক প্রাথমিক শিক্ষক। প্রতারিত ব্যক্তি হেয়ার স্ট্রিট থানায় ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায় নামে ওই শিক্ষককে হুগলির উত্তরপাড়ার মাখলা মানিকতলা এলাকার ফ্ল্যাট থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷

অভিযুক্ত সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিম মেদিনীপুরের এক স্কুলে শিক্ষকতা করত৷ সন্দীপের স্ত্রীও একজন স্কুল শিক্ষিকা৷ কলকাতার এক যুবকের সঙ্গে আলাপ হয় সন্দীপের৷ চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় সন্দীপ৷ অভিযোগ, চাকরি দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণাও করে সে৷ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পর থেকেই কলকাতার ওই যুবকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা বন্ধ করে দেয় সে৷

বেশ কয়েকদিন পর পুলিশের দ্বারস্থ হন প্রতারিত৷ হেয়ার স্ট্রিট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি৷ অভিযোগের ভিত্তিতে সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ৷  উত্তরপাড়ার মাখলা মানিকতলার একটি বহুতলে বসবাস করত সন্দীপ৷ তার ফ্ল্যাটেও হানা দেয় পুলিশ৷ সেখান থেকেই হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্তকে৷ ধৃতের বাড়ি থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিও উদ্ধার করেছে পুলিশ৷

গোটা ঘটনায় হতবাক সন্দীপের প্রতিবেশীরা৷ তাঁরা জানান, এলাকায় কারও সঙ্গে বিশেষ সম্পর্ক রাখতেন না সন্দীপ ও তাঁর স্ত্রী৷ বিলাসবহুল জীবনধারাতেই অভ্যস্ত ছিলেন ওই দম্পতি৷ নিজেদের গাড়ি ছিল না৷ তবে অ্যাপ ক্যাবে করেই বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াত করত সন্দীপ৷ শিক্ষক হিসাবে এলাকায় পরিচিতি ছিল সন্দীপের৷ সে যে এমন কাজে জড়িত তা কল্পনাও করতে পারছেন না সন্দীপের প্রতিবেশীরা৷

সন্দীপকে জেরা করছে পুলিশ৷ শুধু কলকাতার এই যুবক নাকি আরও কারও সঙ্গে প্রতারণা করেছে সে, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা৷ সন্দীপের এই কুকর্মের সঙ্গে আরও বড় কোনও জড়িত রয়েছে কী না, সে বিষয়েও অভিযুক্তকে জেরা করে জানার চেষ্টা করছে পুলিশ৷ প্রতারিত যুবকের সঙ্গে সন্দীপের স্ত্রীরও আলাপ ছিল৷ তিনিও এই ঘটনায় জড়িত কী না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷