জমির উপর দিয়ে তার গেলে টাকা পাবেন জমির মালিক, আইন আনছে রাজ্য

জমির উপর দিয়ে হাইটেনশনের লাইন গেলে টাকা পাবেন জমির মালিক৷ খুব শীঘ্রই নতুন আইন আনতে চলেছে রাজ্য সরকার৷ টিটাগড়ে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এমনটাই জানালেন বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়৷ পাশাপাশি তিনি বলেন, ভাঙরে পাওয়ার গ্রিড তৈরি করার ক্ষেত্রে তৃণমূলেরও কিছু খামতি থেকে গিয়েছিল৷ ঠিকমতো এলাকার মানুষকে বিষয়টা বোঝানো যায়নি৷ তার সুযোগ নিয়ে একদল মানুষ সেখানকার মানুষকে ভুল বুঝিয়েছেন৷

বিদ্যুৎমন্ত্রী এদিন বলেন, ''আমি এখনও বিশ্বাস করি ভাঙরে পাওয়ার গ্রিড হতে পারে৷ আমরা সেখানকার মানুষকে ঠিকমত বোঝাতে পারিনি৷ হয়তো ওঁদের কাছে আমরা পৌঁছাতে পারিনি৷ তাই একদল নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করতে সেখানকার মানুষকে ভুল বুঝিয়েছে৷ কোথাও পাওয়ার গ্রিডের তার গেলে সন্তান ধারণ ক্ষমতা কমে যায় কিংবা জমিতে ফসল জন্মাবে না, এগুলি ভিত্তিহীন কথা৷ কোনও সত্যতা নেই৷''

শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ''যেসব তথাকথিত নকশালবাদী ভাঙড়ে ঘাঁটি তৈরি করেছিল, তাঁরাই এলাকার মানুষকে ভুল বুঝিয়েছে৷ নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ পূরণ করতে৷ অথচ পাওয়ার গ্রিড কিন্তু রাজ্যের কোনও বিষয়ই নয়৷ কেন্দ্র সরকারের একটা প্রকল্প৷ যেখানে প্রথম থেকেই এলাকার উন্নয়নের কথা ভেবে আমরা সহযোগিতা করে এসেছি৷ অধিকাংশ জমিদাতাই পাওয়ার গ্রিড কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে টাকাও পেয়ে গিয়েছেন৷''

এরপরই বিদ্যুৎমন্ত্রী জানান, খুব শীঘ্রই রাজ্য সরকার বিদ্যুতের হাইটেনশন লাইনের ক্ষেত্রে নতুন আইন আনছে৷ এবার থেকে যে অঞ্চলের উপর দিয়ে হাইটেনশন তার যাবে সেই অঞ্চলের জমির মালিক জমির ন্যায্য মূল্য পাবেন৷ আগে এই আইন ছিল না৷ যেখানে ল্যাম্প পোস্ট বসানো হতো শুধুমাত্র সেই জমির দামই জমি মালিককে দেওয়া হতো৷

রবিবার সন্ধ্যায় উত্তর ২৪ পরগনার টিটাগড়ে পশ্চিমবঙ্গ পৌরকর্মচারী ফেডারেশনের নতুন কার্যালয় উদ্বোধন করতে এসে সাংবাদিকদের একথা জানান রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়৷ টিটাগড় বিটি রোড সংলগ্ন টাটা গেট এলাকায় এই কার্যালয়ের পথ চলা শুরু হল৷ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দমদমের সাংসদ সৌগত রায়, বারাকপুরের সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী, রাজ্য বিধানসভার মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ, টিটাগড় পুরসভার চেয়ারম্যান প্রশান্ত চৌধুরি, বারাকপুর পুরসভার চেয়ারম্যান উত্তম দাস, পশ্চিমবঙ্গ পৌরকর্মচারী সংঠনের প্রধান আশিস দে-সহ তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের নেতারা৷