সিকিমে জীবন বাজি রেখে ১৫০ পর্যটককে উদ্ধার করল সেনা


উত্তর ও পূর্ব সিকিমে নতুন করে তুষারপাতের ফলে আটকে পড়েছিলেন ১৫০ জন পর্যটক। জীবন বাজি রেখে তাঁদের উদ্ধার করল সেনা। গতরাত পর্যন্ত ৫০ জনকে উদ্ধার করে ডোগরাতে সেনা ব্যারাকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। বাকিদের উদ্ধার করে লাচুঙয়ে হোটেলে পাঠানো হয়েছে। গতকাল পূর্বাভাস মতোই বরফ পড়ে সিকিমে। উত্তর সিকিমের পুলিশ সুপার কে ডি স্যাঙদরপা জানিয়েছেন, ভারী তুষারপাতের জেরে লাচুং থেকে ইয়ুমথাঙয়ের রাস্তায় বরফ জমে যায়। ফলে ওইপথে পর্যটকদের গাড়ি পিছলে খাদে পড়ার ঝুঁকি থাকায় গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে সেনা জওয়ান ও পুলিশের সহযোগিতায় অন্তত ৭০ জনকে উদ্ধার করে হাঁটাপথে লাচুঙয়ে নামিয়ে আনা হয়েছে।

পূর্বাভাস মতো উত্তর সিকিমের লাচেন, লাচুং, গুরুডোঙ্গমার, গোম্পা সহ পূর্ব সিকিমের ছাঙ্গু , বাবামন্দির, নাথুলাসহ বিভিন্ন জায়গায় দফায় দফায় বরফ পড়েছে গতকাল। সেনা সূত্রে খবর, বরফে আটকে পড়া পর্যটকদের উদ্ধারে নামেন সেনাবাহিনীর ত্রিশক্তি কর্পসের শিখ রেজিমেন্টের জওয়ানরা। সবমিলিয়ে অন্তত ১৫০ জন পর্যটককে উদ্ধার করা হয়। টানা দু'ঘণ্টা তুষারপাতের জেরে ওই এলাকাগুলিতে তাপমাত্রা মাইনাস দশ ডিগ্রির নিচে নেমে যায়। ফলে আটকে পড়া পর্যটকদের মধ্যে অনেকেই শ্বাস-প্রশ্বাস সহ নানান সমস্যায় ভুগতে শুরু করেন। এরমধ্যে ৫০ জন পর্যটককে সেনা ব্যারাকে আশ্রয় দেওয়ার পাশাপাশি তাঁদের জন্য পর্যাপ্ত খাবার, পানীয় এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে সেনার তরফে। 

সিকিমের আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস ছিলই। পূর্বাভাস মতো অনেক পর্যটক উত্তর সিকিমে বেড়াতে যান তুষারপাতের সাক্ষী থাকতে। তার জেরে আবার আটকে পড়েন পর্যটকরা। গতকাল পূর্ব সিকিমের ছাঙ্গু ও সংলগ্ন এলাকায় দুপুর তিনটের পর তুষারপাত শুরু হয়। দফায় দফায় বরফ পড়লেও সেখানে কোনও পর্যটকের আটকে পড়ার খবর নেই বলে জানিয়েছেন সিকিমের সেরাথাং থানার OC থেণ্ডুপ শেরপা। তিনি বলেন, "আজ সকালে যত পর্যটক ছাঙ্গু ও বাবামন্দির এলাকায় ঘুরতে গেছেন তাঁরা সবাই বিকেলের মধ্যেই গ্যাংটকে ফিরে গেছেন।" তবে তিনি জানান, রাতভর তুষারপাতের জেরে আজ রাস্তার অবস্থা কী হয় তা দেখে সকালে পর্যটকদের ছাঙ্গুতে ও বাবামন্দির যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার বিষয়টি ঠিক করা হবে। এদিকে গতকাল শৈলশহর দার্জিলিংয়ের দিনের তাপমাত্রাও স্বাভাবিকের থেকে দুই ডিগ্রি নিচে নেমে যায়।