বড় বউদির সঙ্গে স্বামীর 'সম্পর্ক' ভালো ঠেকেনি! বিয়ের ১১ মাসের মাথায় মর্মান্তিক পরিণতি যুবতী স্ত্রীর


বড় বউদির সঙ্গে স্বামীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক। সেকথা জানতে পেরে প্রতিবাদ করেছিলেন সদ্য বিয়ে করা স্ত্রী। পরিণতি হল মর্মান্তিক। বিয়ের ১১ মাসের মাথায় অস্বাভাবিক মৃত্যু হল যুবতী গৃহবধূর। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে নদীয়ার তাহেরপুরে। মৃতার নাম সুজাতা মিত্র। বয়স সবে ১৯ বছর।

তাহেরপুরের বাদকুল্লা বাপুজিনগর গ্রামের বাসিন্দা অরিন্দম মিত্রের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল সুজাতার। গত বছর পয়লা ফেব্রুয়ারি দেখাশোনা করেই অরিন্দম মিত্রের সঙ্গে বিয়ে হয় মালদার মুচিয়া অঞ্চলের তরুণী সুজাতা বিশ্বাসের। বিয়ের সমস্ত প্রচুর পণ নেয় বরপক্ষ। নগদ ১ লাখ, সোনাদানা, আসবাবপত্র- কোনওটাই বাদ যায়নি। মেয়ের শ্বশুরবাড়ির দাবিদাওয়া মেনে সবই সাজিয়ে গুছিয়ে দিয়ে মেয়েকে স্বামীর ঘর করতে পাঠান সুজাতার বাড়ির লোকেরা।

কিন্তু, শ্বশুরবাড়িতে পা রাখা মাত্র-ই স্বামী আর বড় জায়ের আচার আচরণ নিয়ে মনে খটকা লাগে সুজাতার। বড় বউদির সঙ্গে স্বামীর 'মাখো মাখো' ভাবটা চোখে লাগে যুবতী স্ত্রীর। মনের কোণে দানা বাঁধে সন্দেহ। বেশ কিছুদিন যাওয়ার পরই সুজাতার সন্দেহ সত্যি হয়। সুজাতা জানতে পারে যে বড় বউদির সঙ্গে তাঁর স্বামী অরিন্দম মিত্রের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে।

স্বামীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের প্রতিবাদ করেন সুজাতা। অভিযোগ, তারপর-ই শুরু হয় অত্যাচার। বাপের বাড়ি থেকে আরও টাকা নিয়ে আসার জন্য সুজাতার উপর চাপ দেওয়া শুরু হয়। নানাভাবে সুজাতার উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতে শুরু করে স্বামী অরিন্দম মিত্র ও জা, এমনকি ভাসুরও।

অভিযোগ, এরপর বুধবার স্বামী-জা মিলে সুজাতাকে শ্বাসরোধ করে খুন করে। প্রমাণ লোপাটের জন্য শ্বাসরোধ করে খুনের পর গলায় ওড়নার ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে দেয় দেহ। এই অভিযোগে তাহেরপুর থানায় স্বামী, জা ও ভাসুর- এই তিনজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মৃতার বাবা যোগেন বিশ্বাস। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। এদিকে ঘটনার পর থেকেই পলাতক স্বামী সহ অন্যরা। অভিযুক্তদের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি।