দপ্তরে এসেই ১০ আধিকারিকের বদলির নির্দেশ বাতিল করলেন বর্মা


দপ্তরে যোগ দিয়ে প্রথম দিনেই অস্থায়ী প্রধানের জারি করা সব বদলির নির্দেশিকা খারিজ করে দিলেন সিবিআই অধিকর্তা অলোক বর্মা। এই সবদলির নির্দেশিকাই জারি করেছিলেন নাগেশ্বর রাও। সিবিআইয়ের অস্থায়ঈ অধিকর্তা পদে আসার পরেই অলোক বর্মার টিমের ১০ সিবিআই অফিসারের বদলির নির্দেশিকা জারি করেছিলেন নাগেশ্বর রাও। শীর্ষ আদালতের নির্দেশিকা মেনে দপ্তরে যোগ দিয়ে প্রথম দিনেই সেই নির্দেশিকা বাতিল করে দেন অলোক বর্মা।যদিও শীর্ষ আদালত তাঁকে পদে ফেরানোর সময় সতর্ক করে জানিয়েছিল কোনও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না।এদিকে সিবিআই অধিকর্তা অলক বর্মার ভাগ্য নির্ধারণ করতে বুধবার রাতে বৈঠকে বসল নিয়োগ কমিটি। সোমবার সুপ্রিম কোর্ট বর্মাকে ছুটিতে পাঠানোর নির্দেশ বাতিল করে। নিয়োগ কমিটির বৈঠক ছাড়া সরকার একতরফা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বলেই। এক সপ্তাহের মধ্যে কমিটির বৈঠক ডাকতে বলা হয়। নিয়োগ কমিটিতে আছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, সব থেকে বড় বিরোধী দল কংগ্রেসের নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে ও সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। তবে এই মামলাটির বিচারে যুক্ত ছিলেন বলে গগৈ নিজে থাকেননি। তাঁর প্রতিনিধিত্ব করছেন সর্বোচ্চ আদালতের দ্বিতীয় বর্ষীয়ান বিচারপতি অর্জন কুমার সিক্রি। প্রধানমন্ত্রীর লোককল্যাণ মার্গের বাড়িতে রাতে বসে এই বৈঠক। এদিকে ৭৭ দিন বাধ্যতামূলক ছুটিতে থাকার পর আজ অফিসে যোগ দেন অধিকর্তা অলোক বর্মা। সিবিআই প্রধানকে স্বাগত জানান অন্তর্বর্তী সিবিআই ডিরেক্টর নাগেশ্বর রাও। বর্মার কাজের মেয়াদ ৩১ তারিখ পর্যন্ত। ২৩–২৪ অক্টোবরের মধ্যরাতে কেন্দ্র ছুটিতে পাঠিয়েছিল বিশেষ অধিকর্তা রাকেশ আস্থানার সঙ্গে তাঁর বিবাদের কারণে। দুজনেই পরস্পরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন। আজকের বৈঠকে সিভিসি–র তরফে বর্মার বিরুদ্ধে তদন্তে কী তথ্য উঠে এসেছে তা কমিটির সদস্যদের কাছে ব্যাখ্যা করা হয়। খাড়গে এই বৈঠক পিছিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করেছিলেন।