রাজ্যসভাতেও পাস সংরক্ষণ বিল, কত ভোটে ফয়সালা একনজরে, এখন স্রেফ আইনের অপেক্ষা


লোকসভার পর রাজ্যসভাতেও পাস হয়ে গেল সংরক্ষণ সংশোধনী বিল। সংরক্ষণের পক্ষে ভোট পড়ল ১৬৫টি। আর বিপক্ষে ভোট মাত্র সাতটি। এই বিল সিলেক্ট কমিটিতে যাওয়া নিয়ে দাবি তোলেন বিরোধীদের একাংশ। তাও এদিন খারিজ হয়ে যায় ভোটাভুটিতে। ১৫৫-১৮ ভোটে তা খারিজ হয়ে যায়। ফলে উচ্চবর্ণের সংরক্ষণ জন্য এই সংশোধনীতে বাধা রইল না।

সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে এই বিল সংসদের দুই কক্ষেই পাস হয়ে যাওয়ায় শিক্ষা ও চাকরিতে আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া উচ্চবর্ণের মানুষেরা সংরক্ষণের আওতায় আসবেন। এই বিল পাস হয়ে যাওয়ায় পণ্ডিত, জাঠ, গুর্জর, মারাঠারা সংরক্ষণের সুবিধা পাবেন। সবমিলিয়ে ১৯ কোটি মানুষ এই সংরক্ষণের আওতায় আসবেন।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় সংরক্ষণ প্রস্তাব পাস হয়ে যাওয়ার পর তা সংবিধান সংশোধনী হিসেবে সংসদে পেশ করা হয় মঙ্গলবার। বিলকে আইনে পরিণত করার প্রথম ধাপে অর্থাৎ লোকসভায় পাস করে যায় মোদী সরকার। বুধবার রাজ্যসভাতেও তা পাস হয়ে গেল। সিলেক্ট কমিটিতে যাওয়ার প্রস্তাবও খারিজ হয়ে গেল এদিন।

উল্লেখ্য, এই সংরক্ষণের জন্য যেসব শর্ত রাখা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে পারিবারিক আয় হতে হবে বছরে ৮ লক্ষ টাকার নীচে। জমি থাকতে হবে ৫ একরের কম। বাড়ি হতে হবে ১০০০ স্কোয়ার ফুটের কম। বর্তমানে তফশিলি জাতি, তফশিলি উপজাতি এবং অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির মানুষেরা যথাক্রমে ১৫%, ৭.৫% এবং ২৭% সংরক্ষণের সুবিধা পেয়ে থাকেন। সবমিলিয়ে এই সংরক্ষণ ৪৯.৫%। এই আইন কার্যকর করতে গেলে সংবিধানে সংশোধনীর প্রয়োজন