মোদীকে গুপ্তহত্যার ছক কষেছিল ISIS


গান্ধীনগর: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে হত্যার ছক কষে ইসালামিক স্টেট৷ বিস্ফোরক তথ্যটি দিচ্ছে গুজরাতের সন্ত্রাস দমন শাখা৷ গত বছরের অক্টোবর মাসে গুজরাতের আঙ্কেলেশ্বর থেকে আইএস জঙ্গি সন্দেহে ২ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ৷ সেই মামলার পেশ করা চার্জশিটে মোদীকে হত্যার ছক কষা হয় বলে উল্লেখ আছে৷

ধৃত মীরজা ও মহম্মদ কাশিম স্টিম্বারওয়ালার বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করে সন্ত্রাস দমন শাখা৷ চার্জশিটে মীরজার হোয়াটস অ্যাপ চ্যাটের কথা উল্লেখ রয়েছে৷ হোয়াটস অ্যাপে 'ফেরারি' নামে একজনের সঙ্গে কথা হচ্ছিল৷ মোদীর নাম নিয়েই তাঁকে স্নাইপার রাইফেল দিয়ে গুলি করার কথা বলা হয়৷ এই কথোপকথনটি ২০১৬-র ১০ সেপ্টেম্বরের৷

আরও একটি হোয়াটস অ্যাপ চ্যাটেও বিস্ফোররক তথ্য মেলে৷ ২০১৬-র ২৬ জুলাই পাওয়া তথ্যে, রাশিয়ান পিস্তলের কথা উল্লেখ করে ফেরারি, মীরজা উত্তর দেয়-'পিস্তলটি আমার চাই'৷ এছাড়া দেশে আসা বিদেশি পর্যটকদের উপর হামলার ছকও করা হয়৷ ধৃত মহম্মদ কাশিম ও মীরাজার সরাসরি ইসলামি স্টেটের সদস্য না হোলেও, জঙ্গি ভাবনায় প্রভাবিত বলে দাবি এটিএসের৷

আঙ্কেলেশ্বরের একটি গবেষণাগারে প্রযুক্তি কর্মী হিসেবে কাজ করত মহম্মদ কাশিম৷ অন্যদিকে সুরাট জেলা আদালতের আইনজীবী ছিল মীরজা৷ ২জনের সঙ্গেই আবদুল্লা এল-ফয়জাল নামে এক ধর্মপ্রচারকের যোগাযোগ ছিল৷ এদের সঙ্গে অস্ত্র লেনদেন করত মীরাজারা৷ জিউস-দের হত্যার ছকও কষা হয়৷

চার্জশিটে জামাইকার নাগরিক ফয়জালের নাম রয়েছে৷ পাশাপাশি, রয়েছে সাফি আর্মার নামে এক আইএস জঙ্গির নাম, যাকে চার্জশিটে পলাতক বলা হয়েছে৷

ইসালামিক স্টেটের এই গোটা নেটওয়ার্কই প্রধানমন্ত্রীকে গুপ্তহত্যার ছক কষেছিল৷ সেভাবেই অস্ত্র লেনদেনের পরিকল্পনা করা হয়৷ এছাড়াও বেস কয়েকজন ভারতীয় যুবককে দেশের বাইরে নিয়ে জঙ্গি প্রশিক্ষণের ছক ছিল নেটওয়ার্কটির৷