ডিইএলইডি পরীক্ষায় স্থগিতাদেশ নয়, জানাল হাইকোর্ট , ক্ষুব্ধ শিক্ষকমহল


ডিইএলইডি-র পরীক্ষায় স্থগিতাদেশ দিল না কলকাতা হাইকোর্ট। ৩ ফেব্রুয়ারি দুই বাতিল পেপারের পরীক্ষা দিতে হবে ১ লক্ষ, ৬৯ হাজার শিক্ষককে। এদিন কলকাতা হাইকোর্টের ৩ ফেব্রুয়ারির পরীক্ষা নিয়ে শুনানি ছিল। সরকার পক্ষের আইনজীবী এই পরীক্ষায় স্থগিতাদেশের বিরোধিতা করেন। বিইএলইডি-র পরীক্ষা যাতে ৩ ফেব্রুয়ারি না নেওয়া হয় তার জন্য, হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চ। ২০ ও ২১ শে ডিসেম্বর ডিইএলঅডির ৫০৬ ও ৫০৭ নম্বরের পেপারে পরীক্ষা হয়। প্রশ্ন ফাঁসের জন্য পরে এনআইওএস শুধু পশ্চিমবঙ্গে সেই পরীক্ষা বাতিল করে।

১ লক্ষ ৬৯ হাজার শিক্ষকের পক্ষ নিয়ে হাইকোর্টে মামলা করেছিল শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চ। প্রশ্ন ফাঁস কাণ্ডে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে পরীক্ষা বাতিলের বিরোধিতা করে তাঁরা। গোটা ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চাওয়া হয়। এনআইওএস জানিয়ে দেয় ৩ ফেব্রুয়ারি টানা ছয় ঘণ্টা ৫০৬ ও ৫০৭ নম্বর পেপারের পরীক্ষা নেওয়া হবে। ডিইএলইডি-র শিক্ষক প্রশিক্ষণ নেওয়া শিক্ষকরা, টানা ৬ ঘণ্টা পরীক্ষা দিতে অস্বীকার করেন। ইতিমধ্যেই এই পরীক্ষার চিন্তায় এক শিক্ষকরে মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ। শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চ এনআইওএস-এর দফতরে বিক্ষোভও দেখায়। ২১ জানুয়ারি শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের কাছে  ডেপুটেশনও দেন শিক্ষকরা। বিধায়ক সুজন চক্রবর্তীও গোটা ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে শিক্ষামন্ত্রীকে ২৪ জানুয়ারি চিঠিও দেন।

৩১ মার্চের মধ্যে রাজ্যে ১ লাখ ৬৯ হাজার শিক্ষক তাঁদের শিক্ষক প্রশিক্ষণের সার্টিফিকেট জমা করতে না পারলে, চাকরি খোয়াতে পারেন। এনসিটিই-ও এই বিষয়ে কড়া অবস্থান নিয়েছে। শিক্ষকদের মধ্যে অধিকাংশই চাকরি জীবনের শেষপ্রান্তে এসেছেন। শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চের রাজ্য সম্পাদক মইদুল ইসলামের অভিযোগ ,'রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকার মিলিতভাবে সিক্ষকদের হেনস্থা করছে। প্রবীণ শিক্ষকদের শারীরিক অবস্থাকে গুরুত্ব না দিয়ে তাঁরা একরোখা মনোভাব পেশ করছেন। খোদ শিক্ষা সচিব বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু হাইকোর্টে এদিন রাজ্যসরকার যে অবস্থান নিল তা যথেষ্টই নিন্দনীয়। এটা কেন্দ্র ও রাজ্যের ষড়যন্ত্র। ' এদিকে, প্রশ্নপত্র ফাঁসকাণ্ডে তদন্তের কোনও রিপোর্ট এদিনও আদালতের সামনে পেশ করতে পারেনি এনআইওএস। ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এই রিপোর্ট আদালতের কাছে জমা করতে বলা হয়েছে। ১৫ ফেব্রুয়ারির শুনানি-তে এই রিপোর্ট নিয়ে সওয়াল-জবাব-এর সম্ভাবনা আছে।