বিশ্বের উচ্চতম! সর্দার বল্লভভাই পটেলের মূর্তি উন্মোচন করলেন প্রধানমন্ত্রী


সর্দার পটেলের মূর্তি উন্মোচন করলেন মোদী।

প্রতীক্ষার অবসান। ভারত পেল বিশ্বের উচ্চতম মূর্তি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্বপ্নের প্রকল্প—সর্দার বল্লভভাই পটেলের মূর্তি 'স্ট্যাচু অব ইউনিটি'। ১৪৩তম জন্মবার্ষিকীতে ভারতের 'লৌহ মানব'-এর উচ্চতম মূর্তিটি উদ্বোধন করলেন মোদী।

মূর্তি উদ্বোধনের পরে মোদী বলেন, "  এই দিনটার জন্যই তিনি অপেক্ষা করে ছিলাম। আমার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত আজ।এই দিনটা ভারতের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।"

গুজরাতের কেওড়িয়াতে নর্মদা নদীর উপর তৈরি করা হয়েছে বল্লভভাই পটেলের মূর্তিটি। ২৯৯০ কোটি টাকা খরচ করে মূর্তিটি তৈরি করা হয়েছে। মূর্তির জন্য সাজানো হয়েছে ২০ হাজার বর্গ মিটার। ১৮২ মিটার উচ্চতা বিশিষ্ট এই মূর্তিটি নিউ ইয়র্কের স্ট্যাচু অব লিবার্টি-র দ্বিগুণ উঁচু। মূর্তিটির নকশা তৈরি করেছেন পদ্মভূষণ প্রাপ্ত স্থপতি রাম ভি সূতর।

মূর্তি তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়েছে ৫৭০০ মেট্রিক টন স্টিল, ২২,৫০০ মেট্রিক টন সিমেন্ট, ১৮,৫০০ টন স্টিল রড এবং ১৮.৫ লক্ষ কেজি ব্রোঞ্জ ক্ল্যাডিং। মূর্তির ১৫৩ মিটার উচ্চতায় রয়েছে গ্যালারি। ২০০ জন একসঙ্গে যেতে পারবেন।

মূর্তি নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। প্রশ্ন উঠেছে, ঐক্যের নামে এই উচ্চতার দৌড় কেন? সাড়ে চার বছর ধরে মোদী 'মেক ইন ইন্ডিয়া'র স্লোগান তুললেও পটেলের মূর্তির বড় অংশ কিন্তু বানিয়ে আনতে হয়েছে চিন থেকে। ক'দিন আগেও শ'তিনেক চিনা কর্মী গুজরাতে এই মূর্তির কাজ করছিলেন। বিরোধীরা ইতিমধ্যেই বলতে শুরু করেছেন  'মেক ইন ইন্ডিয়া' নয়, মূর্তিটি 'মেড ইন চায়না'! মূর্তি নিয়ে বিরোধিতা হয়েছে গুজরাতের অন্দর থেকেও। যেখানে মূর্তিটি তৈরি হয়েছে, সেই এলাকায় আদিবাসীদের বাস। পরিবেশ ও তাঁদের বাসস্থানের প্রশ্ন তুলে সর্দার পটেলের মূর্তির বিরেধিতা করেন। বিক্ষোভ-প্রতিবাদও হয়। এ দিন যাতে কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তাই আগে থেকেই গোটা এলাকা নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়।