২২০ টাকার চপ কিনলেন মমতা !


দুপুর বেলা কোচবিহারের রাসমেলা মাঠের সভা থেকে চপের দোকান খোলার পরামর্শ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছিলেন, "৫০০ টাকা দিয়ে শুরু করুন। দেখবেন আগামীতে অনেক বড় ব্যবসায়ী হয়ে উঠবেন। কোনও কাজই ছোট নয়।" আর বিকেলে জলপাইগুড়ির চালসাতে পৌঁছেই হাঁটতে বেরিয়ে ফেরার সময় স্থানীয় একটি তেলেভাজার দোকানে ঢুকে পড়লেন মমতা। চপ কিনে নিজে খেলেন, সবাইকে খাওয়ালেন এবং বেশ কয়েকমিনিট গল্পও করলেন চপ বিক্রেতা এবং তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে। যাতে কার্যত আপ্লুত চপ বিক্রেতা মদন শা'র স্ত্রী সুগন্ধীদেবী।

সুযোগ পেলেই সকালে কিংবা বিকেলে হেঁটে নেন মুখ্যমন্ত্রী। সে মিলান হোক বা ফ্র্যাঙ্কফুট, দার্জিলিং হোক বা এলিয়ট পার্ক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মর্নিং কিংবা ইভনিং ওয়াকের সময় অপেক্ষাকৃত বয়সে তরুণ নিরাপত্তারক্ষী কিংবা সাংবাদিকও হাঁপিয়ে ওঠেন। দিদির দ্রুতগতির পদচারণার সঙ্গে তাল মেলাতে অনেকেরই কাল-ঘাম ছুটে যায়। মঙ্গলবার বিকেলেই চালসায় পৌঁছে তেমনই হাঁটতে বেরিয়েছিলেন দিদিমণি। ফেরার সময় টিলাবাড়ি পর্যটন কমপ্লেক্সের পাশেই একটি ছোট্ট চপের দোকানে ঢুকে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী। সুগন্ধীদেবী জানান, "২২০ টাকার চপ কিনেছেন দিদি।" মমতার কেনার তালিকায় কী কী ছিল? সুগন্ধীদেবী জানান, শাকের পকোড়া, সিঙ্গাড়া, আলুর চপ কিনেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এবং তাঁর দাবি, "পুলিশ বলে গেল, দিদি বলেছে দোকানটা দোতলা করে দেবেন।" যদিও জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে তাঁর কিছু জানা নেই।

তেলেভাজা, চায়ের দোকানে ঢুকে পড়ে কিনে খাওয়া বা খাওয়ানো মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রথম নয়। আগেও এমন করেছেন তিনি। কিন্তু সুগন্ধীদেবীর যেন অন্য আনন্দ। কত লোকই রোজ চপ কিনে খায়। কিন্তু ক্রেতা যদি হন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, আনন্দ তো হবেই!