প্রধানমন্ত্রীকে আকস্মিক রোড শো না করার পরামর্শ এসপিজির


রাজীব গান্ধীর ধাঁচে প্রধানমন্ত্রীকে খুনের ছক কষছে মাওবাদীরা। পুণে পুলিশের এই দাবির পর রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা দেশে। একযোগে গোটা ঘটনার এনআইএ তদন্ত দাবি করছে শাসক থেকে বিরোধী সব শিবিরই। স্বাভাবিকভাবেই প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা ফের খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীকে রোড শো না করার পরামর্শ দিয়েছে নিরাপত্তার দায়িত্ব থাকা স্পেশ্যাল প্রোটেকশন গার্ড অর্থাৎ এসপিজি।

পুণে পুলিশের দাবি অনুযায়ী, রাজীব গান্ধীকে যেভাবে খুন করা হয়েছিল সেভাবেই নরেন্দ্র মোদিকেও সরানোর পরিকল্পনা করছে মাওবাদীরা। আর সেক্ষেত্রে তাদের সহজ টার্গেট মোদির রোড শো গুলি। তাই প্রধানমন্ত্রীর রোড শোগুলিতে আরও বাড়ানো হচ্ছে নিরাপত্তা। ইতিমধ্যেই মোদির নিরাপত্তার দায়িত্ব থাকা এসপিজি জওয়ানদের সতর্ক করা হয়েছে। নজরদারিতে জোর দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সঙ্গে থাকা  ক্লোজ প্রোটেকশন গ্রুপ অর্থাৎ এসপিজি জওয়ানদেরও। কাউন্টার অ্যাসল্ট ফোর্সের জওয়ানদেরও বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিকে, প্রধানমন্ত্রীকেও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে হুটহাট রোড শো না করার। নিরাপত্তারক্ষীদের বেষ্টনী থেকে বেরিয়ে বারবারই তাঁকে দেখা গিয়েছে আমজনতার কাছাকাছি চলে যেতে। কিন্তু মাওবাদীদের ছক সামনে আসার পর প্রধানমন্ত্রীকে আরও সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দিয়েছে এসপিজি। স্পেশাল প্রোটেকশন গার্ডের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরকে ইতিমধ্যেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুর্ব নির্ধারিত সূচির বাইরে গিয়ে তিনি যেন রোড-শো না করেন, অনুরোধ করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে।

এদিকে এই ঘটনায় রাজনৈতিক টানাপোড়েনও চরমে। অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির অভিযোগ,'মাওবাদীদের পিছনে রাজনৈতিক দলের হাত রয়েছে।' জেটলি বলেন, 'কোনও কোনও রাজনৈতিক দল মাওবাদীদের এনডিএ-র বিরুদ্ধে কাজে লাগাতে চাইছে'। একই সঙ্গে ক্রমবর্ধমান মাও কার্যকলাপ নিয়েও উষ্মাপ্রকাশ করেন অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'আগের তুলনায় মাও কার্যকলাপ বাড়ছে রাজনৈতিক দলগুলির ইন্ধনে, আর এই প্রবণতা বিপজ্জনক।' এদিকে, বিরোধীদের একাংশ আবার প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব পুণে পুলিশ তুলছে তাঁর সত্যতা নিয়েই প্রশ্ন তুলছে। তাদের দাবি, ভোটের আগে সহানুভূতি কুড়োনোর জন্য পরিকল্পিতভাবে ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব তুলে আনছে বিজেপি।