ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে পুলিশ হতে চাওয়া মেধাবী খুরশিদ সন্ত্রাসবাদী এবং নিহত!


ইঞ্জিনিয়ারিং করেছেন। গ্র্যাজুয়েট হয়েছেন। দেশের সেবা করবেন বলে পুলিশের ট্রেনিং নিতেও শুরু করেছিলেন। কিন্তু মাঝপথে হল ছন্দপতন! 

জম্মু-কাশ্মীরের সাব-ইন্সপেক্টর পদের পরীক্ষায় নামও উঠেছিল খুরশিদ আহমেদ মালিকের। তার চারদিন আগেই অবশ্য বারামুলায় সীমান্তরক্ষীদের গুলিতে প্রাণ গিয়েছে তার।

ঘটনাটা আসলে কী? 
বুধবার জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ ২ হাজার ৬০ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করেছে। পুলিশের চাকরির পরীক্ষার্থীদের এই তালিকায় ১৯১৩ নম্বর প্রার্থীর নাম খুরশিদ আহমেদ মালিক। দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামার আরাবাল গ্রামের বাসিন্দা খুরশিদ। 

চলতি বছর জুনেই পুলিশ হওয়ার জন্য লিখিত পরীক্ষায় বসেছিলেন বি.টেক পাশ খুরশিদ। সেই পরীক্ষায় পাশ করায় পরের ধাপের পরীক্ষার জন্য ডাক পেয়েছিলেন তিনি। তবে তার ৪৮ ঘণ্টা আগেই প্রাণ গিয়েছে খুরশিদের।

কিন্তু কেন মরতে হল খুরশিদকে? 
গত ৩ অগাস্ট বারামুলার দ্রুসুতে বিএসএফ জওয়ানদের এনকাউন্টারের সময় বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসবাদীর মৃত্যু হয়। নিহতদের তালিকায় মেলে খুরশিদের নাম। 

পরিবার সূত্রে খবর, কাতরার শ্রী মাতা বৈষ্ণো দেবী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.টেক পাশ করেছেন খুরশিদ। GATE পরীক্ষাতেও সফল হয়েছে সে। KAS (কাশ্মীর অ্যাডমিনেসট্রেটিভ সার্ভিসেস)-এর জন্য প্রস্তুতিও শুরু করেছিলেন তিনি। এ সবের মাঝেই আচমকা নিখোঁজ হয়ে যান খুরশিদ। 

পুলিশ জানতে পেরেছে, খুরশিদ আহমেদ মালিক ও তার বন্ধু রিয়াজ আহমেদ দার লস্কর গোষ্ঠীতে নাম লিখিয়েছিলেন। বারামুলার এনকাউন্টারে দু'জনেই নিহত। সীমান্তরক্ষীদের সঙ্গে সন্ত্রাসবাদীদের গুলির লড়াইয়ে সেদিন সওয়ার বিজয় কুমার নামে এক জওয়ানও মারা যান।