সাবধান! মারণ রোগের মতো ছড়িয়ে পড়ছে স্ক্রাব টাইফাস


তমলুক:  ফের স্ক্রাব টাইফাসের আতঙ্ক৷ পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ায় স্ক্রাব টাইফাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতাসে চিকিৎসাধীন দুই শিশু৷ তবে সঠিক সময়ে চিকিৎসা শুরু হলে স্ক্রাব টাইফাস ভাইরাস থেকে আতঙ্কের কিছ নেই বলে মত চিকিৎসকদের৷

চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ধুম জ্বর, গায়ে র‍্যাস নিয়ে ওই দুই শিশু ভরতি হয় হাসপাতালে৷ মূলত শিশুরাই এই ভাইরাসে বেশি আক্রান্ত হয়৷ অনেকদিন ধরে জ্বরে আক্রান্ত কারোর রক্ত পরীক্ষায় যদি ম্যালেরিয়া, টাইফয়েড, ডেঙ্গুর জীবাণু ধরা না পড়ে তবে উচিত স্ক্রাব টাইফাস অ্যান্টিবডি টেস্ট করিয়ে নেওয়া৷ সাধারণত এই ভাইরাস শরীরে থাকলে গা, হাতে, পায়ে ব্যাথা হয়৷ গায়ে র‍্যাস বের হয়, গ্ল্যান্ড ফুলে যায়৷

জানা গিয়েছে, সম্প্রতি দুই মেদিনীপুর, হাওড়ার ১৫ জন শিশুর শরীরে স্ক্রাব টাইফাসের জীবাণু মিলেছে । তবে চিকিৎসার পর তারা সবাই সুস্থ্য আছে৷ সাধারনত এই স্ক্রাব টাইফাস ভাইরাস বহন করে ছারপোকার মতো দেখতে একধরনের একটি ছোট পোকা। পোকা গুলি সাধারনত গেছো ইঁদুর বা বন্য বেড়ালের গায়ে থাকে। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ, স্ক্রাব টাইফাসের থাবা থেকে বাঁচতে বাড়ির চারপাশ জঞ্জলমুক্ত রাখতে হবে৷ বাচ্চাদের পরিষ্কার রাখতে হবে৷ সচেতন হতে হবে মানুষকে৷