তিনদিনের মাথায় বিচার পেল ধর্ষিতা শিশু


ভোপাল: একজন সিনিয়র ডাক্তার সহ ১৭ জন সাক্ষী৷ তাতেই মাত্র তিনদিনের মাথায় সুবিচার পেল ছ'বছরের ধর্ষিতা শিশু৷ ধর্ষণে অভিযুক্ত ২৪ বছর বয়সী যুবকের আমৃত্যু কারাবাসের নির্দেশ দিল মধ্যপ্রদেশের এক আদালত৷ এই ঘটনা শিশু ধর্ষণ রোধে এক অনন্য নজির স্থাপন করল বলে মনে করছে আইনজীবী মহল৷

মধ্যপ্রদেশের দাঁতিয়া আদালত সম্প্রতি এই রায় শুনিয়েছে৷ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬(এবি), ৩৬৬ এবং পকসো অ্যাক্টের ৩,৪ এবং ৫ ধারায় মামলা রুজু করা হয়৷ দাঁতিয়া জেলার পুলিশ সুপার ময়ঙ্ক আবাস্থি জানিয়েছেন, গত ২৯ মে ছ'বছর বয়সী ওই শিশু ধর্ষণ করা হয়৷ ওই শিশুটি তার পরিবারের সঙ্গে একটি বিয়ে বাড়িতে গিয়েছিল৷ সেই সময় ফুলের প্রলোভন দেখিয়ে মেয়েটিকে একটি সরকারি স্কুলে নিয়ে যায় এবং তাকে ধর্ষণ করে৷ পরে তার বাবা মা খুঁজতে খুজতে মেয়েকে স্কুলের ভিতর অর্ধঅচেতন অবস্থায় দেখতে পায়৷ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর ধর্ষণের কথা জানা যায়৷

পরে ওই শিশুটির বাড়ি থেকে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো হয়৷ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ৷ জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এটি মধ্যপ্রদেশের দ্রুততম বিচারের ঘটনা৷ একজন সিনিয়র ডাক্তার সহ ১৭ জন মামলায় সাক্ষী দেন৷ তার উপর ভিত্তি করে মাত্র তিনদিনের মাথায় রায় দেন বিচারক৷ প্রসঙ্গত, গত বছর ডিসেম্বর মাসে রাজ্যে শিশু ধর্ষণ বিরোধী নয়া আইন পাশ করে শিবরাজ সিং চৌহানের প্রশাসন৷ তাতে বলা হয়েছিল ১২ বছর বা তার নিচের বয়সী মেয়েদের ধর্ষণের শাস্তি আজীবন কারাবাস বা মৃত্যুদণ্ড৷