সওয়া তিন কোটির সোনা উদ্ধার


গত রবিবার ধর্মতলার বাসস্ট্যান্ড থেকে পাওয়া গিয়েছিল সাত কোটি টাকার চোরাই সোনা। শিলিগুড়ি থেকে কলকাতায় এসে গ্রেফতার হয়েছিলেন চার জন। তাঁদেরই জেরা করে চোরাই সোনার এক কারবারিকে কলকাতা থেকে গ্রেফতার করল ডিরেক্টরেট অব রেভেনিউ ইন্টেলিজেন্স (ডিআরআই)।

বড়বাজারে চোরাই সোনার ব্যবসা ফেঁদে বসা এই রাজেন্দ্র দামানি ওরফে রাজুর কাছ থেকে মঙ্গলবার সওয়া তিন কোটি টাকার চোরাই সোনা এবং চোরাই সোনা বিক্রির প্রায় পৌনে দু'কোটি টাকাও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। রাজু ছাড়াও গ্রেফতার হয়েছেন আরও তিন জন।
ডিআরআই সূত্রের খবর, পুলিশ ও তাদের চোখে ধুলো দিতে এক নাবালককে সামনে রেখে সোনা পাচার করতে গিয়ে রবিবার ধর্মতলার বাসস্ট্যান্ড থেকে মিজোরামের চার যুবক-যুবতীকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁরা সকলেই রবিবার বাসে করে শিলিগুড়ি থেকে কলকাতায় সোনা নিয়ে এসেছিলেন। কারও ট্রলি ব্যাগের ভিতরে, কারও ল্যাপটপের ভিতরে লুকনো ছিল সোনা। সব মিলিয়ে সাত কোটি টাকার ২৩ কিলোগ্রাম সোনা পাওয়া যায় তাঁদের কাছে। সোনার বিস্কুটের সঙ্গে পাতও ছিল সেখানে।

ডিআরআই জানিয়েছে, তাঁদের জেরা করেই জানা গিয়েছে রাজুর কথা। বড়বাজারে রাজুর গুদাম ও অফিস রয়েছে। বাড়ি লর্ড সিনহা রোডে। মঙ্গলবার রাজুর গুদামে তল্লাশি চালিয়ে একটি সিন্দুকের ভিতর থেকে মোট ১১টি সোনার বার পাওয়া যায়। যার মধ্যে ১০টি বারের ওজন এক কিলোগ্রাম করে। একটির ওজন ৫০০ গ্রাম। এ ছাড়াও ওই সিন্দুকেই ৭০ লক্ষ টাকা নগদ রাখা ছিল। ডিআরআই জানিয়েছে, এ সবই সোনা বিক্রির টাকা। মঙ্গলবার ডিআরআই অফিসারদের তল্লাশি চলার ফাঁকেই এক ব্যক্তি সেই গুদামে ঢোকেন। তাঁকে তল্লাশি করে জামার ভিতরে বহু পকেটওয়ালা একটি জ্যাকেট পাওয়া যায়। যেখানে ১৫ লক্ষ টাকা লুকনো ছিল। অফিসারদের সন্দেহ, এই ব্যক্তিও রাজুর কাছ থেকে চোরাই সোনা কিনতে এসেছিলেন। এই ব্যক্তিকেও গ্রেফতার করা হয়।
বড়বাজারে রাজুর অফিসে হানা দিয়ে পাওয়া যায় রুপোর দানা, সোনার মুদ্রা এবং ৩৮ লক্ষ টাকা। পরে বাড়িতেও হানা দেন অফিসারেরা। সেখান থেকে ৫১ লক্ষ টাকা নগদ পাওয়া গিয়েছে।