জনসংখ্যায় টোকিওকে টেক্কা রাজধানী দিল্লির !


আদি নিবাস প্রত্যন্ত কোনও গ্রাম। কিন্তু, পড়াশোনা কিংবা চাকরির জন্য চলে আসতে হয়েছে শহরে। আর এখন পাকাপাকিভাবে শহরেরই বাসিন্দা হয়ে গিয়েছেন। শুধু এ রাজ্য কিংবা এ দেশ নয়, গোটা বিশ্বের এ ছবিটা একই। হু হু বাড়ছে শহরগুলির জনসংখ্যা। রাষ্ট্রসংঘের একটি রিপোর্ট বলছে, ২০৫০ সালের মধ্যে জনবিস্ফোরণ ঘটবে ভারত, চিন ও নাইজেরিয়ার শহরগুলিতে। বিশ্বের মোট জনসংখ্যার দুই তৃতীয়াংশের বসতি গড়ে উঠবে শহরে। শুধু তাই নয়, জনসংখ্যার নিরিখে টোকিও-কে পিছনে ফেলে দেবে দিল্লি। আগামী দিনে বিশ্বের বৃহত্তম জনবহুল শহর হবে ভারতের রাজধানী।

ভারত বা চিন তো বটেই, জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে বিপাকে পড়েছে প্রথম বিশ্বের বহু দেশই। আগামী দিনে পরিস্থিতি ঠিক কেমন হবে? তা নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রসংঘের ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল অ্যাফেয়ার্স দপ্তরের পপুলেশন বিভাগ। রিপোর্ট অনুযায়ী, এখন শহরের তুলনায় গ্রামেই জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার বেশি। আগামী কয়েক বছরে পরিস্থিতির খুব একটা বদল হবে না। তবে ২০৫০ সালের মধ্যে গ্রামে জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। তখন আবার বাড়তে শুরু করে শহরের জনসংখ্যা। বিশ্বের মোট জনসংখ্যার দুই তৃতীয়াংশের ঠিকানা হবে বিশ্বের কোনও না কোনও শহর। রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্ট অনুযায়ী, শহরের জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে বিপদ সবচেয়ে বেশি ভারত, চিন ও নাইজেরিয়ার। এই তিন দেশের শহরগুলিতে জনবিস্ফোরণ ঘটবে। বস্তুত, জনসংখ্যার নিরিখে জাপানের টোকিও শহরকে পিছনে ফেলে দেবে দিল্লি। বিশ্বের বৃহত্তম ও সবচেয়ে জনবহুল শহর হয়ে উঠবে ভারতের রাজধানী। এখন সবচেয়ে বেশি মানুষের বাস জাপানের রাজধানীতে। টোকিও-র জনসংখ্যা প্রায় তিন কোটি সত্তর লক্ষ। রাষ্ট্রসংঘের পপুলেশন বিভাগের ডিরেক্টর জন ওলমোথ জানিয়েছেন, বিশ্বজুড়ে শহরের জনসংখ্যা অত্যন্ত দ্রুতহারে বাড়ছে। আগামী দিনে সকলকে স্বাস্থ্য, শিক্ষার মতো ন্যূনতম পরিষেবা দেওয়া রীতিমতো চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠবে।