মাঝরাত্রে ‘বাক্স রহস্য’ , ফ্ল্যাটে মিলল প্রায় ১০ হাজার ভোটার কার্ড


ভোটের বাকি আর মাত্র দু'দিন। তার আগে বেঙ্গালুরুর ফ্ল্যাট থেকে প্রায় ১০ হাজার ভোটার কার্ড উদ্ধারের ঘটনায় তোলপাড় পড়ে গিয়েছে গোটা কর্নাটকে। একে অন্যের অভিযোগ তুলেছে বিজেপি এবং কংগ্রেস। বিষয়টি নিয়ে ঝড় উঠেছে জাতীয় রাজনীতিতেও।

ঘটনার সুত্রপাত মঙ্গলবার মধ্যরাতে। উত্তর বেঙ্গালুরুর আরআর নগর এলাকায় কংগ্রেস বিধায়ক মঞ্জুলা নানজিমারির ফ্ল্যটে হানা দিয়ে নির্বাচন কমিশনের একটি দল উদ্ধার করে ট্রাঙ্ক বোঝাই ভোটার কার্ড, সংখ্যায়৯ হাজার ৭৪৬ টি। সঙ্গে কাউন্টার ফয়েল, যা অনেকটা ভোটার স্লিপের মতোই দেখতে। মনে করা হচ্ছে, এই স্লিপের বেশিরভাগটাই নকল। ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে পাঁচটি ল্যপটপ এবং প্রিন্টার।

তবে কি আরআর নগরের ভোট প্রভাবিত করার চেষ্টা চলছিল? জানা গিয়েছে, যে সমস্ত ভোটার কার্ড উদ্ধার হয়েছে, তার বেশিরভাগটাই বস্তিবাসী মানুষজনের। যদিও ফ্ল্যটটি নিয়ে কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্য তুমুল বাগ্‌যুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছে।

ভোটার কার্ড উদ্ধারের ঘটনাকে 'মধ্যরাতের নাটক' বলে আখ্যা দিয়েছে কংগ্রেস। রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালার দাবি, ''ফ্ল্যাটটি কংগ্রেস বিধায়ক মঞ্জুলা নানজিমারির হলেও, তিনি তা ছেলে রাকেশকে ভাড়া দিয়েছিলেন। রাকেশ বিজেপির সঙ্গে যুক্ত। ২০১৫ সালে বেঙ্গালুরুর স্থানীয় নির্বাচনে তিনি বিজেপির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।''

যদিও উল্টো বক্তব্য বিজেপির। তাদের অভিযোগ, কর্নাটক ভোটে  পরাজয় নিশ্চিত বুঝে রিগিঙের ছক করছে কংগ্রেস। আরআর নগরের ভোট স্থগিত করার জন্য তারা নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি জানিয়েছে। অবস্থা এমন জায়গায় পৌঁছয় যে মাঝ রাতেই সাংবাদিক সম্মেলন করতে হয় কর্নাটকের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক সঞ্জীব কুমারকে। বিষয়টি নিয়ে তিনি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। তবে ওই কেন্দ্রে ভোট বাতিলের যে কোনও সম্ভাবনা নেই তাও জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।