ওষুধের স্ট্রিপ কাটতে নারাজ দোকানদার, হয়রানির মুখে ক্রেতারা


কলকাতা: ওষুধের স্ট্রিপ কাটতে নারাজ দোকানদার। তাই প্রয়োজন না থাকলেও গোটা স্ট্রিপ কিনতে বাধ্য হচ্ছেন রোগী ও তাঁর আত্মীয়রা। যার জেরে অনেক সময়েই টাকার অপচয়। কখনও আবার নষ্ট হচ্ছে বাড়তি ওষুধ। যদিও চিকিৎসক ও বিক্রেতাদের একাংশের সাফাই, রোগীর স্বার্থেই না কি চালু হয়েছে এই অলিখিত নিয়ম!

সাতদিনে চোদ্দটি ট্যাবলেট খেতে বলেছেন ডাক্তারবাবু। কিন্তু আপনাকে কিনতে হল কুড়িটি। না কিনে উপায় নেই। কারণ, বিক্রেতা কোনও মতেই ওষুধের স্ট্রিপ কাটবেন না। অর্থাৎ, স্ট্রিপে আছে কুড়িটি ওষুধ। আপনার ১৪টি দরকার হলেও, বাড়তি টাকা দিয়ে আপনাকে কিনতেই হবে ২০টি।

প্রয়োজন যাই হোক না কেন, সবসময় ওষুধের গোটা স্ট্রিপই কিনতে হবে, এই নিয়ম তৈরি করল কে? কেনই বা সাধারণ মানুষকে এ ভাবে ভোগান্তিতে পড়তে হবে?

বিক্রেতাদের একাংশের দাবি, ব‍্যবসার জন্য অনেক সময় গোটা স্ট্রিপ বিক্রি করতে হয়। জনৈক ওষুধ বিপণীর কর্মীর বক্তব্য, 'ম্যানেজমেন্ট সুগার, প্রেশারের ওষুধ কেটে বিক্রি করতে বারণ করেছে। ক্রেতাদের অসুবিধা হলেও আমাদের কিছু করার নেই। ওষুধ হারালে আমাদের মাইনে থেকে টাকা কাটা যায় ৷'

গোটা স্ট্রিপ কেনাটা যে সমস্যা তৈরি করছে, তা মেনে নিয়েছে বেঙ্গল কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্টও। চিকি‍ৎসকদের একাংশের অবশ্য দাবি, রোগীদের স্বার্থেই নাকি গোটা স্ট্রিপ বিক্রি করা উচিত। অনেক চিকিৎসক বলছেন, এ নিয়ে নতুন আইন তৈরি করা উচিত।

এই নিয়ে কোনও আইন নেই ৷

বিক্রেতাদের সাফাই যাই হোক না কেন, দরকার না থাকা সত্ত্বেও যাঁরা দিনের পর দিন, গ‍্যাঁটের পয়সা খরচা করে, ওষুধের গোটা স্ট্রিপ কিনতে বাধ‍্য হচ্ছেন, তাঁরা চান, এই দাদাগিরি অবিলম্বে বন্ধ হোক।