ইংল্যান্ডের কাউন্সিল ভোটে জিতলেন বাঙালি রোহীত


প্রত্যাশা মতোই ইংল্যান্ডের স্থানীয় কাউন্সিল নির্বাচনে কনজারভেটিভদের পিছনে ফেলে দিল জেরেমি করবিনের লেবার পার্টি। শুক্রবার গভীর রাত পর্যন্ত ১৫০টি কাউন্সিলের ১৪৯টির ফল ঘোষণা হয়েছে। তার মধ্যে ৭৩টিতে জিতেছে লেবার। আর ৪৬টি আসনে জিতেছে টেরেসা মে-র কনজারভেটিভ দল। লেবারের জয়ী কাউন্সিলরের সংখ্যা ২২৯৩। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন পূর্ব লন্ডনে নিউহ্যামের ক্যানিং টাউন সাউথ কেন্দ্রের প্রার্থী, বঙ্গসন্তান রোহীত দাশগুপ্ত। যুবসংস্কৃতি, জনস্বাস্থ্য ও লিঙ্গসাম্যের মতো বিষয় নিয়ে কাজ করেন পেশায় অধ্যাপক, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র এই বাঙালি যুবক। ২০১৭ সালের সাধারণ নির্বাচনে পূর্ব হ্যাম্পশায়ার থেকে লেবার পার্টির হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। টোরিদের সেই শক্ত ঘাঁটিতে না জিততে পারলেও লেবারদের শক্ত ঘাঁটি নিউহ্যাম তাঁকে ফেরাল না। সব মিলিয়ে লেবারদের কাউন্সিলর সংখ্যা বেড়েছে ৫৫টি।

অন্য দিকে, ২৬ জন কাউন্সিলর খুইয়ে কনজারভেটিভদের কাউন্সিলর সংখ্যা হয়েছে ১৩৩০। ৭৫টি কাউন্সিলর বাড়িয়েছে লিবারাল ডেমোক্র্যাট পার্টি। তাদের কাউন্সিলর সংখ্যা হল ৫৩৬। ভাল ফল করেছে গ্রিন পার্টিও। তারা জিতেছে ৩৯টি ওয়ার্ডে, গতবারের থেকে আটটি বেশি। সব থেকে শোচনীয় অবস্থা ব্রেক্সিটপন্থী দল ইউকেআইপি-র। ১২৩টি ওয়ার্ডে হেরে গিয়ে তাদের দখলে এখন মাত্র তিনটি ওয়ার্ড। 

তবে লন্ডনে কনজারভেটিভদের ফল ভাল হয়েছে। গ্রেনফেল টাওয়ারের অগ্নিকাণ্ডে ৭০ জনের মৃত্যুর পর আবাসনগুলির সুরক্ষা ব্যবস্থার অভাব নিয়ে প্রবল সমোলোচনার মুখে পড়েন প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে। তার পরেও কেনসিংটন ও চেলসিতে জয় হয়েছে কনজারভেটিভদের। অভিবাসী উচ্ছেদ সংক্রান্ত 'উইন্ডরাশ বিতর্ক'ও সেখানে দাঁত বসাতে পারেনি কনজারভেটিভ ভোটে। দেশের ১৫০টি কাউন্সিলের ৪,৩৭১টি আসনে নির্বাচন ছিল কাল। ভোট পড়েছে মাত্র ৩৬ শতাংশ। ২০১৭-র সাধারণ নির্বাচনের পর এই প্রথম ভোট। যার ফলাফল থেকে ইঙ্গিত, পরবর্তী নির্বাচনে জিততে হলে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের মুখোমুখি হতে হবে টেরেসা মে-র কনজারভেটিভ দল।