পেনশন পেতে আর বাধ্যতামূলক নয় আধার কার্ড, জানাল কেন্দ্র


দেশের শীর্ষ আদালতে ধাক্কা খাওয়ার পর ধীরে ধীরে আধার নীতি পরিবর্তনের পথে পা বাড়াচ্ছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার৷ পেনশন তোলার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের আধার কার্ড দেওয়া কখনওই বাধ্যতামূলক নয়৷ কেন্দ্রীয় কর্মীবর্গ মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং এই কথা জানিয়েছেন৷

স্ট্যান্ডিং কমিটি অফ ভলান্টারি এজেন্সির ৩০ তম বৈঠকে কেন্দ্রীয় কর্মীবর্গ দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংহ জানান, বর্তমানে 'লাইফ সার্টিফিকেট' জমা দিতে অবসর প্রাপ্ত কর্মীদের ব্যাংকে যেতে হয়। কিন্তু আধার প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে অবসর প্রাপ্ত কর্মীরা ব্যাংকে না গিয়েই এই 'লাইফ সার্টিফিকেট' জমা দিতে পারবেন। আধার থাকার এটাই একটি বাড়তি সুবিধা। সম্প্রতি দেশজুড়ে বেশ কিছু অবসর প্রাপ্ত কর্মী অভিযোগ করেন, ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে তাঁদের আধার নম্বরের সংযোগ না থাকায় তাঁদের পেনশন পেতে সমস্যা হচ্ছে৷  ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে মন্ত্রীর এই ঘোষণা, অবসর প্রাপ্ত কর্মীদের উদ্বেগ দূর করবে বলে মনে করা হচ্ছে।

কর্মীবর্গ মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী জিতেন্দ্র স্পষ্ট বলেন,"সরকারি কর্মীদের পেনশন তোলার ক্ষেত্রে আধার কখনওই বাধ্যতামূলক নয়।" জিতেন্দ্র জানান, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী এবং অবসর প্রাপ্ত কর্মীদের জন্য নরেন্দ্র মোদি সরকার একাধিক কল্যাণমুখী প্রকল্প গ্রহণ করেছে। যার মধ্যে রয়েছে ন্যূনতম পেনশন ৯,০০০ টাকা করা, গ্র্যাচুইটির ঊর্ধ্বসীমা বাড়িয়ে ২০ লক্ষ টাকা করা এবং স্থায়ী স্বাস্থ্য ভাতার পরিমাণ বাড়িয়ে প্রতিমাসে এক হাজার টাকা করার মতো সুবিধা৷

এমনিতেই আধারের তথ্য ফাঁসের ঘটনায় দেশজুড়ে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে মোদির মন্ত্রিসভা৷ আধারের তথ্য ফাঁস ইস্যুতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সংসদ৷ উত্তাল হয়ে ওঠে দেশে৷ পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে মায়দানে নামে আধার এনরোলমেন্ট সফটওয়্যার থেকে তথ্য চুরি বিষয়কে গুজব ও ভ্রান্ত বলে উড়িয়ে দেয় ইউআইডিএআই৷ আধার কর্তৃপক্ষের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, প্রতিটি গ্রাহকের বায়োমেট্রিক তথ্য সুরক্ষিত রয়েছে৷ কোনও ব্যক্তি নিজে থেকে তাঁর বায়োমেট্রিক তথ্য অন্য কারও সঙ্গে আদানপ্রদান না করলে তা অন্য কেউ পেতে পারে না৷ এর আগেও একাধিকবার দেশের শীর্ষ আদালতে ধাক্কা খেয়েছে কেন্দ্র৷ ফলে, তথ্য ফাঁসের অভিযোগ ও সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খাওয়ার পর কেন্দ্রের তরফে আধার নিয়ে নরম মনোভাব প্রকাশ পাচ্ছে বলে মত পর্যবেক্ষক মহলের একাংশের৷