ট্রেনে যৌন হয়রানি, ধৃত ৫


ট্রেনের কামরায় বিশ্রী ভাবে শরীরে হাত দিচ্ছিল কয়েক জন সহযাত্রী। টের পেয়েই প্রতিবাদ করেছিলেন এক তরুণী। সহযাত্রীদের সাহায্য তো মেলেইনি, উল্টে অভিযুক্তদের হাতেই নিগৃহীত হন তিনি ও তাঁর বাবা। তার পরেই যাদবপুর স্টেশনে বাবাকে নিয়ে নেমে যান ওই তরুণী। প্রথমে থানায় না-গেলেও পরে রেল পুলিশের উদ্যোগে অভিযোগ দায়ের করেন। তার পরেই ধরা পড়ে পাঁচ অভিযুক্ত।

সম্প্রতি মেট্রো স্টেশনে এক যুগলের মার খাওয়ার ঘটনায় সমালোচনার ঝড় উঠলেও খোদ নিগৃহীতেরা এগিয়ে আসেননি। দায়ের হয়নি অভিযোগও। এ ক্ষেত্রে কিন্তু ওই তরুণী পিছিয়ে যাননি। রেল পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম নুর হোসেন পৈলান, মুন্না আলি পৈলান, রোশন সর্দার, রবিউল হক ও আজিজুল হক। প্রত্যেকেই মগরাহাটের বাসিন্দা। তারা এখন জেল হেফাজতে রয়েছে।

পুলিশ জানায়, গত ২৪ এপ্রিল ওই ঘটনার সময়েই এক যাত্রী চলন্ত ট্রেন থেকে এক পুলিশকর্তাকে বিষয়টি জানান। ওই কর্তা শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার বিভিন্ন জিআরপি-কে সতর্ক করেন। যাদবপুর স্টেশন থেকে ওই তরুণী ও তাঁর বাবা যখন বেরিয়ে যাচ্ছেন, তাঁদের কথা শুনে সন্দেহ হয় সাদা পোশাকের কিছু পুলিশকর্মীর।

ঘটনাটি ঘটেছিল শিয়ালদহমুখী ডায়মন্ড হারবার লোকালে। তরুণীর সঙ্গে কথা বলে তদন্তকারীরা বুঝতে পারেন, অভিযুক্তেরা নিত্যযাত্রী। সেই মতো ঘটনার পরের দিন থেকেই ওই নির্দিষ্ট লোকাল ট্রেনের বিভিন্ন কামরায় সাদা পোশাকে উঠে প়ড়েন তদন্তকারীরা। কিন্তু অভিযুক্তদের চিহ্নিত করানো যাচ্ছিল না। শেষে রেল পুলিশের অভিজ্ঞ অফিসারদের নিয়ে একটি দল তৈরি হয়। তরুণীর বাবাকে নিয়ে সেই দল ওই ট্রেনটির বিভিন্ন কামরায় ঘুরতে থাকে। সে সময়েই তিনি একটি কামরায় থাকা নুর হোসেনকে চিনিয়ে দেন। নুরকে পাকড়াও করে বাকিদের হদিস মেলে।

পুলিশের দাবি, ওই তরুণী অভিযোগ দায়ের করতে রাজি হওয়ায় অভিযুক্তদের পাকড়াও করতে সুবিধা হয়েছে। তিনি ও তাঁর বাবাও তদন্তে সাহায্য করেছেন।