মোদীর রাজ্যে দলিত দম্পতিকে বেঁধে গণপ্রহার, খুন স্বামী


দলিত হত্যার ঘটনায় ফের খবরে উঠে এল মোদীর রাজ্য গুজরাত। থানা-পুলিশ এড়িয়ে যে ভাবে এক দলিত যুবক ও তাঁর স্ত্রীকে  দড়ি দিয়ে বেঁধে পেটানো হয়েছে, সেই ছবি ভাইরাল হয়ে  ঘুরছে আসমুদ্র হিমাচলে।কোনওক্রমে পালিয়ে তাঁর স্ত্রী প্রাণে বেঁচেছেন। কিন্তু মণীশ বানিয়া নামের ওই ব্যক্তিকে বাঁচানো যায়নি। এই ঘটনায় কারখানা মালিক-সহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হলেও তাঁর নাম প্রকাশ্যে আনা হয়নি। ধৃতদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের হয়েছে।

ঘটনাস্থল গুজরাতের রাজকোট। আবর্জনাস্থল থেকে জিনিসপত্র কুড়িয়ে দিন গুজরান করতেন ওই দম্পতি। জানা গিয়েছে, রাজকোটে গাড়ির যন্ত্রাংশ তৈরির একটি কারখানার সামনে তাদের চোর সন্দেহে ঘিরে ধরে বেশ কয়েক জন। এর পর কারখানা মালিকের নির্দেশেই নাকি শুরু হয়েছিল নির্যাতন। স্বামী ও স্ত্রীকে দড়ি দিয়ে বেঁধে মারধর করা হয়। কোনওক্রমে পালিয়ে আশপাশের মানুষজনকে ঘটনাস্থলে নিয়ে আসেন মণীশের স্ত্রী। কিন্তু ততক্ষণে মারের চোটে মণীশের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু বাঁচানো যায়নি।

গুজরাতে দলিতদের উপর নির্যাতন যে নতুন কিছু নয়, তার প্রমাণ ২০১৬-র ১১ জুলাইয়ের ঘটনা। উনা এলাকায় গোহত্যার অভিযোগে প্রকাশ্য রাস্তার উপর চার যুবককে পেটানো হয়েছিল লোহার রড দিয়ে। সে ঘটনা নিয়ে তোলপাড় হয় গোটা দেশ।

উনার ঘটনার জেরে 'দলিত অস্মিতা যাত্রা' করেগুজরাতে ঝড় তুলেছিলেন জিগ্নেশ মেবাণী। আন্দোলনের মধ্য দিয়ে উঠে আসা সেই জিগ্নেশ এখন গুজরাতের বিধায়ক এবং রাজ্যে বিজেপি বিরোধিতার অন্যতম প্রধান মুখ। রাজকোট হত্যাকাণ্ডের ছবি তিনিই পোস্ট করেছেন। টুইটে তাঁর দাবি, 'উনার বীভত্‌সতাকে টেক্কা দিয়ে গিয়েছে রাজকোটের ঘটনা। উনায় কারও প্রাণ যায়নি। কিন্তু রাজকোটে এক গরিব দলিতকে মরতে হয়েছে।' গুজরাতের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে তাঁর অভিযোগ, 'অতীত থেকে শিক্ষা নেওয়া হয়নি। তাই দলিত নির্যাতনের ঘটনা ঘটেই চলেছে।' তাঁর দাবি, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জাতপাতের সমস্যা জড়িয়ে রয়েছে।