স্ত্রীকে খুন করতে ১ লক্ষ টাকার সুপারি দিয়েছিলেন সুপ্রতিম


এয়ারপোর্ট থানায় নিয়ে আসা হচ্ছে দুই সুপারি কিলারকে ৷

কলকাতা: সিভিক ভলান্টিয়ার শম্পা দাস খুনে গ্রেফতার করা হল দুই সুপারি কিলারকে ৷ গতকালই ওই দু'জনকে ভাড়াটে খুনি সন্দেহে আটক করেছিল এয়ারপোর্ট থানার পুলিশ ৷ তাঁদের একাধিকবার জেরা করে পুলিশ নিশ্চিত হয় তাঁরাই শম্পার খুনি ৷ এরপরেই গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত দুই সুপারি কিলারকে ৷

গতকাল নীরজ সাউ এবং হাফিজুল মোল্লা নামের ওই দুই ব্যক্তিকে মাইকেলনগরের একটি ধাবা থেকে আটক করেছিল পুলিশ ৷ নীরজ ও হাফিজুলকে জেরা করে জানা যায়, শম্পাকে খুনের সুপারি দিয়েছিলেন সুপ্রতিম ৷ ২ মাস আগে লেকটাউনে সুপারি কিলারদের সঙ্গে মিটিং করেছিলেন সুপ্রতিম ৷ ১ লক্ষ টাকায় রফা হয়েছিল তাঁদের মধ্যে ৷ প্রথম ধাপে ৬০ হাজার টাকা দেওয়া হয় ৷ ভালয় ভালয় কাজ উতরে গেলে বাকি টাকা দেওয়ার কথা ছিল ৷ কিন্তু তার আগেই পুলিশের জালে ধরা পড়ে যাওয়ায় সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়নি ৷

সোমবার সকালে প্রথমে শম্পার স্বামী সুপ্রতিম ও পরে শাশুড়ি মীরা দাসকে আটক করেছিল পুলিশ ৷ তাঁদের জেরা করে জানা যায়, ভাড়াটে খুনি লাগিয়ে হত্যা করা হয়েছে শম্পাকে ৷ এরপর থেকেই সুপারি কিলারদের খোঁজ শুরু করেছিল পুলিশ ৷ ঘটনায় যুক্ত থাকার অনুমানে শম্পার বাড়ির পরিচারিকাকেও গতকাল সকালে আটক করেছিলেন তদন্তকারী অফিসাররা ৷ জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তাঁকেও ৷ পুলিশের অনুমান, ওই পরিচারিকাই সুপ্রতিমের সঙ্গে সুপারি কিলারদের যোগাযোগ করিয়ে দিয়েছিলেন ৷