শাশুড়িকে নিয়ে পালাল জামাই! লজ্জায় গৃহবন্দি বাবা-মেয়ে


শাশুড়ি(বাঁদিকে), জামাই(ডানদিকে)।

দু'দিন ধরে স্বামীর খোঁজ পাচ্ছেন না স্ত্রী। বেকায়দায় পড়ে নিজের বাবাকে ফোন করলেন ওই মহিলা। কিন্তু সেখানে ফোন করে হতবাক হয়ে যান তিনি। জানতে পারেন দু'দিন ধরে নিঁখোজ রয়েছেন তাঁর মা-ও।

বর্ধমানের কেতুগ্রামে শাশুড়িকে নিয়ে পালালেন জামাই। গুণধর এই জামাইয়ের নাম প্রসেনজিৎ হাজরা। জানা গিয়েছে, বছর দুয়েক আগে কেতুগ্রামের বাসিন্দা প্রসেনজিতের সঙ্গে বহরান গ্রামের অনুরূপা বর্মনের বিয়ে হয়। মোবাইল ফোনে পরিচয়। তার পরেই প্রেম করে বিয়ে হয় দু'জনের। তাঁদের একটি সন্তানও রয়েছে।

অনুরূপার অভিযোগ, ইদানীং শ্বশুরবাড়িতে আনাগোনা বেড়ে গিয়েছিল প্রসেনজিতের। সেই থেকেই শাশুড়ির সঙ্গে প্রসেনজিতের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে বলে সন্দেহ করছেন অনুরূপা। তাঁর দাবি, মাঝে মধ্যে তিনি দেখতেন মোবাইল ফোনে দু'জনের মধ্যে লুকিয়ে কথা চলত। আলাদা বসে গল্পও করতেন তাঁর স্বামী ও শাশুড়ি। কিন্তু তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে, এমনটা কোনওদিন ভাবতে পারেননি বলে জানান অনুরূপা।

জামাই-শাশুড়ির এমন কাণ্ডের পর কার্যত হইচই পড়ে গিয়েছে এলাকায়। লজ্জার পড়ে বাবা-মেয়ে— দু'জনেরই বাড়ি থেকে বেরনো কার্যত বন্ধ হয়ে গিয়েছে। অনুরূপার বাবা কৃষ্ণ বর্মন পেশায় হকার। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর কয়েকজন বন্ধু শাশুড়ি ও জামাইকে একসঙ্গে বেশ কয়েক জায়গায় দেখেছেন।

ইতিমধ্যে পুলিশের কাছে জামাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কেতুগ্রাম থানার পুলিশ।