খাবার দিতে দেরি, স্ত্রীকে কোদালের ঘায়ে মেরে মাটিতে পুঁতে দিল স্বামী


সামান্য কথা কাটাকাটি। এর জেরেই স্ত্রীকে কোদালের ঘায়ে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ, শুধু মেরে ফেলাই নয়, মৃতদেহ দেখতে পেলে হাতে হাতকড়া পরবে। তাই প্রতিবেশীদের চোখ এড়িয়ে পরিত্যক্ত মাঠে পুঁতে দিল স্ত্রীর দেহ। গত সোমবার রাতে নৃশংস ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের মুজাফ্ফরনগরের মজলিসপুর তফির গ্রামে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী চন্দন সিংকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। স্ত্রীর হত্যাকারী চন্দনের বাড়ি থেকেই উদ্ধার হয়েছে সেই রক্তমাখা কোদালও। মুজাফ্ফরনগর থানার পুলিশ চন্দনকে আপাতত পুলিশ লকআপে রেখেছে। আদালতে তোলা হলে তার পুলিশ হেফাজতের আবেদন করা হবে।

জানা গিয়েছে, মৃত মহিলার নাম পূজা সিং(৩০)। স্বামী চন্দন সিং পেশায় কৃষক। নিজেদের জমিতেই চাষাবাদ করে। মাঝে মাঝে স্বামীর কাজে সহযোগিতা করতেন পূজাদেবী। তবুও খুঁটিনাটি বিষয়ে তাঁদের সাংসারিক কলহ লেগেই থাকত। প্রতিবেশীদের অভিযোগ, সামান্য কারণেই স্ত্রীকে মারধর করত চন্দন। পান থেকে চুন খসলেই তাঁদের বাড়ি থেকে চিৎকার শোনা যেত। তারপরই কান্নার আওয়াজ। সোমবার রান্নার কাজে সামান্য দেরি হয়েছিল। তাতেই শুরু অশান্তি। মাঠের সবজির দেখা শোনা করছিল চন্দন। তার জন্য দুপুরের খাবার নিয়ে মাঠে যান পূজাদেবী। স্ত্রীকে আসতে দেখেই রাগে অগ্নিশর্মা হয়ে যায় চন্দন। খাবার রাখার সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয় জেরায়। শারীরিক অসুস্থতার কারণে দেরি হয়েছে, মানতে রাজি হয়নি চন্দন। কোদাল দিয়ে চলছিল মাটি কোপানোর কাজ। স্ত্রীর মুখ বন্ধ করতে  তারই এক ঘা বসিয়ে দেয় পূজাদেবীর মাথায়। বেশ কয়েকবার ঘা দিতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই গৃহবধূ। ততক্ষণে হুঁশ ফিরেছে চন্দনের। বিপদ বুঝে নিজেই সন্ধ্যা পর্যন্ত দেহ আগলে মাঠে বসে থাকে। অন্ধকার নামতেই কাছের এক পরিত্যক্ত মাঠে দেহটি পুঁতে দেয়। তবে এত বড় খবর চাপা থাকেনি। প্রতিবেশীদের সন্দেহ হওয়ায় পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ চন্দনকে আটক করে জেরা করতেই বেরিয়ে পড়ে আসল তথ্য। দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্যা পাঠিয়েছে পুলিশ। অভিযুক্ত চন্দনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।